ভার্চুয়ালের প্রেম

অনেক সুন্দর একটা প্রোফাইল পিক দেয়া একটি মেয়ের আইডি পেলো আরিয়ান, তারপর রিকুয়েস্ট পাঠালো, অনেক দিন হয়ে গেলে রিকুয়েস্ট টা এক্সসেপ্ট করছেনা মেয়েটা,,তারপর মেসেজ দেয়া হলো তাও এক্সসেপ্ট করছেনা,,কি করা যায় ভাবছে আরিয়ান,, ১ মাস পর হয়ে যায়,, হঠাাৎ একদিন দেখা গেলো নোটিফিকেশন এসেছে, মেয়েটা আরিয়ানের রিকুয়েস্ট এক্সসেপ্ট করছে,,.

আরিয়ান সাথে সাথে মেয়েটাকে মেসেজ দিলো
আরিয়ান:— হাই,, কেমন আছেন? আর এতদিন আমার রিকুয়েস্ট টা এক্সসেপ্ট করেন নি কেনো?
মেয়ে:— ভালো আছি,,, এমনি করিনি, আপনি কেমন আছেন?
আরিয়ান:— ও ভালো তা কি করেন?
মেয়ে:— কিছুনা, আপনি?
আরিয়ান:— সেম, কিসে পড়েন?
মেয়ে:— inter 2 nd year, আপনি?
আরিয়ান :— মাস্টার্স কম্পলিট করে জব খুজচ্ছি ,
মেয়ে:— ও গুড,,
আরিয়ান :— কোথায় থাকেন?
মেয়ে:— বাংলাদেশ আপনি?
আরিয়ান:— আরে বাবা সেটা তো যানি আপনি যে বাংলাদেশি,,
মেয়ে:— হি হি হি,,আমি ঢাকা থাকি আপনি?
আরিয়ান :— আমিও, ঢাকা থাকি,,,

অনেক কথা হয় দুজনের মাঝে,,, এমন করেই প্রতিদিন কথা হতো,, দুজন দুজনকে ছাড়া জেনো কিচ্ছু বুঝেনা।।
সকালে গুড মর্নিং রাতে গুড নাইট,, এই ড্রিম সেই ড্রিম এরকম কত কিসের ড্রিম যে দেখার কথা বলা বলি হতো তাদের মাঝে তারা নিজেরাও জানেনা।

একদিন আরিয়ান মেয়েটাকে বলে,
আরিয়ান:— তোমার একটা পিক দিবা?
মেয়ে:— ওকে,,

কিছু না ভেবেই নিজের পিক দিয়ে দিলো,,
পিক দেখে আরিয়ান, অনেক কিছুই বলে,,

আর কিছুদিন চলে কেটে যায়,,আরিয়ান মেয়েটাকে প্রপোজ করে,,সুন্দর করে প্রপোজাল লেটার লিখে,,এমন ভাবে লিখে জেনো যে কনো মেয়ে এটা পরলেই প্রেমে পড়তেই হবে,,
সেই মেয়েটার বেলায় ও তাই হলো মেয়েটা আরিয়ানের প্রেমে পড়ে গেলো,
দিন রাত সারাক্ষন অদের মাঝে কথা হয়,,
মাঝে মাঝে কিস ইমুজি লাভ ইমুজি, এগুলা যেনো কমন হয়ে গেছে তাদের মাঝে,,,
এমনি একদিন চেটিং হচ্ছে দুজনের মাঝে
আরিয়ান:— আচ্ছা জানু তুমি কি আমাকে বিশ্বাস কর?
মেয়ে:— নিজের চাইতে বেশি,, হঠাৎ এই কথা কেনো বলছো?
আরিয়ান:— এমনি. আচ্ছা আমি যদি তোমার কাছে কিছু দাবি করি তুমিকি আমাকে তা দিবে?
মেয়ে :— একবার বলেই দেখো নিজের জিবন টা দিয়ে দিবো তোমার জন্য,,
আরিয়ান:— না না জানু আমি তেমন কিছু চাইনা আমি শুধু তোমাকে,নিজের করে পেতে চাই
মেয়ে:— হুম। তো বলো কি চাও আমার কাছে?
আরিয়ান:— যদি বলি তোমার অস্লিল ছবি চাই। তুমি দিতে পারবা আমাকে?
মেয়ে:— এটা কেমন কথা? আর এ কেমন চাওয়া তোমার? আমার যা আছে সবই তো তোমার? এর এটা দেখার কি আছে?
আরিয়ান:— না কিছুনা বাদ দাও,, বাই পরে কথা হবে।।
(সেড ইমুজি দিয়ে মেসেজ টা দেয়া হলো)
মেয়ে :— তুমি কি রাগ করলে?
আরিয়ান:— নাহ। রাগ করিনি,, তবে এটাই বুঝেছি তুমি আমাকে এখনো বিশ্বাস করতে পারনি তাই আমার চাওয়ার মুল্য ও দাওনি,, (আবারো সেড ইমুজি)
মেয়ে:— আরে না না তা হবে কেনো? আমি তোমাকে নিজের চাইতে বেশি বিশ্বাস করি,,আচ্ছা দাড়াও দিচ্ছি বাট প্লিজ পিক টা ডিলিট করে দিবা বলো,
আরিয়ান:— হাসির ইমুজি দিয়ে.. অকে জানু প্রমিজ করছি দেখেই ডিলেট করে দিবো,, লাভ ইউ বেবি,,
মেয়ে:— হুম। লাভ ইউ টু বাবু।।

মেয়েটা পিক টা দিয়ে দিলো, আরিয়ান মেয়েটাকে বলে পিক ডিলিট করে দিয়েছে
কিন্তু সত্যি কথা হলো আরিয়ান পিক ডিলিট না করে উল্টো সেভ করে রেখে দেয়,,
এখন একদিন দুদিন পর পর এরকম অস্লিল পিক আদান প্রদান করা হয়,,,

এমন করে ৬ মাস কেটে যায়।
হঠাাৎ আরিয়ানের মেয়েটার প্রতি ভাললাগাটা কমতে শুরু করলো,,
মেয়েটা সেটা বুঝতে পারে,,
আরিয়ান খুব ভালো করেই জানে মেয়েটা তার ফ্যামিলি কে অনেক ভালবাসে আর ফ্যামিলির জন্য সব কিছু করতে পারে,,
তাই আরিয়ান মেয়েটার উইক পয়েন্ট হিসাবে তার ফ্যামিলিকেই টার্গেট করে,,
একদিন রাতে আরিয়ান আর মেয়েটার মাঝে কথা হচ্ছে,,

আরিয়ান:—- আমি জানি তুই তোর ফ্যামিলির জন্য সব কিছু করতে পারিস। তাই তুই যদি চাস আমি তোর অস্লিল পিক গুলো তোর ফ্যামিলি বা তোর বন্ধুদের না দেখাই তাহলে আমি যা বলবো তা তোকে করতে হবে।
মেয়ে:— মানে কি? কি বলছো এগুলা? আর তুমিকি পিক গুলো ডিলিট না করে রেখে দিয়েছো?
আরিয়ান:—- হা হা হা।। তুই সত্যি একটা পাগল, কোনো মেয়ের অস্লিল পিক যদি কোনো ছেলে পায় সেটা ডিলিট করে দিবে তুই ভাবলি কি করে? তোর অনেক অস্লিল পিক আমার কাছে আছে, দাড়া দেখাচ্ছি তোকে,,

এটা বলে কিছু পিক মেয়েটাকে দিলো আরিয়ান,,
মেয়ে:— এগুলা কি আরিয়ান? আমি তো তোমাকে বিশ্বাস করে ভালবেসে এগুলা দিয়েছিলাম, আর তুমি আমার সাথে এমন টা করছো?
আরিয়ান:— ভালবাসা আর তোকে? হা হা হা।।
শোন কালকের মধ্যে আমাকে ২০ হাজার টাকা না দিস
তাহলে আমি তোর পিক গুলো নেটে ছেড়ে দিবো,, তারপর তোর কি হবে তুই বুঝতেই পারছিস,,
মেয়ে:— কি বলবো তোকে বুঝতে পারছিনা,, আরে আমি তো তোকে ভালবেসেছিলাম। তাই তোর চাওয়াটা নিজের ভেবেছিলাম তাই তুই যা বলতি আমি তাই করতাম,, তুই কি চাস বল??
আরিয়ান:— বেশি কিছুনা আপাতত ২০ হাজার টাকা হলেই হবে,,
মেয়ে:— ২০ হাজার না তোকে আমি ২০ লাখ দিবো আমি কোথায় আসতে হবে বল,
আরিয়ান:— ২০ লাখ লাগবেনা ২০ হাজারই দে, ০১৭******** এই নে এটা বিকাশ নাম্বার, কাল সকালে পাঠিয়ে দিবি,,ওকে?
মেয়ে:— টাকা দিলে কি তুই আমার পিক ডিলিট করে দিবি?
আরিয়ান :— হুম ডিলেট করে দিবো
মেয়ে:— কি করে তোকে বিশ্বাস করি বল? পিক নেয়ার সময়ও একি কথা বলেছিলি,,
আরিয়ান:— আমাকে বিশ্বাস করা ছাড়া তোর অ্ন্য কনো
উপায় ও নেই,, তাই তুই ভেবে দেখ কি করবি?
মেয়ে:— হুম,, ওকে কাল সকালে আমি কলেজে যাওয়ার সময় টাকা টা পাঠিয়ে দিবো, আর হ্যা, যদি মানুষ হয়ে থাকিস তো পিক গুলো ডিলিট করে দিস,,বাই,,

কথা টা বলে মেয়েটা ডাটা অফ করে দিলো,,
পরের দিন সকালে টাকা বিকাশ করে দিলো
মেয়েটার বাবার অনেক টাকা আছে বলে ২০ হাজার টাকা দিতে প্রব্লেম হলোনা,,

কিছুদিন চলে যায় মেয়েটা আর আগের মতো নেই আর থাকবেই বা কি করে? মেয়েটা সারাক্ষন তার পরিবারের কথা আর বাবার প্রেস্টিজের কথা ভাবে,,
অনেক দিন কেটে যায়, প্রায় ৬ মাস, মেয়েটা আর ফেসবুক ইউস করেনা,,
আরিয়ানও আর কোন মেসেজ বা ফোন করেনি এর মাঝে হঠাাৎ একদিন মেয়েটার মোবাইলে আরিয়ানের মেসেজ,,
মেসেজ টা ছিলো এরকম,,
দেখো, আমার টাকার অনেক প্রব্লেম আমার কিছু টাকা লাগবে আর হ্যা প্রমিস করছি এবার তোমার পিক আমি ডিলেট করে দিবো,,
মেয়ে:— আর কতো টাকা চাস তুই বল।।
আরিয়ান:— খুব বেশিনা, আগে ২০ হাজার দিয়েছিস। এবার ৮০ হাজার দে , তাহলে তুই মুক্তি পাবি।।
মেয়ে:— আমার কাছে এতো টাকা নেই ১০ হাজার আছে এটা লাগলে বল আমি পাঠিয়ে দেই,,
আরিয়ান:— হা হা হা।।হাসালি তোর কাছে টাকা নেই তো কি হয়েছে? তোর বাবার কাছে তো আছে তার কাছ থেকে নে।।
মেয়ে:— তুই কি পাগল? বাবার কাছে এতো টাকা চাইলে বাবা আমাকে দিবেনা,,,
আরিয়ান:— দেখ আমি এতো কিছু জানিনা আর জানতে ও চাইনা তোকে আমি ৭ দিনের সময় দিলাম। হয়তো টাকা দিবি নয়তো আমি যা বলেছি তাই করবো।
মেয়ে:— তুই বুঝতে পারছিস না কেনো? আমার পক্ষে এতো টাকা দেয়া সম্ভব না,,

আরিয়ান কোন রিপ্লে দিলোনা,,
৬ দিন কেটে গেলো মেয়েটা ৩০ হাজার টাকা মেনেজ করেছে,
আর পারবেনা বলে মেয়েটা নিজেই আরিয়ানকে মেসেজ দিলো
মেয়ে :— আরিয়ান। আমি অনেক চেস্টা করে ৩০ হাজার টাকা মেনেজ করতে পেরেছি,,আমি এর বেশি আর পারছিনা,,
আরিয়ান:— আমি জানিনা কিছু কালকের দিনটাই তোর হাতে আছে,,ভেবে দেখ কি করবি..
মেয়ে:— সত্যি আমার কাছে আর নেই,,,

আরিয়ান রিপ্লে দিলোনা,,
পরের দিন মেয়েটার মোবাইলে আরিয়ানের মেসেজ..
আরিয়ান:—- তুই কথা রাখিস নি তাই আমিও রাখবোনা, কাল সকালেই তোর পিক আমি নেটে ছেড়ে দিবো,,,

এবার মেয়েটা রিপ্লে দিলোনা,, কারন মেয়েটা ভেবে নিয়েছে কালকের সকাল সে আর দেখবেনা,,
তাই মেয়েটা নিজের রুমেই সুইসাইড করে,, ফ্যানের সাথে ফাসি দিয়ে,,,
আরিয়ান খবর টা পায়,,,
আরিয়ানও পিক গুলো নেটে ছাড়েনা,, আর ছেড়েই বা কি হবে?
আর কাকেই বা ব্ল্যাকমেইল করবে? কার কাছ থেকে টাকা নিবে? এগুলা ভাবা ছাড়া আরিয়ানের আর কোন কাজ নেই,,

কি ভুল ছিলো মেয়েটার? নিজের চাইতে বেশি বিশ্বাস করেছিল আরিয়ানকে এটাই কি মেয়েটার ভুল? নিজের চাইতে বেশি ভালবেসেছিল আরিয়ানকে এটাই কি মেয়েটার ভুল??

গল্প টা এখানেই শেষ…,

এমন ঘটনা আমাদের অনেকের সাথেই হতে পারে,,
এমন কি আমার চেনা জানা অনেকের সাথে এমনটা হয়েছেও, ,,, তাই সবাইকে বলছি স্পেশালি মেয়েদের,, ভালবাসা মানে এইনা যে নিজের সব কিছু বিলিয়ে দিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে,, ভালবাসি বলেই যে ভালবাসার মানুষের মন রক্ষা করার জন্য নিজের জিবন বাজি রাখতে হবে,,
কিছু করার আগে ১০ বার ভাবুন। যা করছেন সেটা ঠিক করছেন কিনা,,

ভালবাসা এমন এক নাম যা কখনো প্রকাশ করা যায়না,
যেই ভালবাসা ভাষায় প্রকাশ করা যায়না, সেই ভালবাসাকে আমরা যদি কারো জিবন নস্ট করার অস্ত্র মনে করি,
তাহলে আমার জিবনে জেনো এমন ভালোবাসা কখনই না আসে,

আর পারবো না কিছু লিখতে,আর পারছিও না লিখতে,,
গল্প টা যদি ভালো লাগে তাহলে লাইক কমেন্ট না করে গল্প টা শেয়ার করবেন প্লিজ,, রিকুয়েস্ট রইলো সবার কাছে যারা আমার লিস্টে আছেন। বা যারা গল্পটা পড়ছেন,,
কে জানে আপনার একটা শেয়ার হয়তো একটা মেয়ের জিবন বাঁচিয়ে দিবে,,,, আশা করি গল্পটার কথা গুলি নিয়ে সবাই একটু ভাব্বেন,,

,,,,,,, পুরো গল্পটা কাল্পনিক,,,