অপেক্ষা আর অবহেলা

অপেক্ষা আর অবহেলা

১৩ তারিখ রাতে বিষ খেয়ে নিজেকে নি:শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম, অবহেলা আর অনাদর যেন আমাকে প্রতিমুহূর্ত স্মরণ করিয়ে দিত.. মিলি তুই ভ্যালুলেস, সিমপ্লি ইউ আর ভ্যালুলেস। বাবার অঢেল টাকা পয়সা আর বিশাল অট্টালিকার ইট পাথরের ভিড়ে নিজেকে খাচায় বন্দি এক শঙ্খচিল মনে হত, বাবা সারাদিন ব্যস্ত থাকতেন তার ব্যবসায়ের কাজে আর মা! সে তো অন্য একজনের হাত ধরে পালিয়ে গিয়েছিল অবশ্য এতে বাবার তার প্রতি ঔদাসীন্য, বাবার সারাদিন ব্যস্ততা আর বাবার খিটখিটে ব্যবহার কিছুটা দায়ী বলে আমি মনে করি তারপরেও মা কি চাইলে আমাকে নিয়ে যেতে পারতেন না! কিংবা আমার দিকে তাকিয়ে নানা বাড়ি চলে যেতে পারতেন না! তিনি পারতেন কিন্তু কেন তিনি তা করলেন না সে উত্তর দেবার মানুষ ও নেই, সবাই যেন সবাইকে নিয়েই ব্যস্ত। আমার সময় কাটত রবীন্দ্র,ডেল কার্নেগী আর হোমার পড়ে। বিশাল বড় বাড়িতে গোটা দশেক কাজের লোক আর দুটো হ্যাংলা খরগোশের বাচ্চাই ছিল আমার কাছের কেউ, বাবা তো থেকেও ছিলেন না। তিনি কোনদিনও জোর গলায় বলতে পারবেন না আমি তার মেয়ে, জন্ম দিলেই তো আর বাবা হওয়া যায়না। এসব সাত পাচ ভাবতে ভাবতে বেলকনিতে গিয়ে বসলাম। রাস্তায় দেখলাম খুব হট্টগোল হচ্ছে, এই পশ্চিম পাকিস্তানীরা এত নির্দয় কেন..! তারা চাইলেই শান্তিতে থাকতে পারি আমরা । কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানিরা অন্যায়ভাবে সকল অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করে চলেছে, চাকরি ক্ষেত্রে, সরকার গঠনের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাদের পরগাছা ভেবে ঝেড়ে ফেলে দিতে চাইছে তারা কিন্তু এ পারের মানুষ সেটা মেনে নিতে চাচ্ছে না আর কোন মানুষ ই তা চাইবেনা। হঠাৎ করেই খেয়াল করলাম কেউ যেন আমার কাধে হাত রেখেছে, ফিরে দেখি তোফাজ্জল সাহেব যিনি সম্পর্কে আমার বাবা হন, কত বছর পর তিনি আমার এত কাছে আসলেন সেটা আমার ঠিক মনে পড়ছেনা। বাবা বললেন- তুমি এখানে বসে আছো কেন? তোমার ঘরে যাও, দেশের অবস্থা ভাল না যখন তখন মিছিল থেকে ইট পাটকেল গুলি এদিকে তেড়ে আসতে পারে । ইচ্ছে করছিল বাবাকে জড়িয়ে ধরি, খুব কান্না পাচ্ছিল কেননা এতদিন পর কেউ তো আমার ব্যাপারে খোজ নিল কিন্তু কান্না আসল না অগ্যতা উঠে চলে যেতে লাগলাম নিজের রুমে তখন ই বাবা পিছন থেকে বলে উঠলো – কামরুল তোমাকে এখন আর পড়াতে আসে না? আমি মাথা নেড়ে বললাম – না আসে না। বাবা জিজ্ঞেস করলেন – কেন আসে না সে? এর কোন উত্তর বাবাকে দেয়া সম্ভব না, তাই কোন কথা না বলেই চলে আসলাম নিজের রুমে কিন্তু চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছিল – ও বাবা..কামরুল স্যারকে এনে দাও না, সে আমার উপর রাগ করে চলে গিয়েছেন। একটা পুরুষকে যে যে কারনে পছন্দ করা যায় তার সব কিছুই ছিল কামরুল স্যারের ভিতরে। খুব শান্ত,অমায়িক, ঠান্ডা মেজাজের আর ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ছিলেন তিনি। তিনি আমাকে পড়িয়েছিলেন ১ বছর সাড়ে চার মাস এর মাঝে তাকে সব সময় ই দেখতাম দুটো শার্ট ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরে আসতে, তার ঐ এক জোড়া চকলেট রঙের সু এর রঙও বদলে যেতে দেখেছিলাম ঐ এক বছর সাড়ে চার মাসে। তিনি কখনো কিছু খেতেন না কারো বাড়িতে, আমাদের বাড়ির বেলায়ও তার ব্যতিক্রম হত না, শুধু তেষ্টা পেলে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি চাইতেন। বাড়িতে কাজের লোক থাকা সত্ত্বেও আমিই উঠে গিয়ে পানি এনে দিতাম, স্যার যখন পানি খেতেন তখন তার পানি খাওয়া দেখতাম। খুব মায়া হত তখন তার তৃষ্ণা দেখে আবার এক অদ্ভুত ভাল লাগা কাজ করত তার তেষ্টা মেটানোর পরের মুহুর্তটা দেখে। স্যার যখন আমাকে অঙ্ক কষাতেন তখন আমি সাহিত্যর কথা বলতাম আবার যখন যখন সাহিত্য পড়াতেন তখন উর্দু পড়াবার কথা বলতাম, আসলে আমি স্যারকে বিরক্ত করতে চাইতাম কারন আমি তখনো স্যারের বিরক্তমাখা মুখটা দেখে উঠতে পারিনি, কিন্তু স্যার পালটা হাসি দিয়ে আমি যেই সাব্জেক্ট পড়াতে বলতাম তিনি সেটাই পড়াতেন, স্যারের ঐ হাসির অর্থ ছিল -মিলি তুমি যতই বিরক্ত করতে চাও আমি বিরক্ত হব না। তারপর আমি ব্যর্থ হয়ে পড়ায় মনযোগ দেবার বৃথা চেস্টা করতাম, আসলে শেষ দিকে এসে আমি শুধু মাথা নাড়তাম এমন ভাব করতাম যেন আমি সব বুঝেছি আসলে তখন আমি স্যারের মুখের দিকে তাকিয়ে তার কথা বলা দেখতাম কিন্তু কি বলছে সেটা শুনতাম না। এর ফলও পেয়েছিলাম হাতে নাতে – পরীক্ষায় ৬ সাব্জেক্টে ফেল করেছিলাম, ভেবেছিলাম স্যার রেজাল্ট দেখে করুন চাহনি দিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করবেন – মিলি এটা কি করলে তুমি! এভাবেও ফেল করা যায়??? তখন আমি হেসে গড়াগড়ি খাব কিন্তু না! হল সম্পূর্ন বিপরীত! স্যার রেজাল্ট দেখে আমাকে বললেন – মিলি তুমি বেশি রাত জাগো মনে হচ্ছে তাই চোখের নিচে কালি পড়ে গিয়েছে, আর চিন্তা করার কিছু নেই সামনে ভাল হবে। ঠিকঠাক ঘুম,খাওয়াদাওয়া করতে হবে। এই বলে স্যার আমাকে অঙ্ক করাতে শুরু করলেন, সেদিনও আমি স্যারে মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, চরম বিস্ময়ে। কি হবার কথা ছিল আর কি হল! এবার পড়াশুনায় মনযোগী হতে লাগলাম স্যারকে বিস্মিত করার জন্য। তিনি হয়ত ভাববেন এই মেয়ে এত ভাল রেজাল্ট করল কিভাবে! তারপর ছোটখাটো একটা ধাক্কা খাবেন আর স্যারের ঐ মুখটা দেখার জন্যই পড়াশুনায় মন বসালাম। আস্তে আস্তে এভাবেই চলে যাচ্ছিল আমার দিন, একদিন সন্ধ্যায় স্যারের মুখটায় দুনিয়ার সমস্ত পরাজয়, ভয় জড় হয়েছিল এমন দেখাচ্ছিল। যে স্যার এত শান্ত, নম্র তিনি হুটহাট করে রেগে যাচ্ছিলেন! বার বার পানি খেতে লাগলেন! আমিও সেদিন ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম স্যারের কান্ড দেখে। হোঠাৎ করেই স্যার বললেন-মিলি তোমার বাবা বাসায় আছেন? আমি বললাম – না। তিনি অনেক্ষন ইতস্তত করে আমাকে বললেন তোমার কাছে একশ টাকা আছে? আমি খুব অবাক হলাম সেদিন।এত ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ আমার কাছে টাকা চাইছে তাও আবার এত নিচু গলায়! আমি আলমারি থেকে স্যারকে একশ টাকা এনে দিলাম, তিনি সেদিন অনেক খুশি হয়েছিলেন মুখটা খুশিতে হালকা লাল দেখাচ্ছিল, হঠাৎ করে স্যার আমার মাথা হাত রেখে বললেন… মিলি তুমি আমার অনেকবড় উপকার করলে, অনেক বড়। এই টাকাটা আমার দুই বন্ধুকে দিব, ওরা মুক্তিযুদ্ধে নাম লিখিয়েছে, নেত্রকোনা যাবে কোন টাকা নেই ওদের কাছে আর আমার ও পকেট একদম ফাকা। আমি টাকা পরশুই দিয়ে দিব, আজ আসি বলেই স্যার দ্রুত উঠে গেলেন আমাকে কিছু বলার সুযোগ দিলেন না। কেন জানি সেদিন স্যারকে খুব করে বলতে ইচ্ছে করছিল… স্যার আপনি আলমারির সব টাকা নিয়ে যান ;সবাইকে যুদ্ধে পাঠান শুধু তার বিনিময়ে আমার মাথায় সারাটা জীবন এমন করে হাতটা রেখে একটু হেসে কথা বলুন। কিন্তু বলতে পারিনি। রাতে স্বপ্নে দেখলাম পশ্চিম পাকিস্তানিরা স্যারকে গুলি করে মেরে ফেলছে সেদিন রাতে ঘুম থেকে জেগে গিয়ে খুব কেঁদেছিলাম, সকালে যখন স্যার পড়াতে আসলেন তখন কেন যেন মনে হচ্ছিল স্যারকে আর কখনো দেখতে পাবোনা। পড়াবার ফাকেই স্যারকে বললাম – স্যার আপনি কি কাউকে ভালবাসেন? অন্য সময় হলে এই কথাটা কখনো আমি বলতে পারতাম না কিন্তু সেদিন কিভাবে যেন বলে ফেলেছিলাম, স্যার জবাবে বলেছিল – এসব কি ধরনের কথা!? কেন অসভ্যতা করছো, স্যারের কথা শুনে জিদ চেপে গিয়েছিল খুব। স্যার..আপনি সব বুঝেও কেন এত ন্যাকা সাজেন আপনি কিছু বোঝেন না? স্যার আমার চোখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন সেদিন। কিছুক্ষণ পরে স্যার বলেছিল- ভাল থাকো মিলি, আমি আর কখনো তোমার স্যার হয়ে আসবোনা। সেদিন স্থির হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত টেবিলেই বসে ছিলাম। তার কিছুদিন পর দারোয়ানকে দিয়ে স্যারের কাছে একটা চিঠি পাঠিয়েছিলাম। তাতে লেখা ছিল :-

প্রিয় কামরুল

আপনি নিশ্চয় অবাক হয়েছেন সম্বোধন দেখে, কিন্ত অবাক হবার কিছুই নেই, শেষ কয়দিনে আমি আপনাকে আমার স্যার হিসেবে দেখিনি আর মনের ভিতরও আপনাকে নিয়ে কিছু একটা চলছিল। স্যার… আমার বাবা থেকেও নেই, মা তো কবেই ছেড়ে গিয়েছেন। আপনাকে আমার খুব কাছের একজন বলেই ভাবি। যেদিন আপনি আমার মাথায় হাত রেখেছিলেন সেদিন কেন যেন মনে হচ্ছিল কেউ একজন আমার জন্য আছে, আমি আপনার অনুগ্রহ পাবার জন্য কথাগুলো বলছিনা। সব জায়গাতে অনেক পুরুষ দেখেছি কিন্তু আপনার মত পবিত্র চাহনি দিয়ে কেউ কখনো আমাকে দেখেনি, সারা বাড়িতে একা পেয়েও কখনো আপনি আমার দিকে চোখ তুলেও তাকাননি আপনি আপনার ব্যক্তিত্বকে ঠিকই ধরে রেখেছিলেন কিন্তু সাথে সাথে আমার মনে লাগামও যে আপনি কেড়ে নিয়েছিলেন সে খবর কি আপনি রাখেন?আপনি যখন আমাকে পড়াতেন তখন যে আমি আপনার মুখের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকতাম সে কথা কোনদিনও আপনি বুঝলেন না! স্যার…আমার কোথাও কেটে গেলে, আমি ব্যথা পেলে তখনই শুধু কেন মনে হয় আপনি ছাড়া আমার এই কস্ট বোঝার কেউ নেই,কেন মনে হয় স্যার? আপনার চরম তেষ্টা পেলে যে কাসার গ্লাসটায় পানি খেতেন আমিও কেন তেষ্টা পেলে সেই গ্লাসটাই খুজি? রাতের বেলায় বেলকনিতে যখন একা দাঁড়ায় তখন আমার মনে হয় এই আমাবস্যা হয়ত ফ্যাকাশে না হয়ে প্রান পেত যদি আপনি আমার মাথায় সেদিনকার মত হাতটা রাখতেন। স্যার…আমি সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে জানিনা। আমি শুধু আপনার কাছে একটু আশ্রয় চাই,আপনার ঘামে ভেজা ঐ শার্ট গায়ে মেখে চরম বাস্তবতা দেখতে চাই, স্যার এই অর্থবিত্তে উনিশটা বসন্ত ম্লান করে দিলাম এখন না হয় রাস্তায় নেমে বাস্তবতাকে আলিঙ্গন করলাম আপনার আংগুল ধরে..কামরুল তোমার ঐ আংগুলটা ধরে বাকি বসন্তগুলো পার করে দিতে চাই একটু সুখের আশায় যে সুখের দাম দিতে আমি গত হওয়া উনিশটা বসন্ত পায়ে মাড়াতে চাই, শুধু একটু বাচতে দাও আমায়…আর কিছু চাই না।

ইতি
মিলি

চিঠি দিয়ে এসে দারোয়ান আমাকে বলেছিল :- স্যার কইছে হেই নাকি ১৩ তারিখ বিয়া করবো। আপনাদের দাওয়াত দিয়ে যাইবো। সেদিনের পর থেকে আর স্থির থাকতে পারিনি,রাত-দিন, সকাল বিকাল কাঁদতাম। পরে এক সময় জিদ চেপে গেল যে স্যারের বিয়ের দিন ই বিষ খাব। গোসল সেরে সেদিন একটা সাদা ধবধবে শাড়ি পরেছিলাম, সাদা টিপ দিয়েছিলাম কপালে, রাতেই বিষ খাব বলে ঠিক করে রেখছিলাম। হঠাৎ করেই কে যেন দরজায় ধাক্কা দিল, ভিতরে আসতে বললাম। দারোয়ান এসে একটা কাগজ ধরিয়ে দিল, খুলে দেখলাম একটা চিঠিতে লেখা:-

মিলি

তোমাদের বাড়ি থেকে সেদিন চলে এসেছিলাম এই ভয়ে পাছে কেউ যদি আমার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কিন্তু আসার পর বার বার মনে হচ্ছিল তুমি চিৎকার করে আমাকে ডাকছো কিন্তু নিজের মনকে শক্ত করে বেধে রেখেছিলাম। সেদিন তোমার চিঠি পড়ে আর ঠিক থাকতে পারলাম না সব এলোমেলো হয়ে গেল আমার। তারপরদিন তোমার বাবা এসে আমার হাত ধরে বলেছিলেন আমি যেন তোমাকে নিয়েই বাকিটা জীবন পার করি। তোমার বাবা তোমাকে অনেক ভালবাসে সেটা তিনি কখনো জানতে দেননি তোমাকে, মিলি আমি খুব চেয়েছিলাম নিজে যেয়ে আজ আমার মিলিকে অন্য চোখে দেখি, তার ঐ নিষ্পাপ মায়াভরা মুখটার দিকে এক মহাকাল তাকিয়ে থাকি কিন্ত সেটা সম্ভব হচ্ছেনা, আজ ই নেত্রকোনা যেতে হচ্ছে আমাকে। দোয়া কর..দেশ স্বাধীন হলেই আমি তোমার কাছে ফিরে আসবো তোমার কামরুল হয়ে ঠিক যেমনটা দুজনে চেয়েছিলাম। ভালবাসা রইল প্রিয়

ইতি
কামরুল

সেদিন খুশিতে কেদে দিয়েছিলাম। বাবাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম কাঁদতে কাঁদতে, বাবা আমাকে অনেক শক্ত করে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদেছিলেন সেদিন। এরপর শুধুই অপেক্ষা.. দেশ স্বাধীন হল, আমার বাবাকে পাক হানাদাররা মেরে ফেলল, আমি লুকিয়ে বাচলাম এক আত্নীয়ের মাধ্যমে..। আমার কামরুল স্যার আর আসেননি… দেখতে দেখতে সাতষট্টি টা বসন্ত পেরিয়ে গেল আমার কামরুল আজও এলো না… এখন চামড়া ভাজ হয়ে যাচ্ছে,হাড় ভেসে উঠছে…দাত নড়বড়ে, চোখ ঝাপসা হয়ে এসেছে এখন, কাঁদতে কাঁদতে অন্ধ হওয়া যাকে বলে, আমাদের বাড়িটাও আর নেই কারা যেন ফ্যাক্টরি করেছে। সেদিন সেখানে গিয়েছিলাম কিন্তু দারোয়ান আমাকে ঢুকতে দেয়নি। এতকিছুর পরও শুধু একজনের জন্যই অপেক্ষা…ফুরিয়ে যাবার অপেক্ষা…নি:শেষ হবার অপেক্ষা। এখন আফসোস হয় কেন সেই ১৩ তারিখে নিজেকে শেষ করে দিলাম না! খুব আফসোস হয় আমার।

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত