ঘরোয়া-স্বপ্ন-দীর্ঘশ্বাস

ঘরোয়া-স্বপ্ন-দীর্ঘশ্বাস

এক
রেহনুমা কামালের ডায়েরী লেখার অভ্যেস বহুদিনের। সে কথা না হয় তোলাই রইলো। চলুন, জেনে আসি তাঁর জীবনকাব্যের এক ক্ষুদ্র অধ্যায়।

সময়টা ছিল উনিশ শতকের শেষ। সবেমাত্র যৌবনের চৌকাঠে পা রাখা রেহনুমা সৃষ্টিকর্তার ইঙ্গিতে বাঁধা পড়লেন স্বামী নূর কামালের সাথে। বছর না ঘুরতেই সদা হাস্যোজ্জ্বল এই মেয়েটির কোল আলো করে এলো চাঁদের জোছনার মতো ফুটফুটে এক সন্তান। নাম রাখা হয় আরাবি। স্বামী সন্তান মিলে তাঁর কাছে সংসারের প্রতিটা মুহূর্তই ছিল উপভোগ করার মতো। কিন্তু জীবনের আবহাওয়া যে সর্বদা রৌদ্রোজ্জ্বল থাকে না, তাতে ঝড় বৃষ্টির আগমন থাকবেই, এ তো অবধারিত। দিনশেষে এই অলিখিত সংবিধান মেনে অনেকেরই মতো রেহনুমার ভাগ্যও তাকে ‘সুখ’ শব্দের ভাবানুবাদ বোঝার অধিকার দেয় না।
বিশ্বাসঘাতক জীবনসঙ্গী নূরের দ্বিতীয় বিবাহে সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। শিশুপুত্র আরাবিকে নিয়ে গৃহবধূ পড়েন অথৈ সাগরে। পরমূহুর্তেই দৃঢ় মনোবল নিয়ে উঠে দাঁড়ানো রেহনুমার একমাত্র পণ হয়ে উঠে ছেলেকে সত্যিকারের মানুষ রূপে গড়ে তোলা। যাতে জীবিত থেকেও কোনো বাবা তার সন্তানের কাছে মৃতের পরিচয়ে বেঁচে না থাকে।

দুই

মাঝখানে কেটে গেছে প্রায় কুড়িটা বছর। ইতিমধ্যে বাবা মায়ের বিচ্ছেদ আরাবির জীবনে তখনো এতটা প্রভাব ফেলতে পারেনি।তাই চট্টগ্রাম স্টেশনে পা রাখতেই মায়ের স্বপ্ন যেন নিজ চোখে আবার দেখতে পেয়েছিল আরাবি। কিন্তু সহজ সরল সাদাসিধে সেই আরাবির হাতে আজ বই খাতার বদলে শোভা পায় চকচকে রামদা। মানবিক মূল্যবোধ তার কাছে যেন ভীষণ সস্তা হয়ে উঠেছে।

সেদিনের একটা অঘটন তার জীবনের সব হিসেব-নিকেশ ওলোট-পালোট করে দেয়৷

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তানভীর। কারো সাতে পাঁচে নেই। দেড়টার ট্রেন ধরতে দেরি করায় তাকে আরো আড়াই ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। অন্যান্য দিনের চেয়ে সেদিন যার কারণে মেজাজটা যেন সপ্তমেই চড়ে ছিল। আরো বসেও ছিল গুনে গুনে ঠিক শেষের বারোটা আসনের একটিতে।
ওই বারোটি আসন ছিল ‘প্রগতি পার্টি’র তথাকথিত বড় ভাইদের দখলে। যার অন্যতম সদস্য ছিল আরাবি। ফলে সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি। সেদিন রেলওয়ে পুলিশ এসে না থামালে অনেক বড় কিছু মারাত্মক কিছু ঘটে যেতে পারতো।

দু সপ্তাহ পরের ঘটনা।
সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ছিল। সকাল থেকে উত্তপ্ত পরিবেশ ক্যাম্পাসে। তৎকালীন সরকারের পোষ্য ‘প্রগতি পার্টি’ আর ‘বাংলার বীরের’ মুখোমুখি তুমুল সংঘর্ষ, ধাওয়া-পালটা ধাওয়ায় গুরুতর আহত হয় ৮ জন নিরীহ ছাত্র। কিছু ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে হাতের ক্লিয়ার ব্যাগ উপরে তুলে জানান দেয় – তারা মিছিলকারী নয়।পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে, লাঠিচার্জের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার বৃথা চেষ্টা চালায়।
মুহুর্মুহু স্লোগান ওঠে-
“লুকিয়ে থাকো প্রগতি
নেত্রী তোমার অসতী।”
অন্যদিকে প্রগতি পার্টিও পিছিয়ে নেই –
“কোথায় তুমি বাংলার বীর
নত করছো দেশের শির।”
এদিকে আরাবি তখন উন্মাদের মতো ছুটছে।দুর্ভাগ্যবশত সামনে পড়ে যায় তানভীর। আরাবির হাতের শাণিত রামদা দুপুরের আলোকচ্ছটায় ঝিলিক দিয়ে উঠে আর তানভীরের মুন্ডুহীন দেহটা কাটা মাছের মতোই তড়পাতে থাকে। ফিনকি দিয়ে ওঠা রক্তে লাল হয়ে যায় পিচঢালা রাস্তা।
তানভীর নামের ছেলেটিকে সেই ঘটনার মাশুল গুনতে হলো আরাবির হাতে প্রাণ দিয়ে।

সেদিনের ওই অপ্রীতিকর ঘটনার বিচ্ছিন্ন দৃশ্যাবলির ভিত্তিতে আরাবির চোখ তানভীরকে বাংলার বীরের সদস্য ভেবে ভুল করে বসে। এভাবেই আমাদের আরাবির অবলীলায় করা খুনে তার ক্রমশ বিলুপ্ত হওয়া বিবেকের শেষ চিহ্নটুকুও মাটি চাপা পড়ে যায়। সময় মানুষকে কতটাই না বদলে দেয়। কিন্তু কথায় বলে না,
“Everybody has to pay for his own stones.”
আরাবির নামে তাই গ্রেফতার পরোয়ানা জারি হয়৷ কারারুদ্ধ পরিবেশে আলো আঁধারির বেশে ভাবনারা ঘিরে ধরে তাকে – আচ্ছা, আত্মারা কি শুনতে পায়? তারা কি কাঁদতে পারে? ঘটনার ঘনঘটায় নিশ্বাসেরও যেন দম আটকে আসে। চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পায় বারবার হাত ধুচ্ছে সে। ট্যাপটা বন্ধ হতেই আবার রক্তে ভিজে ওঠে তার হাত। কারাগারের অবলা দেয়ালও যেন প্রতিধ্বনি তোলে-
ক্ষমা নেই, ক্ষমা নেই,ক্ষমা নেই……

তিন
আজ সকাল থেকেই রান্নাঘরের পেছনটায় মাঝ বয়েসী একটা কাক অবিরাম চেঁচাচ্ছে। গতকাল মাঝ রাতে একটানা কেঁদেছে পাশের বাড়ির পোষা কুকুরটা। শহরতলীর অলিগলি পেরিয়ে দুপুরের নির্জনতাকে ভঙ্গ করে বিপদের গন্ধ তাই দরজায় কড়া নাড়ে। মনের আঙিনায় অনুপ্রবেশ ঘটে একটি অজানা শঙ্কার। ক্লান্ত রেহনুমা ছুটে যান শোবার ঘরে। তার পিতলের বালা ঢাকা জীর্ণশীর্ণ হাত হাতড়ে ফেরে সাদা কালো অ্যালবামে। বছর দেড়েকের আরাবিকে প্লাস্টিকের গামলায় বসিয়ে রাখা হয়েছে। পানিতে হুটোপুটি করছে ও। তাকিয়ে থাকতেই ইচ্ছে হয় এমনটা যেন। বেশ লাগছে ছেলেটাকে; যেন শ্বেত শুভ্র হাঁসের জলকেলি…
সত্যিই তো এত মানুষের দোয়া যার সাথে আছে তার কি কোনো ক্ষতি হতে পারে?
অকস্মাৎ বেজে ওঠে নোকিয়া বারো’ শ মডেলের ছোট সেটটা। ওপাশ থেকে কম্পিত কন্ঠস্বর ভেসে আসে।
“খালাম্মা, আরাবির প্রচন্ড জ্বর। ওকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ বার বার আপনাকে দেখতে চাইছে জ্বরের ঘোরে। আপনি একটু আসেন খালাম্মা।”

”বলছো কী! আমি এক্ষুণি আসছি।”

শত দুশ্চিন্তাতেও সদর দরজায় তালা দিতে ভোলেন না রেহনুমা কামাল।আঁচলে গোঁজা
এবাড়ি ওবাড়ি থেকে সেলাই করে পাওয়া নামমাত্র খুচরো টাকা, পুটলিতে ভরা গোটাকতক নারকেলের নাড়ু; ‘ছেলেটা ভালোবাসে কিনা’। কি এমন জ্বর হয়েছে যে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো, ইশশ! বেচারা না যেন কত কষ্ট পাচ্ছে…
আয়াতুল কুরসি পড়তে পড়তে শাহী বাস কাউন্টারে এসে পড়েন তিনি। বাস ছাড়ে আড়াইটায়। ইতিমধ্যেই অবশ্য নিম্নমধ্যবিত্তের স্বপ্নকে গলা টিপে হত্যার যে ষড়যন্ত্র তারই পরিসমাপ্তি ঘটে গিয়েছে।

চট্টগ্রামে পৌঁছে খবর পেয়েই হন্তদন্ত হয়ে দিশেহারা রেহনুমা থানার পথে ছুটতে থাকেন। ততক্ষণে সব শেষ। লজ্জায় অনুতাপে দগ্ধ আরবি হাতের ধমনি কেটে ফেলেছে৷ ওই চাকুটা দিয়েই। গতবার যাওয়ার আগের ঘটনা গুলো মনে পড়তে থাকে নিঃস্ব রেহনুমার – পকেটে থাকা সেই চাকুটার কথা জিজ্ঞেস করতেই এড়িয়ে গিয়েছিল সে৷ বলেছিলো, “ওসব বুঝবেনা মা, ভার্সিটি এলাকায় এসব একটু আধটু না রাখলে চলে না, সেইফটি ইস্যু।”
সেই সাথে কানে বাজতে থাকে ছেলেটার বলে যাওয়া সেদিনকার কথাগুলো- কোনো অনিয়ম করবে না কিন্তু, ওষুধগুলো ঠিকমতো খেয়ো।মাসের শেষে আসতে পারি বোধহয়। আর মা, আসলে একটু চিন্তায় আছি, দোয়া করিও।

আরাবি পাথর চোখে চেয়ে আছে।
হৃৎপিন্ডও তার চাকরি থেকে অবসর নিয়েছে ততক্ষণে। একজন ভাগ্য বিড়ম্বিত মায়ের বুকচেরা আর্তনাদে ভারি হয়ে ওঠে কারাগারের বাতাস।তবে মৃত্যু কিংবা তার শোক কিছুতেই ভুবনমাঝির কিছু আসে যায় না। একফোঁটা চোখের জল ফেলতেও যেন তাঁর আপত্তি। কাঠফাটা রোদে কাঁচাপাকা চুলে রেহনুমাকে চিনতে সামান্যতম অসুবিধা হয় না নূর কামালের। পরক্ষণেই বিস্ময়ে বিহ্বল হয়ে হাতের মুঠোর ফাক গলে দামি ব্রিফকেসটা পড়ে যায় মেঝেতে। ব্রিফকেসটা ছিল তার ডান হাত- আরাবিকে ছাড়িয়ে নেয়ার ঘুষস্বরূপ। নূরের তুরুপের তাস আরাবির মৃত্যু যেন তার সারাজীবনের সম্বল, হয়রানি করা লাখো মানুষের দীর্ঘশ্বাস আর অভিশাপ বলে মনে হয় তার কাছে। খানিকবাদে চেতনা ফিরে পান তিনি। রেহনুমা অনেক কিছুই বলতে চান। কিন্তু গলা দিয়ে আর আওয়াজ বেরোয় না তার। তবে চোখই তখন তাদের আবেগের প্রকাশক। অতঃপর ঝড়ের বেগে কারাগার থেকে বেরিয়ে যান রেহনুমা৷ যন্ত্রণার বিষাক্ত বাষ্পে দম আটকে আসতে চায় তার।

চার

২ বছর পর…
রেহনুমা কামাল আজও ডায়েরী লেখেন।
বলপয়েন্টের আঘাতে খসখসে কাগজে কালো অক্ষরে লেখা হয়,

“আমরা জীবনে এমন অনেক কিছুই হারাই
যেগুলো ফিরে পেতে হলে
আমাদের আবার জন্ম নিতে হবে৷
-কিন্তু দুর্ভাগ্য
আমি পুনর্জন্মে বিশ্বাসী নই…”

অত ভাবলে আর চলবে না। শক্ত হতে হবে যে তাকে। মহাকালের শঙ্খধ্বনি, প্রজন্মের পর প্রজন্মের পায়ের আঁওয়াজ। মাথার শিরাটা দপ করে ওঠে- অনেক গল্প শোনানো বাকি যে এখনো!

শেষকথা

আজ ২৮ আগস্ট, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই ভাদ্র, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ। দেশবরেণ্য লেখক রেহনুমা খানমকে আজ বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হবে। ইতোমধ্যেই তাঁর নাম-যশ চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁর সর্বশেষ সাহিত্যকীর্তি, আত্মজীবনী -‘ আমার কিছু অভিযোগ আছে’। বইটি পাঠকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে। আলোচক সমালোচকদের ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে। সন্ধ্যায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই জমজমাট, প্রতীক্ষীত অনুষ্ঠান।
চোখধাঁধানো আলোকসজ্জা – মাত্রই পর্দা উঠল ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২০২১’ এর। মাইক্রোফোন হতে ভেসে আসে-
“আজ আমরা সম্মান জানাতে চলেছি এমন একজন গুণী সাহিত্যিককে যার অবদানে বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়েছে, উন্মোচিত হয়েছে উপন্যাসের এক নবদিগন্ত। আত্মজীবনী পথ খুঁজে পেয়েছে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের। মঞ্চে আহবান জানাচ্ছি এসময়ের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক রেহনুমা খানমকে।
এই মুহূর্তে তাঁকে মেডেল পরিয়ে দিচ্ছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।”সামগ্রিক আনুষ্ঠানিকতা শেষে সকলের সামনে রেহনুমা তুলে ধরলেন সত্যের এক নিগূঢ় আখ্যান-

“শুভ সন্ধ্যা। পুরস্কার পাব এ কথা কিছু বছর আগেও, বলা যায় ভাবনার বাইরেই ছিল। তো যখন পেয়েই গেলাম, তখন আনন্দ প্রকাশ করতে আর দ্বিধা কিসের?
…………(মৃদু হাসি)

তবে কিছু কথা না বললে হয়তো এই প্রাপ্তিটা অসম্পূর্ণই থেকে যাবে। ভাগাভাগি করে নিতে চাইছি, জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা, উপস্থিত দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে।

এ সমাজ কিসের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, সেটা আশা করছি কারো চোখের আড়ালে নয়। কিন্তু শিক্ষার খোলস, মনুষ্যত্ব- মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের সেই অনন্য পরিচায়ক, তার অস্তিত্ব কি আদৌ বিদ্যমান? এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশিক্ষার বদলে সার্টিফিকেট ভিত্তিক শিক্ষারই কদর বেশি। মুখে মুখে রয়েছে মানবতার প্রচার আর অন্দরমহলে চলছে গৃহপরিচারিকা বা গৃহলক্ষীর উপর নির্মম অত্যাচার।যদি আবার শিক্ষার দিকেই ফিরে আসি, বলতে চাইছি সুশিক্ষার কথা, শিক্ষক মাত্রই জাতি গঠনের কারিগর। তাঁদের জীবনাচরণ শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করবেই।
তবে কিছু জ্ঞানসাধকের ন্যায়ের ধারকে ভোঁতা বটির সাথে তুলনা করলেও ভুল হবে।
কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ব্যতিক্রম কিছু চোখে পড়ে না আমার। ছাত্র রাজনীতির ভয়াল বিভীষিকা ঘিরে রেখেছে তাকে। ক্ষমতাশালীদের কথায় প্রশাসন পর্যন্ত ওঠাবসা করে। এক কথায় রাজনীতি নয়- রাজার নীতি। এখন এই নীতির ফলাফলকে কি আপনারা কল্যাণ বলে সংজ্ঞায়িত করবেন নাকি অকল্যাণের খাতায় লিপিবদ্ধ করবেন তা আপনাদের বিবেচ্য। সবশেষে অনুরোধ করবো, ওই সকল বড় ভাইদের কিংবা শিক্ষকদের, নিজেদের কলংকিত করবেন না।
ঠিকটা শেখান। সুস্থ রাজনীতি শেখান। যেন দেশ ও দশের কল্যাণে এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আত্মনিয়োগ করতে পারে। নয়তো অদূর ভবিষ্যতে বলতে হবে-

“মানুষ হয়ে জন্মেছি, দুর্ভাগ্য আমার!
উপায় অবশিষ্ট রাখিনি আর নিচে নামার!”

হলরুমে পিনপতন নীরবতা শেষে করতালির রেশ রয়ে যায়,শুধু কিছু মুহূর্ত নয়, অনেকটা সময়।স্টেজ থেকে নামতে নামতে আপন আলোয় আলোকিত রেহনুমা খানম বিড়বিড় করে বলে ওঠেন-

“ক্ষমতার ঊর্ধ্বে কেউ নয়,
আছেন বলতে ঈশ্বর।”
শুধু আরাবিটাই…

(সমাপ্ত)

 

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত