ক্লাসের শেষ ব্রেঞ্চে বসা ছিলো একটা বদ অভ্যাস,,,,বদ অভ্যাসের কারনেই হয়তো সবার আগে ক্লাসে উপস্থিত হলেও সবার শেষে বসতাম,,যে হারে শীত পরছে মনে
হয়না এর মাঝে কেউ ক্যাম্পাসে আসবে,,অলসতা বসত সকাল ৯টাই ঘুম থেকে উঠে আবহাওয়া পর্যবেক্ষন করে আবার বিছানাই ফেরত আসলাম,,,,
আঁধা ঘন্টা না যেতেই ফোনের পর ফোন,,,
১ম কামরুলের ফোন,,,
ভাই ক্লাসে আই,,
যে শীত পরছে কেমনে যামু,,
আরে জুয়ান মানুষের কিসের শীত,,
অনিচ্ছা থাকা সত্বেও বললাম দেখতেছি কি করা যায়,,
২য় রোহনের ফোন,,
বেটা কখন আসবি,,
আসবো কিছুক্ষণের মধ্যে,,,
৩য় তুষারের এর ফোন,,,
দোস্ত সবাই তো ক্যাম্পাসে তুই আসবি কখন,,
আসতেছি দারা,,,
এত ফোনের জালাই শীতের মধ্যে ফ্রেশ হয়ে ক্যাম্পাসের দিকে রওনা দিলাম,,,
বেলা ১০টা পার হয়ে গেছে,,
বাজারে তেমন লোকজন নাই,,
বাস স্টপে দারিয়ে আছি বাসের জন্য,,
বাসের দেখা মিলছে না তবু,,,
এত বিরক্ত লাগছে কি করবো কিছু বুঝে পাচ্ছি না,,,
সি এন জি করে যাওয়ার মত উচ্চ সামর্থ্য আমার নাই,,,
একে তো শীত কাল,
তার পরে বাস শ্রমিক দের ধর্মঘট,,,
মাঝে মাঝে বাস আসে যা দেখলেই মাথা ঘুরে,,
একেবারে মৌমাছির মত বাস ভর্তি মানুষ,,
অনেক ক্ষন অপেক্ষা করার পর একটা বাসের দেখা পেলাম,,
ভাবলাম হয়তো ফাকা আছে,
কিন্তু ভিতরে পা ফেলতেই থ মেরে গেলাম,,
পা রাখার মত জায়গা নাই,,
ঐভাবেই ঠেলে ঠুলে কোনো মতে দারালাম ভিতরে,,,
কিছুদূর যাওয়ার পর বাস থামলো,,
কেনো থামলো কিছু বুঝলাম না,
সামনে তাকিয়ে দেখবো তার ও সুযোগ নাই,,,
ভাবলাম হয়তো কোনো যাত্রী নামবে,,,
যাক হাফ ছেরে একটু দারানো গেলো,,
কিন্তু না,,,,
নামা তো দুরের কথা যাত্রী উঠলো তাও আবার মেয়ে,,,
একি দেখলাম,,,
চোখ যেনো আমার ছানা বড়া,,,
হয়তো অর্ডার দিয়ে এই নীল পরী কে দুনিয়াতে আনা হয়েছে,,,
তাকে দেখেই মনে মনে কবিতা বানিয়ে ফেললাম,,
ওগো অপ্সরী কেনো তুমি এলে,
দক্ষিণা পবনো বাতাসে আমার,,
প্রানে দোলা দিলে,,,
বাসের যে অবস্থা মনে হয় না মেয়েটা বাসের ভিতর টিকতে পারবে,,,
মেয়েটার চেহারার মায়ায় পরে গেছি,,
ভাব দেখিয়ে আমি নিচে নেমে গিয়ে মেয়েটিকে বললাম,,
আপনি একটু কষ্ট করে উপরে উঠে যান আমি গেইটে ঝুলতে ঝুলতে আসতেছি,,,
ধন্যবাদ ভাইয়া,,
কথাটা শোনার সাথে সাথে শীতের ভিতর ১০৪ডিগ্রী জ্বর চলে আসলো,,
আমি আর কিছু বললাম না,,
বাস চলতে শুরু করেছে,,,
এক প্রানে পরীর দিকে তাকিয়ে আছি, আর মনে মনে গান গাচ্ছি,
এই পথ চলা যদি শেষ না হতো,,,,
এইদিকে শীতের বাতাসে আমার সর্বস্ব বরফ হয়ে গেছে,,,
তাতে কোনো খেয়াল নাই,,
যাই হোক ক্যাম্পাসের সামনে এসে বাস থামতেই নেমে ভারা মিটিয়ে দিলাম,,,
ভাবলাম হয়তো মেয়েটি অন্য কোথাও যাবে,,
কিন্তু, কিন্তু না,,মেয়েটিও এইখানে নেমে পরলো,,,
আমি গেইটের পাশে দারিয়ে মেয়েটির চেহারা দিকে তাকিয়ে আছি,,,
ওর চেহারা দেখে বুঝলাম কিছু একটা হয়েছে,,,
আমি এগিয়ে গিয়ে জিগাস করলাম anything wrong,? কথাটা শুনে মেয়েটা কেমন যেনো লজ্জাবোধ করলো,,,,
কিছু না বলে মেয়েটি চুপ করে দারিয়ে আছে,,
হেলপার কে জিগাস করতেই ভাড়ার কথা বললো,
যে মেয়েটি এখনো ভাড়া দেয়নি,,,
এত ক্ষনে সব ঠিক ঠাক বুঝলাম সমস্যাটা কি,,
কথা না বাড়িয়ে ভাব দেখিয়ে পকেট থেকে ২০ টাকা বের করে হেলপার কে দিতেই বাস চলে গেলো,,
আপনি তো বড় অদ্ভুত মেয়ে,,,
কেনো?
সমস্যা থাকতেই পারে তার মানে কি চুপ থাকবেন,বলবেন তো সমস্যা টা কি,,
আসলে ভাইয়া
যে শীত পরছে আমার ঘুম থেকে জাগতে আজ অনেক দেরি হয়ে গেছে,,
তারা তারি রেডি হয়ে ক্লাসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি,,,টাকা আনার কথা মনে নাই,,এই জন্য নিরূপায় হয়ে গেছিলাম,,
আচ্ছা বাদ দেন,,আপনি এইখানে নামলেন কেনো,,
ভাইয়া আমি এই খানে পড়ি,,এটা আমাদের ক্যাম্পাস,,
ওহ আচ্ছা,,
হুমম,,,
আপনি এই খানে নামলেন কেনো,
আমি ও এই খানে পড়ি,,
আচ্ছা সামনের দিকে যাওয়া যাক,,
ঠিক আছে ভাইয়া আপনি যান আমি একটু পরে আসি,,
কথাটা শোনার সাথে সাথে ১০০০ ভোল্টের শক খেলাম,
কথা না বারিয়ে আমি শেষ দেখা দেখে সামনের দিকে রওনা দিলাম।
ক্লাস এখনো শুরু হয়নাই,,
আমার জন্য সয়তান গুলা ডিপার্টমেন্ট এর সামনে দাড়িয়ে আছে,,
মেয়ে টাকে দেখার পর থেকে কোনো কিছুই ভালো লাগছে না,,
সবাইকে বললাম আজ ক্লাস করবো না চল আড্ডা দেয়,,
সবাই খুশি,এই শীতে কেউ ক্লাস করতে চাই না,,,
কাউকে আর নীল পরী টির কথা বললাম না,,
ডিপার্টমেন্ট থেকে বের হওয়ার সময় দেখি নীল পরীটি এইদিকেই আসছে,,,
দেখা মাত্রই সব শীত দুর হয়ে গেলো আমার,,
মনটা আবার খুশীতে নেচে উঠলো,,
মেয়েটা র দিকে এক মনে তাকিয়ে আছি,,কখস যে আমার সামনে এসে দাড়িয়ে আছে আমি টের পাই নি,,,যেনো আমি স্বপ্নের রাজ্যে ভেসে বেরাচ্ছি , ,,
হঠাৎ কামরুল এর চিল্লানিতে সম্বিত ফিরে পেলাম,,,,
ঐ এত জোরে চিল্লানির কি আছে,,,,
ভাই কেস টা কি সকাল সকাল,
ধুর বাদ দে,,
না ভাই কিছু একটা ঘাবলা আছে, ,
ভাইয়া আপনি এই ডিপার্টমেন্টে পড়েন,,,
জ্বী, ইয়ে মানে হ্যা,,
আপনি,,?
আমিও তো ভাইয়া,,,
ওহ আচ্ছা, কোন ইয়ার,?
ভাইয়া ১মম বর্ষ,
ওহ,গুড গুড,আমি চতুর্থ বর্ষ,,
আচ্ছা ভাইয়া আসি,ক্লাসে যাবো,,
ওকে বাই,,,
মেয়েটি চলে যেতেই শুরু হলো ঝামেলা,,
একের পর এক প্রশ্ন?
ভাই এই পরী কেমনে পটাইলি,,?
বেটা কত দিন ধইরা চক্কর চলছে?
দোস্ত তোর চয়েজ আছেরে,,,
আমি ওদের উওর দেওয়ার আগেই বাইনা করে বসলো ট্রিট দিতে হবে এই পরীর জন্য,,
কোনো কিছু বলার সুযোগ দিচ্ছে না আমাকে, ,,
পকেটে তেমন টাকা না থাকা সত্বেও রাজি হয়ে ক্যান্টিটে নিয়ে গেলাম ওদের,,,
বিল হয়ছে তিনশো টাকা,
আমার কাছে এত টাকা নাই এটা আমি ভালো ভাবেই জানি,,,
কিছু বলার আগেই বিল টা কামরুল পরিশোধ করে দিলো,,,,
আর যাই হোক ওরা আমার জানের দোস্ত,,
আমার অবস্থা ওরা ভালো ভাবেই বোঝে,,,
যাই হোক সারাদিন আড্ডা দিয়ে বিকালে বাসাই ফিরলাম,,
ফ্রেশ হয়ে একটু ঘুরা ঘুরি করতেই বিশ্রাম নিতে নিতে রাত হয়ে গেলো,,
দেখতে দেখতে রাত ১০টা বেজে গেলো,,,
মনে অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে,,
কেমন যেনো বোরিং লাগছে,,
কিছুই ভালো লাগছে না,,,
শুধুই ভাবছি আবার কী নীল পরীর সাথে আমার দেখা হবে,,,
যদি দেখা হয় তাহলে কী ভাবে কথা বলবো,,,
আর যদি দেখা না হয় তাহলে আমার কী হবে,,
জীবনে প্রথম কোনো মেয়েকে মনে ধরেছে,,,
ইসঃ তাহলে কী আমার জীবনে কোনো প্রেম নেই,,,
ধুরঃ কি যাতা ভাবছি,,
যে মেয়েকে কোনো দিন দেখি নাই শুধু একদিনের দেখাই কি ভাবে আমার মনে দাগ কেটে গেলো,,,
কী আজব মানুষ আমি এক দেখাতেই কার প্রেমে পরে গেলাম,,,
মনে শুধু একটাই ধ্বনি বাজছে নীল পরী নীল পরী,
ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গেছি ঠিক পাইনাই,,
ঘুমু ঘুমু চোখে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ১০টা বাজে,,,
তরিঘরি করে ফ্রেশ হয়ে দিলাম ক্যাম্পাসে দৌড়,,,
উদ্দেশ্য একটাই নীল পরী,,,,
ক্যাম্পাসের গেটে দাড়িয়ে আছি নীল পরীর অপেক্ষায়,,,
সেই কখন থেকে দারিয়ে আছি,,,
অপেক্ষার প্রহর যেনো শেষ হয় না,,,,
মানুষ প্রেমে পরলে বুঝি সব করতে পারে,,,
আমার ও ভালোই লাগছে প্রথম প্রেম,,
হাহা প্রেমিকার জন্য অপেক্ষা করছি,,,,
কি যে করি কখন থেকে দাড়িয়ে আছি,,,
রাগ করে ডিপার্টমেন্টের দিকে চলে আসলাম,,
আমার চেহারার হাব ভাব দেখে সয়তান গুলা বুঝতে পারছে কিছু একটা হয়েছে,,
দুর থেকেই হাসা হাসি শুরু করে দিছে আমাক দেখে,,,
রাগে চুপ চাপ হয়ে আছি আমি কারো সাথে কথা বলছি না,,
হঠাৎ পিছন থেকে কে যেনো ডাক দিলো,
ভাইয়া,,,,
জ্বী,,(পিছনে ঘুরতেই হতভম্ব আমি)
কেমন আছেন ভাইয়া,?
ভালো,তুমি,,(যেনো হাফ ছেরে বাচলাম)
ভালো আছি, আপনাকে সেই সকাল থেকে খুজছি,,,
কেনো?
সেটা জানি না,, তবে আপনাকে দেখার জন্য খুব ইচ্ছা হচ্ছিলো,
আজব তো,,?
কোনো উওর না দিয়ে ২০ টাকা হাতে দিয়ে বলছে ভাইয়া আপনার টাকা,,
কথা শেষ না হতেই দিলো এক দৌর,,
আমি টাকা হাতে নিয়ে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে তার ফিরে যাওয়ার প্রানে চেয়ে আছি,,,
আর মনে মনে গান গাইছি,
যেও না নীল পরী ও ও যেওনা নীল পরী,,,
ইসসস কি যে মিস করলাম,,
মনে কথা টা বলতে পারলাম না আজ,
ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বন্ধুদেন কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসাই ফিরলাম,,
প্রতিটা রাতই আমাকে ভাবাই, শুধু ভাবাই,, নীল পরী,,,,
কেটে গেলো কয়েকটা দিন,,,, মাঝে মাঝে দেখা হয় নীল পরীর সাথে তবু বলতে পারি না মনের কথা,,,
আমার মন কেনো খারাপ থাকে সেটা শয়তান গুলা বুঝতে পারছে,,
তাই আমাকে হাসি খুশি রাখার জন্য সব রকম নাটক ওরা করে,,
একা একা উদাস মনে বসে আছি ক্যাম্পাসে,,
হঠাৎ কে যেনো পিছন থেকে এসে হাত দিয়ে চোখ চেপে ধরেছে,,,
মনের অবস্থা খুব একটা ভালো না,,,,,
বুঝতে পারলাম না কে ধরেছে,
আর বুঝার চেষ্টা ও করলাম না,,,,
তবে এই টুকু বুঝলাম হাতটা কোনো মেয়ে মানুষের,,
অনেক ক্ষন হয়ে গেলো তবু ছারার নামে খোজ নাই,,
একটু রেগে গেলাম,,,
রাগান্বিত ভাবে ধমকের স্বরে বললাম,
আপনি যে হন না কেনো শুধু শুধু বিরক্ত করবেন না,, আমার মনের অবস্থা ভালো না,,,,
কথা শেষ হতেই সামনে এসে দারিয়ে বলছে,,
মন খারাপ হওয়ার কারন টা কি আমি?
আরে ইয়ে মানে তুমি,?
কেনো কখনো কি ভাবেন নাই যে আমি আসবো,,
আরে না মানে তুমি এই খানে,,
কথা শেষ না হতেই চার দিক থেকে এসে জন্মদিনেরর শুভেচ্ছা দিতে লাগলো শয়তান গুলা,,,
আমি তো পুরোই অবাক কি দিয়ে কী হলো,,
কিছু বুঝে ওঠার আগেই নীল পরী আমার হাতে একটা গোলাপ ও একটা পার্সেল
দিয়ে বললো #শুভ_জন্মদিন,,,,,
নীল পরীর চিন্তাই আজ যে আমার জন্মদিন সেটাও ভুলে গেছি,,
আমার যে কি খুশি লাগছে আমি কোনো ভাবেই বোঝাতে পারবোনা,,
কেনো ভাবেই ভাবতে পারছি না যে আমি কি স্বপ্ন দেখছি নাকি বাস্তব,,
দিনটা খুব ভালো ভাবে কেটে গেলো,,,,
জীবনের সব থেকে সুখের দিন আজ আমার,,,,
সারাদিন নীল পরী ও শয়তান গুলার সাথে আড্ডা দিয়ে বাসাই ফিরলাম,,,,,
সব কিছুই শয়তান গুলার পরিকল্পনা ছিলো,,
রাতে চুপি চুপি পার্সেল টা ওপেন করলাম,,,,,
একটা কলম আর একটা ডায়েরী ছিলো ভিতরে,,,,
ডায়েরী এর প্রথম পৃষ্ঠা ই লেখা ছিলো #ভালোবাসি,,,,
পরবর্তিপৃষ্ঠায় লেখা ছিলো নিম্নরুপ,,”
আপনি যেদিন বাস থেকে নেমে গিয়ে আমাকে জায়গা দিয়েছিলেন,সেদিন ই বুঝে ছিলাম একটা ভালো মানুষের সন্ধান পেয়েছি,,
যখন আমার ভারাটা আপনি পরিশোধ করেছিলেন, তখন বুঝেছিলাম আপনি একটা ভালো মানুষ,,
আপনার সাথে যত বার দেখা হয়েছে আপনার অনুভুতি দেখে বুঝেছিলাম আপনি আমাকে ভালোবেসে ফেলেছেন,,কিন্তু কখনো বলতে পারেন নি,,
তখনি বুঝেছিলাম আপনি মানুষকে সত্যি ভালোবাসতে
পারেন,,
যখন ভাইয়া গুলা আপনার হয়ে আমার কাছে এসেছিলো তখন বুঝেছিলাম মানুষ কতটা ভালোবাসতে পারে,,
আর তখনি আপনাকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি,,,
আমি জানি আপনি কখনো আমাকে ছেরে যাবেন না,,,,
#লাভ_ইউ_বড়_ভাইয়া,,,
পড়া শেষ হতেই অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসলো,,
হ্যালো,,,
আপনার মনটা কি এখনো খারাপ,,
কথাটা শোনার সাথে সাথে খুশিতে কেদে ফেলেছিলাম,,,
মনে হয়েছিলো আমার থেকে সুখি মানুষ কেউ নাই আর,,,,
শুরু হলো আমাদের প্রেম কাহিনি,,,,,,
আর সব কিছুই সম্ভব হয়েছিলো শয়তান গুলার জন্য,,
মানে জানের দোস্তদের জন্য,,,
এখন আমাদের বিবাহের ৫ম বছর,,
দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসি,,,
আর শয়তান গুলাকেউ,,,
সবাই দোয়া করবেন যাতে আমাদের ভালোবাসাটা সারা জীবন এমনি থাকে যেনো,