এইযে এদিকে
– আমাকে বলছেন ?
– জ্বী ! আপনার নাম রানা না ?
– জ্বী ! আপনি কিভাবে জানেন ?
– আমিতো আপনাকে দেখেই চিনেছি ! আমি নিশি !
– চুয়িট নেম !
কিন্তু আপনারে আমি চিনি না !
– ফাজলামি করেন !
আরে আমি আদ্রিতা নিশি
– বাহ এটা আরো চুয়িট নেম !
কিন্তু
এই নামে কাউকে আমি চিনি না !
– দেখেন ফাজলামি করবেন না ! আমি কিন্তু এখন
চলে যাবো !
– খাবার অর্ডার দিছেন কিছু ?
– দিয়েছি ! এবার বলেন আপনি মোঃ ফেরদৌস রানা না ?
– জ্বী আপনি ঠিক ধরেছেন !
– তাহলে এতক্ষণ ফাজলামি করতেছিলেন কেন ,?
– আপনার নিজের উপর কতো কনফিডেন্স আছে
দেখলাম !
– দেখা হয়ে গেছে ?
– জ্বী !
– এবার চলেন
– কই যাবো ?
– পালাবো আরকি !
– কি করবেন ?
– পালাবো
– কি ?
– পালাবো !
– বাসায় জানে ?
– পাগল নাকি বাসায় জানবে কীভাবে ! বাসা
থেকেতো আমাকে ঐ খ্যাত লোকটার সাথে
বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিলো !
– কোন খ্যাত লোক ?
– ঐযে আপনাকে ফেসবুকে
বললামনা সাব্বির না কি যেনো নাম !
– সাব্বির সাহেবের সমস্যা কি ? ভোটকা ? মাথায় টাক ?
– আরে নাহ ! আমিতো উনারে দেখেইনাই ! নাম
শুনেইতো খ্যাত খ্যাত লাগে ! আব্বু জোর করে
ঐব্যাটার নাম্বার ফোনে সেভ করে দিছে !
– নজরুল সাহেবের নিক নেম ছিলো দুখু মিয়া
শুনতে পুরাই খামার খামার লাগে তারপরেও স্মার্ট
জেনারেশানের পোলাপান উনার গানরে রেপ
করে শুনি !
– স্কিউজ মি ! কাকে রেপ করে ?
– কাকে রেপ করবে ?
– আপনিযে মাত্র বললেন
– আরে আমি রেপ গানের কথা বলছি ! রেপ গান
চিনেন না ? ধরেন কেউ যদি আপনার পিঠে পিস্তল
ঠেকিয়ে বলে হারামজাদা গান গা
গান বন্ধ হইলেই তুই খতম !
তখন আপনি যে গান গাইবেন সেটে হলো
রেপ ! যেমন
তোরাসবজয়ধ্বনিকরওনতুনেরকেতনউড়েক
ালবৈশাখিঝড়তোরাসবজয়ধ্বনিকর
– এটা রেপ গান ?
– হেঁ ! আর মাঝখানে পিস্তলের গুতা খেয়ে
ইয়ো ইয়ো করলেই রেপ হয়ে যাবে !
– ফেসবুকে আপনাকে দেখে বুঝা যায়না আপনি
এতো কথা বলেন
– আপনি আমাকে ফেসবুকে কোন গলিতে
দেখছেন ?
– আরে প্রো পিক দিছেন না ! পিছনের দিক হলে
কি হইছে আমি ঠিক আপনাকে চিনে ফেলেছি !
– বাহ আপনার বুদ্ধিতো চরম ! একবারে সেই
লেভেলের ! পিছন দিকের ছবি দেখে সামনে
দিয়া চিনে ফেলছেন !
– চলেন যাবেন না ?
– খেয়ে যাই ?
– আচ্ছা আমি বললাম আর আপনি চলে আসলেন আমার
ঠিক বিলিভ হচ্ছে না !
– আপনার নখ কাটা আছে ?
– জ্বী কেনো ?
– নখ কাটা থাকলে একটা চিমটি দিয়ে দেখতেন
তাহলে বিলিভ হইতো !
নখ বড় থাকলে দেয়ার দরকার নাই
– সেটার দরকার নাই !
– আচ্ছা বলেন তো আপনার সাথে আমার কয়দিন কথা
হয়েছে ?
– এইতো গত সাপ্তাহে আপনাকে নক দিলাম !
আসলে গতকালকে রাত্রে আব্বুর সাথে ঝগড়া
করেই আপনাকে ম্যাসেজ দিয়ে বলেছিলাম
এখানে দেখা করার জন্যে !
আমি ভাবছি আপনি আসবেন না ! তারপরেও রিস্ক
নিলাম !
– আমি এখন পর্যন্ত যতগুলো নিশি নামের
মেয়েকে চিনি তাদের সবাইর মাথার তার দুই চারটা
ছিঁড়া !
– তাই নাকি ! কয়জন নিশিকে চিনেন আপনি ?
– আপনি সহ একজন !
– হিহিহি ! আমার কিন্তু সত্যি মাথার তার ছিড়া উল্টাপাল্টা কিছু
বললে কামড়ায়ে দিবো !
– আগে কাউকে কামড়াইছেন ?
– অনেক জনকে !
– তাদের জলাতংঙ্ক রোগ হইছে ?
– না !
– তাহলে ঠিকাছে !
– আচ্ছা আপনিতো আমাকে ফেসবুকে
দেখেছেন তারপরেও চিনেন নাই কেনো ?
– আপনাদের মেকআপ বহুত কাজের একটা জিনিস !
এটার কারণে মেয়েদেরকে একদিন ইংল্যান্ডের
রাণী ভিক্টোরিয়ার মতো লাগে তো আরেকদিন
আমেরিকার রাণী মিশেল ওবামার মতো !
– আমাকে আজকে কেমন লাগছে ?
– থাপ্পর প্রুফ মেকআপ চিনেন ?
– নাতো !
– এই মেকআপ করলে আপনারে কেউ থাপ্পড়
দিলেও গালে লাগবেনা সব আটা ময়দার উপর দিয়া
যাবে !
– এইযে মিস্টার আপনি কিন্তু আমাকে ইনসাল্ট
করতেছেন ! আমি কিন্তু এতো মেকআপ করি না !
আমি এমনিতেই অনেক সুন্দর !
পারলে গালে হাত দিয়ে দেখেন !
– গালে হাত দিলে সাব্বির সাহেব যদি রাগ করে !
– সাব্বির রাগ করবে কেনো !
– যদি কর ?
– করলে করবেবে ! খাবার এসে গেছে আপনি
এখন খেয়ে বিদায় হোন ! কালকে ঠিক সন্ধ্যা
সাতটায় এখানে থাকবেন পালানোর জন্যে রেডি
হয়ে ঠিকাছে ?
– ঠিকাছে !
-?আপনার নাম্বারটা দেন তো !
– নাম্বার দিয়ে কি করবেন ?
– আরে পালানোর প্ল্যাণিং করতে হবে না
ফোনে ! বেকুব কোথাকার !
– একটা মেয়ে একটা ছেলের কাছে নাম্বার চাইবে
এটা ঠিক মিলে না !
– তাহলে আপনি আমার নাম্বার নেন ০১৯৪১
– নিয়েছি !
– এবার ফোন দেন
– কেনো ?
– যাতে আপনার নাম্বারটা আমি পাই ! চেয়ে
নিতেতো খারাপ লাগে !
– বাহ কি বুদ্ধি আপনার !
– দেখেছেন ঐব্যাটা কতো হারামী আমাকে
কল দিচ্ছে
– কোন ব্যাটা
– ঐযে সাব্বিররা ! আব্বু আমার নাম্বারটা দিয়ে দিছে
মনেহয় !
– আহালে !
– আপনি কল দিচ্ছেন না কেনো !
– দিচ্ছি তো
– কই দিচ্ছেন ? আমি দেখতেছি সাব্বির কল দিচ্ছে
– ঠিক দেখেছেন ! সাব্বিরই কল দিচ্ছে !
– সাব্বির ক ও মাই গট ! ও মাই গড ! আচ্ছা আপনিই সাব্বির
না তো
– আমারতো তাই মনে হচ্ছে !
– ত্তা ত্তাহলে ব্যপারটা কি হলো ? আপনিই সাব্বির
আপনিই রানা
– জ্বী ! আসলে হয়েছে কী
– ওয়েট , আমি গেস করতে পেরেছি
আপনি প্রথমে নিল আহমেদ রানা নাম দিয়ে ফেসবুকে
আমার সাথে কথা বলেছেন ! দেন আপনিই আব্বুর
কাছে বিয়ের প্রপোজাল পাঠাইছেন ! এম আই রাইট
– হাফ চামচ ভুল হইছে ! বিয়ের প্রপোজাল আমি
পাঠাই নাই ! আম্মু আমার আইডিতে আপনার ছবি
দেখে পছন্দ করেছে ! তারপরে আপনার আব্বার
কাছে প্রপোজাল পাঠাইছে !
– ইউমিন আপনার আম্মু আপনার আইডিও চালায়
– আই মিন আমাদের আম্মু আমাকেও চালায় !
– আমাদের আম্মু মানে
– আপনার আমার = আমাদের !
– আমার আম্মু কেনো হতে যাবে ?
– কারণ বিয়েটা হচ্ছে !
– আপনি কিভাবে জানলেন ?
– আমার আম্মুকে আপনি চিনেন না ! উনি আপনাকে
পছন্দ করেছেন মানে আপনাকে বিয়ে করতেই
হবে
– আমি কিন্তু রান্না পারি না !
– আমার অনেক দিনের শখ একজন রান্না না পারা
মেয়েকে বিয়ে করবো !
– কেন ?
– বিয়ের পর আম্মু বউকে রান্না শেখাবে !
ভাবতেই আনন্দ লাগতেছে
– সো সুইট ! আমি রাজী !
– আমিও
বিয়ের পর আম্মু বউকে রান্না শেখাবে !