নিঃসঙ্গ বিকেল

“সন্ধ্যা”

“সন্ধ্যা ভাব”

পিছ থেকে ছোট পায়ের দৌড়ানোর

একটা আওয়াজ পাওয়া গেল কিন্তু হিমেল তা শোনার মতো নয়। কারন কানের হেডফোনের আওয়াজে

বাইরের কিছুই শোনা যায় না। সূর্য্যকে ডুবতে দেখে দীর্ঘ একটা নিশ্বাস ছাড়ে হিমেল। পশ্চিমেই তাকানো আর রেলিংটার উপরে হাত

দুটো দেয়া।

কেও একজন হিমেলের ডান পা দু হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে নিয়েছে।এতক্ষনে ধ্যান ভাজ্ঞল হিমেলের। নিচে তাকাতেই পায়ের পিছ থেকে চাদের মতো একটা হাসি ফুটে উঠল। তা দেখে হিমেলও একটা মুচকি হাসি দিয়ে উঠল। কান থেকে হেডফোনটা

নামিয়ে কষে ধরা হাতটা ছাড়িয়ে নিল হিমেল। হাতটা ছাড়াতেই মুখটা ঘুড়িয়ে চলে যেতে লাগল। পিছে ঘুরতেই হিমেল ঝাপটি মেরে ধরে

জিজ্ঞাস করতে লাগলঃ

>কি হয়েছে মামুনি। পাপার সাথে কি রাগ করেছ?

হিমেল যার সাথে কথা বলছে সে তার ৫ বছরের মেয়ে তানহা।

তানহা মুখটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেয়।

হিমেল হাসতে হাসতে আবার জিজ্ঞাস করেঃ

>বলনা মামুনি কি হয়েছে?

তানহা হিমেলের কাছ থেকে হাতটা ছাড়িয়ে আমতা আমতা করে বলেঃ

>তোমার সাথে কথা বলবনা।

>কেনো মামুনি?

তানহা পাকামো ভাব ধরে বলেঃ

>তুমি পচা। ঘুম থেকে উঠে একাই ছাদে চলে এসেছ।

হিমেল দাত বের করে হাসতে হাসতে বলেঃ

>কেনো মামুনি?তুমি কি ভয় পেয়েছ?

তানহা একটু রাগি ভাব করে বলেঃ

>না। আমি সাহসী মেয়ে। আমি ভয় পাই না।

>ও তুমি তো পাপার সাহসী মেয়ে আমি ভুলেই গিয়েছিলাম।

ভাবনা চোখ কুচকে বলেঃ

>আবার আজ আমার Birthday তুমি আমাকে চকলেটও 🍫 দাওনি। তোমার সাথে কথা নেই।

হিমেল জ্বিহে কামড় দিয়ে কানে ধরে বলেঃ

>সরি মামুনি আমি ভুলেই গিয়েছি। মাফ করে দাও।

তানহা রাগ ভেজ্ঞে বলেঃ

>ঠিক আছে। কিন্তু আমার চকলেট দাও।

হিমেল দাড়িয়ে গিয়ে তানহাকে বলেঃ

>পকেটে একটা যাদুর রাজ্য আছে ওখানে হাত দাও পেয়ে যাবে।

কথাটা শুনে ততক্ষনাক পকেটে হাত দেয় তানহা। আর পকেটে থাকা চকলেট গুলি নিয়ে খুশিতে লাফাতে থাকে।

আর হিমেল বলে উঠেঃ

>হ্যাপি বার্থডে মামুনি। এখন খুশি তো?

তানহা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দেয়।

তারপর হিমেল তানহাকে কোলে নিয়ে পশ্চিমের আকাশে চেয়ে মনে মনে বলেঃ

দেখেছ।তোমার মেয়ে কত বড় হয়ে গেছে। আজ ওর ৫ বছর হলো। ও সম্পুর্ন তোমার মতো, রাগ করে থাকতেই পারে না।

সূর্য সম্পুর্ন ডুবে গেছে। সন্ধ্যা হয়ে গেছে। তাই হিমেল তানহার সাথে কথা বলতে বলতে নিচে চলে যায়। আর শেষ হয়ে আরেকটা “নিঃসঙ্গ বিকেল”।

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত