সকালবেলা মায়ের ভাষণ শুনে ঘুম থেকে উঠতে হল,,,,
যদি কোন সেমিনারে মা কে ভাষণ দেয়ার জন্য দেয়া হয়, তে নিশ্চিত মাইক্রোফোন ছাড়াই ভাষণ দিতে পারবে বলে আমি আশা করছি,,,,,, (ঘড়ের ক্ষেত্রে বাহিরে নয়)
,
–বল কি বলবে
–ভার্সিটি যাবি না?
–যাবো,,
–তাহলে, উঠ
–উঠছি, তোমারও না ছেলেকে শুধু তোমার বউমার কাছেই পাঠাও,,, সহ্য হয় না।
–কি বললি,,, আর বউমা কই পাইলি
((এই রে এবার মরেছি,মুখ ফসকে সব কিছু বেরিয়ে গেল)
–কিছু না, বলেই বাথরুমে ঢোকে পরলাম
,,,,,,
,
ভার্সিটির জন্য তৈরি হচ্ছি,, এমন সময় বাবা এসে হাজির,,,
–তা আমার গুণধর পুত্র কোথায় যাওয়া হচ্ছে
–তোমার বউমার সাথে টাংকি মারতে (বলেই দৌড়)
–কি বজ্জাত ছেলে একটা
ভার্সিটি এসেই মিতুর সাথে দেখা
রিমি হচ্ছে আমার দশটা না পাঁচ টা না একটা মাত্র গার্লফ্রেন্ড,,,।।
–কি রে, মিনি স্টেডিয়ামের মেয়ে, কি কবর
–এই, তকে কতবার না বলেছি আমার বাবাকে
মিনি স্টেডিয়াম ঢাকবি না।
–আচ্ছা, তুই দেখ,,,,, আমার বাবার হল ফুল মাথা ঠাক যার কারণে বড় স্টেডিয়াম ডাকি। আর তর বাবার অর্ধেক টাক যার কারণে মিনি স্টেডিয়াম।
,
–এই খবরদার, আমার বাবাকে সম্মান দিয়ে কথা বলবি
–বলব না,,,কি করবি
–দেখবি
–দেখা, শয়তান মেয়ে একটা(দৌড়)
–আমি শয়তান,,,,(আমার পিছু ছুটছে)
ভার্সিটি থেকে ফিরে এসে বিকেলে বের হয়েছি, ঠিক তখনই আমার ঠাক্লু বাবা এসে হাজির
–কি রে কোথায় যাস?
–ফুটবল খেলতে
–কোথায়
–কেন, তুমার ইয়া মোটা স্টেডিয়ামে(বলেই দৌড়)
–তবে রে,,,,,,।।
,
আমি হৃদয়। এবার অনার্স ফাইনাল বর্ষে পড়ছি।
আমি আমার বাবা মায়ের একমাত্র বজ্জাত ছেলে।
সন্ধার সময় নিজের রুমে বসে ফেইসবুকিং করছিলাম।। এমন সময় রিমির ফোন,,,,,,,,,,,,,
–হ্যালো (কাঁদো কাঁদো গলায়)
–কি হয়েছে,,,
–বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে!
–কি?শালার মিনি স্টেডিয়ামের এত সাহস। আমার বউরে বিয়া দিয়ে দেয়।
,
–ফাজলামি করবা না
–আরে বাবা,ফাজলামি করব কেন,,,, আচ্ছা ঠিক আছে তোমার বরের নাম্বার দেও।
–তুমি কি করবে
–প্রেম করব। দিতে বললাম দেও!
–দিচ্ছি।
.
এখন আমি আমার প্রেমিকার হবু বরের সাথে কথা
বলছি,,, –
–হ্যালো
–কে বলছেন?
–আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী,,, শুনলাম মিতু নামের মেয়ের সাথে আপনার বিয়ে ঠিক হয়েছে,,।
–হ্যা,,,
–তা, আপনি মনে হয় সব কিছু যেনেই বিয়ে করছেন,,???
–সবকিছু যেনে মানে,,
–কেন, আপনি কিছু জানেন না।
–না
–ওহ, আরে ওর বাবা একটা মিনি স্টেডিয়াম
আর ওর’ত পুরা মাথাই স্টেডিয়াম।
–স্টেডিয়াম মানে
–মানে,বাবার মত ওর মাথায় চুল নেই, টাক
–কি?
–হ্যা, ভাই (কলটা কেটে দিয়েছি,,)
এখন নিশ্চিন্তভাবে একটা ঘুম দেয়া দরকার।।
,
সকালে কারো হেচকা টানে ঘুম থেকে উঠতে হল
–আরে মিস.ললিতা আপনি,,, কি সুভাগ্য আমার
–ওই, আমার বাবা মিনি স্টেডিয়াম, আর আমি পুরাই স্টেডিয়াম,,, আমি টাকলি,,,,,, বিয়ে ভাঙার জন্য আর কিছু পেলে না,,???
–কি করব, মাথায় কিছু আসছিল না
–সেটা ঠিক আছে, তবে
–তবে কি? রমনি
–তবে সমস্যা একটা আছে
–কি??
–তোমাদের বাসায় আসার পর তোমার বাবা আমার পরিচয় জানতে চেয়েছিলেন,,,
–বলেছ,,,
–হ্যাঁ
–কি বলেছ???
–বলেছি আমি তোমার স্ত্রী
–কি,,, বাশ দেয়ার আর জায়গা পেলে না,,,,,,
আমাকেই দিতে হল,,, তোমার জন্য কি না করলাম
আর তুমি সেই আমার পিছনেই বাশটা দিলে..?
,
–কি করব বল,, তোমার যেমন মাথায় আসছিল না
আমার তেমনি মাথায় আসছিল না,,, তাই মুখ দিয়ে
যা এসেছে, তা বলে দিয়েছি।
তখনই আমার বাবা মায়ের আগমন
বাবা—তা,বাবা কি করে করলে, এসব
—বাবা,ওই’ত মিনি স্টেডিয়ামে খেলতে খেলতে
পরিচয়,, তার পর
–মিনি স্টেডিয়াম মানে
—মিতু তুমিই বল (এর আগেই পলাতক)
মিতু— বাবা,ওই আপনার মত আমার বাবারও মাথায় টাক, তবে অর্ধেক, তাই ও মিনি স্টেডিয়াম ডাকে।।
—কি? এ শয়তান না,এ আস্তা একটা বজ্জাত ছেলে নিজের শশুর কে কেউ এসব বলে, আর কি বলব মা আমাকেইত —————- –
এখন দুই ফ্যামিলি গোল হয়ে বসে আছে,,, আর আমরা দুজন তাদের মধ্যবর্তী জায়গায় বসে আছি।.মনে হচ্ছে আমরা ভিন্ন গ্রহ থেকে আগত।
.
বাবা—তা বিয়াই সাহেব, ছেলে মেয়ে যখন একটা
ভুল করে ফেলেছে, তখন আমরা আর রাগ না করাই ভাল…।
মিনি স্টেডিয়াম –হ্যা, এখন তাই করতে হবে
বড় স্টেডিয়াম –এই বজ্জাত এখানে কি যা বউমাকে নিয়ে নিজের রুমে যা।
আমি—বাবা মিনি স্টেডিয়াম সামনে তাই কিছু বললাম না,, না হলে
(বলেই বউকে নিয়ে দৌড়।
সবাই হাসাহাসি করছে, আর আমি,,,,, আর বললাম না।।।
,
………………………………………………..(সমাপ্তি)………………………………………..
গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক