ভার্সিটির ক্যাম্পাসে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম তখনই
–এই শালা অভ্র আমাদের তো সবারই জিএফ আছে তুই কেন একা রহিঙ্গার মত ঘুড়বি 😉 😉
একটা প্রেম কর (রাজু)
— করবো করবো মনের মত কাউকে পেলে ঠিকই করবো (আমি)
–কবে করবি?
আমরা মরার পর (ইমন)
— মনে কর তাই (আমি)
— আল্লাহ আমাদের অভ্রর জন্য একটা জিএফ ফালাউ তারাতারি ( ইমন)
— হে হে পাগল একটা তারপর একটু আড্ডা দিয়েই বাসায় চলে আসি আমি আসিফ আহমেদ অভ্র সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে
পড়ি এবার ৩য় বর্ষ আর যাদের সাথে কথা হলো ওরা এক একটা আমার শয়তান দোস্ত সবাই প্রেম করে আমি ছাড়া তাই আড্ডা
হলেই ওদের টপিক থাকে আমি কবে প্রেম করবো? আরে ভাই প্রেম তো করতেই মন চায় তবে আমার মনের মত পরিটাকে তো
পেতে হবে না কি? এভাবেই আমার দিনকাল চলসে চলসে সাথে বন্ধুদের সাথে আড্ডাও এমনই একদিন ক্যাম্পাসে বসে আড্ডা
দিচ্ছি
–অভ্র ভাইয়া এটা কিন্তু ঠিক না? (রাজুর জিএফ)
— কেন আমি আবার কি করলাম?
-+আমরা যখন ঘুড়তে যাই আপনি একা থাকেন
এটা দেখতে কেমন যেন লাগে? তাই বলসি কি ********(no network) হঠাৎ চোখটা সামনে পড়ল ৩টা মেয়ে এদিকেই হেঁটে
হেঁটে আসছে
মাঝের মেয়েটা সাদা ড্রেস পড়ে আছে খোলা চুল গুলো বাতাসে উড়ছে মেয়েটার বান্ধবিরা কি যেন বলসে এটা শুনেই হয়ত
মেয়েটা মিষ্টি করে হেঁসেই চলেছে এত্ত সুন্দর হাসি হা করে তাকিয়ে আছি আমি
–এই অভ্র ? এই (রাজু)
— কি (আনমনে আমি)
— ওদিকে হা করে কি দেখিস( ইমন)
— পরী!!! 😉 😉 (আমি)
–পরীইইইইই “!! মানে (রাজুর জিএফ)
— মেয়েটার হাসির প্রেমে পড়ে গেছি রে (আমি)
— কিইইইইইহ! এই অভ্র তুই ঠিক বলছিস তো!?
কোন মেয়েটা? আমাকে বল এখনই বল (রাজু)
— সাদা ড্রেস পড়া ঐ মেয়েটা (আমি আনমনে)
— আরে কোন মেয়েটা? এখানে তো সাদা ড্রেস পরে কেউ নেই( ইমন)
–কিইইইইইহ! নেই মানে চলতো দেখি সারা ক্যাম্পাস উকুন খোজার মত করে খুজেও আমার পরীটাকে আর পেলাম না
–দোস্ত আমার পরীটাকে কি হারিয়ে ফেল্লাম (আমি)
— তুই একটুও টেনশন নিস না আমাদের কলিজা এই প্রথম প্রেমে পড়সে আমরা তোর কাছে মেয়েটাকে এনেই দেব (ইমন)
— কয়টা বাজে দেখ তো (রাজু)
— ১২টা
–ওকে কালকে থেকে ঐ জায়গা টায় সাড়ে এগারোটা থেকে বসে থাকবো মেয়েটাকে পেতেই হবে আমাদের ভাব্বি বলে কথা
–অভ্র তাহলে এখন যাই কেমন (ইমন)
— আচ্ছা যা বলেই আমিও বাসায় চলে আসলাম
রাতে শুয়ে আছি চোখের পাতা এক করতেই পারছি না চোখ বুঝলেই শুধু মেয়েটার সেই মন কাড়া হাসি আর অবাধ্য চুলের দৃশ্য
ভেসে উঠতেছে আমি কি মেয়েটার প্রেমে পড়ে গেলাম নাকি? ঐ হাসির প্রেমে তো পড়েই গেছি এসব কি ভাবছি আমি ধ্যাত ঘুম
তো আসছেই না এপাস ওপাস করতে করতেই রাতটা কেটে গেল সকাল ১১ টায় গিয়ে ক্যাম্পাসের সেই জায়গাটায় বসে আছি
সাথে ইমন আর রাজু
মনটা ছটফট ছটফট করছে কখন আবার পরীটাকে দেখবো এই ভেবে ১২ টা বেজে গেল পরীটার দেখা পেলামই না ১ টা তাও
আসলো না
তবে কি আজকে আর মেয়েটা আসবে না ? 🙁 :-ভাবতেই মনটা খারাপ হয়ে গেল
হতাশ হয়ে বাসায় ফিরে আসলাম
পরদিন আবার একই সময় গিয়ে বসে আছি মেয়েটার জন্য আজও দেখা পেলাম না
এভাবে পরপর ৪টা দিন হতাশ হয়ে ফিরে এলাম
মনটা ভিষণ খারাপ হয়ে গেছে
ইমন তো রেগে বলেই দিলো যে,
কাকে না কাকে দেখসি পাবে না খুজে
আশা ছেড়ে দে
তবে আমি যে মিষ্টি মেয়েটার হাসির প্রেমে পড়ে গেছি
এখন প্রতিদিন বসে থাকি ওখানেই যদি মেয়েটার দেখা পাই এই ভেবে
প্রতিদিনের মত আজো বসে আছি আর গান শুনছি মন খারাপ থাকলেই জাস্টিন এর ” নো প্রেসার” গানটা শুনি
হঠাৎ চোখটা সামনে গেল
সেই ৩টা মেয়ে মাঝের মেয়েটা সাদা ড্রেস পড়া
এক মনে হেসেই চলেছে
আর আমি হা করে তাকিয়ে আছি
মেয়ে তিনটা আমাকে দেখে মুচকি একটা হাসি দিয়ে চলে গেল
আমি হাসির প্রেমে মাতাল হয়ে গেছি ঘোর কাটতেই চারপাশে তাকিয়ে দেখি মেয়েটা কোথাও নেই
ধ্যাত আজকেও হারিয়ে পেলছি
এক জিবি আপচুচ নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলাম
পরদিন একটা জরুরি ক্লাস থাকায় ৯টায় ভার্সিটি গেছি পথেই আবার সেই মেয়েটার সাথে দেখা
আমি এক পলকে তাকিয়ে আছি আর মেয়েটা পাশ দিয়ে চলে গেল
তারমানে?
ইয়াহু! 🙂 🙂
এত্ত খুশি লাগে ক্যারে?
আজ রবিবার তারমানে
মেয়েটা রবি, মঙ্গল আর বৃহঃবার সকাল ৯টায় চলে যায়
আর তাই আমি দেখা পাইনি
খুশি মনে ক্লাস করে বাসায় চলে আসলাম
কি যে খুশি লাগছে না
এরপর থেকে প্রতিদিনই মেয়েটার সাথে দেখা হয় আমি একভাবে তাকিয়ে থাকি আমাকে দেখেই চোখটা নামিয়ে নেয়
আজ প্রায় একটা মাস ধরে শুধু চোখাচোখি করছি এই কথা শুনে তো ইমন রেগে মেগে বেগুন
— ঐ শালা ভয় না পেয়ে সামনে গিয়ে প্রপোজ করে দে (রাজু)
–কিন্তু যদি চড় টর মারে তো?
–আরে প্রেম করতে হলে এসব কত খেতে হবে বিষয় না কালকেই প্রপোজ করবি কেমন (ইমন)
— আচ্ছা
আমি পরদিন একটু ঠিকঠাক হয়ে সেই জায়গাটায় দাড়িয়ে আছি একটু পরই দেখলাম মেয়েটা আসতেছে
মেয়েটাকে দেখেই বুকের ভিতর কে যেন ধুম ধাম পিটানি সুরু করে দিল
ভয়ে ভয়ে মেয়েগুলার সামনে গিয়ে দাড়ালাম আমাকে দেখেই পাশের মেয়েগুলা একটু পিছনে চলে গেল আর পরীটা আমার
সামনে দাড়িয়ে আছে
কি বলে যে শুরু করবো বুঝতেই পারছি না
গলা দিয়ে কথাই বেড়ুচ্ছে না ভয়ে জানটা বেড়িয়ে যায় এমন অবস্থা
প্রায় ৫ মিনিট দাড়িয়ে আছি তবে কিছুই বলতে
পারছিই না
মেয়েটা হয়ত খুব বিরক্ত হলো তাই পাশ কাটিয়ে চলে গেল
আমি ওখানেই দাড়িয়ে আছি
একটু পরই আমার পিঠে ধুমধাম কিল ঘুষি শুরু হয়ে গেল
–শালা কা পুরুষ 😉 !!
কথা বলতে পারেনা সে আবার করবে প্রেম ( রাজু)
— হেহেহে প্রেমের কথা রাখতো
শালাতো মেয়েটার নামই জানেনা (ইমন)
— আরে তাইতো এ আমি কেমন প্রেমিক যাকে ভালোবাসি তার নামটাই জানিনা অনেক বকা আর মাইর খেয়ে বাসায় চলে আসি
এসেই ভাবতে থাকি যেভাবেই হোক কালকে আগে মেয়েটার নামটা জানতেই হবে পরদিন গিয়ে দাড়িয়ে আছি একটু পরই
দেখলাম সেই মেয়ের বান্ধবিরা আসছে বাট ঐ মেয়েটা কই এসব ভাবতে ভাবতেই আমি বুকে ফুঁ নিয়ে সামনে গেলাম
–আ আপু ৫ মিনিট ক কথা বলা যাবে কি?(আমি)
–জি বলেন (মেয়েটা)
— আপনার নামটা কি জানতে পারি? (আমি)
— আমি রুপা আর ও ইতি (মেয়েটা)
— ওহহহ আচ্ছা ও আসেনি? (আমি)
— ও কে? (রুপা)
— ইয়ে মানে ঐ মেয়েটা! যে সুন্দর করে হাসে (আমি)
— না আসেনি বলেই মেয়ে দুইটা চলে যাচ্ছে
আমি চিৎকার করে বললাম
–ওর নামটা প্লিইইইইজ বলবেন কি?
–ওর নাম সোহা বলেই মেয়েগুলা চলে গেল
সোহা!!! তার মানে আমার পরীটার নাম সোহা
পরীটার হাসির মত নামটাও খুব সুন্দর সারাটা রাত নামটা নিয়ে ভাবতে ভাবতেই চলে গেল আমি সত্যিই সোহার প্রেমে পড়ে গেছি
পরেরদিন আমি গিয়েই দেখি সোহা আর ওর বান্ধবিরা
আসতেছে অনেক দিন ধরে ফলো করার জন্য এখন অনেকটাই পরিচিত বটে মনটা শক্ত করে সোহার সামনে গিয়ে দাড়ালাম
আর প্রথম দিনের মতোই ওর ফ্রেন্ডরা একটু দুরে চলে গেল একটু মনোবল নিয়েই বললাম.
–সবার মতো ফিল্মি স্টাইলে বা পেঁচিয়ে আমি কথা বলতে পারিনা তাই সরাসরিই বলছি
“যেদিন তোমাকে প্রথম দেখেছি সেদিনই তোমার হাসির প্রেমে পড়ে গেছি, আর এই এতটা দিনে তা কেবল সমানুপাতিক হারে
বেড়েই চলেছে,
আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি সোহা
তুমি কি আমার পরী হবে? কথাটা বলেই সোহার দিকে তাকালাম ও একভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে তারপর কিছু না বলেই
পাশ দিয়ে চলে গেল কিছুই তো বুঝলাম না? আমি কি কিছু ভুল বলেছি? না কি আমাকে সোহার পছন্দ না
আর যদি পছন্দ না হয় তো কিছু বলল না কেন
নাকি আমি ওর কাছে এতটাই খারাপ যে কিছু না বলেই চলে গেল নাহ কিছুই ভাবতে পারছি না
হ্যা বা না কিছু তো বলতে পারতো এভাবে আমাকে কষ্ট কেন দিলো রাতে শুয়ে আছি একটুও ভালো লাগছে না শুধু ভাবছি সোহা
কি আমাকে পছন্দ করেনা? যদি না করে তো বলল না কেন? এপাশ ওপাশ করতে করতেই রাতটা কেটে গেল পরেরদিন
তারাতারি ভার্সিটিতে গিয়ে সেই চিরচেনা জায়গাটাতে দাড়িয়ে আছি সোহার সাথে কথা বলব বলে কিন্তু ওর আসার নামই যে নাই
একটু পর দেখলাম ওর সেই দুই বান্ধবি আসছে ওদের দেখেই এগিয়ে গিয়ে বললাম
— আপু সোহা কই?
–আজ আসেনি (রুপা)
— ওহহহ ওরা চলে গেল আর হতাশ হয়ে আমিও বাড়ি ফিরে আসি এরপর থেকে প্রায় ১টা সপ্তাহ পরপর সোহা আসেনি প্রতিটা
দিনই হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছি এই কয়টা দিনে খাওয়া দাওয়া, পড়াশোনা কিছুই ঠিক মত করতে পারিনি সারাক্ষণ শুধু সোহার
কথাই ভেবেছি প্রায় ১০ দিন হয়ে গেল সোহা আসেনা তবুও আমি ওর পথের দিকে চেয়ে থাকি আজো এসেছি
মনমরা হয়ে বসে আছি আরে আরে ঐতো
ঐতো আমার সোহা আসছে, আমার পরীটা আসছে এক দৌড়ে ওর সামনে গিয়ে দাড়ালাম
–কেমন আছো ? এত শুকিয়ে গেছো যে
এত দিন কই ছিলা? জানো কতো খুঁজেছি তোমাকে
–………
–কি হলো বলো?
আমার কথা শুনে সোহা চলে যেতে বসল আমি ওকে আটকালাম
–সোহা চুপ করে কেন আছো বলো?
আচ্ছা তোমার কি আমাকে পছন্দ না?
–…..
–কি হলো বলো? আচ্ছা এতো কিছু বলতে হবে না তোমার আমাকে ভালো নাই লাগতে পারে আর আমি জোর করছি না তুমি শুধু
বলো আমাকে কি তুমি ভালোবাসতে পারবে না? হ্যা অথবা না বলো আমি বুঝে নেব বলো
–………
–এই সোহা? এই এভাবে আমাক কষ্ট দিওনা
হ্যা বা না তো বলো?
–……….
–চুপ করে থেক না আমার খুব কষ্ট হচ্ছে প্লিইইইইজ বলো
–………
–আচ্ছা আমি কি তোমাকে ডিস্টার্ব করি বলো?
যদি করি তো বলো আর কোন দিনও তোমার সামনে আসবো না বলো শুধু একটা বার বলো
এই সোহা আমার খুব কষ্ট হচ্ছে প্লিইইইইজ বলো
–……….
সোহা কান্না করতে করতে চলে গেল আমিও মাটিতে বসে পড়লাম কি করবো? যাকে এতটা ভালোবাসি সে কি আমাকে
ভালোবাসবে না?তবে সোহা কান্না করলো কেন? তবে ওকি আমাকে ভালো***** না না যদি ভালোই বাসতো তো বলছে না কেন
আমি যে খুব কষ্ট পাচ্ছি ওকি আমার কষ্টটা বুঝছে না রাতে ঘরের লাইট টা বন্ধ করে খুব কান্না করছি ও আমাকে না বললেও
এতোটা কষ্ট হতোনা যতটা হচ্ছে ওর কিছু না বলাতে সারারাত নিরবে চোখের জল ফেলেছি
পরেরদিন সেই জায়গাটায় গিয়ে বসে আছি একটু পর দেখলাম সোহার বান্ধবিকে
–আপু কিছু কথা ছিল
–বলেন (রুপা)
— সোহাকে কালে এই জায়গাতে বিকেল ৪টায় আসতে বলবেন plzzzzzz আমি শেষ বারের মত ওর কাছেই কিছু শুনতে চাই
বলেই বাসায় চলে আসি পরদিন সকাল থেকেই আকাশটা মেঘলা দেখেই মনটা আরো খারাপ হয়ে গেল সোহা এর ভিতর আসবে
তো? যদি না আসে তো আর কোনদিন ওর সামনে যাবোনা কি লাভ ওকে ডিস্টার্ব করে ? বিকেল ৪টা……… গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছে
আমি সেই বড় গাছটার কাছে গিয়ে দেখি নীল থ্রিপিচ পড়ে সোহা দাড়িয়ে আছে দেখেই মনটা ভালো হয়ে গেল কাছে গিয়ে
বললাম
–কেমন আছো ? সোহা আমার হাতে একটা কাগজ দিল আমি কৌতুহলি হয়ে খুলে পড়তে শুরু করলাম, অভ্র আমার এখনো
মনে পড়ে সেই প্রথম দিনের কথা তুমি আমার দিকে হা করে তাকিয়ে ছিলে তোমার ঐ বোকা বোকা চেহারাটা দেখে কেমন করে
যেন ভালো লেগে যায় এরপর থেকে প্রায় প্রতিটা দিনই তুমি একভাবে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে আমার খুব ভালো লাগতো
আর যেদিন তুমি আমাকে ভালোবাসি বলে দিলে সে দিন যে আমি কি পরিমাণ খুশি হয়েছিলাম তা বলে বুঝাতে পারবো না কারণ,
আমিও যে তোমাকে অনেক অনেক ভালোবেসে ফেলছি অভ্র তবে সত্য কথাটি জানার পর তোমার এই ভালোবাসা চলে যাবে তাই
তোমার থেকে দূরে সরে আসতে চেয়েছি তোমাকে আমি ভালোবাসি অভ্র তবে এতটা দিন কথা বলিনি কেন জানো? আমি বোবা !
অভ্র আমি বোবা! আমি কথা বলতে পারিনা অভ্র… পারিনা চিঠিটা পড়েই আমার পায়ের তলা থেকে যেন মাটি সরে গেল আমার
পরীটা কথা বলতে পারেনা? এ কি করে হয় আমার যে খুব ইচ্ছা আমি আমার পরীটার কাছ থেকে গল্প শুনবো গান শুনবো আরো
কতো কি না না এ হতে পারেনা আমার পরীটা কথা বলতে পারেনা এটা কি হয়? সোহার দিকে তাকালাম চোখ দিয়ে অঝর ধারায়
পানি ঝড়ছে কিন্তু কথা বলতে পারেনা এটা কেন হবে না না এটা হবে না…. হবেনা. বলেই পিছু ফিরে হাটা শুরু করলাম
জোরে জোরে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল আর আমি হেটেই চলেছি হঠাৎ কি যেন হয়ে গেল বুকটা কেঁপে উঠলো ঘুড়েই খুব জোরে
দৌড়াতে লাগলাম মনে হচ্ছে খুব দামি কিছু ফেলে আসছি হ্যা খুব দামি কিছু দৌড়াতে দৌড়াতে এসে দেখি সোহা বৃষ্টির ভিতরই
গাছের নিচে বসেই খুব কান্না করছে দেখেই বুকটা মোচড় দিয়ে উঠলো একপা একপা করে ওর সামনে গিয়ে দাড়ালাম মুখটা তুলে
আমাকে দেখেই উঠে খুব খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরল আমিও আমার পরীটাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম পরী টা হু হু করে
কান্না করছে কাঁদুক যত পারে কাঁদুক
আর কখনোই এই পরীটাকে কান্না করতে দেবোনা এই পরীটা আমার এই বোবা পরীটা শুধুই আমার পরীটাকে কোলে করে বৃষ্টির
ভিতরই হেঁটে চলেছি অনেকে অবাকে চোখে তাকিয়ে দেখছে দেখুক না আর আমার বোবা পরীটা বুকে মুখটা লুকিয়ে আছে
থাকুক না এভাবেই তবুও এই বোবা পরীটা শুধুই আমার