চার বছরের প্রেম মায়ার সাথে নয়নের ৷ কিন্তু অাজকে এক ঝটকায় সব শেষ৷বিয়ের অাসরে বসে নয়ন শুধু মায়ার কথায় ভেবে যাচ্ছে৷কি ভেবে ছিল অার কি হলো৷ এমনটা কখনো চায়নি নয়ন ৷ বিয়ে করার বিন্দু মাএ ইচ্ছে নেই৷কিন্তু বাবার মতের উপর কোন কথা বলতে পারে না বলে বাধ্য হয়ে বিয়েতে রাজি হয়েছে৷ এমনকি বিয়ের অাগে হবু স্ত্রীকেও দেখতে দেয়নি নয়নকে৷লোকমুখে শুনেছে মেয়েটাকি কালো দেখতে৷কিন্তু গুনে কাজে নিপূনা ৷ অার সেজন্য নয়নের বাবা মেয়েকে বেশি পছন্দ করেছে ৷ নিয়তি মনে করে নয়ন মেঘলাকে বিয়ে করে বাসায় নিয়ে যায় ৷
বেশ ধুমধামে বিয়ে হয় দুজনের৷নয়ন একবারো চোখ তুলেও তাকায়নি মেঘলার দিকে৷নয়ন ভেবে অবাক হয়ে যায় যে বাবা এমন একটা কালো
মেয়ের সাথে বিয়ে দিল কিভাবে৷
বাসর ঘরে মেঘলা বসে অাছে নয়নের জন্য ৷ খুব খুশি সে কেননা অনেক ভালো বর পেয়েছে সুন্দর পরিবার পেয়েছে এতেই অনেক কিছু৷
নয়ন বাসর ঘরের বাহিরে দাঁড়িয়ে অাছে৷ঘরে যাওয়ার ইচ্ছে নেই তাঁর৷ওমন কালো মেয়ের সামনে দাঁড়াতেও চায়না ৷ কিন্তু কাজিনদের জোরাজোরি অার বাবার ভয়ে বাসর ঘরে যেতে বাধ্য হয় ৷ নয়ন মনে মনে ঠিক করে নেয় যে বাসর ঘরে মেঘলাকে বলে দিবে যে এই বিয়ে মতের বিরুদ্ধে হয়েছে৷কোনমতে খুশি না বিয়ে করে ৷ বাসরঘরে ঢুকে নয়ন দেখে মেঘলা লাল শাড়ি চুরি অার লাল টিপ দিয়ে অাছে৷
মেঘলার দিকে একবার তাকিয়ে মনে মনে বললো লাল কালোতে বেশ মানিয়েছে৷কিন্তু সে রাতে যৌন তাড়নায় নয়ন মেঘলার থেকে বেশি দূরে
থাকতে পারলো না ৷ নিজের অজান্তে মেঘলার সাথে যৌন মিলনে লিপ্ত হয় নয়ন ৷ সকালের অালো জানালার পর্দা ভেদ করে ঘরে অাসতেই মেঘলার ঘুম ভাঙ্গে ৷ পাশে তাকিয়ে দেখে নয়ন গভীর নিদ্রায় তলিয়ে অাছে ৷ বিছানা থেকে ওঠে মেঘলা ওয়াশরুমে গিয়ে গোসল সেরে খোলা চুলে ঘরে অাসে৷ নয়নকে ডাক দিতে ধুরমুড়িয়ে ওঠে৷কিছুটা রাগ নিয়ে নয়ন মেঘলাকে বললো
—অামাকে ডাক দিতে বলেছে কে?
—কেউ না অনেক সকাল হয়ে গেছে তাঁর জন্য৷
—তাই ডাক দিতে হবে?
—সকাল বেলা বেশি সুয়ে থাকা শরীরের জন্য ভালো না৷
—সেটা মনে হচ্ছে তোর কাছ থেকে অামাকে শিখতে হবে৷
—তুমি এমন ভাবে কথা বলছো কেনো
—অামাকে তুমি না অাপনি বলবি অার এর পর থেকে অামার সামনে অাসবি না৷
নয়নের কথা শুনে মেঘলার চোখ থেকে পানি ঝরতে শুরু করে দিল৷নয়নের অাওয়াজ পেয়ে নয়নের বাবা মা নয়নের ঘরে এসে দেখে মেঘলার চোখে পানি৷নয়নের বাবা রাগে নয়নের গালে একটা চড় বসিয়ে দেয়৷
চড় খেয়ে নয়নও রাগে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়৷
সারাদিন নয়ন বাড়ি অাসেনা৷নয়নের চিন্তায় মেঘলা সারাদিন না খেয়ে থাকে৷
নয়নের মা মেঘলাকে বললো
—তুমি কিছু খেয়ে নাও মা
—না মা অাপনার ছেলে না অাসলে অামি খাবো না৷কিছু
না মনে করলে একটা কথা বলবো
—হ্যাঁ বলো
—অাপনার ছেলে মনে হয় অামাকে ভালোবাসে
না৷অার এই বিয়েতেও খুশি নয়৷
—তুমি চিন্তা করিও না মা৷সব ঠিক হয়ে যাবে৷নতুন নতুন
বিয়ে করেছে হয়তো তাঁর জন্যই৷ রাতে নয়ন ঘরে ফিরে অাসলে মেঘলা সব অভিমান ভুলে ছুটে যায় ওর কাছে কিন্তু নয়ন সকালের মত
অাবার অপমান করে মেঘলাকে৷রাতে অার কিছু না খেয়ে নিজের রুমে গিয়ে সুয়ে পড়ে নয়ন ৷ মেঘলাও অার কিছু না বলে গুটিশুটি হয়ে নয়নের
পাশে সুয়ে পড়ে৷মেঘলা নয়নের কাছে সুয়ে পড়তেই নয়ন বিছানা থেকে ওঠে পড়ে ৷
নিজের বালিস কম্বল নিয়ে সোফায় গিয়ে সুয়ে পড়ে৷নয়নের চলে যাওয়া দেখে মেঘলা বিছানা থেকে ওঠে নয়নের কাছে গিয়ে বললো
—অাপনি চলে অাসলেন কেনো?
—অাবার এখানেও এসেছিস৷কতবার কলেছি অামার সামনে অাসবি না ৷ তোর কানে কি কথা যায় না? তোর যা চেহারা তোর কাছে অামি থাকতে পারবো না৷
নয়নের কথা শুনে মেঘলা কাঁদতে কাঁদতে বললো
—অাপনি খাটে গিয়ে ঘুমান অামি সোফায় ঘুমাবো৷
মেঘলা কথাটা বলার সাথে সাথে নয়ন খাটে গিয়ে শুয়ে পড়ে ৷মেঘলাও সোফায় সুয়ে কাঁদতে থাকে৷সারা রাত ঘুমায় না মেঘলা৷সকালে সোফা
থেকে ওঠে গিয়ে বাড়ির যাবতীয় কাজ সামলায়৷ নয়নের মা চোখ ফুলা দেখে বললো
—তুমি কি কান্না করেছো মা?নয়ন তোমাকে কিছু
বলেছে?
মেঘলা রাতের কথা গুলো গোপন করে বললো
—না মা হয়তো চোখে কিছু পড়েছে তাঁর জন্য৷
—হ্যাঁ নয়ন কিছু বললে শুধু অামাকে বলবে ওকে পিটিয়ে সোজা করে দিব৷
—অাচ্ছা মা৷
বলে রান্নার কাজে লেগে পড়ে মেঘলা৷নয়নের মার কাছ থেকে শুনে নয়নের সব পছন্দের খাবার বানায়৷
নয়ন ঘুম থেকে ওঠে মাকে ডাকতে ডাকতে বললো
—মা খুব ক্ষুধা লেগেছে এখনো কি রান্না হয়নি৷
মেঘলা সব খাবার টেবিলে সাজিয়ে রুমে গিয়ে
বললো
—অাপনাকে খাওয়ার জন্য মা ডাকছে৷
—অাচ্ছা অামি যাচ্ছি তুই যা ৷
মেঘলা চলে গেলে নয়ন ফ্রেস হয়ে খাওয়ার টেবিলে বসলে নয়নের মা খাবার তুলে দেয় নয়নকে৷
নয়ন খাবার দেখে বললো
—ওয়াও মা অাজ দেখি অামার সব পছন্দের খাবার রান্না হয়েছে নিশ্চয় তুমি রান্না করেছো?
নয়নের মা একটু হেসে বললো
—অাগে খেয়ে নে তাঁর পর বলবো৷
নয়ন তৃপ্তি সহকারে খাবার খেয়ে বললো
—মা অাজকের রান্নাটা দারুন হয়েছে৷অসাধারন
—শুনবি না কে রান্না করেছে
—শুনার অাবার কি অাছে তুমি রান্না করেছো
—না অামার বয়স হয়ে গেছে অামি কি অার এমন ভালো রান্না করতে পারবো ?অামার বউমা রান্না করেছে সব তোর জন্য৷
মায়ের মুখে এই কথা শুনে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো নয়ন৷
রাস্তায় দেখা হয় প্রানের বন্ধু রাহাতের সাথে৷ রাহাত নয়নকে দেখে বললো
—কি রে দোস্ত শুনেছি বিয়ে করেছিস নতুন ভাবি
অামাদের দেখাবি কবে?
বন্ধুর কথায় কি বলবে নয়ন বুঝতে পারে না ৷ ওমন কালো মেয়ের সাথে কারো পরিচয় করিয়ে দিলে মান সম্মান যাবে বলে নানা কথায় রাহাতের কথা নয়ন ঘুরিয়ে দেয়৷ অনেকক্ষন গল্প করে বাসায় যায় নয়ন৷
মেঘলাও ভয়ে কথা বলে না নয়নের সাথে৷সারাদিন অাপন মনে কাজ করে গিয়ে সোফায় সুয়ে পড়ে৷ রাতের অাঁধারে নিজের চোখের জল ফেলে কিন্তু নয়নকে বুঝতে দেয় না ৷
রাতে পায়ে কারো স্পর্শ পড়তে ঘুম ভেঙ্গে যায় নয়নের ৷ চোখ খুলে দেখে মেঘলা ওর পায়ে হাত দিয়ে কান্না করছে৷
এভাবে দেখে নয়নের বেশ মায়া হয় মেঘলার উপর৷
সকালে বিছানা থেকে ওঠতে নয়ন মাথা ঘুরে পড়ে যায় ৷ বাসার সকলে এসে নয়নকে ধরে অাবার বিছানায় সুয়ে দেয়৷
ডাক্তার এসে নয়নকে দেখে ঔষধ দিয়ে চলে যায়৷
সারাদিন মেঘলা নয়নের পাশ থেকে কোথাও যায় না ৷ অতিরিক্ত জ্বরের কারনে নয়ন নিজের স্বাভাবিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ৷
রাতেও মেঘলা কোথাও যায়না নয়নকে ছেড়ে৷ সারা রাত নয়নের মাথায় জলপট্টি দেয় মেঘলা৷
সকালে নয়নের ঘুম ভাঙ্গলে দেখে মেঘলা ওর বুকে সুয়ে অাছে৷এখন নয়ন অনেক সুস্থ৷ এই কয়েকদিনে মেঘলাকে নিজের অজান্তে ভালোবেসে ফেলেছে নয়ন৷সেদিন বিকেল নিজের ইচ্ছেয় একটা হোটেলে নিয়ে যায় মেঘলাকে৷ সেখানে কয়েকটা ফ্রেন্ডের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়৷অনেক জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যায় মেঘলাকে৷ সেদিন প্রথম বার মুখ খুলে নয়নের কাছে স্যাম্পু,ক্রিম চায় মেঘলা৷
সারাদিন ঘুরোঘুরি করে বাড়ি অাসে দুজনে৷ নয়ন মেঘলাকে এত ভালো বেসে ফেলে যে মেঘলাকে ছাড়া থাকতে পারে না৷ কয়েকদিন পর মেঘলা মাথা ঘুরে পড়ে যায়৷ মেঘলাকে হাসপাতালে ভর্তি করালে ডাক্তার বলে
—মেঘলা প্রেগনেন্ট হয়েছে৷
কথাটা শুনে অনেক খুশি হয় নয়ন৷বাসায় মেঘলাকে নিয়ে গিয়ে নয়নের মা অার কোন কাজ করতে দেয় না৷
অাস্তে অাস্তে মেঘলার পেটে নয়নের সন্তান বেড়ে ওঠে৷
রাতে নয়নের হাত ধরে মেঘলা বলে
—অামি একটা কথা বলবো
—হ্যাঁ বলো
—অামার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে তোমার কাছে অনুরোধ অামার কবরে গিয়ে প্রতিদিন দোয়া করবে৷
মেঘলার কথা শুনে নয়ন মেঘলার হাত দিয়ে মুখ দিয়ে বললো
—মেঘলা এমন কথা অার কখনো বলবে না৷ অামি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না৷
পরের দিন মেঘলার বেথ্যা ওঠে পেটে৷ মেঘলাকে হাসপাতালে ভর্তি করালে মেঘলাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়৷
মনে মনে নয়ন অাল্লাহকে বলে যেনো কিছু না হয় মেঘলার৷
কিছুক্ষন পর অপারেশন থিয়েটার থেকে ডক্তর বের হলে দৌড়ে যায় নয়ন৷
ডাক্তরের হাত ধরে নয়ন বলে
—ডাক্তার সাহেব অামার সন্তান মেঘলা ভালো অাছে তো?
অনেকক্ষন চুপ থেকে ডাক্তার বললো
—সরি অামরা অনেক চেষ্টা করেও অাপনার স্ত্রীকে বাঁচাতে পারিনি৷
কথাটা শুনে নয়ন চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায়৷
নয়নকে সহ মেঘলার মৃত্যু দেহটাও নিয়ে বাসায় যায় নয়নের বাবা মা৷
জ্ঞান ফিরে পেলে নয়ন মেঘলাকে কবর দেয় বাড়ির পাশে৷ নিজের সন্তানকে কোলে তুলে নিয়ে দেখলো একদম মেঘলার মত দেখতে কিন্তু গায়ের রং ফুটফুটে৷
নয়নের বাবা মা অাবার বিয়ে করার জন্য নয়নকে বললেও নয়ন অার বিয়ে করে না৷ মেঘলাকে দেওয়া কথা রাখতে প্রতিদিন নয়ন মেঘলার কবরে গিয়ে দোয়া করে৷ নয়ন করবের কাছে গেলে মনে হয় ওর কানে কানে মেঘলা বলছে অামি তোমার কালো বউ হলেও তুমি এখনো অামাকে তোমার মনের মাঝে রেখেছো৷ রাতেও মেঘলা কোথাও যায়না নয়নকে ছেড়ে৷ সারা রাত নয়নের মাথায় জলপট্টি দেয় মেঘলা৷ সকালে নয়নের ঘুম ভাঙ্গলে দেখে মেঘলা ওর বুকে সুয়ে অাছে৷এখন নয়ন অনেক সুস্থ৷ এই কয়েকদিনে মেঘলাকে নিজের অজান্তে ভালোবেসে ফেলেছে নয়ন৷ সেদিন বিকেল নিজের ইচ্ছেয় একটা হোটেলে নিয়ে যায় মেঘলাকে৷ সেখানে কয়েকটা ফ্রেন্ডের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়৷অনেক জায়গায় ঘুরতে নিয়ে
যায় মেঘলাকে৷সেদিন প্রথম বার মুখ খুলে নয়নের কাছে স্যাম্পু,ক্রিম চায় মেঘলা৷
সারাদিন ঘুরোঘুরি করে বাড়ি অাসে দুজনে৷ নয়ন মেঘলাকে এত ভালো বেসে ফেলে যে মেঘলাকে ছাড়া থাকতে পারে না৷ কয়েকদিন পর মেঘলা মাথা ঘুরে পড়ে যায়৷ মেঘলাকে হাসপাতালে ভর্তি করালে ডাক্তার বলে
—মেঘলা প্রেগনেন্ট হয়েছে৷
কথাটা শুনে অনেক খুশি হয় নয়ন৷বাসায় মেঘলাকে নিয়ে গিয়ে নয়নের মা অার কোন কাজ করতে দেয় না৷
অাস্তে অাস্তে মেঘলার পেটে নয়নের সন্তান বেড়ে ওঠে৷
রাতে নয়নের হাত ধরে মেঘলা বলে
—অামি একটা কথা বলবো
—হ্যাঁ বলো
—অামার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে তোমার কাছে অনুরোধ অামার কবরে গিয়ে প্রতিদিন দোয়া করবে৷ মেঘলার কথা শুনে নয়ন মেঘলার হাত দিয়ে মুখ দিয়ে বললো
—মেঘলা এমন কথা অার কখনো বলবে না৷ অামি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না৷
পরের দিন মেঘলার বেথ্যা ওঠে পেটে৷ মেঘলাকে হাসপাতালে ভর্তি করালে মেঘলাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়৷
মনে মনে নয়ন অাল্লাহকে বলে যেনো কিছু না হয় মেঘলার৷
কিছুক্ষন পর অপারেশন থিয়েটার থেকে ডক্তর বের হলে দৌড়ে যায় নয়ন৷ ডাক্তরের হাত ধরে নয়ন বলে
—ডাক্তার সাহেব অামার সন্তান মেঘলা ভালো অাছে তো?
অনেকক্ষন চুপ থেকে ডাক্তার বললো
—সরি অামরা অনেক চেষ্টা করেও অাপনার স্ত্রীকে বাঁচাতে পারিনি৷ কথাটা শুনে নয়ন চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায়৷
নয়নকে সহ মেঘলার মৃত্যু দেহটাও নিয়ে বাসায় যায় নয়নের বাবা মা৷
জ্ঞান ফিরে পেলে নয়ন মেঘলাকে কবর দেয় বাড়ির পাশে৷
নিজের সন্তানকে কোলে তুলে নিয়ে দেখলো একদম মেঘলার মত দেখতে কিন্তু গায়ের রং ফুটফুটে৷
নয়নের বাবা মা অাবার বিয়ে করার জন্য নয়নকে বললেও নয়ন অার বিয়ে করে না৷ মেঘলাকে দেওয়া কথা রাখতে প্রতিদিন নয়ন মেঘলার কবরে গিয়ে দোয়া করে৷ নয়ন করবের কাছে গেলে মনে হয় ওর কানে কানে মেঘলা বলছে অামি তোমার কালো বউ হলেও তুমি এখনো অামাকে তোমার মনের মাঝে রেখেছো৷