বন্ধন Ties Story

বন্ধন Ties Story

– এই তুমি এইখানে (আসচহয়ে নীল)
– হুম। কোনো সমস্যা? (নীলা )
– তুমি যানো মা বাবা দেখলে কি হবে??
– জানার দরকার নেই।
– তোমার এই অবস্থা কেন???
– তোমাদের বাসায় থাকবো অামি।
– কি যা তা বলতেছো।
– তোমাকে না দেখে থাকতে পারি না।
– মা বাবা জানলে অামার কি অবস্থা হবে জানো??
– কে রে বাবা ( নীলের মা)
– তুমি দেখো কে অামি গেলাম।
– এই কে তুমি??
– খালাম্মা অামারে এতটা কাজ দিবেন??
– তুমি কাজ করবে??
বাসায় একটা কাজের লোক প্রয়োজন।
কি কি করতে পারো??
– সব কাজ?
(যদিও ঠিকমত কিছুই পারে না)
– অাচ্ছা ঠিক অাছে ভিতরে অাসো।
প্রথম থেকে বলি
নীলা নীলকে ভালোবাসে।
তবে নীল এখনো নীলা কে মনে জায়গা দিতে পারেনি।
নীলার বাবা যেমন বড়লোক, তেমনি নীলের বাবাও।
ভালোবাসায় পাগল হয়ে অাছে নীলা।
ভালোবাসার জন্য যেন প্রান দিয়ে দিতে রাজি।
বাবার কোটি কোটি টাকা থাকা স্বর্তেও ও নীলের বাড়িতে অাসছে কাজের মেয়ে হয়ে। শুধু নীল
কে দেখার জন্য।
নীল তাকে মনে জায়গা না দিতে পারলেও মনে মনে তার কিছু একটা অনুভব হয় তার জন্য।
এখনো নীলা কে দেখলে এড়িয়ে চলে। কিন্তু নীলা একটা জিনিসই জানে সে তার ভালোবাসাকে জয়
করবেই।

অনেক দিন হয়ে গেলো ভালোই চলছে।
নীলা নিজেই বিশ্বাস করতে পারছেনা যে, কী ছিল নীলা আর কি হয়ে গেলো, যে কখনো রান্না ঘরে কি থাকে সেটা জানতো না। সে এখন রান্না ঘরের রাণী।
– নীলা অামরা বাইরে যাচ্ছি তুমি একটু খেয়াল রেখো। অামরা অাসতে একটু দেরী হবে।
– অাচ্ছা খালাম্মা দেখমুনে।
– নীল অাসলে খাবার দিয়ে দিয়ো।
– অাচ্ছা।
নীলার মনে মনে অনেক অনেক খুশি হলো। অাজ অনেক দিন পর হয়তো নীল কে কাছে পাবে।
কলিংবেল বাজছে। নীলা অাজ নিজের মত সাজছে অনেক দিন পর। মনের মাজে কি যে অানন্দ লাগছে।
হটাৎ মনে পরলো কলিংবেল মনে হয় বাজছে।
দৌড়ে গিয়ে দরজা খুললো।
সামনে দাড়িয়ে অাছে নীল।
নীল এক দৃষ্টি তে তাকিয়ে অাছে।
কি সুন্দর লাগছে নীলা কে। এই প্রথম নীলা কে দেখে নীলের মনের মাঝে দোলা দেয়।
অাবার চিন্তা করলো প্রত্যেকদিন তো মা দরজা খুলে।
– ইয়ে মা কোথায়??
নীলাও এতক্ষন তার দিকে তাকিয়ে ছিল এক দৃষ্টিতে।
– মা নাই।

নীল ভাবছে আমার মাকে নীলা মা বলছে?? এতদিন মায়ের সামনে তো খালাম্মা বলতো।মা না থাকায় কী সাহস বেড়ে গেলে নাকি??
– তহলে অামি যাচ্ছি।
দরজার সমনে থেকে মাত্র যাচ্ছে।
– এই কই যাও চান্দু।
এতদিন পর একটা সুযোগ পেলাম সেটা তো অার নষ্ট করতে পরবো না।
(একটানে জড়িয়ে দরলো নীলকে কে)
– এই ছাড়ো বলছি।
– না ছাড়বো নাা
– মা না থাকায় সাহস বেড়ে গেছে???
– হুমম কি করবা এখন??
এই প্রথম নীলা অার নীল একজন অারেক জন কে জড়িয়ে ধরে অাছে।
ভালোই লাগছে।
– ছি ছি নীল, তুই এমন অামরা তো ভাবতে ও পারিনি (নীলের মা)
– মা তুমি ভূল বুঝো না।
– ভূল? কিসের ভূল, যেটা অামি নিজের চোখে দেখছি সেটা??
– মা অামি ও কে ভালোবাসি।
– ছি এই কাজের মেয়ে কে??
– মা ওর পরিচয় এটা না।
– তাহলে কি??
– ওর বাবা একজন বড় ব্যবসায়ী। অার ওর একটা ভালো পরিচয় ও অাছে।
– তাহলে সে এখানে কাজ করার জন্য এলো কেনো।
– ও অামাকে ভালোবাসে। অার অামাকে একটু দেখার জন্য সেখানে এসেছে। এত কষ্ট করছে।
– এই মেয়ে সত্যি কথা বল।
নীলা তখনো নীলের বুকের মাঝে কাপছে।
– হুমম।
– ভয় পেওনা উনারা যদি না মানে অামি তোমাকে নিয়ে চলে যাবো কোথাও।
কারণ অামিও এখন তোমাকে ভালোবাসি। (নীল)
দুজনের ভালোবাসা দেখে অবাক নীলের মা। বেশী নীলার টা, এই মেয়ে কীভাবে এত কষ্ট করলো।

না মেনে নেয়ার কিছু নেই কারণ নীলের মা বাবার ও ভালোবেসে বিয়ে হয়ে ছিলো।
এই ব্যাপার টা নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে কথা হয় এবং তাদের বিয়ে হয়।
এখন সুখেই অাছে দুজন।
কিছু কিছু ভালোবাসার জন্য কষ্ট করতেই হয়। এতে ভালোবাসা অারো গভীর হয়।

(সমাপ্ত)

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত