পাগলী মেয়েটা

পাগলী মেয়েটা

একদিন সকালে মুকুড বন্ধু কল দিলো
—হ্যালো কি (আমি)
—কই তুই (মুকুড)
—বাসায় কেনো
—আমি তোর বাসার সামনে দুই মিনিটে নিচে নাম।
—দোস্তো ২মিনিট দাড়া ৫মিনিটে নামতাছি।
—আয় আয়
টু টু টু টু টু
পড়ে রেডি হয়ে নিচে গেলাম

অতএব, মুকুড দেখি লাড্ডু খাইতাছে ওই তো লাড্ডু পাগলা। আমি ওর কাছে যেতেই খাইয়া খাইয়া বলতাছে।
—এই সালা এত দেরি লাগে।(দোস্তো)
—আমি কই দেরি করলাম হুম (আমি)
—ওই তুই ৫মিনিটে নিচে নামবি কথা বলে তুই ৫মিমিট ৩৩সেকেন্ড আইসা।
—ওহ সরি। কি জানি বলবি।
—আমাদের কলেজে একছেলের হেল্প লাগবে পরীক্ষার জন্য!

ওহ বলতে মনে নাই আমার পরিচয়টা শুনেন এখন
আমি নিয়ামত বাপের মায়ের একমাএ আদরে ছেলে
এতো আদর পেতে পেতে বান্দর হইয়া গেছি যেমন ভদ্র তেমনি ফাজিল। এখন ইন্টার ২য় বর্ষে পড়ি।
তো মেয়েটের হাত থেকে ১০০০ হাত দুরত্ব বজায় রাখি এইটাই আমার পরিচয়।
:
—কে ছেলেটা নাম বল (আমি)
—চিনবি না তুই।
—বল না।
—ওকেই আমার সাথে আয়।
—কই যামু হা।
—তোর বউয়ের বাড়ি।
—এই ককককক কি বললি? (তোতলামি করে)
—কিছু না আয়
—ওকে ।
:
পরে ওর সাথে গেলাম দেখলাম আল-আমিন বাড়ির সামনে
—কিরে কার বাসা এইখানে।
—এক মেয়ের
—কি (আমি তো অবাক)
—হ্যা দোস্তো
—আমি যাইগা
—না থাক।
পরে থেকে গেলাম কতখন কথা বললাম প্রায়
১০মিনিট হলো কি কোনো মেয়েকে দেখছি না।
১৫মিনিটে সময় চায়ের দোকানে গেলাম চা পান খেয়ে মুকুডরে বললাম
—কিরে বেতা মাইয়া কই?
—দাড়া ২মিনিট।
আমার আবার তাহসানে গান গুলো প্রিয় তো আমার হেডফোনে তাহসানে আলো আলো গানটা চলতাছে পড়ে নামটা ছিল আতিফ নাম “পেলি দাফা” হিন্দী গান ।
:
কিছুখন পর একমেয়ে আল-আমিনের বাসা থেকে বের হলো এবং মেয়েটা যষ্ঠেট সুন্দরী ছিলো।
যে কোনো ছেলেই তার প্রেমে পড়তে চাইবে।
যা আমি তো ভালো ছেলে এইসব কি ভাবছি।
আপনাদের বলতেই ভুলে গেছি আমার এই পর্যন্ত কোনো মেয়ে বান্ধুবি ছিলো না। তো মুকুড কে বললো যে নিয়ামত কি আসছে?
তার কাছে আমার নাম শুনে আমি তো আরো অবাক।
মুকুড হাতের ইসারা আমাকে দেখায়
আমি ওই সময় সিগারেট খাচ্ছি।
আমার কাছেই এসে দুই গালে আমার ব্যথা ব্যথা অনুভূতি হচ্ছে। কি হলো আমার
—এই সিগারেট খাবা না।(অজানা মেয়েটি)
—জ্বি আন্টি খাবো না।(আমি)
—এই আমি কি তোমার আন্টি লাগি?(আমার কলার ধরে)
—ওহ নো! খালারমা সরি।
—ওই চুপ তুমি করে বলবা।
—পারবো না আমি।
—কেনো পারবা তোমার থেকে তিন বছরে ছোটো মন চাইলে জানু বলতে পারো। কলার ছেড়ে
—কি কি কি আপনাকে জানু বলবো হা!!
—হ্যা এখন তো বললেন।
—কই বললাম।
—কি আমি আপনাকে জানু বলবো হা।(হাসতে হাসতে বললো)
—কি পাগলী মেয়েরে
—হ্যাঁ আমার পাগলের পাগলী।
—কি আজিব মেয়ে

পড়ে বাসায় এসে ৪:০০ পর্যন্ত ঘুম পরে টিউশনি ৪:৩০ মিনিটে আজ নতুন ছাএীকে টিউশনি ১০ম শ্রেনীতে পড়ে কিন্তুু আমার বাবা টাকা আছে কিন্তুু টিউশনি করানো আমার ভালো লাগে তাই করাই।

গেলাম ছাএীর বাসা প্রথমে ছাএীকে দেখে বেহুশ করা মতো অবস্থা। এই তো সেই মেয়ে।
—এই মেয়ে বই খাতা বের করো(আমি)
—আমি এই মেয়ে না আমার তো একটা নাম আছে(মেয়েটা)
—কি নাম হা!
—আমার নাম রিয়া।
—বাহ খুব সুন্দর নাম।
—জ্বি
পরে পড়ানোর শেষের বাসায় ফিরলাম এই ভাবে কিছু দিন কেটে গেলো ।
সত্যি কি বলতে মেয়েটা চাহুনি এবং মেয়েকে মায়াবতী কিন্তুু একটু পাগলী টাইপের হ্যাঁ সাথে থাকতে আমার খুব ভালো লাগতো এক সময় তা ভালোবাসা হইছে কে জানতো।
একজন বলেছেন:- পাগলের জন্য একটি পাগলী থাকে। তার কথাটি সত্যি আমি তো আমি তার পাগলামীতে আমি বেসামাল হয়ে পড়েছি এখন ৩বছর পর আমার নিজের ব্যবসা আছে। রিয়া এখন ২য় বর্ষ ইন্টারে পড়ে ।
এখন আমার ইয়ে রাত কি করে বলবো আমার বাসর রাত। বাসরঘরে ঢুকে রিয়া আমাকে সালাম করলো । পড়ে আমার দুইজনে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে আল্লাহ কাছে দোয়া করলাম আমাদের ভালোবাসা শেষ না হয়। তো এখন রিয়া বিছানা তো আমি তার কাছে গিয়ে বললাম এসো একটু আদর করে দেই হুম
—এই আমার বুঝি লজ্জা করে না।

………………………….সমাপ্ত……………………………..

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত