ডাকাতনির লুতুপুতু প্রেম

ডাকাতনির লুতুপুতু প্রেম

আজ শুক্রবার কলেজ বন্ধ, তাই লম্বা একটা ঘুম,
হঠাৎ কিল ঘুসির কারনে ঘুম ভেঙ্গে গেল,।
তার পর বুঝতে পারি আমার দুই হাত রশি দিয়ে বাঁধা,।
আর মুখে কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা,। তাই আমি কিছু দেখতে পেলাম না। মা বাবকে জোরে জোরে কয়েকটা ডাক দিলাম, কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ পেলাম না,।
মনের ভিতর অজানা ভয় কাজ করছে, মনে হচ্ছে ডাকাতরা আক্রমন করেছে, আবার চিন্তা হচ্ছে দিনের বেলা ডাকাত এসেছে কোথা থেকে,।
চোখ বাঁধা আছে বলে কিচ্ছু দেখতে পারছি না,।
তখন আমাকে একজন মেয়ে বলছে, চল আমার সাথে তা না হলে তোকে আমি মেরে ফেলব,( এদিকে ভয়ে আমার হাত পা কাপছে)
আমিও ভয়ে ভয়ে তার সাথে যেতে লাগলাম, মনে হচ্ছে সিড়ি দিয়ে আমাকে ছাদে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে,( আমাদের বাড়িটা দোতলা)
তাই বুঝতে আর কষ্ট হলো না, হয়তো আমাকে ছাদ থেকর নিচে ফেলে দিবে,
আমি কিচ্ছু না বলে তার সাথে চলছি,ছাদে যাবার পর আমার গালে দুইটা থাপড় মেরেছে, তার পর আমার মুখে বাঁধা কাপড় খুলে দিয়েছে,হাতের বাঁধনও খুলে দিয়েছে,,।
আমি এই মেয়েটাকে দেখার পর অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছি প্রায়, কোনো রকমকে দাড়িয়ে আছি,,।
কারন মেয়েটি আর কেউ না, আমার প্রানের অর্ধেক ষষ্ঠী,
__>ষষ্ঠী তুমি,-( আমি)
_ _> হা আমি,,-( ষষ্ঠী )
__ > তার মানে তুমি আমাকে বেঁধে এখানে নিয়ে এসেছ,।( অবাক হয়ে )
__> হা নিয়ে এসেছি, তাতে কি হয়েছে,( এমন ভঙ্গিতে বলছে যেন কিছুই করেনি )
___> মনে হচ্ছে একটা থাপ্পড় দিয়ে তোমার বত্রিশটা দাঁত ফেলে দেই,,,( রাগী সুরে বললাম )
_ _> ফেলে দাও – তার পরে লোকে বলবে দাঁত নেই মেয়ের স্বামী, তখন তোমার কেমন লাগবে, ( একটু মজা করে,)
_ _> কার স্বামী আমি,( অবাক হয়ে,)
_ _> ষষ্ঠীর জামাই তুমি,।
_ _> এরকম একটি ডাকাতনিকে বিয়ে করতে আমার বয়েই গেছে,,।
_ _>ওরে আমার ভালো মানুষরে,,,,,
_ _>তোমার থেকেও ভালো আছি,,
_ _> আমি খারাপ তাই না,,।
_ _> হা খারাপ, খারাপ না হলে কেউ তার ভবিষ্যৎ স্বামীকে, এভাবর বেঁধে ছাদে নিয় এসে গালে থাপ্পড় মারে,।
__> মেরেছি বেশ করেছি, কথা না শুনলে আরো মারবো,।
_ _> এমন কি অপরাদ করলাম, যার জন্য আমাকে মারতে হবে,।
_ _> অপরাদ করোনি তুমি,।( রাগী সুর নিয়ে )
__> না আমি কোনো অপরাদ করিনি,।
_ _> তুমি কালকে বলেছিলে আমাকে সকাল ১০ টা সময় ঘুরতে নিয়ে যাবে,আর এখন বাজে দুপুর ১টা, তার পরেও বলছ তুমি কোনো অপরাদ করোনি,,( একটু অভিমানী সুর নিয়ে )
_ _> ও সরি ও সরি,, ( একটু নরম সুরে )
_ _> তবে সেটার শাস্তি তোমাকে পেতে হবে,..?
__> শাস্তি তো দিলে হয়নি,,।( একটু কাদো কাদো ভাব নিয়ে,)
_ _> না হয়নি,।
_ _> আচ্ছা শাস্তি না হয় দিবে, তার আগে বল,আমি যখন চিৎকার করলাম, আমার পরিবারের অন্য সদস্যরা কোথায় ছিল,,।
__> আমি তাদেরকে বলেছি, তারা যেন কেউ না আসে,।
_ _> মানে, কি বলেছ তুমি তাদের,।
_ _> আমি তোমার মাকে বলেছি, যে আমি তাদের বৌ মা,তোমার বাবাকেও,আর ভাই বোনদের বলেছি আমি তোমাদের বউদি,।
_ _> তারা কি বলেছে,।
__ > তারা আর কি বলবে, তারা সবাই বধূ বরণ করেছে,,
তার পর তোমার বোন আমাকে তোমার রুম দেখিয়ে দিয়েছে,,,,
_ _> তার পর তুমি আমাকে এভাবে মারলে,,
_ _> হুম,,,
_ _> আচ্ছা মহারাণী, এখন আমার আর কি শাস্তি বাকী আছে,।
_ _> কিছু না সামন্য- এখন আমার সাথে যেতে হবে,।
_ _> এই কাপড়ে, আর আমি তো এখনও স্নান করিনি,।
__> আমি তোমার রুমে বসছি, তুমি দুই মিনিটের ভিতরে স্নান করে এসো,,।
_ _> মাত্র দুই মিনিট, সময়টা অরেকটু বাড়িয়ে দেওয়া যায় না মহারানী,।
_ _> না মহারাজা, আপনাকে দুই মিনিটের ভিতর স্নান শেষ করতে হবে,,।
_ _> আচ্ছা ঠিক আছে মহারানী,( কি আর করা, মহারানী কথা কি আর ফেলতে পারি,)
বাথরুমে গিয়ে কোনো রকমে শরিরে একটু পানি দিয়ে তারাতারি বের হলাম,( দেখি মহারানী বসে আছেন )
_ _> এই তোমার স্নান করতে এত সময় লাগে কেন,।
_ _> মাত্র ১ মিনিট দেরি হয়েছে,,,।
_ _> আচ্ছা ঠিক আছে তারাতারি কাপড় পরে নাও,( খুব রাগ করে কথাগুলো বলছেন,)
অতঃপর তারাতারি কাপড় পরে নিলাম, আমার হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে, পিছন পিছন মা ডাকছে, এই রাজ কিছু খেয়ে যা,( আমি কিছু বলার আগেই মহারানী বলে উঠলেন, মা রাজ এখন কিচ্ছু খাবেনা,( এমন ভাবে মাকে বলছে যেন ষষ্ঠী আমার বিবাহিত বউ, আর তার শাশুড়ী মানে আমার মাকে, তবে এটা সত্য কয়েক দিন পরে ষষ্ঠীকে বিয়ে করব)
টানতে টানতে নিচে নিয়ে গেল,
গিয়ে রিকসার জন্য অপেক্ষা করছি,( আমাকে এমন ভাবে ধরে দাড়িয়ে আছে যে কেউ দেখলে মনে হবে আমরা কোনো পার্কের মধ্যে লুতুপুতু করছি,
কিন্তু রিকসা আসার কোনো খরবই নেই,। হঠাৎ দেখি বন্ধু দেব রাজ মোটরসাইকেল দিয়ে কোথায় যেন যাচ্ছে,।তাকে দার করালাম,
__> বন্ধু কোথায় যাচ্ছিস,-( আমি )
__> একটু বাজারে যাচ্ছি,-( দেব রাজ )
আমার পাসে ষষ্ঠীকে দেখে হবু বউদিকে নমস্কার দিল,

_ _> বন্ধু তর বাইকটা দে, আমি তর বউদি নিয়ে একটু ঘুরে আসি,।
_ _> এই শালা, তুই তর বউকে নিয়ে ঘুরতে যাবি, তুই নিজে একটা বাইক কিনে নে,,আমরটা নিবি কেন,।
_ _> শালা টাকা পকেটে থাকলে কি আর তর বাইক চাইতাম,,,( চাবিটা আমার হাতে নিয়ে নিলাম
এখন আর তার কিচ্ছু করার নেই,)
এর মধ্যে ষষ্ঠী দেব রাজকে বলল,
__> আরে দেবর দিয়ে দাও না তোমার বাইকটা, যখন আমার স্বামী বাইক কিনবে তখন না হয়, আমার স্বামীর বাইক দিয়ে তোমার বউকে ঘুরতে নিয়ে যাবে,,,।
দেব রাজের একটা স্বভাব খুব ভাল, মেয়েদের কোনো কথা সে ফেলে দেয় না,,,
অতঃপর দেব রাজের হাতে বিশ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বললাম, বন্ধু চলে যায়, বিকালে তোমার সাথে দেখা হবে।
বাইক নিয়ে আমি আর ষষ্ঠী চলে গেলাম দূরে কোথায়, ( জায়গার নামটা পরের গল্পে বলব,)

বাইকের পিছনে ষষ্ঠী বসার কারনে মনটা বলে উঠল একটা গান ধর রাজ,।।।

তোকে নিয়ে ঘুরতে যাব একশ বৃন্দাবন,
আমি আর অন্য কিছুর মুডে নাই এখন,

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত