মেঘের বাড়ি

মেঘের বাড়ি

পার্ক এর একটা ব্রেঞ্চ এ বসে বসে রুটি আর কলা খাচ্ছি। আসলে আমি ঠিক আমার মনের মতো করে চলি।
কারো কোন কথাই আমার কিচ্ছু আসে যায় না, আমি আমার মতো।
– একটু সরেন আমি ও বসবো।
– আরে আরে এত্ত যায়গা থাকতে এখানেই বসতে হবে।
– হুমমমম হবে।
– ওকে বসেন।
– ঐ তোমার নাম কী?
– মাত্র না আপনি করে বলছিলেন, এর মধ্যেই তুমি।
– হুমমমম আমরা তো একই ক্লাসে পড়ি তাই তুমি বললে কোন সমস্যা নাই।
– তা অবস্য ঠিক।
– তো নামটা বলো।
– আমার নাম সাহরিয়া, বাট স্কুলের এক স্যার আদর করে সামনে পান্থ লাগাইছে, সেই থেকে পান্থ সাহরিয়া। তুমি শুধু সাহরিয়া বলতে পারো।
– ও আচ্ছা, আমার নাম শুনবা না।
– হুমমমম জানি তো, তোমার নাম নিধি।
– কেমনে জানো আমার নাম।
– আরে ফাস্ট দিন কলেজে আসতেই রনি নামের একটা ছেলে সতর্ক করে দিছিল।
– তো কী বলছে শুনি।
– তেমন কিছুই না যাতে তোমার সাথে যেন কোন কথা বলার চেষ্টা না করি, আর ধারে কাছে ও না যাই। আর আমি এমনি তে ও কারো ধারে কাছে যাই না।
– হুমমমম এই কয়দিনে বুঝছি সেটা, আচ্ছা তুমি কী সব সময় এমন খ্যাত মার্কা খাবার খাও।
– হুমমমম আমার তো খুব ভাল লাগে।

– আচ্ছা তোমার পছন্দের খাবার কী কী শুনি।
– এই ধরো কলা, রুটি, সন্দেস, কেক, চকলেট, পরোটা, এই গুলোই আর কী।
– এই সব খাবার তোমার পছন্দের ছি।
– হুমমম, আচ্ছা একটা কথা বলি শোন, তোমার কাছে সারুখ, সালমান আপন না তোমার বাবা মা।
– অবস্যই আমার বাবা, মা।
– হুমমমম,, আসলে দামি দাবি হয়তো অনেক খাবার আমার পছন্দের হতে পারে, কিন্তুু বড়জোর আমি কয়দিন খেতে পারব বলো, বছরে হয়তো একদিন খেতে
পারব, কিন্তুু এই গুলো আমার সব সময়ের সঙ্গি, এই গুলো কে ছেরে কেমনে দামি খাবার পছন্দের হয় বলো।
সব সময় যে তোমার সঙ্গে থাকে হোক না সে অদামি কিন্তুু সেই বেশি পছন্দের বুঝলে।

– বাব্বা এত্ত কিছু জানো।
– হুমমমম।
– তো সাহরিয়া তোমার ওখান থেকে কী একটা কলা আমাকে দিবা।
– হি হি তুমি খাবা এই গরিব এর কলা।
– হুমমমম খাব এখন দাও।
– এই নাও ধরো, আচ্ছা তোমার সাথে আমি এখন কথা বলছি আর আমার হাতের কলা তুমি খাইছ, যদি ঐ রনি দেখে ফেলে।
তাহলে তো আমাকে মাইর দিবে।
– আর আমরা কী বসে থাকব হুম আমরা ও মাইব দিব বুঝলা।
– ঐ আমরা মানে কী হুমমমম, আমি এর মধ্যে নাই বলো যে তুমি।
– হুমমমম আমিই মাইর দিব যাও।
– ঠিক আছে এখন তাহলে আমি আসি।
– ঐ রাতে কী খাবা।
– এই তো কলা আর রুটি।
– হি হি আবার খাবা এই সব।
– হুমমমম আমি গেলাম এখন, বলে ওখান থেকে চলে আসছি।

আসলে নিধিরা অনেক বড়লোক তো তাই আমার এই খাবার গুলা ওর কাছে খ্যাত লাগতেছে, দূর যার যেমন লাগে লাগুক আমার কী।
হেঁটে হেঁটে বাসাই আসছিলাম, সামনে দেখি রনি ও আসছে।
মনে মনে একটু ভয় ও পাইতেছি,
– ঐ সাহরিয়া শোন।
– হুমমমম কী।
– তুই কী নিধির সাথে কথা বলছিস।
– আরে না না।
– কথা বলিস নাই তাই না।
– আচ্ছা ভাই শোন আমি বসে ছিলাম ওই আগে আমার সাথে কথা বলতে আসছে।
– তো তুই চলে যবি তুই আবার কলা ও দিছিস, মাথাটা গরম হইতেছেরে ঐ সালারে আচ্ছা মতো মার।
– ভাই দেখ ও চাইছে বলেই আমি দিছিলাম।
– তাই না হারামির বাচ্চা, বলেই মারতে লাগল মুখে একটা ঘুসি মারার সাথে সাথে ঠোঁটটা কেঁটে রক্ত বের হতে লাগল।
এই কুত্তার বাচ্চারে আরো মার বলে একটা লাথি দিছে,দূরে একটা গাছের সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে গেলাম।
মাথাটা কেমন ঝিম ঝিম করছে মাথাই ও লাগছে, হঠাৎ সাহরিয়ার আগে পান্থটা এড হয়ে গেল,
একবার পুরোটা এক হয়ে গেলে পুরো বডি টাই পাল্টে যায়।
সাহরিয়া হচ্ছে খুব নরম সরম আর পান্থটা হচ্ছে পুরাই আলাদা।
যেই গাছের সাথে ধাক্কা লাগছিলাম ওই গাছের একটা ডাল ভেঁঙ্গে হাতে নিলাম।
দেখি ওরা সবাই হাঁসছে, এখন ও পুরো পান্থ সাহরিয়া কে চেনে না।
প্রথমে এক জনের হাত ভেঙ্গে ফেলছি,
পরে এক এক করে সব গুলারে,
হেব্বি ক্যালানি দিছি।
রনি তো দৌড় দিছিল ওরে ও আচ্ছা মতো মেরে রাস্থাই ফেলে আসছি।

– পা টা অনেক ব্যাথা করছে, খুঁরে খুঁরে হাঁটছি।
– সালা হারামি আর একটু আগে আসতে পারলি না।
– চুপ সালা তুই তো সরতেছিলি না নিজেই নিজের মনের সাথে কথা বলছি, বডি একটা কিন্তুু বসবাস দুই জনের।

– পরের দিন ওমন খুঁরে খুঁরে কলেজে গেলাম, হঠাৎ নিধির এসে বলল।
– ঐ তোমার এমন অবস্থা কে করছে।
– আরে কেউ না পড়ে গেছি।
– মিথ্যা বলো তাই না, বুঝছি কে এমন হাল করেছে, দাঁড়াও ওই রনিরে বুঝাইতেছি।
– না না তোমার আর কিছু বুঝাইতে হবে না।
ঐ পোলারে গিয়ে জিজ্ঞেস করো ওই সব বলে দিবে।

– কীরে রনি কই।
– আর বইলেন না আপু কে যেন রনি ভাই আর তার তিন ফ্রেন্ডরে হেব্বি মেরে রাস্তাই ফেলে চলে গেছে।
– ঠিকআছে ভাইয়া তুমি যাও।
– কী দেখলে।
– কিন্তুু কে মারল।
– পান্থ মারছে।
– আরে তোমার নামের আগেই তো পান্থ।
– হুমমমম আমার এক বডি তে দুই জন বাস করে, পান্থ + সাহরিয়া।
সাহরিয়া আমি বাট আমার যখন হেব্বি দরকার পড়ে তখন পান্থ হাজির হয়।

– ওয়াও খুব ভাল তো।
– হুমমমম।
– সাহরিয়া তোমাকে একটা কথা বলার আছে আমার।
– আচ্ছা বলো শুনছি।
– এখানে না অন্য কোথাও।
– ঐ কী বলবা হুমমমম।।
– চলো আগে বলতেছি।
– হুমমমম এবার বলো।
– সাহরিয়া আমি প্রথম যেদিন তোমাকে দেখেছি, সেদিন থেকেই তোমাকে খুব ভাল লাগত। আর রনি ও আমাকে ভালবাসব। তাই সে তোমাকে মারতে গেছিল। আমি তোমাকে সত্যি ভালবাসি সাহরিয়া খুব ভালবাসি।

– দূর এটা হয় না নিধি তোমরা কত বড়লোক আর আমি তো কলা আর রুটি খেয়ে কাঁটাই, তুমি আমাকে ভুলে যাও।
– সাহরিয়া আমার কিচ্ছু লাগবে না শুধু তুমি আমার পাশে থেক।
– না এটা হয় না, বলেই আমি চলে আসছিলাম। হঠাৎ পান্থ এর আগমন।
– ঐ হারামি ওমন একটা কিউট মেয়ে কাঁদছে আর তুই রেখে চলে আসছিস,
আর এক ধাপ দিলে লাথি খাবি।
– না না ভাই যাইতেছি,
গিয়ে দেখি নিধি কাঁদতেছে।
– নিধি আমি ও তোমাকে
ভালবাসি কিন্তুু ভয় হয়, ছেরে যাবে নাতো ।
– যাও না যাও আসলে কেন আবার।
– আরে আসতে চাইনি পান্থ লাথি মারবে সেই ভয়ে আসছি।
– হুমমমম আমি তোমাকে না আজ থেকে পান্থকেই ভালবাসব। বলেই জরাই ধরল।
– হি হি পাগলি যাকেই ভালবাসো বডি তো একটাই।
– হুমমমম পাগল একটা।
– পাপ্পি দাও একটা।
– দিব না যাও।
– দাও না প্লিজ।
– সবাইকে চোখ বন্ধ করতে বলো।
– ভাই আপনারা চোখ বন্ধ করেন না হলে পাপ্পি দিবে না, হি হি হি।।।

সমাপ্ত

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত