আমি সিয়াম। আজ যে গল্পটা লেখবো তার কিছটা আমার লাইফের সাথে জরিত।
সাল 2004.। আমার বয়স তখন 10 বছর।
গ্রামে থাকি মায়ের সাথে।
বাবা শহরে চাকরি করেন। তখন আমি ক্লাস 3 তে পড়ি।
ছাত্র হিসেবে খুবই ভালো। ক্লাসে ছিলাম ফার্স্ট।
তাই সকল শিক্ষকই ভালোবাসতো।
যখন ক্লাস 4 এ উঠলাম তখন বাবা আমাদের ঢাকায় নিয়ে চলে এলেন।
প্রায় একবছর থাকার পর গ্রামে ফিরে গেলাম।
তখন আমি ক্লাস 5এ।
গ্রামে গিয়ে অন্য একটা স্কুলে ভর্তি হলাম।
যেদিন ভর্তি হতে গিয়েছিলাম সেদিন একটা মেয়েও ভর্তি হতে এসেছিলো।
মেয়েটি এসেছিলো সিলেট থেকে।
তার বাবা বদলি হওয়ায় তাদের এখানে আসা।
যাই হোক ভর্তি হলাম।
নতুন স্কুল তাই খুব নার্ভাস ছিলাম।
প্রথমদিন ভালোই কাটলো।
আমি আবার খুব লাজুক টাইপের ছেলে।
কথা খুবই কম বলতাম।
আর ক্লাসে একদম পেছনে বসতাম।
কিন্তু পড়া নিয়মিত দিতাম।
মেয়েদের দিকে তো ভুলেও তাকাতাম না।
কথা তো দুরেই থাক।
ছাত্র ভালো হবার কারনে সবার সাথে সম্পর্ক
খুব ভালো হয়ে উঠলো।
কিন্তু লাজুক টাইপের হওয়ায় ক্লাসে কয়েকটা মেয়ে খুব ডিস্টার্ব করতো।
কখনো কখনো এতটাই ডিস্টার্ব করতো যে
স্যারদের বলে দিতাম।
কিন্তু সব মেয়েরা আমাকে ডিস্টার্ব করলেও ওই মেয়েটি আমার সাথে কথাও বলতো না।মেয়েটির নাম মালিহা। সেদিন যে আমার সাথে ভর্তি হয়েছিলো।
যখন হাই স্কুলে উঠলাম তখন আরো শান্ত হয়ে গেলাম। ক্লাসে সবসময় চুপচাপ থাকতাম।
একদিন শিড়ি দিয়ে উপরে উঠতে গিয়ে একটা মেয়ের সাথে সেইরকম একটা ধাক্কা খেয়ে নিচে পরে গেলাম। হাতে প্রচন্ড আঘাত লাগলো।
যার সাথে ধাক্কা খেয়েছি সে আর কেউ নয় মালিহা।
হাতের ব্যাথায় প্রায় পাচ দিন স্কুলে যেতে পারলাম না।
পাচদিন পর স্কুলে গেলাম।
সবাই বলল কেমন আছি।
আমি বললাম এখন আগের চাইতে ভাল।
তারপর ক্লাসে গিয়ে দেখি মালিহা একাই বসে আছে। আমি গিয়ে আমার জায়গায় বসলাম।
কিছুক্ষণ পর মালিহা আমার কাছে আসল আর বলল;
মালিহা: আমি সেদিনের জন্য অত্যন্ত দু: খিত।
আমি: সমস্যা নেই। আসলে সেদিন আমারই দোষ ছিলো। মাথা নিচু করে হাটছিলাম তাই সামনে কে আছে বুঝতে পারি নি।
মালিহা: আচ্ছা একটা কথা বলি..?
আমি: বল।
মালিহা: তুমি সবসময় এভাবে চুপচাপ থাক কেনো? খারাপ লাগে না।?
আমি: না, আসলে আমি ছোটবেলা থেকে এমনই।
মালিহা: আমরা কি বন্ধু হতে পারি?
আমি: আসলে আমি মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করি না।
মালিহা: ওওও আচ্ছা।
আমি: হুম।
মালিহা: ওকে বাই,( বলে সে চলে গেল।)
এভাবে প্রাই আমার সাথে কথা বলতো।
আমিতো মেয়েদের সাথে কথা বলতাম না।
তবুও কেনো জানি ওর সাথে কথা বলতে ভালোই লাগতো।
আসতে আসতে আমি ওর প্রতি দুর্বল হতে লাগলাম।
যখন ক্লাস ৮ এ তখন ওকে একটা ছেলে প্রপোজ করে বসল।
ছেলেটা 10 এ পড়তো।
কিন্তু ছেলেটার কপাল খারাপ ছিল।
মালিহা কোনো কিছু না ভেবেই স্যারকে গিয়ে সব বলে দিলো।
স্যারতো প্রচন্ড রেগে গিয়ে ছেলেটিকে অনেক গুলা কথা শুনালেন।
আমি ভাবছি এ কি মেয়ে রে বাবা।
এভাবে কেউ স্যারকে বলে???
যাক ভালোই হইছে।
এরপর থেকে ওর ধারের কাছেও কেউ যায় না প্রোপজ করতে।
সবকিছু মিলিয়ে ভালোই চলছিলো।
ইতোমধ্যে কখন যে মালিহার প্রতি দুর্বল হয়ে পরেছি বুঝতেই পারিনি।
কিন্তু এটাও ঠিক যে ওকে কোনো দিন বলতে পারি নি।
যখন ক্লাস 9 এ উঠি তখন একটা মেয়ে ভর্তি হলো আমাদের ক্লাসে।
মেয়েটি শহর থেকে এসে ছিল।
মেয়েটার নাম মিতা।
দেখতেও ছিলো মোটামুটি ভালো।
তাই ক্লাসের বেশির ভাগ ছেলেই তাকে পছন্দ করতো।
চন্চল হওয়ায় সবার মন জয় করে নিয়েছিলো সে। অনেক ছেলেই তাকে প্রপোজ করছে।
কিন্তু আমি ওসবের দিকে ছিলাম না।
যখন ক্লাস 10 এ উঠলাম তখনই শুরু হলো আমার পরিবর্তন।
বুঝলেন নাতো?
দাড়ান বলছি।
মিতা সবার কাছে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল
কিন্তু সে আমার কাছে হয়ে উঠতে পারে নি।
পুরো ক্লাসে একমাত্র আমিই ওকে ইগনোর করতাম।
তাই সে টার্গেট করলো আমাকে।
লেগে পড়লো আমার পেছনে।
কিন্তু আমি এসবের কিছুই বুঝতে পারি নি।
একদিন আমার ফেসবুক এ ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট
আসল একটা আইডি থেকে।
আই ডির নাম ছিল নীল আকাশের তারা।
আমি আইডিতে ঢুকলাম এবং জানতে পারলাম
ওটা একটা মেয়ের আইডি।
তাই এক্সেপ্ট করি নাই।
হঠাত একদিন ম্যাসেজ আসল। ওই আইডি থেকে।
মেয়েটি: আপনিই কি সিয়াম??
আমি: জ্বি, কিন্তু আপনি কে??
মেয়েটি: আমার রিকু কি এক্সেপ্ট করা যায় না??
আমি: আসলে আমি দু: খিত। আমার ফ্রেন্ডলিস্টে কোনো মেয়ে ফ্রেন্ড নাই।
মেয়েটি: তো কি হয়েছে আগে করেন নি এখন করেন.।
আমি: sorry কিছু মনে করবেন না আমি পারবো না.।
বলেই অফলাইন হয়ে গেলাম।
কারন বেশি কথা বলা ঠিক হবে না।
প্রায় তিন দিন পর আবার ফেবুতে ঢুকলাম।
ঢুকতেই দেখি প্রায় সব মিলিয়ে 125 টার মতো ম্যাসেজ এসেছে। আর সবগুলাই ওই মেয়ের আইডি থেকে।
কিছুক্ষণ পর আবার ম্যাসেজ আসল।
মেয়েটি: আমি কি এতটাই বড় ভুলকরেছি যে আপনি আমার রিকু এক্সেপ্ট করছেন না।??
আমি: দেখুন অযথা সময় নষ্ট করবেন না।
মেয়েটি: আপনি এমন কেনো.?
আমি: কেমন??
মেয়েটি: জানেন আমার সাথে কথা বলার জন্য কত ছেলে রিকু পাঠায়।??
আর আমি আপনাকে রিকু পাঠাচ্ছি আপনি কোনো
রেস্পন্স ই দিচ্ছেন না।
আমি: দেখুন আমি আপনাকে চিনিনা জানিনা আপনার রিকু আমি কেন এক্সেপ্ট করবো??
বলেই বের হয়ে গেলাম.।
এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিন ই আমাকে ডিস্টার্ব করতো.।
তাই বাধ্য হয়ে এক্সপ্ট করলাম।
করার পর মেসেজ আসল
মেয়েটি: ধন্যবাদ!!
আমি: হুম্।
তারপর একদিন মেয়েটি মেসেজে বলল ও নাকি আমাকে চেনে। আমি কি করি না করি সব জানে।
কিন্তু আমি এটা বুঝতে পারলাম না যে ও কিভাবে জানল আমার সব কথা।??
তাই তাকে বললাম.
আমি: একটা সত্য কথা বলবেন.?
মেয়েটি: কি?
আমি: কে আপনি?? আর সম্পর্কে এতো কিছু কিভাবে জানলেন??
মেয়েটি: তুমি কি মিতা কে চেনো??
আমি: আমি বললাম । আমাদের ক্লাসে নতুন মেয়েটা আসছে সে???
মেয়েটি: হুম। আমিই সেই মিতা.।
আমি: ( কি বলব বুঝতে পারছিলাম না।)
তার পর বললাম। এতো কিছু করার কোনো প্রয়োজন ছিলো??
মিতা: আসলে আমার পরিচয় দিলে আপনিতো এক্সেপ্ট করতেন না। তাই পরিচয়টা গোপন রেখেছিলাম।
আমি: আমি আর কিছু বললাম না।
অফলাইন হয়ে গেলাম।
পরদিন স্কুলে গিয়ে দেখি সবাই আমার দিকে কেমন ভাবে জানি তাকিয়ে আছে।
কিন্তু আমি মন না দিয়ে ক্লাসে চলে গেলাম।
রাতে ফেবুতে ঢুকেই দেখি মিতা মেসেজ করেছে।
মিতা: কেমন আছেন?
আমি: ভালো??
মিতা: কি করছেন??
আমি: বসে আছি..।
মিতা: একটা কথা বলব?? কিছু মনে করবেন না তো??
আমি: বলুন.
মিতা: আমরা কি বন্ধু হতে পারি।??
আমি: দেখুন। আমি আগে জানলে আপনার রিকু ও এক্সেপ্ট করতাম না। আর তো বন্ধু।
মিতা: এই! আপনি এমন কেনো??
আমি: আমি এমন ই..
আর কিছুই বললাম না.
পরদিন স্কুলে গিয়ে যা শুনলাম তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
সবাই বলছে আমি নাকি মিতার সাথে ফ্রেন্ডশিপ করছি।
আমার মেজাজ তো খারাপ হয়ে গেল।
মিতাকে কোথাও খুজে পেলাম না।
যদি পেতাম তাহলে ওর কপালে দু: খ ছিল।
যাই হোক বাসায় আসলাম।
ফেবুতে ঢুকেই দেখি মিতা অনলাইন।
আমি: এই!!! আমি তোমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ করছি??
মিতা: করছ তো। তা না হলে কথা বলতে??
আমি: আজব তো কথা বললেই ফ্রেন্ডশিপ হয়ে যায়.?
মিতা: হুম হয়ে যায়।
আমি: দেখুন আমি কিন্তু আপনাকে ব্লক দিবো?
মিতা; ব্লক দিলে সবাইকে বলব যে তুমি আমাকে প্রোপজ করছ.।
আমি: কিহ্!!! দেখো ভালো হচ্ছেনা বলে দিলাম। তুমি কি পাইছো??
মিতা: কিছুই না। জাস্ট ফ্রেন্ড হতে চাই।
আমি: পারব না।।
মিতা; তাহলে আমিও বলে দিবো।
আমি: এই না না। এমন করনা।
মিতা; ওকে, তাহলে ফ্রেন্ড??
আমি; কি আর করার..
করলাম বন্ধুত্ব।
এর পর থেকে সে প্রতিদিন আমার খবর নিতো।
কি করছি, খাইছি নাকি সব।
কিন্তু আমার এসব ভালো লাগতো না।
কিন্তু বাধ্য হয়ে ওর মেসেজ রিপ্লাই দিতাম।
ওর বাসা আমার বাসা থেকে বেশি দুরে ছিলো না।
তাই ও প্রতিদিন রাস্তায় আমার জন্য দেরি করতো।
আমি আগে ও যেতে পারতাম না কার ন ও অনেক আগে থেকেই বসে থাকতো।
আর আমারসাথে সাথে স্কুলে যেত।
কিন্তু আমি বুঝতে পারিনি যে এটা ওর চালাকি ছিলো।
অনেকে ওর সাথে আমাকে দেখে খারাপ ভাবতো। যা আমার গায়ে লাগত। কিন্তু ওর কিছুই হতো না।
ওকে বারন করার পরও ও আমার সাথেই আসতো।
কিন্তু একদিন সত্যিই ঘটনাটা অন্য মোর নিলো।
স্কুলে সবাই আমাকে ভুল বুঝতে শুরু করল।
সবাই বলে আমি নাকি মিতাকে ভালোবাসি।
নিজেকে অনেক ছোটো মনে হতে লাগল।
এতোদিন সবাই জানতো আমি কোনো মেয়ের সাথেই কথা বলি না। কিন্তু আজ নাকি আমি মিতার সাথে প্রেম করছি।
এখন মালিহাও আমাকে ভুল বুঝতেছে।
কি করব বুঝতে পারছি না। বাসায় এসে সাথে সাথে মিতাকে ব্লক দিলাম।
আর কিছুদিন স্কুলে গেলাম না। প্রায় ১০ দিন পর গেলাম স্কুল .।
গিয়ে বুঝতে পারলাম আমার যা খতি হবার হয়ে গেছে।
সবাই বলছে যে আমি কেন এরকম করলাম।
আর এসব আজগুবি কথাগুলো পুরো স্কুল ছড়িয়ে দিয়েছে মিতা।
আর তার সাথে আমার কিছু ক্লাসমেট ও কয়েকজন ছিলো।
কিন্তু আমি এটা পরে বুঝতে পারলাম যে আমাকে ফাদে ফালানো হইছে।
আসলে আমার ক্লাসমেটরা ওর সাথে থাকার কারন হলো যে। ওরা আমাকে হিংসা করতো।
কারন সব স্যার আমাকে ভালোবাসতেন কিন্তু ওদের না।
যাই হোক আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। কারন অনেক দেরি হয়ে গেছে।
আস্তে আস্তে আমি সবার কাছে খারাপ হয়ে গেলাম। কারন ও শুধু এটাই বলেনি যে আমি ওকে ভালোবাসি। ও এটাও বলেছে যে আমি নাকি ওকে টাচ্ করার চেষ্টা করেছি।
,
এসব শোনার পর আমি আর ঠিক ভাবে লেখাপড়ায় মনোযোগ দিতে পারলাম না।
যার ফলে টেষ্টে রেজাল্ট খারাপ হলো।
“আসলে মেয়েরা জিতার জন্য যে এতটা
নিচে নামতে পারে মিতাকে না দেখলে বুঝতেই পারতাম না।
যাই হোক এসএসসি পরিক্খা এসে গেছে। আর ওসব চিন্তা কিছুটা হলেও কমেছে।
জানি না কেন মালিহার কথা খুব মনে পরছে।
মেয়েটা এসব জানার পর আমার সাথে ঠিকমতো কথাও বলে না।
পরিক্খা প্রায় শেষ।
ভাবছি মালিহাকে প্রোপজ করব।
কিন্তু ও যদি আমাকে ফিরিয়ে দেয়।
তাই আর বলতে পারি নাই।
কিন্তু পরিক্খা শেষ হতেই ওর বাবা ওকে নিয়ে আবার সিলেট চলে গেলেন।
সেদিনের পর থেকে যে আমি কতটা কষ্টে আছি তা বলে বোঝাতে পারব না।
,তারপর আমি ঢাকায় চলে আসি পড়ালেখার জন্য।
আজ আমার এইচএসি পরিক্খা শেষ।
তাই গ্রামে যাচ্ছি। অনেক দিন পর আসলাম।
এসেই শুনলাম আমাদের ওই স্কুলটার ৫০ বছর
পুর্তি উপলক্ষে বিরাট অনুষ্ঠান হবে। আর সকল শিক্ষার্থীরা সেখানে আসবে।
তাই মনে করলাম মালিহাও আসতে পারে। তাই সেদিন আমি স্কুলে গেলাম।
হ্যা মালিহাও এসেছে। আজ আমি ওকে আমার মনের কথা সব বলবোই।
তাই আর দেরি না করে ওর কাছে গেলাম।
ও একাই ছিল।আমাকে দেখে ও চমকে উঠলো।
তারপর আমি কোনো কথা না ভেবেই হাটু গেড়ে
বসে বললাম।
আমি: মালিহা আমি জানি তুমি আমার উপর রাগ করে আছ। কিন্তু বিস্শাস কর আমি কিছুই করিনি। আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসতাম মালিহা। আর আজও বাসি।I love you,,,,
মালিহা: … ………
আমি: চুপ করে থেক না কিছু বল প্লিজ!!
মালিহা:;……….( কোনো কথা নেই)
ও চলে গেলো আর আমি ওখানেই বসে আছি।
কিছুক্ষণ পর ও আসলো সাথে একটা ডায়েরি নিয়ে। ওটা আমাকে দিয়ে সে চলে গেল।
ডায়েরি পড়ে নিজের চোখ দিয়ে অজান্তেই পানি পরে গেল।
এসব ওরই লেখা। আর তা হলো যে ও আমাকে অনেক আগের থেকেই পছন্দ করতো
মিতার এসব দেখে সে খুব মন খারাপ করেছিল। সে আমাকে বলতে চেয়েছিল যে সে আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু তার বাবার হঠাৎ বদলি হওয়ায় আর যোগাযোগ করতে পারে নি।
তারপর যা পড়লাম তা মোটেও আশা করিনি।
সিলেটে যাওয়ার পর একটা এক্সিডেন্ট এ ওর মা মারা যায় আর ও বাক শক্তি হরিয়ে ফেলে।
আমি কি করব বুঝতে পারছিনা। দুই হাটু গেড়ে বসে পরলাম মাটিতে। বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল।
নিজেকে খুব অসহায় মনে হতে লাগল।
কিছু না ভেবে ওকে খুজতে লাগলাম।
তারপর দেখি ও আমাদের স্কুলের বড় গাছটির নিচে দাড়িয়ে কাদছে।
আমি কিছু না বলেই ওর সামনে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরলাম।
আর কোনোদিন ও তোমাকে ছাড়বো না।
তুমি কথা বলতে পার আর নাই পার।
আমি তোমাকে ভালবাসি মালিহা।
I really love you!!!!!
ও আমাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।
এদিকে সবাই আমাদের দেখছে আর হাততালি দিচ্ছে।
এভাবেই শুরু হলো আমাদের প্রেম কাহিনি।
,
,
………………………………………………… সমাপ্ত…………………………………………..
গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক