ভার্সিটি থেকে বাসায় ফিরে, শরীরটা একটু ক্লান্ত মনে হচ্ছে তাই নিজের বিচানায় গিয়ে শুয়ে পাশে থাকা কম্বলটা টেনে নিয়ে গায়ে দিলাম।
সাথে সাথে কে যেন চিংকার দিয়ে উঠলো।
 আমিতো ভয়ে তাড়াতাড়ি বিচানা থেকে নেমে দাড়ালাম।
 বিচানায় তাকিয়ে দেখি,,,,,,(একি আমার বিচানায় মেয়ে মানুষ আসলো কোথা থেকে)
আমি:-কে আপনি, আর আমার বিচানায় কেন।
 :-সেটা পরে বলছি,,, আগে বলেন মেয়ে মানুষ দেখলে তার কাছে আসতে ইচ্ছে করে তাই না।
 আমি:-আমি আবার আপনার কাছে কখন গেলাম।
 :-কিছুই বোঝো না।আমি বিচানায় শুয়ে আছি, সেটা দেখে আপনি বিচানায় শুতে আসলেন কেন।
আমি কিছু বলতে যাবো, তখনে মা আসলো।
 মা:-কি রে,কি হইছে চিংকার করলো কে।
 আমি:-মা, এই মেয়ে কে।
 মা:-এ তোর বাবার বন্ধুর মেয়ে এখানে বেড়াতে এসেছে।
 এ হচ্ছে রাহাদ,আমার একমাত্র ছেলে। (আমাকে দেখিয়ে দিয়ে)
 :-ও,,,,,,,হাই,,,, আমি রিয়া।
 আমি:-হ্যালো,,,,,,,আমি রাহাদ।
 মা:-তোরা ফ্রেস হয়ে আয়, আমি খাবার দিচ্ছি। (বলে মা চলে গেল সাথে মেয়েটাও)
আমি বুঝতে পারিনি যে আমার বিচানায় কম্বলের নিচে কেউ শুয়ে আছে।
 তাই বলে আমাকে অপমান করবে,
আমিতো পুরা অবাক। এই মেয়ে এমন কেন।একটু আগে আমার সাথে কি ব্যাবহার করলো আর এখন,
ফ্রেস হয়ে খেতে গেলাম। খাওয়া শেষ করে আমি আমার বিচানায় বসে গল্প পড়ছি, তখনে সেই মেয়েটি মানে রিয়া আসলো,
 :-কি করো।
 আমি:-আমি কি করি সেটা আপনাকে বলতে যাবো কেন।
 :-কেন মানে বলতে হবে।(রাগি কন্ঠে)
 আমি:-হবে মানে,,,,, আপনি কি আমার ঘরের বউ,যে আপনাকে বলবো।
 :-হতেও পারি।
 আমি:-মানে,,,,,,, আপনার কথা আমি কিছু বুঝতেছি না।
 :-বোঝার দরকার নেই, সময় হলে পরে বুঝতে পারবেন।
 আমি:-হুম,,,,সময় হলে আপনিও জানতে পারবেন আমি কি করছিলাম।(বলে রুম থেকে বেড়িয়ে এলাম)
বন্ধুদের সাথে একটু আড্ডা দিতে যাচ্ছি।
 আর ভাবি এই মেয়ের কথা আমি কিছুই বুঝিনা। কি রাগি মেয়ে।আমার বাড়িতে এসে আমার সাথে বেয়াদবি।
 কে জানে, এই মেয়ে কতদিন আমাদের বাড়িতে থাকবে।আমি নিচ্চিত, এই মেয়ে আমাদের বাড়িতে যতদিন থাকবে ততদিন আমার অবস্থা খারাপ। আমিও ছাড়ার পাত্র নই,
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে, রাতে বাড়িতে আসলাম।
 আমার রুমে গিয়ে দেখি সে বসে টিভি দেখতেছে।
 আমি:-আপনি আমার রুমে কেন। আর এখনো জেগে আছেন, যান অন্য রুমে গিয়ে ঘুমান।
 :-এই যে মিষ্টার, আমি এই রুমে ঘুমাবো।
 আমি:-মানে,,,,আমার রুমে আপনি ঘুমাবেন কেন।
 :-এতো মানে মানে করেন কেন,হুম।যেটা বলছি সেটা করেন অন্য রুমে গিয়ে ঘুমান।
 আমি:-ধুর,,,,,
মাকে ডাকতে ডাকতে, মায়ের রুমে চলে গেলাম।
 মা:-কি রে, এতো ডাকছিস কেন।
 আমি:-মা ওই মেয়ে আমার রুমে কেন।আর সে বলছে সে ওখানে থাকবে।
 মা:-আরে, সে আমাদের আত্নিয়।তাই তোর রুমটাতে থাকতে বললাম।তুই অন্য রুমে গিয়ে ঘুমাও।
 আমি:-মা তুমিতো জানো আমি আমার বিচানা ছাড়া অন্য বিচানায় ঘুমাতে পারি না।
 :-অল্প কয়েকটা দিনতো। যা বাবা অন্য রুমে গিয়ে ঘুমাও।
ধুর কিছু ভালো লাগে না।
 অন্য একটা রুমে গিয়ে শুয়ে পরলাম।একটু ঠান্ডা লাগতেছে। শুয়ে ভাবি,,,
 আমার সাথে এসব কি হচ্ছে। আমার বিচানা ছাড়া অন্য বিচানায় আমার ঘুম আসে না। মা সেটা জেনেও কিছু বললো না।
 মা ওই মেয়েটাকে এতো খাতির করতেছে কেন।নিচ্চই কোনো ব্যাপার আছে।
আর ওই মেয়েটা বিকেলে যে বললো,,,,,*আমার ঘরের বউ হতেও পারে*
বাবা মাকে কিছুদিন আগে আমার বিয়ের ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে শুনেছি।
 তার মানে, এই মেয়ের সাথে আমার বিয়ে দিবে নাকি।
 ওই মেয়ের সাথে বিয়ে হলে আমার জীবন শেষ করে ফেলবে এই মেয়ে।কথায় কথায় রাগ দেখায়।
আমাকে জানতে হবে, আসল ব্যাপারটা।
 মেয়েটা দেখতে তো খুব সুন্দর। কিন্তু তার এরকম স্বভাব কেন।একটু ভালোভাবে কথা বললে তো হয়,তা না কথায় কথায় রাগ দেখায়।
কোনোভাবে রাতটা পার হলো।সকালে উঠে ফ্রেস হয়ে, নাস্তা করলাম।বাহিরে যাবো তখনে,,,
 মা:-কোথায় যাও রাহাদ।
 আমি:-ভার্সিটিতে যাই মা।
 মা:-একটু তাড়াতাড়ি আসিস আজ।
 আমি:-আচ্ছা।
 বলে আমি ভার্সিটিতে চলে গেলাম।
বিকেলে বাসায় ফিরলাম।
 দেখি এক জন লোক বাবার সাথে কথা বলছে। , আমি আমার রুমে চলে গেলাম।তখনে মা আসলে,,
 আমি:-মা লোকটা কে, আর বাবার সাথে কি কথা বলছে।
 মা:-লোকটা রিয়ার বাবা। তোমার বিয়ের ব্যাপারে কথা বলছে।
 আমি:-আমি তোমাকে বলছি না,,, আমি এখন বিয়ে করবো না।
 মা:-কেন করবি না। রিয়া কোন দিক থেকে খারাপ।
 আমি:-তার মতো রাগি ঝগড়াটে মেয়েকে আমি বিয়ে করবো না।
 রিয়া আমার রুমে এসে,
 :-কি,,, আমি ঝগড়াটে।
 আমি:-হুম।
 মা:-তোরা কথা বলো,, আমি যাই। (বলে মা চলে গেল)
 আমি:-আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারবো না।
 :-কেন,,পারবে না।আমি কি দেখতে খারাপ।
 আমি:-দেখতে আপনি খারাপ না,,,,তবে আপনার স্বভাব খারাপ।
 :-তাই,,,,,আমার স্বভাব খারাপ। আমাকে যদি বিয়ে না করো,,, তাহলে তোমার হাত পা ভেংগে বিচানায় ফেলে রেখে দিব।(আমার শার্টের কলার ধরে)
 আমি:-আপনি আমার সাথে এরকম করবেন না।
 :-তাহলে, বিয়ে করতে রাজি তো।
 আমি:-জি।(আমার মতো ভদ্র ছেলেকে যদি এরকম হুককি দেয় তাহলে রাজি না হয়ে পারা যায়)
 :-এইতো ভদ্র ছেলে।
 আমি:-আপনি এবাব আমার শার্টের কলার ছারেন।
 :-এই এতো আপনি আপনি করেন কেন। তুমি করে বলো।(আমার শার্টের কলার ছেড়ে দিয়ে)
 আমি:-জি।
কয়েকদিন পর,,,,,,
 আমার আর রিয়ার বিয়ে হলো।এখন আমি বাসর ঘর এর দরজার সামনে দাড়িয়ে আছি।ভিতরে ঢুকতে ভয় করতেছে ,,,,,,কে জানে আজ আমার সাথে কি হয়।
…………………………………………….সমাপ্ত……………………………………………
  









