তিন বন্ধু,
যা কু কর্ম করার এক সাথে করে তিন জন।
এক রাতে তারা এক গৃহস্থালির গাছের পেয়ারা চুরি করতে যাচ্ছে।
যেতে যেতে তিন জনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই,,,, লিমন,,,বয়স ১৪,,,, চলন,,, বয়স,, ১৫ আর হচ্ছে তাজ, ওর বয়স ১৫।
তিন জনেই ক্লাস নাইনে পড়ে।
-যে বাড়িতে তারা চুরি করতে যাচ্ছে, ১৩ বছরের একটি যুবতি মেয়ে আছে, নাম বালি।। ( ৩ বন্ধু তা জানে না)
বন্ধু তিন জন যেমন খচ্চর, তেমনি বদমাস,,,, সবচেয়ে বড় সয়তান লিমন ও তাজ। চলন একটু ভালো তবে বদমাসের দলে মানে সেও বদমাস।
– লিমন দোস্ত,,, মজাকরে আজ পেয়ারা খাবো, চল! ( তাজ)
– পেয়ারা??? ওয়াও।। খুব প্রিয়, খুব প্রিয়। কিন্তু কোথায়?? ( লিমন)
– স্কুল যাওয়ার পথে দেখছি গ্রামের মাথার বাড়িতে একটা পেয়ারা গাছ আছে,,, কি পেয়ারা মাইরি,,,, না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবিনা???? ( তাজ)
– তাই নাকি?? কিন্তু বাড়ির ভিতর!!!!!কেমনে খাবো ( লিমন)
– আরে কোন ব্যাপার না ব্যাটা চল,,, চলন তুইও চল,,,, অনেক পেয়ারা খেতে পারবি( তাজ)
– না না তোরা দুজন যা। অল্পের জন্য কাল ধরা পড়িনি,,,,ডাব খেতে গিয়ে ডাং খাইনি ভাগ্যিস। ( চলন)
– আরে দুর,,, চল, ভয় পাচ্ছিস কেন। তাজ আছে না!!! ( জোর করে নিয়ে,, লিমন)
তিন জনে বের হলো,,,, রাত ১১টা পার,,, রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে,, খুব একটা লোক জনের আনাগোনা নেই। তবে ২, ১জনের দেখা মিলছে। যদিও চেনা যাচ্ছেনা। চিনবে বা কেন,,, রাস্তায় তো কত লোকের যাতাআত,,, বাজার টু বাড়ি।
কিছু দুর গিয়ে,,,,,
– আরেকটু দেরি হোক দোস্ত,,, পরে যাই।রাস্তায় লোক ( লিমন)
– আরে কই!!!! চল এখনি। সবাই ঘুমিয়েছে। ( তাজ)
– আমি যাবোনা। রাস্তায় মানুষ ( চলন)
-আচ্ছা, তাহলে চল,,,,,রাস্তা দিয়ে না,, জঙ্গলের ঐ দিক দিয়ে যাই। ( তাজ)
যাচ্ছে,, যাচ্ছে,, বাড়ি গুলোতে কোন শব্দ নেই,,,, জঙ্গলেও নেই। হঠাৎ জঙ্গলের ভিতরে একটি সাঁ সাঁ শব্দ হলো। আর লিমন ভয়ে চয়নের গায়ে পড়লো।।।
-কি!! কি!! কি!!! ( চলন)
– ঐ, কি হলো,,,( তাজ)
ঠিক ঠাক হয়ে লিমন বললো,,, ঐ দিকে কি যেন সাঁ সাঁ করে চলে গেল।
– এত ভয় করিস?? পশু, পাখি থাকেনা জঙ্গলে??
হবে হয়তো কিছু,, এতে ভয় পাওয়ার কি আছে। কই চুরি করতে গিয়ে তো ভয় পাস না!! ( তাজ)
– ভয় পায় নি,,, আমাকে ভয় দেখানোর প্লান করছে,,, আমি তো কোন শব্দ শুনলাম না।
ইসস অল্পের জন্য মাটিতে পড়িনি!!!( চলন)
কথা বলতে বলতে জঙ্গল পেরিয়ে বাড়ির কাছে পৌছালো। তিন জনে ঠিক ঠাক বাড়িটা, পেয়ারা গাছ,,, আশে পাশের বাড়ি,,, এবং পালাবার রাস্তা দেখে নিল।
তো,,, পাশে দু, তিন টা বাড়ি,,, একটু ফাঁক। আর যে বাড়িতে পেয়ারা গাছ,,,, দুইটা টিনের চালা দেখা যাচ্ছে বাহির থেকে। মানে দুটা ঘর। তার সামসের দিকের দেয়ালেরর দিকে পেয়ারা গাছ। তার মানে বাউন্ডারি দেয়াল টপকিয়ে পেয়ারা গাছে চড়তে হবে।
প্রথমে তারা ভাবলো কি দিয়ে দেয়ালে উঠবে। সহজ একটা জিনিস পেল,, দেয়ালের বাহিরের দিকে ২হাত ফাঁক একটি ইউক্লিপটাসের গাছ। এটা দিয়ে দেয়ালে ওঠা যাবে। বাট কে এখন দেয়ালে উঠবে সেটাতে একটু খটকা,, ভয় তো সবার মনেই আছে। লিমন বলছে তাজ কে উঠতে, তাজ বলছে লিমন কে উঠতে। শেষ পর্যন্ত দুজনে বুদ্ধি করে তাজ লিমন কে বললো আজকের অপারেশন চলন কে দিয়ে করাই। ওরো একটু অভিঙ্গতা হোক।
চলনকে উঠতে বললো দুজনে,,,,
সে তো উঠতে চায়না।
শেষ মেষ রাজি হতে বাধ্য হলো,,, উঠা শুরু করে বললো কাল থেকে আমি তোদের সাথে নেই।
– আচ্ছা,,, ওঠ। সেটা পরে দেখা যাবে।( তাজ)
চলন ইউক্লিপটাস গাছে উঠলো।
তারপর দেয়ালে মাথা বরাবর উঠে একটি পা দেয়ালে রাখলো,, অন্য পা টাও রাখলো। তারপর ঘুরে যখনি বাড়ির ভিতরে পেয়ারা গাছের নিচে তাকালো,,,,,,
দেখে, একটি ফুটফুটে অসম্ভব সুন্দরি মেয়ে, আঙ্গিনায় হাঁটাহাঁটি করছে, আর পেয়ারা খাচ্ছে, গায়ে সাদা জামা,,,,কি সুন্দর!!! চাদনি রাত,, অপূর্ব!!!!
সে তো ভয় পেয়ে গেল,,, কারণ সে ভাবল,,,, এ কোন মেয়ে নয়,,,হয়তো পরি। এত রাতে কোন মেয়ে তো এখানে থাকতে পারেনা,,,তাছাড়া সে অনেকের মুখে গল্প শুনেছে,,, তেতুল,,জলপাই, বরই, পেয়ারা গাছে ভূত,পেত্নী থাকে। সে ভাবল এ কোন পেত্নী,, ভয় পেয়ে তড়িঘড়ি করে,,,নামল,,,
আর নামার সময় পাঁয়ে একটু আঘাত পেয়ে আহ!! করে উঠলো,,, তখনি বালি দেখতে পেল, কেউ একজন দেয়াল থেকে নেমে গেল,,,ভাবল, নিশ্চই কোন চোর হবে। কিন্তু সে ঠিকভাবে দেখতে পেল না, কে!!!! ধরতে পারবে না বলে চিল্লাচিল্লি করলো না।
ততক্ষনে চলন নেমে দৌড়,,,
– এ পালাও,,,,,,,,!!!পালাও!! ( চলন)
– ভূত, পেত্নী, পালাও ( চলন)
তাজ, লিমন ও দৌড়,,,,
তারা কিছু ভাবলনা, বরং পেক্নী বা মানুষ কেউ ত হবে!!
ধরা খাওয়ার চেয়ে কেটে পড়া ভালো।
সে বিষয়ে তাদের অভিঙ্গতা আছে, কোন পরিস্থিতিতে পালাতে হবে।।।
,,
অনেকদুর গিয়ে হাপাতে হাপাতে তাজ বলল, সালা পেয়ারা খাওয়া হলো না।
– উল, উলটা দৌড়ানি খেলাম। (লিমন)
– আচ্ছা,, কি দেখেছিস,,বাড়ির ভিতর?? কোন মানুষ ছিল?? ( তাজ চলন কে বলল)
– মানুষ না, মানুষ না, ভূত/ পেত্নী!! (চলন)
– বোকা! বাড়ির ভেতর পেত্নী থাকে!!!! আর পেত্নী দেখে কেউ এইভাবে দৌড় দেয়”! ( হেসে উড়িয়ে দিয়ে বলল, তাজ)
– ওখানেই বলবি তো যে, পেত্নী!! আরে পরির সাথে প্রেম করে মানুষ। ভয়ে পালায় নাকি!! ( মজা করে বলল লিমন)
– তোরা বিশ্বাস কর, সত্যি বলছি,,,( চলন)
– আরে থাক, তোকে আর বলতে হবে না, ভীতুর ডিম,,,( তাজ)
– চল, যার যার বাড়ি চলে যাই ( লিমন)
দুজনের অবিস্বাস, দেখে,,, আর ওদের কাছে এমন অপমানিত হয়ে চলন বলল,,,
শালারা ওখানে কিছুই ছিলনা,,,, তোদের ভয় দেখাতে এটা করেছি!! আমারে দিয়ে পেয়ারা পেড়ে তোরা মজা করে খাবি! না?? খাওলাম পেয়ারা।। খা ভালো করে।।
এই কথা শুনে তো তাজ, আর লিমন খেপে গেছে।
মজা করে মাইর শুরু করলো চলন কে।
– ওরে বাবা, ওরে বাবা,,, মারিস না, মারিস না( চলন)
– বল আমাদের ভয় দেখালি কেন? ( তাজ)
– তোকে আজ মেরেই ফেলব, পেয়ারা না দৌড়ানি খাওয়ালি!!!( লিমন)
– বলছি,, বলছি,,, মাফ করে দে।( চলন)
মাইর টাইর দিয়ে শান্ত হল,,,,দুজন
– দেয়াল থেকে নামতে গিয়ে পা টা মছকে ছে। আরো খোড়া করে দিলি!!! ( খোড়াতে, খোড়াতে বলল চলন)
মন খারাপ করে বাড়ি চলে গেল।
বাকি দুজনও যে যার বাড়ি চলে গেল।
পরের দিন তিনজনে স্কুল গেল, ,, চলন খুড়িয়ে হাঁটছে,,, বাট ওদের দুজনের কাছে মিশছে না এন্ড কথাও বলছে না। তাই দেখে তাজ, লিমন ডাকল না এন্ড জোর করে মিশতে বা কথা বলতে চাইল না। দুজনেই তাকে অবঙ্গা করলো।
চলন খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটতে হাটতে হঠাৎ সামনে আবিষ্কার করলো সেই পেত্নী!!! হাঁটা থেমে গেল,,, মুহুর্তের মধ্যে কিসের মধ্যে যেন ডুবে গেল।।
চিন্তা করলে সুরু করলো,, গত রাতের পেত্নী আর এই মেয়ে কি এক??? হ্যাঁ, তাই তো,,,, রাতে যেমন দেখেছিলাম,, ঠিক তেমনি,,,, তার মানে এ পেত্নী নয় মানুষ!!! কাপড়ও চেন্জ করেনি!!! মনে মনে সে যেন ডুবে গেছে।
এদিকে বালিও মনে মনে চিন্তা করতে লাগল এই ছেলে খুড়িয়ে হাঁটছে ককেন?? এ কি সেই চোর, যে গত রাতে দেয়ালে উঠেছিল,,, কিন্তু নেমে পালানোর সময় আঘাত পেয়ে, আহ! শব্দ করেছিল???
নাহ!!! আমি তো ঠিকভাবে দেখতে পাইনি!! চিনতে পারিনি,,, ভালভাবে না জেনে কাউকে চোর বলা উচিৎ হবে না,,,,, তাছাড়া একে তো ভাল, সাদাসিদে মনে হচ্ছে।।।
– হ্যালো,,, কি দেখছেন এভাবে?? ( বালি)
– নাহ!! কিছু না তো ( চলন)
– তাহলে দাড়িয়ে আছেন যে( বালি)
– না মানে পা টা খোড়া তো, হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে,,, তাই একটু হেটে দাড়িয়ে যাচ্ছি, তারপর আবার হাঁটছি( চলন)
– ও, আচ্ছা। ( বালি)
– তুমি দাঁড়িয়েছ যে ( চলন)
– নাহ! আমার তো হাটতে কষ্ট হচ্ছেনা, আর পায়ে ব্যথাও নেই,,, সো, আমি আমার গন্তব্যে হাঁটি,,,বলে বালি হাঁটা শুরু করলো,,,,
– তোমার নাম কিইইই? ( চলন)
– মাথা ঘুরিয়ে একটু হাঁসির সাথে সুন্দর চাহনি দিয়ে বললো, বালিইইই। ( বালি)
চলে গেল বালি তার গন্তব্যে
আর চলন খুড়িয়ে খুড়িয়ে তার গন্ত্যব্যে।
কড়া নজর রেখে জানলো বালি ক্লাস এইটে পড়ে,,,, তারপর,, স্কুল ছুটির পর নজরদারি করে পিছে গিয়ে দেখল সেই বাড়িটাই।।। তারমানে তার আবিষ্কার সত্যি,,,, বালি ‘ই সেই পেত্নী।
এরপর নিয়মিতই দেখাহয়,,,প্রথম দিকে আগ বাড়িয়ে কথা বলতে থাকে চলন,,,,পরে বালিও দেখা হলেই কখা বলে,,,, বালি চলনের সম্পর্বে ভালোভাবে জেনে যায়,,,,চলন ও ভালোভাবে জেনে যায় বালির সম্পর্কে। এভাবে কিছুদিনের মধ্যে তাদের মাঝে একটা ভালো বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক গড়ে ওঠে,,,,
কিন্তু সব কিছুই ছিল লিমন ও তাজের অজানা।।।
তারা দুজন জানতই না চলনের সাথে বালির একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। বরং সর্বশেষ ঘটানার পর, চলনের আড়ি হলে,,,কিছুদিনের মধ্যে বালি নজরে আগে লিমন ও তাজের।। অলরেডি সব খবর তারা নিয়ে ফেলে ছে মেয়েটার সম্পর্কে।। তারাও এখন জানে বালি ঐ বাড়িরই মেয়ে,,,, কিন্তু চলন সেই রাতে বালিকে দেখিছিল বা তাদের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, এটা লিমন ও তাজের মাথায় আসে নি।।।
দুজনের একসাথে পছন্দ হওয়ায় তারা ঠিক করে ফেলেছে দুজন একে একে আলাদা ভাবে বালিকে প্রোপোজ করবে,,,, যার প্রোপজে বালি সায় দিবে,,,বালি হবে তার।
কিন্তু তারা বালির কোন পাত্তাই পায় না। কিভাবে প্রোপোজ করবে???
অবশেষে দুজনে আবার বুদ্ধি করলো,,, চলন বোকা কে কাজে লাগাতে হবে।।। ওকে দিয়ে কিছু একটা করতে হবে।।।।
তারপর চলন কে ডাকল এবং ঘটনা খুলে বলল,,
– দোস্ত, শুন,,,, লিমন ও আমার ঐ মেয়েকে পছন্দ হয়েছে,,,, দুজনে ঠিক করেছি যার প্রোপোজে মেয়েটা সায় দেবে, সে তার হবে।।।।
এখন তুই আমাদের একটা উপকার কর,,,, ( তাজ)
– কি করবো,,, কিবাবে???? ( চলন)
– তুই ওকে প্রথমে,,, আমি ওর সাথে কথা বলতে চেয়েছি,,,,বলে ডেকে দিবি,,,,আমি প্রোপোজ করবো। পরের দিন লিমনের কথা বলে ডেকে দিবি, লিমন প্রোপজ করবে। ( তাজ)
-হ্যাঁ, প্লিজ দোস্ত। প্লিজ তুই আমাদের এই উপকারটা কর। ( লিমন)
– আচ্ছা,,,, কিন্তু কোন মেয়েটা? সব বললি, নামটা তো বললি না!!! (চলন)
– ঐ যে ঐ মেয়েটা,,,,,( বালির দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে বললো তাজ)
– মানে!!! ঐ মেয়েটা?? বালি!!!! ( চলন)
– হ্যাঁ, দোস্ত। তুই ওকে চিনিস??? তাহলে তো মারহাবা। আরো সহজে হবে!!! ( লিমন)
– চিনি মানে!!! খবর দার তোরা ওর দিকে চোখ তুলে তাকাবি না। বলে দিলাম ( চলন)
– কেন?? কেন তুইও ওকে ভালোবাসিস?? ( তাজ)
– হ্যাঁ ( চলন)
– ও তোকে ভালোবাসে?? ( লিমন)
– সেটা জানিনা,,,, তবে ওর সাথে আমার ভালো সম্পর্ক। নিয়মিত কথা হয়। ( চলন)
– তাইলে আর কি,,,,,!! তারমানে তুইও ওকে প্রোপোজ করিস নি।। আমরাও করিনি,,,,,তাজ,,, কেন্ডিটেট একটা বেড়ে গেল রে,,,( লিমন)
– না, ও আমাকে পছন্দ করে, হয়তো ভালোও বাসে,,ও শুধু আমার। ( চলন)
– ও যদি তোকে ভালো না বাসে তোর হবে কেন??? যেহেতু তুই প্রোপোজ করিস নি। ও তোকে ভালোবাসে কিনা জানিস না। তুইও আমাদের মত। মানে তিনজনেই ওকে ভালোবাসি। কিন্তু ও কাকে ভালোবাসে/ বাসবে কেউ জানি না।
সো, এখন ৩জনে প্রোপোজ করবো। এটাই ফাইনাল। ওকে??( তাজ)
– না, না,,,, তা হবে না। ( চলন)
– আরে বোকা তোর মনে যদি এতই বিশ্বাস থাকে তো মেনে নে,,,, ও যদি তোকে ভালোবাসে তবে ও তোর। ( লিমন)
– আচ্ছা,,ঠিক আছে।( চলন)
– তাহলে এই কথাই রইল,, কাল শনিবার, আমি প্রোপোজ করবো, রবিবার,, লিমন,,,আর সোমবার তুই।। ( বলে তাজ চলে গেল)
চলন ও লিমনও চলে গেল।
বাড়ি গিয়ে চলনের মাথায় মহা টেনশন। কি হবে!!!! কি হবে!!!! কার হবে!!!! কার হবে!!!! যদি ওদের দুজনের মধ্যে কারো হয়ে যায় বালি।।।!!!!
না, নাহ!!! এ হতে পারে না। তার চেয়ে বরং এক কাজ করি। আজকেই গিয়ে বলে দেই বালি কে। যে, আমি ওকে ভালোবাসি।।।
কারণ,,,শিশুসাহিত্যিক রোমানুর রহমান রোমানের সেই বাণী টি মনে পড়ছে,,,,,,যদি তুমি কাউকে ভালোবেসে থাক, যদ দ্রুত পারো সরাসরি গিয়ে তাকে বলে দাও, হয়তো সে তোমার হতে পারে।।” দেরি করলে অন্য কারো হয়ে যেতে পারে,,,,,ভাবতে ভাবতে ফোন হাতে নিয়ে কল করলো বালি কে,,,,,
– হ্যালো, ( বালি)
– হ্যালো, বালি???? ( চলন)
– হ্যাঁ, কি খবর চলন? হঠাৎ এই সময় ফোন দিলে যে!!!( বালি)
– তোমার সাথে খুব জরুরী কথা আছে,,,একটু আসবে তোমার বাড়ির পিছনে??? ( চলন)
– কি বলবে?? ফোনেই বলো ( বালি)
– দেখা করে সরাসরি বলতে চাই,,,, খুব জরুরী প্লিজ। ( চলন)
– আচ্ছা, আসছি। ( বালি)
কিচুক্ষণের মধ্যে বালি আসলো,, চলন তো জায়গা মতো আগেই হাজির।।
– কি বলবে বলো??? ( বালি)
– না মানে যেটা বলতে চাচ্ছিলাম,,,,,,( চলন)
– হুমমমম
– বলতে চাচ্ছিলাম কি,,,,কিছু মনে করবে না।।। না বলে পারছি না।
– হুমমমমম, বলো
– কথা এখন তোমাকে না বললে খুব বড় একটা বিপদ,,,,
– তাই নাকি? তো বলো
– আসলে তোমাকে আমার খুব ভালোলাগে।
– হুমমম, আমারো লাগে
– না, কিন্তু খুব ভালোও বাসি তোমাকে
– হুমমম, আমিও বাসি ( খুব সহজে বলছে)
চলন তো আনন্দে আত্মহারা,,, কি করবে, আর কি বলবে কিছুই ভেবে পাচ্ছে না।
– কিন্তু এখনো বয়স হয় নি তাই, কন্ধুত্বের মাঝে তোমার অপেক্ষায় আছি এবং ছিলাম। তবে কি এমন বিপদ যে এত তাড়াতাড়ি বলে দিলে? ( বালি)
– যদি তোমাকে হারাতে হয়!!! তাই ( চলন)
– হারাবে কেন??
– আসলে বিপদটা কি?? আমার দুজন বন্ধুও তোমাকে পছন্দ করে,, ওরা তোমাকে প্রোপোজ করবে।
যদি ওদের কারো হয়ে যাও!!!! তাই তার আগে বলে দিলাম।
আর তাছাড়া,,, এই এই ব্যাপার,,,বলে সব খুলে বললো।
– ও আচ্ছা,,, তাই!!! ( বালি)
– হুমমমম ( চলন)
– ওকে,, হিষ্টরিটা আরো একটু এগোতে দাও,,,, যে ভাবে প্লান করেছে, সেটাই হবে?
– মানে??
-মানে তিন জনই আমাকে প্রোপোজ করবে!!!
– কিহ???
– হ্যাঁ,, তার আগে ওদের কিছু বলবে না।
– না,, এটা হবে না। ওরা কেন তোমাকে প্রোপজ করবে??? ( উত্তেজিত, চিন্তিত , টেনসনে)
– আরে নো টেনশন!!! আমি তোমার।।। বাট ওদের একটু বোকা বানাবো।। ( বালি)
– ওকে,,, তাহলে ঠিক আছে। ( চলন)
তারপর যথারিতি প্লান অনুযায়ি সব হচ্ছে,, তাজ, লিমন জানে না চলনকে বালি ভালো বাসে।।
প্রথম দিন তাজ গেল,,,, প্রোপজ করতে,,
–
সিনেমার নায়করা যেভাবে প্রোপজ করে,,, সেভাবে একটা লাল গোলাপ হাতে নিয়ে,,, হাঁটুগেড়ে বসে,,,,
বালি তুমি বালি নও
চাঁদের এক ফালি,
ভালোবাসি তোমাকে
আইলাবিউ বালি।
.
প্লিজ আই লাভ ইউ,,( তাজ)
– এত সুন্দর করে প্রোপজ করার জজন্য ধন্যবাদ, ভেবে দেখে জানাবো। ( গোলাপ হাতে নদনিয়ে বলল বালি)
– ওকে, ওকে, ওকে বালি। ট্যাংকিউ। আইল্যাবিউ। ( চলন)
চলে গেল চলন,,, চলে গেল বালি।
পরের দিন লিমনের পালা,,,,
লিমন গেল প্রোপজ করতে সেই একই ভাবে,,,,,,
লাল গোলাপ হাতে, হিরোর মতো হাঁটুগেড়ে বসে,,
বালি,
তুমি হও যদি আমার
হবে হৃদয়ের চাঁদ,
.
ভালোবাসি তোমাকে
বুকে টেনে নাও,
অবহেলা করে তুমি
বলো না চলে যাও!!
.
যদি অপমান কর
তবে দাও মরণফাঁদ।
,,,,
আইল্যাবিউ,,,,( করুণ কন্ঠে বলল, লিমন)
বালি পড়ে গেল চরম বিপদে,,,
সে ভেবেছিল,,, কি,,,, আর তাদের প্রোপজ করার স্টাইল,,,, আর হৃদয়ের মর্মস্পর্শী করুন কথা সুনে,,,,থ।।।
কিন্তু তারপরেও তো তার করার কিছুই নেই।। ভালোবাসতে পারবে না,,,, লিমন বা তাজ কে।।।
তাই সান্তনা দিয়ে বললো,,,
– লিমন তোমাকে ধন্যবাদ,,,,,, তুমি আমাকে এত ভালোবাস!!!! কিন্তু আমাকে ভাবতে হবে।। ভাবার সময় দাও,,, ( বালি)
– ওকে,, বালি।। তুমি ভাবে জানাবে। ( বলে চলে গেল লিমন)
বালিও চলে গেল,,,,, কিন্তু পড়ে গেল মহা টেনশনে,,,, কিভাবে তাদের না বলবে??? আর হ্যাঁ বলার তো কোন অপশনই নেই।।। আবার সরাসরি না বলে দিলেও দুজন মনে খুব কষ্ট পাবে,,,,,ভাবতে ভাবতে পরের দিন চলে আসলো,,,,
এবার চলনের পালা,,,
চলন ১টা গোলাপ হাতে করে নিয়ে গিয়ে বালির হাতে জোর করে ঠেলে দিয়ে বরলো,,, তুমি তো জানই
আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।।
– বলো,,, ওদের কি বললে? কি করলে( চলন)
– তেমন কিছুই বলনি বা করিনি।( বালি)
– মানে তুমি ওদের না করে দাও নি??
বলোনি যে তুমি আমাকে ভালোবাস??
– না
– কেন,,, তার মানে তুমি…..( চলন)
– না। সরাসরি না করে দিলে কষ্ট পাবে।। কোন দূর্ঘটনাও করে বসতে পারে। ( বালি)
– তো এখন কি করবে??
– ভাবছি
– হুমমমমম ভাবো আমি গেলাম ( মন খারাপ করে)
বালিও চলে গেল।।।।
রাতে চলন কে ফোন করে বলল,, কাল ঠিক সকাল ৯টায় স্কুল মাঠে আসবে,,,,ওদের দুজন কেও আসতে বলছি,,,, ওকে???
– কি করবে কালকে?? ( চলন)
– কাল কে দেখ,,, কি করি!! তবে কিছু বলতে পারবে না। যা বলবো তাই মেনে নিবে।( বালি)
– ওদের একজন কে তুমি হ্যাঁ বললেও মেনে নেব!!!( চলন)
– হ্যাঁ বলব কেন??
– তাহলে???
– এখন কিছু বলব না। তবে শুধু এতটুকু জেনে রাখ,,,যা কিছু হবে তোমার আমার ভালোর জন্যই হবে।
– ওকে
– ভালো থেক। শুভ রাত্রি
– শুভ রাত্রি
ফোন কেটে দিয়ে লিমন ও তাজ কেও ফোন করে আসতে বলল
পরের দিন তাজ, লিমন ঠিক সময়ে আদাঘন্টা আগে জায়গামত উপস্থিত। ঠিক সময়ে আসলো বালি। একটু লেটে, চলন।।
বালি ৩জন কে উদ্দ্যেশ্য করে বলল,,, দেখ,, তোমরা ৩জনই আমাকে খুব ভালোবাস। আমি জানি।
৩জন ই আমাকে প্রোপজ করেছ।।।। অনেক ভেবে দেখলাম আমি কি করবো!!! কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি সিদ্ধান্ত নিলাম,, কাউকেই না।। কারণ যদি একজন কে হ্যাঁ বলি তো বাকি দুজন কষ্ট পাবে।। মেনে নিতে কষ্ট হবে। হয়ত দুর্ঘটনা বা ক্ষতিও করতে পারো। তাই কাউকেই ভালোবাসতে পারবো না।
– না, না, আমাদের ৩জনের একজন কে অন্তত্ব তুমি ভালোবাস। বাকি দুজন কষ্ট পাবো না। যাকে তুমি ভালোবাসবে, তুমি তার।। আমরা ৩জনই বন্ধু,,,, এটাই ঠিক করছি ৩জন।। ( বলল, তাজ ও লিমন)
চলনের মুখে কোন কথা নেই। সে চুপ।
– কিন্তু বাকি দুজন??? ( বালি)
– বন্ধুর জন্য সেকরিফাইজ,,,( তাজ)
– হ্যাঁ, ভালোবাসার মানুষটিকে সুখে রাখাই তো ভালোবাসা। তার চাওয়াই তো নিজের চাওয়া,,,( লিমন)
– তুমি আমাদের ৩জনের কাকে ভালোবাস বলো? বা কাকে বেছে নিবে নাও! ( তাজ)
– ওকে তাহলে কাল কে একটা গেম হবে,,,, যে জিতবে। আমি তাকেই ভালোবাসবো।।।( বালি)
– ওকে,, আমি রাজি। কিন্তু কি গেম? ( তাজ)
– আমিও রাজি,, কি গেম বল? ( লিমন)
– সেটা কালকেই দেখবা,,,,চলন তুমি রাজি তো?? ( বালি)
– হুমমমম
-ওকে তাহলে কাল দেখা হবে???
বাই
সবাই চলে গেল।
পরের দিন বালি তিনটা কাগজ নিয়ে আসলো।।
সে ৩জন কে বললো। এই যে ৩টা কাগজ দেখতে পাচ্ছ,,,,
তিনটাতে তিন জনের নাম লেখা আছে তোমাদের মধ্যে একজন এখান থেকে ১টি কাগজ তুলে আমাকে দেবে,,,, তাতে যার নাম উঠবে,,, আমি তাকে ভালো বাসবো।
বলো সবাই রাজি???
– এটা আবার কেমন কথা? একজন কে তুমিই বেছে নাও ( লিমন)
– লিমন বালির কথাই হবে।। হ্যাঁ বালি আমরা রাজি,,,,( তাজ)
– ওকে, তাহলে বলো আমার হাকের মু্ঠো থেকে কে তুলবে,,,, ১টি কাগজ।( বালি)
– আমি,,,,,,,( তাজ)
– না,,, তাজ,,,, আমি।।।।( লিমন)
– না,,,, আমি তোদের লিডার,,,, আমি।।। ( তাজ)
– আরে তুই তো চুরির কাজে লিডার।।। এখানে না। এখানে সবাই সমান( লিমন)
-আচ্ছা,,, থামো, থামো,,,, তোমাদের কাউকেউ তুলতে হবে না।।। চুরি,,, লিডার,,, এসব কি বলছ তোমরা।। খুলে বলোত?? ( বালির সেই রাতের কখা মনে পড়লো তাই জানতে চাইল)
– সব চুরির গল্প জানালো তাজ, ও লিমন।
– তার মানে তোমরা ৩জনই চোর।।।( চলনের দিকে তাকিয়ে বলল বালি)
সবাই চুপ,,,,চাপ। মাথা নিচু।
খুব লজ্জা, আর অপমানিত বোধ করছে।।।
– আচ্ছা,,,, বয়সের দোষে একটু দুষ্টমি করেছ,,,, ক্ষমা করলাম তবে কথা দাও।। আর তোমরা মানুষের ক্ষতি করবে না। চুরি করবে না।( বালি)
তিন জনই কথা দিলো।।
– কিন্তু তোমাদের দিয়ে কাগজ উঠানো যাবে না। তোমরা চোর।( বালি)
আরো একবার অপমানিত ৩জন।
– এই আপু শোন ত।। ( একটা ছোট্র মেয়ে কে ডাকল বালি)
– তোমার নাম কি?? ( বালি)
– জ্যোতি,,,, ( ছোট্ট আপুটা)
– জ্যোতি আপু,,, তুমি আমার হাতের মুঠো থেকে ১টি কাগজ তুলে দিবা,,, কেমন?? তোমাকে চকলেট খাওয়াবো( বালি)
– আইচ্ছা,,,,,,,( জ্যোতি)
– তুল,,,,( বলে হাতের মুঠোটা এগিয়ে দিল বালি)
জ্যোতি একটি কাগজ তুলে দিল।।
বালি খুলে দেখে,,,, লিমন কে দিল,,,,,,
সে দেখে চুপচাপ,,,,, তাজ কেড়ে নিল,,,, সেও চুপ হয়ে গেল,,,,,
আর চলন হাঁটা শুরু করলো,,,,,
-আরে দোস্ত কোথায় যাচ্ছিস?? কাগজটা তো দেখ( লিমন)
– নে,, ধর।।( জোর করে হাতে দিলো তাজ)
– সে দেখে,,,,, কাগজে লেখা,,,,,,চ ল ন।।
মহাখুশি,,,, ও,,,,, থেমে গেল।।।
হাঁটা শুরু করলো,, তাজ ও লিমন।।।
– আরে দোস্ত,,, আয়, আয়,,,, মিষ্টি মুখ করে যা।। ( চলন)
– হ্যাঁ,, ভাইয়া রা এখনি যাচ্ছ কেন?? বন্ধু হয়ে বন্ধুর খুশির মুহুর্তে পাশে থাকবে না?? ( বালি)
তারা আর গেল না,,,, চলন তাদের মিষ্টি খাওয়ালো। ছোট্ট আপুকে মিষ্টি, চকলেট আর ১শ টাকা দিলো।। সে খুশি।।
বালি কে একটি মিষ্টি খাইয়ে দিল,,,,
তাজ ও লিমন দেখে বললো,,, ওকে দোস্ত আজকে তাহলে আমরা আসি।।।
চলন হেঁসে হেঁসে বলল,,, ওকে,,, পরে কথা হবে।।। তাজ, লিমন হাঁটা শুরু করলো,,,, চলনও ওদের বিপরীতে হাঁটা শুরু করলো বালির হাত ধরে।
বালি হাঁটছে,,,সেও হাঁটছে।।
আহ!!! চমৎকার মুহুর্ত!!!
তাজ, লিমন একবার করে ঘুরে দেকছে, আর নিরবতায় আবসোস করছে,,, কারো মুখে কথা নেই। হাঁটছে।
চলন একবার ওদের দিকে ঘুরে তাকাই,,,,
দুজন,, বুড়ি আঙ্গুল দেখিয়ে,,,,,হাঁসলো( সংকেত দিল,, বেস্ট অফ লাক,,বন্ধু)
চলন ও হাঁসলো।
অতপর তারা দুজন চলে গেল।
আর চলন বালির হাত ধরে চলে গেল নদীর পাড়ে।।।
বসে গল্প করছে।। নদীর পানিতে ডিল ছুড়ছে।।। আজ কতই না আনন্দিত দুজন।।। মনে হচ্ছে এত দিনের বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি কিছু।।। আগে কখরো এতটা খুশি মনে হয় নি তাদের।।
কিন্তু হঠাৎ একটা বিষয় মাথায় কাজ করছে না চলনের।।
সে চিন্তা করলো কাগজে আমার নামটা উঠলো কেন??
ওদের মধ্যেও তো কারো নাম উঠতে পারতো….
বালি কে বলল……. আচ্ছা, বালি কাগজে ওদের নাম না উঠে আমার নামটাই উঠলো কিভাবে??
– আরে বোকা,,,, ৩টাতেই তো তোমার নাম লেখা ছিল!!! হা হা হা ( বালি)
– কিহ!!! তার মানে তুমি চিট করেছ!! চুরি করেছ? তুমিও চোর।। আমাকে চোর বল। না? ( চলন)
– কি!! আমি চোর?? তুমি চোর( বালি)
– আমি চোর হলে তুমি পেত্নী।
– পেত্নী বরবে না। না হলে তোমাকে খেয়ে ফেলব।
– আচ্ছা, তাহলে চোর।
– তা বল,,, তুমিও চোর আমিও চোর। আর চুরিটা বা কার জন্যই করলাম?? হুহহ ( মুখ ঘুরিয়ে নিল)
– আচ্ছা আর বলব না। চোর, তুমিও না, আমিও না।( মুখটা ঘুরিয়ে নিয়ে বলল চলন)
– ইসসস চুরি করে,,,, আবার বলে চোর না”! তুমি চোর?
– কিন্তু আমি তো সেদিন পেয়ারা চুরি করি নি!!!
– পেয়ারা চুরি করনি কিন্তু আমাকে,, আমার মন তো চুরি করেছ। না???
– আচ্ছা,, আমি চোর।
– হুমমম,,,, গুড বয়
-আচ্ছা, তুমি তো আমার,,,, আর চুরি করতে হবে না। খেতে দাও!! ( চলন)
– কি খাবে?????
-,,,,,,,, ,,,,,,,,,,,
– না,,,, না,,,,, মুখটা আমার গালের কাছে আনছ কেন? সোনা!!!! দুষ্টমি নয়।। বিয়ের পর!!!ওকে??( চলনের মুখে হাত দিয়ে বলল)
– আরে শুন,,, কানে কানে বলি।।। ( হাত সরিয়ে চলন বলল)
– না, তুমি চোর,,,, বিস্বাস নেই।। চিটারি করে কাস করতে পারো। কানে কানে বলতে হবে না,,,, জোরে বলো।
– পেয়ারা খাবোওওওওও
– আস্তে,,,, কাল নিয়ে আসবোওওও
– পেয়ারা আমার খুব প্রিয়।। তুমি ত জোরে বলতে বললে।
– আচ্ছা, এত জোরে না।
– স,,,,,, কি,,,,,
– কি বললে?? শুনিনি
– সুনেছ,,, মিথ্যা বলছ কেন??
– এত আস্তে বলে?? দুষ্টু,,,
– বারে,,, আস্তে বললেও দোস,,, জোরে বললেও দোষ???
– হুমমমম
– কারণ আমাকে এখনো বিয়ে করো নি। বিয়ের পর কোন দোষ নেই।
বুঝলে।
– আচ্ছা,, কালই প্রস্তাব নিয়ে যাবো তোমার বাবার কাছে।।।।
– না না ভুলেও এ কাজ করো না।।।
শেষ করে ফেল বে।। এই বয়সে
-তাহলে এরকম করছ কেন??? হুহহ
– কি করছি!!! প্রেম করছি তো!!!! এটাই তো মজা প্রেমের।।
– তাই!!!! না??
– হুমমমম। কয়েক বছর প্রেম করি তারপর বিয়ে।।। বুঝেছ
– হুমমম
-তাহলে আমার হাতটা ধরে চল, বাড়ি যাই। সন্ধ্যে হয়ে যাচ্ছে।
– ওরে আমার পেত্নী রে।। ( হাত ধরে হাঁটা শুরু করে বলল)
– কি বললে??
– না, আই লাভ ইউ
– হুমম,,,আই লাভ ইউ টু
………………………………………….সমাপ্ত………………………………………….