আমি আর মেঘা বসে আছি একটা ছোট্ট রেস্টুরেন্টে। মেঘা হলো আমার একমাত্র ভালবাসা,,, যাকে আমি অনেক ভালবাসি। আর আমি নীল,, এবার মাস্টার্স শেষ করলাম।
.
– মেঘা,
– উম,
– কি খাবে?
– তুমি তো জানো আমি কি খাই।
– ওটা হবে না, অন্য কিছু বলো।
– আমার ওটাই চাই।
– না,,, তুমি কেবল ঠান্ডা থেকে উঠে বসলে,, সেদিন আইসক্রিম খেয়ে এত ঠান্ডা লাগছিল মনে নেই?
– ধ্যাত্,, আমি আইসক্রিম খাব।
– হবে না।
– আচ্ছা না দিলা, আর কিচ্ছু খাব না, হুহ (গাল ফুলিয়ে দিল)
– ওই পাগলী রাগ করছো?
– না,, কার সাথে রাগ করবো? আমার রাগ করার কেউ আছে নাকি?
– তাহলে আমি কে?
– জানি না।
– কিইইইই ( কি মেয়ের পাল্লায় পরলাম রে বাবা, আইসক্রিমের জন্য নিজের ভালবাসা কে ভুলে গেল)
– হুহ,
– আচ্ছা দিচ্ছি,, কিন্তু অল্প করে।
– সত্যিই দিবা? ( খুশিতে চোখ জ্বলে উঠলো)
– হুম,, আনছি দাড়াও।
.
তারপর একজন ওয়েটার কে ঢেকে আইসক্রিম আনতে বললাম। আইসক্রিম আনলে মেঘা সেটার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। উফফফ কি করে একে নিয়ে? কেন যে এই মেয়ের সাথে প্রেম করতে গেলাম। তবে এই পাগলী মেয়েটাই আমাকে অনেক ভালবাসে।
.
– হাচ্চি,
– বলছিলাম না, খেও না।
– এই একটু আকটুতো হবেই তাই না।
– চুপ,, নিজের প্রতি খেয়াল নেই শুধু আইসক্রিম খাব আইসক্রিম খাব, যত্তোসব।
– এই দেখো আইসক্রিম নিয়ে বাজে কথা বলবে না কিন্তু।
– তাহলে?
– আইসক্রিম খাও।
– তোমার আইসক্রিম তুমি খাও আমি গেলাম।
– এই নীল দাড়াও, কই যাচ্ছো বাবু?
– জানি না।
.
রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে বাইরে এসে রিক্সায় উঠে বসলাম। যদিও বাবা গাড়ি কিনে দিয়েছে,, পাগলীটার সাথে ঘুরতে বেরুবো বলে গাড়ি আনি নাই, কথা ছিলো রিক্সা নিয়ে ঘুরবো। রিক্সায় উঠে বসলাম আর মেঘায় দৌড়ে এসে আমার পাশে বসলো।
.
– এই মামা চলেন তো।
– আচ্ছা।
– বাবু রাগ করছো?
– না।
– তাহলে চলে আসলে কেন ওভাবে?
– শরীর অসুস্থ তাই।
– মানে!! কি হইছে তোমার? (কান্না সুরে)
– না কিছু হয়নি ( কেন যে মিথ্যা কথা বলতে গেলাম)
– নীল সত্যি করে বলো বলছি কি হইছে ( কেঁদেই দিছে)
– কিছু হয়নি জান, বিশ্বাস করো।
– না তোমার কিছু একটা হয়েছে।
– হয়নি তো।
– তাইলে তুমি ও কথা বললে কেন?
– ইয়ে মানে, এমনি।
– দেখো,, নীল,, প্লিজ বলো কি হইছে? (কাদে মাথা দিয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদতেঁ লাগলো)
– মাথাটা একটু ব্যথা করছে ( আবার মিথ্যা বললাম, নাহলে ওকে শান্ত করে যাবে না,, তাই ছোটখাটো মিথ্যা বললাম)
– বাসায় চলো এখন।
– এখনই?
– হ্যাঁ, এখনই,
– একটু পর গেলে হয় না? ( ভাবছি আরেকটু তোমার সাথে থাকবো,, আর হলো না, কেন যে বলতে গেলাম শরীর খারাপ)
– বাসায় যেতে বলছি ব্যস, বাসায় গিয়ে ঘুমাবে।
– আচ্ছা, ঠিক আছে।
.
তারপর আমাকে আমার বাসায় সামনে ছেড়ে দিয়ে মেঘা চলে গেল। সব বয়ফ্রেন্ডরা তার জিএফকে বাসার সামনে রেখে আসে কিন্তু আমার উল্টো। শুধু একটা ডাহা মিথ্যা কথা বলার জন্য।
.
এই মেয়ে যেমন আইসক্রিম পাগল তেমন আমার পাগল, একটু কিছু হলে সয্য করতে পারে না। এখন কি করবো? ভাবছিলাম ওকে নিয়ে ঘুরবো কিন্তু সেটা আর হলো না।
.
বাড়িতে এসে ঘুমাতে বলছে কিন্তু আমি তো আর অসুস্থ নই, তাই ঘুম আসতে চায় না।
ভাবলাম একটু ফেসবুকে টাইম লাইন ঘুরে আসি। লগইন করলাম,, গিয়ে দেখি আমার পাগলী চ্যাটে আসছে।
.
এইরে এখন কি করবে কপালে জানে,, আমাকে ঘুমাতে বলছে আর আমি ফেসবুক নিয়ে নাচানাচি করছি। তাই তাড়াহুড়ো করে চ্যাট বন্ধ করে ফেসবুক থেকে বের হলাম। তারপর বিছানায় গিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম।
.
৪৮ সেকেন্ড পর,,,
ক্রিঃ ক্রিঃ,,
দেখি পাগলী ফোন দিছে,,, ধরলাম,,
– হ্যালো,
– ( কান্নার আওয়াজ)
– কি হলো জান, কাঁদছো কেন?
– আমি ব্রেকআপ চাই,
– কিইইইই?
– ব্রেকআপ, ব্রেকআপ,
– কিন্তু কেন?
– তুমি আমার একটা কথাও শুনো না, তোমার সাথে রিলেশন রাগবো না,, কেন তোমাকে যে তোমাকে ভালবাসলাম?? তুমি আমাকে একটুও ভালোবাসো না।
– এসব কেন বলছো?
– তুমি আমাকে ভালবাসলে আমার কথা শুনতে, ফেসবুকে আড্ডা দেওয়ার জন্য যেতে না।
– আচ্ছা, সরি।
– গোষ্ঠী কিলাই তোর সরি,, ব্রেকআপ।
– থাকতে পারবে আমাকে ছাড়া?
– জানি না,, নাহয় মরে যাব।
– কি বলো?
– টুট, টুট।
.
যাক বাবা , এখন কি হবে? পাগলী হেব্বী রেগে গেছে। আবার কিছু যেন করে না ফেলে,, তাই আবার ফোন দিলাম,,,
( এই মুহূর্তে আপনার ডায়াল কৃত নাম্বার টি বন্ধ আছে)
.
এখন কি হবে?
.
এভাবে দুদিন চলে গেল কিন্তু ওর সাথে কোনো যোগাযোগ করতে পারলাম না। খুব কষ্ট হচ্ছে এখন ওকে ছেড়ে। কেন যে ওর কথা শুনলাম না। এখন টের পাচ্ছি ওর কথা না শুনলে কেমন কষ্ট পেতে হয়। কি করে কতদিন থাকবো এখন ওকে ছেড়ে?
.
তাই বাধ্য হয়ে ওর কলেজে গেলাম। কি আর করবো থাকতে পারছি না তো পাগলীটা কে ছেড়ে।
কিন্তু কলেজে কেউ ওর খবর বলতে পারলো না, কয়েক দিন ধরে নাকি ও কলেজে আসছে না। খুব টেনশন হতে লাগলো এখন,, সত্যি সত্যি আবার কিছু করলে ফেললো না তো।
.
৫ দিনের দিন ওর এক বান্ধবীর কাছ থেকে ওর বাসার ঠিকানা নিয়ে বাইক নিয়ে চললাম ওর বাসার উদ্দেশ্যে।
ওর বাসার সামনে গিয়ে তো আমার হার্ট এটাক করার অবস্থা।
.
আমি এতদিন ওর জন্য কষ্ট পেলাম “,আর ও আমাকে কষ্টে রেখে বাসার সামনে কোমড়ে উড়না পেচিয়ে ওর ছোট ভাইয়ের সাথে ফুটবল খেলছে।
.
কতখন শুধু ওখানে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখলাম কি করে? আমি ওর কাছেই ছিলাম তাই একটু পরপর আমার দিকে কেমন দৃষ্টিতে যেন তাকাতে লাগলো। একটা করে ফুটবলে লাথি দেয় আর আমার দিকে একটু করে তাকায়।
.
এমন পরিস্থিতি দেখে আমার খুব রাগ হলো। এতদিন ওকে কত জায়গায় খুজলাম পেলাম না, নিজের ফোন আবার বন্ধ রাখছে। আমার সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি, একবারও কথা বলেনি,, একটুও খবর নেয়নি। খুব রাগ হচ্ছে ওর উপর।
.
একটু পর কোথা থেকে যেন একটা ছেলে আসলো, আমার থেকে একটু ছোট, মেঘার সমবয়সী হবে। ওই এসে ওকে বলতে লাগলো আর আমি শুনতে লাগলাম ওদের দুজনের কথা,,
.
– এই মেঘা চল যাই।
– কনে?
– নদীর পাড়ে।
– ওখানে কেন?
– আজকে সবাই মিলে ওখানে আড্ডা দিব।
– বাচ্চারা যাবে না।
– ওরা আগেই গেছে।
– আচ্ছা চল,,
.
এ কথা শুনে তো আমার রাগ চরমে গেল। হাতে আইসক্রিম ছিলো,, মেঘার জন্য আনছিলাম,, ভাবছি ওকে দিব,, কিন্তু ওগুলো তখনই একটা আছাড় মেরে ফেলে দিলাম। মেঘা তখন আমার দিকে একটু তাকালো তারপর ওই ছেলেটার সাথে চলে গেল।
.
আমিও বাইক নিয়ে বাড়ি চলে আসলাম। বাড়ি এসে দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়লাম।
ভালোই করছে, খারাপ করে নাই,, আমি তো ওর কথা শুনি না। তাই হয়তো সেদিন আমার সাথে ব্রেকআপ করছে।
.
ব্রেকআপ টা আমি তখন সিরিয়াস ভাবে নেইনি। কিন্তু ওই সমবয়সী ছেলেটা বোধ হয় ওর বাসার কাছেই থাকে তাই হয়তো ওর সাথে এই পাঁচ দিনেই রিলেশন শুরু করছে। ছেলেটা বোধ হয় ওর সব কথা শুনে।
.
ও যদি ভালো থাকে তাহলে থাক। ও তো একজনকে পেয়ে গেছে তাই হয়তো এ কয়েক দিন আমার সাথে যোগাযোগ করে নাই, না করুক, সমস্যা নাই।
.
ক্রিঃ ক্রিঃ,
.
এমনিতেই মন মেজাজ খারাপ আবার এখন কে ফোন দিল,,
ফোন টা উঠালাম,, দেখি মেঘা ফোন দিছে,, এখন হয়তো বলবে,, এইযে আমার নতুন বয়ফ্রেন্ড,, ও আমার সবকথা শুনে। এখন আমি অনেক হ্যাপি,, শুধু শুধু তোমাকে ভালবাসছিলাম।
.
এগুলোই হয়তো বলবে,, কিন্তু আমি এগুলো কি করে সয্য করবো,, রাগে কষ্টে ফোন টা ছুড়ে ফেলে দিলাম জানালা দিয়ে,, কই গিয়ে পড়লো জানি না।
.
কেন যে ভালবাসতে গেলাম,, আগে জানলে আর কাউকে ভালবাসতাম না। এতো কষ্ট পাব কোনো দিন ভাবিনি।
আরও কয়েক দিন চলে গেল,, মেঘার সাথে এখন আমিই যোগাযোগ বন্ধ করে দিছি। ফোন ভেঙে দিছি,, তারপর আবার আমাদের প্রিয় জায়গা,, গুলোতে যাই না, যেখানে আমরা দুজন যেতাম।
.
আমাদের রিলেশন ছিলো তিন বছরের, আর এই তিন বছরের রিলেশনশিপ এতো সহজে ভেঙে যাবে,, আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না।
১০দিন পর,,
ভাবলাম একটু ঘুরে আসি। সকাল বেলা ঠান্ডা বাতাস।
.
বাসা থেকে কলেজে বেশি দূরে না। তাই খুব অল্প হাঁটাতেই মহিলা কলেজের সামনে চলে আসলাম। কেন যেন খুব লজ্জা করছে এখন,, সব মেয়েরাই প্রাইভেট আর কোচিং যাচ্ছে এ সময় এ রাস্তা দিয়ে, আর আমি একা একটা ছেলে এই কলেজের সামনে দিয়ে হাটতে আসছি।
.
তাই ভাবলাম এখন বাসায় চলে যাই। তাই পেছন দিকে আবার বাসার পথে রওনা হলাম। যতদূর গেছিলাম ওখান থেকে বাসার দিকে ৮ থেকে ১০ হাত আসতেই পেছন থেকে কে যেন কয়েক টা বই আমার পিঠে খুব জোরে ছুড়ে মারলো।
.
পেছনে তাকিয়ে দেখি একটা মেয়ে। কলেজ ড্রেস পড়া, কিন্তু মুখ দেখা যাচ্ছে না,, হিজাব বাধার মতো মুখ সেরকম বাধা। চেনার উপায় নেই।
– এইযে আপু, আপনি আমাকে এগুলো ছুড়ে দিলেন কেন?
.
এ কথা বলার সাথে সাথে সেই রাস্তার মধ্যেই দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কাদতেঁ লাগলো।
– এই কি করছেন ছাড়ুন,
– তুই এতদিন কই ছিলি? ফোন বন্ধ কেন?
– আরে আপনি ছাড়ুন আগে।
– না। ( আরো শক্ত করে ধরলো)
– দেখুন আপনাকে আমি চিনি না, অপরিচিত কাউকে রাস্তার মধ্যে এভাবে জড়িয়ে ধরছেন কেন?
– এখন চিনো না, তাই না ( মুখের হিজাব সরালো)
– মেঘা তুমি?
– তোমার ফোন কই?
– ফেলে দিছি।
– কেন?
– ওটার দরকার নেই।
– এবার কিন্তু বেশী হয়ে যাচ্ছে ( জোরে কান্না করে দিল)
– এখানে কথা বলা যাবে না, লোকে দেখলে সমস্যা, অন্য জায়গায় চলো যাই।
.
তারপর মেঘাকে নিয়ে পাশের এক ছোটখাটো বাগানে গেলাম।
.
– মেঘা তোমার বয়ফ্রেন্ড কেমন আছে?
– বয়ফ্রেন্ড?
– হুম।
– বয়ফ্রেন্ড আসবো কোথা থেকে?
– কেন? সেদিন যার সাথে নদীর পাড়ে গেলে ওটা।
( ঠাস)
– কি হলো মারলে কেন?
– একে তো এতদিন ধরে আমার সাথে যোগাযোগ রাখস নাই আবার আমার ফুফাতো ভাইকে বলছিস ওটা আমার বয়ফ্রেন্ড, ছিঃছিঃ, তোর লজ্জা করেনা। আমি আজ সত্যি বলছি, তোকে ভালবেসে আমি প্রথম অনেক বড় ভুল করছি।
– এই না, জান এভাবে বলো না প্লিজ।
– তাহলে কিভাবে বলবো হ্যাঁ?
– তুমি না আমাকে অন্নেক ভালোবাসো।
– আগে বাসতাম, এখন বাসি না।
– কেন?
– তুমি শুধু শুধু ভুল বোঝ তাই (আবার কান্না করে দিছে)
– মেঘা এভাবে কাদে না প্লিজ, আসো কাছে আসো।
– তুমি খুব খারাপ, তোমার কাছে যাব না।
– এই দেখ কি বলে,,,, আমি না তোমাকে অনেক ভালবাসি।
– তাহলে এতো দিন কষ্ট দিতে পারতে না। আর ভুল বুঝতে না।
:- এই দেখ কান ধরছি, আর যা খুশি শাস্তি দাও। প্লিজ এখন ফিরিয়ে দিও না।
– তাইলে আইসক্রিম নিয়ে আসো।
– কিইইইই?
– তাড়াতাড়ি।
– এখন আইসক্রিম কই পাবো?
– জানি না।
– আচ্ছা দাড়াও দেখছি পাই কিনা।
.
তারপর আইসক্রিম আনতে গেলাম। খুব জোর বাচা বেচে গেছি, এই অল্পতে ও যে শান্ত হবে ভাবিনি। আর আমিই বা কি,,, কি সব উল্টো পাল্টা ভাবছি। এতদিন নিজেও কষ্ট পাইছি, ওকেও কষ্ট দিছি।
.
তাই এখন তাড়াতাড়ি করে আইসক্রিম খোঁজে নিয়ে তারপর ওকে দিলাম। এবার অনেক গুলো আইসক্রিম আনছি। একটু বেশী ভালবাসা দেখানোর জন্য।
.
দুই বছর পর,,
.
আজকে প্রথম বিড়াল মারতে চলেছি। কি যে হবে কে জানে? নাকি আবার বিড়ালেই আমাকে মারে বুঝা যাচ্ছে না।
অনেক ট্যাক্স আর বন্ধুদের পরামর্শ নিয়ে শেষে ঢুকলাম,, প্রথম নিজের বাসর ঘরে।
.
গিয়ে দেখি মেঘা ঘোমটা দিয়ে বসে আছে। আমাকে দেখতেই পা ছুয়ে সালাম করতে আসলো।
– ওওও
– কি হলো,
– এই তোমার হাত এতো ঠান্ডা কেন? আমার পা জমে গেল রে।
– এ মা, সরি। আমি বুঝতে পারিনি, আইসক্রিম টা তোমার পায়ের সাথে লেগে যাবে।
– আইসক্রিম?
– হুম,, এই দেখ আমার হাতে আইসক্রিম,, তুমি আসছো না দেখে আইসক্রিম খাচ্ছিলাম।
– আজকের দিনে,, তবুও বাসর ঘরে বসে বসে আইসক্রিম খাওয়া?
– কি করবো বলো?
– আচ্ছা এখন খাটে যাও। আমি একটু চেন্জ হয়ে নেই।
– নীল শুনো।
– কি?
– বকবে না তো?
– না বলো।
– আর দুটি আইসক্রিম এনে দিবা?
.
.
………….( অতঃপর আমি বেহুঁশ)…………..
গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক