কোথা থেকে এলে হে নীলকন্ঠি পাখি পরীর দেশ থেকে বুঝি! তোমায় তো আগে কখনো দেখিনি এ ধরায়,তোমার রুপের আভায় যে এ ভূলোক ঝলসে উঠছে?
মৃত বাগিচা সতেজ হয়ে উঠছে অলিরা গুনগুন গাইছে চারেদিকে মিষ্টি – মধুর তান?
–
হে নীলকন্ঠি পাখি তোমায় দেখে তো আমার চোখের পলক পড়ে না তোমার চোখে আহা কি মায়া দেখে যে আমার লোপ পাচ্ছে হায়া?
–
নিগূঢ় পরীর রাজ্য ভেদ করে কেমনে এলে এ ভূলোকে তোমার মনে কি কোন শঙ্কা নেই ডঙ্কা নেই!
যদি ধরা পড়তে তবে তোমার কি হতো পরীর রাণী, অসুর রাজ্যে তোমায় নির্বাসন দিতো তুমি কি পারতে সেখানে থাকতে?
–
হে নীলকন্ঠি পাখি মিষ্টি সুরে কথা বলো না পাখনা ঝাপটিও না, তোমার শরীর থেকে সুগন্ধি বেড়িয়ে পড়ছে পুরো ভূলোক কে পাগল করো না হে নীলকন্ঠি পাখি?
–
তোমায় দেখে মনে আমার প্রেমের মৃদঙ্গ বাজতেছে! অনুনয় করি তোমার চরণে লুটিয়ে পড়ি হেস্ না হে নীলকন্ঠি পাখি পুরো ভূলোক কে কম্পিত করো না!
–
তোমার হাসি দেখে আমি উন্মাদ হয়েছি প্রায় আর হেস্ না, ভালবাসার খান্ডবদাহনে পুড়িয়েও না মোরে!
–
তুমি কেন এসেছ এই ভূলোকে তোমার পতি খুজতে? না এই সবুজ – শ্যামল ভূলোক দেখতে! তোমার পরীর রাজ্যে তো হীরা- মানিকে ভরপুর তবে কিসে এসেছো এ ভূলোকে!
–
একি হাসছো্ যে জবাব দাও চুপটি করে থেক না ভালবাসা খুজতে, নাকি আমাকে খুজতে আমি ছাড়া তোমায় তো কেউ দেখছে না হে নীলকন্ঠি পাখি!
তবে কি আমার জন্য এসেছ এ ভূলোকে?
–
এই এভাবে হেস্ না নচেৎ ভবলীলার সাঙ্গ হবো হারিয়ে যাবে এই ভূলোক থেকে! হে নীলকন্ঠি পাখি তোমার আকিঞ্চন প্রেমিক হয়ে থাকতে চাই না তোমার সমতুল্য আমি নই?
–
ভুল করলাম তোমার ভালোবাসার দ্বারে কড়া নেড়ে তুমি ভাল থেক হে নীলকন্ঠি পাখি! পারলে চলে যেও তোমার পরীর রাজ্যেনচেৎ এই ভূলোকে খুজে নিয়ো তোমার প্রেম পতি?
–
আমি চলে গেলাম তোমার থেকে অনেক দূরে ভুল করেছি তোমায় ভালবেসে, আমার কোন যোগ্যতা নেই আমি যে আকিঞ্চন, উন্মাদ একটা ছেলে তাই চলে গেলাম তুমি ভাল থেক হে নীলকন্ঠি পাখি?
–
উৎসর্গঃ মিম মোহাম্মাদ