(এই গল্পে কোনোরকম অথবা কোনোভাবে ধূমপান কে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না)
অধ্যায় – ১
নতুন কোম্পানি জয়েন করেছে অমিত আজ তিনদিন হলো। প্রমোশন পেয়েছে এখানে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে, মার্কেটিং ডিভিশনে। ট্রেনিং চলবে এখন ওর বেশ কয়েকটা দিন। আজকের ট্রেনিং শেষ হলো, এখন বাড়ি যাওয়ার সময়। অমিত সব সহকর্মীদের good night বলে অফিস থেকে বেরিয়ে পরলো। বাস ধরার আগে একটা চা আর সিগারেট হলে মন্দ হয় না। এই ভেবে অফিসের পাশে আলোকদার চায়ের দোকানে ঢুকে পরলো। চা টা ভালোই জমছিলো সারাদিনের বোরিং ট্রেনিং এর পর, এমন সময় পাশ থেকে কে একজন অমিত কে একটু চমকে দিয়ে বললো, ‘ এক্সকিউজ মী ।’ পেছন দিকে তাকিয়ে অমিত দেখে একজন বয়স্ক ভদ্রলোক ডাকছেন ওকে। বয়স ষাট’এর বেশি, রুক্ষ পাকা চুল, চোখে চশমা, মুখের চামড়া কেমন একটু ঝুলে গেছে। চশমার পেছনে চোখ দুটো তে যেনো একটা চাপা কষ্টের ছাপ রয়েছে ভদ্রলোকের। অমিত ওনাকে নরম স্বরে জিজ্ঞেস করলো,’ হ্যাঁ, বলুন কি ব্যাপার?’ ভদ্রলোক মাথা নিচু করেই অনুরোধ করলেন,’ আমি কি আপনার মোবাইল থেকে একটা কল করতে পারি আমার ছেলেকে? আর্জেন্ট। UK তে থাকে। প্লিজ ।’ ইন্টারন্যাশনাল কল করবেন শুনে অমিত একটু দ্বিধা বোধ করলো। তবে ওর ফোন থেকে ইন্টারন্যাশনাল কল হবেও না। শুধু STD অবধি করা যাবে। অমিত উত্তর দিতেই যাচ্ছিল লোকটাকে, তার আগেই আলোকদা বলে উঠলো, ‘ কাকু, আমি ব্যবস্থা করছি আপনার ছেলেকে কল করানোর। একটু অপেক্ষা করুন, ওই চেয়ারটায় বসুন গিয়ে, আমি আসছি।’ লোকটি কথাটা শুনে মাথা নিচু করে কোনায় একটা চেয়ারে গিয়ে বসে পরলো। পুরো ব্যাপারটা নিয়ে অমিতের মুখে আর মনে একটা জিজ্ঞাসা চিহ্ন পড়ে গেলো। অলোকদার দিকে ফিরে জিজ্ঞেস করলো,’ কি ব্যাপার অলোকদা? ফোন করার জন্য আমাকে জিজ্ঞেস করলো, তারপর তোমার কথা শুনে কেমন সুবোধ বালকের মতো চুপচাপ গিয়ে বসেও পরলো?’
অলোকদা চা বানাতে বানাতে বলতে শুরু করলো, ‘ কি আর বলবো স্যার। লোকটির নাম মনোতোষ দাস। বেশ ভালো লোক। পুরনো বাসিন্দা এই পাড়ার। সবাই চেনে ওনাকে। খুব দুঃখের জীবন মানুষটার। আশা নিয়ে বেঁচে আছেন আর কি।’ অলোকদা থামলো। অমিত জিজ্ঞেস করলো,’ কিসের আশা?’ অলোকদা আবার বলা শুরু করলো,’ অনেক পরিবারেই হয়ে থাকে স্যার, নতুন কিছু না।তিরিশ বছর বয়সে বিয়ে করেন মনোতোষ কাকু একজন সাতাশ বছরের মহিলাকে, নাম রোহিণী। ভালোবেসে বিয়ে দুজনের। তিন বছর পর এক ফুটফুটে ছেলে হয় তাদের। নাম রাখলেন অয়ন। বিয়ের পাঁচ বছর পর স্ত্রী হঠাৎ করে, কাউকে কিছু না জানিয়ে পালিয়ে যায় বাড়ি থেকে। কাকু তখন অফিসে, এদিকে দুই বছরের বাচ্চা কে বাড়িতে একলা রেখে হঠাৎ করে পালিয়ে যায়। পুলিশ লাগিয়ে আট মাস পর যখন বউএর খোঁজ পেলো, কাকু দেখেন বউ আরেকজনের সাথে বিয়ে করে নতুন সংসার বাঁধিয়েছে। এটা ছিল প্রথম ধাক্কা ওনার জীবনের। ভালোবেসে বিয়ে করে ঠকে গেলেন।’
অলোকদা থেমে একটা হাঁক দিলো, ‘ এই বিশু, যা কাকু কে চা এই টোস্ট দিয়ে আয়।’ বিশু চা টোস্ট নিয়ে চলে গেলো মনোতোষ বাবুকে দিতে। অলোকদা সেটা দেখে বলতে শুরু করলো, ‘ এখানেই এসে বসেন, আমার দোকান থেকেই খাওয়াদাওয়া করেন। কখনো টাকা দিলেন বা কখনো দিতে ভুলেও যান। আমি আর পরে সেটা চাই না ওনার থেকে। দেখেও কষ্ট লাগে। শুধু ছেলের গলা শোনবার জন্য তিন বছর ধরে অপেক্ষা করছেন।’ অমিত শুনে চমকে গেলো , ‘ মানে? ছেলে তিন বছর ধরে বাবার খবর নেইনি? ওই UK তে থাকে নাকি?’ অলোকদা জবাব দিলো, ‘ হ্যাঁ, ওখানে থাকে। তিন বছর ধরে খবর নেইনি, নিজের খবর দেয় নি। ছেলে বেচেঁ আছে কিনা বাপ জানে না, বাপ বেঁচে আছে কিনা ছেলে জানে না। চার বছর আগে অয়ন ভালো চাকরি পেয়ে চলে যায় ওই দেশে। প্রথম সাত – আট মাস খবর নিতো বাবার, তারপর আস্তে আস্তে সেটা বন্ধ হয়ে যায়। আমি নিজে থেকে দুবার ফোন করেছিলাম ছেলেকে, কিন্তু ফোন নম্বর হয়ত পাল্টে নিয়েছে ও, একবারও লাইনে পাইনি। তারপর থেকে তিন বছর আর কোনো ফোন আসেনি, যেতেও পারেনি। কাকুকে টাকাটা পাঠাতো প্রতি মাসে, সেটাও ফোনের সাথে বন্ধ হয়ে গেলো।
এখন ওই পেনশন আর প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকেই ওনার খরচ চলে। মাঝেমাঝে পাড়ার কিছু লোকজন ওনার জন্য খাবার পাঠায়। শুধু ছেলের গলার আওয়াজ একবার শোনার জন্যই যেনো বেঁচে আছেন। চোখ মুখ দেখলে মনে হয় যে যদি একবার ফোন লাইনে ছেলেকে পায়, একটাই প্রশ্ন করবেন ওকে, যে অয়ন বাবা, তুই ফিরবি কবে – মরার আগে একবার তোকে দেখে যেতে চাই ।’ একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে অলোকদা বললো, ‘ ছেলে আর কখনো ফোন করবে কিনা জানিনা, তবে কাকুকে এই অবস্থায় থাকতে আমি আর দেখতে পারি না। এটা ওনার জীবনের দ্বিতীয় ধাক্কা। এত ভালো মানুষের সাথে এরকম অবিচার স্যার, এটা কি মেনে নেওয়া যায়?’ সত্যি মেনে নেওয়া যায় না, ভাবলো অমিত পুরো ঘটনা শোনার পর। পেছনে তাকিয়ে দেখলো, মনোতোষ বাবু খাওয়া শেষ করে উঠে চলে যাচ্ছেন, খাবারের টাকা না দিয়ে। অলোকদা টাকার জন্য ওনাকে ডাকলো না ও একবারও।
অধ্যায় – ২
অমিত বাসে উঠেই যাচ্ছিল বাড়ি ফেরার জন্য, কি মনে হলো ওর, আবার অলোকদার দোকানে ফিরে এলো। এসেই অলোকদা কে বললো, ‘ অলোকদা, আমাকে মনোতোষ বাবুর ছেলের একটা ফটো এনে দেবে এখন, যতসম্ভব নতুন ছবি, মানে একদম লেটেস্ট? একবার চেষ্টা করে দেখি যদি কাল ঠিক নম্বরে UK তে ফোন লাগাতে পারি।’ অলোকদা কথাটা শুনে উৎসাহিত হয়ে, কোনো প্রশ্ন না করেই চলে গেলো মনোতোষ বাবুর বাড়িতে। চল্লিশ মিনিটের মত পরে অলোকদা একটা ফটো নিয়ে ফিরলো, ‘ওখান থেকে কাকুকে ফটোটা পাঠিয়েছিল ওই চার বছর আগে, এই নাও। খুঁজতেই এতক্ষন সময় লেগে গেলো।’ ফটো টা নিয়ে অমিত বাড়ি ফিরে এলো। ডিনারের পর, নিজের ল্যাপটপে Linked In ওয়েবসাইটটা খুলে ‘ Search Friends ‘ option টায় টাইপ করলো ‘ Ayan Das ‘। Linked In ওয়েবসাইট জনতা ব্যবহার করে সোশাল নেটওয়ার্কিং করার অথবা চাকরি খোঁজার জন্য। সমান নামের অনেকগুলো প্রোফাইল ল্যাপটপের পর্দায় ভেসে উঠলো লোকেদের প্রোফাইল পিকচার সহ। অমিত এক একটা প্রোফাইল পিকচার মন দিয়ে যাচাই করতে শুরু করলো অয়ন’এর সেই ফটোটা নিয়ে যেটা অলোকদা ওকে যোগাড় করে এনে দিয়েছিল। বেশ কয়েকটা প্রোফাইল পিকচার দেখার পর ওর চোখে একটা চেনা মুখের ছবি পরলো। আরো ভালো করে দেখার পর অমিত নিশ্চিন্ত হলো যে ছবিটা অয়ন ‘ এর। অমিতের ও একটা প্রোফাইল linked in এ রয়েছে। অয়নের প্রোফাইলে ঢুকে অমিত একটা মেসেজ ছেড়ে দিলো , ‘প্লিজ শেয়ার ইউর মোবাইল নম্বর টু ডিসকাস আবউট এ জব ওপেনিং ফর দি পোস্ট অফ ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্ Natural Cosmetics Pvt Ltd.. স্যালারি ইস negotiable।’ এই কোম্পানি তেই কাজ করে অমিত।
ঘুম আসছিলো না অমিতের। আধ ঘন্টার মত হয়ে গেছে। এখনও কোনো উত্তর আসেনি অয়ন এর থেকে। রাত দেড়টা পেরিয়ে গেছে। একটা সিগারেট ধরিয়ে নিল এর মধ্যে। সুখটান শেষ হওয়ার পর অমিত আবার তাকালো ল্যাপটপের দিকে। এবার দেখতে পেলো, একটা উত্তর এসেছে বিদেশ থেকে, ‘ প্লিজ কল মিই অন দিস নম্বর 900 138….।’ মেসেজ পাঠিয়েছে অয়ন। মেসেজ পাওয়ার পর অমিত নিজের সহকর্মী প্রিয়াঙ্কা কে whatsapp এ টাইপ করে পাঠালো, ‘ Hi..’ । ওপার থেকে প্রিয়াঙ্কা ও উত্তর দিল, ‘ ঘুমাস নি এখনও?’
পরদিন সকালে অফিসে অমিত আর প্রিয়াঙ্কা বেশ আগেই পৌঁছে গেছিলো। প্রিয়াঙ্কা ও নতুন জয়েন কোন করেছে কোম্পানিতে অমিতের সাথে, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবেই। অমিত গতকালের পুরো ব্যাপারটা প্রিয়াঙ্কাকে জানিয়েছিল WhatsAppএ। প্রিয়াঙ্কা এরকম ভালো কাজে যোগ দিতে একবারে রাজি হয়ে গেছিলো। অয়ন কে কল করা হবে প্রিয়াঙ্কার ফোন নম্বর থেকে, কারন ওর ফোন থেকে ইন্টারন্যাশনাল কল করা যায়। সেই সুবিধা প্রিয়াঙ্কা নিজের মোবাইল নম্বরে রেখেছে কারন ওর দাদা থাকে USA তে। অলোক দাও সকাল সকাল নিজের দোকান খুলে ফেলেছে। দোকানের সামনে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা শেষ করার পর, অলোক দার সাথে বাকি দুজন এগোতে লাগলো মনোতোষ বাবুর বাড়ির দিকে। এক তলা র বাড়ি, বেশ পুরনো, দেওয়ালের রং অধিকাংশ উঠে গেছে। ডোর বেল বাজিয়ে অলোক দা ডাকলো, ‘ কাকু, বাড়িতে আছেন নাকি? আমি অলোক।’ গলা চিনতে পেরে মনোতোষ বাবু দরজা খুললেন। অলোক দা নিজের ডান হাত টা অমিতের দিকে উদ্দেশ্য করে বললো, ‘ কাকু, কাল আপনি নিজের ছেলেকে ফোন করার জন্য এনাকে অনুরোধ করেছিলেন….মনে আছে? আজ এসেছেন ফোন করার জন্য।’ মনোতোষ বাবু কিরকম একটা ভ্যাবাচ্যাকা মুখ করে অলোক দার দিকে তাকিয়ে রইলো।
অলোক দা সবাইদের নিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকলো, তারপর ড্রইং রুমে রাখা একটা টেবিলের পাশে এসে দাঁড়ালো। শুধু মনোতোষ বাবু একটা ছেঁড়া সোফায় বসলেন। অমিত রাত্রে পাওয়া অয়ন এর ফোন নম্বর টা প্রিয়াঙ্কা কে জানালো। প্রিয়াঙ্কা নিজের মোবাইল এ নম্বরটা ডায়াল করে ফোনের লাউডস্পিকার চালু করে দিলো। মনোতোষ বাবু এখনও সেই ভ্যাবাচ্যাকা চাহনি তেই তাকিয়ে রয়েছেন সবার দিকে। লাউডস্পিকারে শোনা গেলো ওপাশের ফোন বাজার আওয়াজ। কয়েকবার ফোনটা বাজার পর, একজনের গলার স্বর শোনা গেলো, ‘হ্যালো।’ গলা স্বর শুনে মনোতোষ বাবু দাড়িয়ে পড়লেন সোফা থেকে। আস্তে আস্তে এগিয়ে এলেন প্রিয়াঙ্কার ফোনের দিকে, যেনো চেনা এক আওয়াজ ওনাকে কাছে টানছে। ওনার মুখে আর মনে আশা, হাতে রয়েছে চোখের চশমাটা, ছলছল করা দুটো চোখ আর রয়েছে ওনার গালের ওপরে গড়িয়ে পড়া চোখের জল। ফোনের কাছে এসে কাঁপা স্বরে ভালোবেসে ডাকলেন, ‘ বুবুন!’ কোনো উত্তর বা কথা নেই কয়েক সেকেন্ডের জন্য। মনোতোষ বাবু আবার ডাকলেন, ‘ বুবুন…’। এবার উত্তর এলো কাঁদো গলায়, ‘ বাবা!’ মনোতোষ বাবু আর চেপে রাখতে পারলেন না। বাচ্ছা দের মত কাঁদতে লাগলেন আর অন্য সোফায় বসে পড়লেন। অয়ন কে ও কাঁদতে শোনা যাচ্ছে। প্রিয়াঙ্কার আর অলোক দার চোখ থেকেও একটু করে জল পড়তে শুরু করেছে বাবাকে দেখে আর ছেলেকে শুনে।
‘কেমন আছিস বুবুন?’
‘ভালো নেই বাবা, তোমাকে ছেড়ে থাকতে পারছি না আর। তোমাকে তিন বছর একলা ফেলে রেখে এলাম, কন্ট্যাক্ট ও করিনি এতদিন, জানাইনি যে আমি বিয়ে করেছিলাম এখানকার এক মেয়েকে। শাস্তি পাচ্ছি বাবা, এসব অন্যায়ের শাস্তি আমি পাচ্ছি।’
‘ কেনো রে, কি হলো তোর? ‘ ঘাবরে জিজ্ঞেস করলেন মনোতোষ বাবু।
‘ আগের বছর আমার স্ত্রী আমাকে ছেড়ে পালিয়ে গেছে বাবা…পালিয়ে গেছে’, কান্না থামলো না ছেলের,’ মা যেমন আমাদের সাথে করেছিল, ঠিক সেটাই হোয়েছে আমার সাথেও। এখন আমি এখানে একদম একলা, ঠিক তুমি যেমন আমাদের অন্যায়ের জন্য একলা হয়ে গেছো। শাস্তি ভোগ করছি বাবা’।
মনোতোষ বাবু – ‘ তুই এখানে তাহলে চলে এলি না কেনো এতদিনে?’
অয়ন বললো, ‘ আমি লজ্জিত বাবা। প্রচণ্ড লজ্জিত। তোমাকে ফোন করার সাহস পাইনি, ফিরে আসবো কোন মুখে?’
‘ এরকম বলিস না বুবুন, ফিরে আয়। তোকে নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। যা হওয়ার হয়ে গেছে। ভুলে যা ওসব। তুই শুধু ফিরে আয়। মরার আগে তোকে একবার দেখতে চাই।’
অয়ন – ‘ ওরকম বলো না বাবা…আমি আসছি, ফ্লাইটের টিকিট এখুনি কেটে নেবো পরের সপ্তাহের জন্যই। আমি আসছি ফিরে।’
ফোন রেখে দেওয়া হলো। মনোতোষ বাবু যেনো বিশ্বাস করতে পারছেন না যে তার ছেলে ওনার সাথে অবশেষে কথা বলেছে। হাত জোড় করে ঘরের বাকি তিনজন দের ধন্যবাদ জানালেন।
পরের সপ্তাহে অলোক দার দোকানে যখন অমিত আর প্রিয়াঙ্কা একসাথে চা খাচ্ছিল, তারা দেখতে পেলো মনোতোষ বাবু একজন জোয়ান ছেলের পাশে গল্প করতে করতে হাটছেন। দুজনের মুখেই আনন্দ ভরা হাসি। অলোক দা পাশ থেকে বললো, ‘ ওই যে অয়ন।’ বাবা আর ছেলে এগিয়ে এলো দোকানের দিকে। মনোতোষ বাবু তিনজনের দিকে আঙুল দিয়ে ইশারা করে অয়ন কে বললেন, ‘ এরা সেই লোকগুলোই ।’ অয়ন সামনে এসে অমিতের হাত দুটো ধরে জানালো ,’ থ্যাংক ইউ সো মাচ।’