‘জেবুই পাখি’
লেখকঃরাকিব আল রিয়ান।
- পর্বঃ এক…
এই তুমি অফিসে যাবা না, উঠো?(জেবুতা)
…….(কোন শব্দ নেই)
অফিসের সময় হয়ে যাচ্ছে তো?(জেবুতা)
……(কোন শব্দ নেই)
উফ- বিরক্তিকর! (রিয়ান)
ঐ কি বললা তুমি? আমি বিরক্তিকর? দাড়াও দেখাচ্ছি মজা। (জেবুতা)
…….(কোন শব্দ নেই)
“হঠাৎ করে জেবুতা রিয়ানের ঘুমান্ত বিছানায় পানি ঢেলে দিয়েছে…..”
ঐ কী করছো তুমি এটা?(রিয়ান)
আর পারছি না! প্রতিদিন এভাবে ঘুম থেকে উঠাতে হয়।
তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আসো, নাস্তা দিচ্ছি (জেবুতা)
……(কোন শব্দ নেই)
কিছুক্ষণ পর আবার ঘুমিয়ে পড়লো রিয়ান!
আর ঐ দিকে জেবুতা নাস্তা গুছিয়ে রিয়ানকে আবার খুঁজতে খুঁজতে এসে দেখে রিয়ানটা ঐ ভাবে আগের মতোই শুয়ে আছে। এবার আর জেবুতা কিছু না বলে ওর বুকের উপর হাত রাখলো ! তারপর ঠোঁট টি নামিয়ে সরাসরি মুখে !
তুমি এটা প্রথমে করলেই পারতে? তুমি জানো সকালে মধু না পেলে আমি ঘুম থেকে উঠতে পারি না! (রিয়ান)
আর কত জ্বালাবে আমায়?(জেবুতা)
এই বলে জেবুতা রিয়ানের বুকে কিল ঘুষি মারতে লাগল!
কিছুক্ষণ পর রিয়ান ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে বসল। তারপর নাস্তা শেষ করল। অফিসে যাবার জন্য সবকিছু গুছিয়ে, রেডি হয়ে-
জেবুতা ঐ জেবুতা কোথায় তুমি? (রিয়ান)
এইতো , কী হলো আবার ? (জেবুতা)
টাই বেঁধে দাও তো? পারছি না! (রিয়ান)
না আমি পারবো না। (জেবুতা – একটু কর্কশ সুর)
আচ্ছা বলে রিয়ান বের হলো , কারন ওর অফিসে যেতে হবে, সময় প্রায় শেষ! …….
রিয়ানের অফিস আজকের মতো শেষ! বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলো। কলিংবেল দিচ্ছে, কিন্তু কোন সারা শব্দ নেই! প্রায় দশ মিনিট পর জেবুতা দড়জা খুলল। রিয়ান কিছুই বুজলো না! তাকিয়ে দেখলো – জেবুতার মুখটা ফ্যাকাসে বিবর্ণ! যে জেবুটা ও অফিস থেকে আসার পরেই সাথে সাথে জরিয়ে ধরে। আজ কী হলো ওর? কিছুই বুজলো না! রিয়ান ফ্রেশ হয়ে- জেবুতাকে ডাকলো ! কিন্তু কোন সারা শব্দ নেই! ও খুঁজতে খুঁজতে গিয়ে দেখলো , জেবুতা বেলকনিতে দাড়িয়ে অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে আছে। রিয়ান গিয়ে পাশে দাড়ালো । তাকিয়ে দেখলো জেবুতার চোখে পানি!
কী হয়েছে জেবুতা? (রিয়ান)
……(কোন শব্দ নেই)
রিয়ান ওর কাঁধে হাত রাখল- তা ও কোন কথা বলছে না! রিয়ান কিছু ভেবে না পেয়ে , জেবুতাকে কোলে নিলো। কোলে নিতেই জেবুতা ওর বুকের মধ্যে মুখ লুকিয়ে কেদে দিলো। রিয়ানের বুকের বাম পাশটা একটু মোচড় দিয়ে উঠলো! কেঁদে কেঁদে বলল-
তুমি কী আমাকে আগের মতো ভালোবাসো?(জেবুতা)
আরে পাগলী তুমি ছাড়া আমার কে আছে বল? (রিয়ান)
তাহলে তুমি সকালে এটা কী করলে?আমাকে খাইয়ে দিলে না কেন?(জেবুতা)
উহ্ ! মনেই ছিলো না! সরি জেবুই পাখি! অফিসের টাইম ছিলো না! (রিয়ান)
ভালোবাসলে তো মনে থাকবে? তুমি জানো না , সাকালে আমাকে তুমি না খাইয়ে দিলে , সারাদিন আর খাই না!(জেবুতা)
রিয়ান আর কিছু বলতে পারলো না! খুব খারাপ লাগছে ওর। যে মেয়েটি ওর এত এত কেয়ার করে , অথচ তার কোন খেয়াল করল না! জেবুতাকে এই ভাবেই কোলে নিয়ে – ভাত মেখে খাইয়ে দিলো। তারপর আবার কোলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিলো। রিয়ান জানে – এর রাগ এখনও কমে নাই। শুইয়ে শুইয়ে মেয়েটা কাঁদছে! যাক সমস্যা নেই । আর একটু রাত হোক ! ওকে সব পুশিয়ে দিবো ।
(রিয়ান তার জেবুতার সবকিছুই জানে । বাট ও ইচ্ছে করেই জেবুতাকে কষ্ট দিয়েছে! কারন আজকে ওদের প্রথম দেখা হয়েছিলো, যার ফলশ্রুতিতে আজকে জেবুতাকে অনেক সারপ্রাইজ দিবে। ) আসছে নতুন পর্ব ( যদি সবাই চান)—-