—এই তুমি কই? (শিলা)
—এই তো পুকুরে সাতার কাটি। (আবিদ)
—ফ্যাজলামি রাখো,স্টুপিড একটা। (শিলা)
—না মানে,,এত রাতে মানে ১২ টার সময় একজন মানুষ বিছানায় ছাড়া আর কোথায় থাকতে পারে তাই,,,,? (আবিদ)
—হুম বুঝি তো,ছেলেদের কোন বিশ্বাস নাই,যা বলছি শুনো?
—হুম বলো,
—কাল সকাল ১০ টার মধ্যে তোমার ম্যাসের পাশে যে পার্ক আছে ওখানে আসবা,এক মিনিট দেরি হলে তোমার খবর আছে।আর আসার সময় একটা সাদা শার্ট পড়ে আসবা।
—আচ্ছা।
এই যে এতহ্মন যার সাথে কথা বললাম সে “”শিলা মনি”” মানে এই স্টুপিডের অপ্সরী।ওকে আমি আদর করে অপ্সরী ডাকি।না ডেকে কী করব,যেমন মায়াবতী চেহারা,কাজল কালো চোখ,ঘন কালো লম্বা চুল,যে কেউ তার উপর ক্রাশ খাবে।স্বর্গের অপ্সরীকেও হার মানায়।
আর ও আমাকে আদর করে, আমার পুরা নামটাই চেন্জ করে স্টুপিড ডাকে।সারা দেশের মানুষের কাছে আমি আবিদ হলেও, ঐ একজনের কাছে আমি স্টুপিড।কারন টা হলো আমাকে দিয়ে কোন কাজই ঠিক মত হয় না।পড়াশোনা শেষ করে এখন আমি শিহ্মিত বেকার, চাকরি খুজছি কিন্তু সোনার হরিন কী সহজে পাওয়া যায়।
—হ্যালো,ঐ স্টুপিড,কি ব্যাপার কতহ্মন বসে আছি,তোমার তো কোন খোজ খবর নাই? (কথাটা রেগে বলল শিলা)
—-এই তো পাঁচ মিনিটেই আসছি?
কথাটা বলতে বলতে ফোন কেটে দিলো শিলা।মনে হয় হেব্বি রেগে আছে।সেই বলেছিলাম আমার দারা কোন কাজ ঠিকমত হয় না।
—কি ব্যাপার ১০ টায় আসার কথা ৫ মিনিট বেশী লাগল কেন? (শিলা একটু রেগে কথাটা বলল)
—না মানে,দৌড়াতে দৌড়াতে আসছি তো তাই।(আবিদ)
—-কী?তুমি একটা স্টুপিট নাকি যে দৌড়াতে দৌড়াতে আসবা।রিক্সায় আসতে পারলে না?আর এটা কী কালারের শার্ট পড়েছো হুম?সাদা শার্ট পড়ে আসতে বলছিলাম তো?
—-রিক্সা ভাড়া ছিল না,তাছাড়া এটা হলুদ কালারের শার্ট।আর সাদা শার্ট তো আমার নেই।
—এটা হলুদ নাকি ময়লা কালারের শার্ট।কি বিশ্রী গন্ধ।খুলো শার্টটা,দুইটা বোতামও তো দেখছি না।একদম স্টুপিডদের মত লাগছে।
—পার্কের মধ্যে,তাছাড়া খুললে তো আমি,,,,,,,,,?
—কিচ্ছু হবে না খুলো,দাড়াও আমি খুলে দিচ্ছি।
—কী বেইজ্জতি।আমার না হয় টাকা পয়সা কম, মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের এক শার্ট পড়ে তো অনেকদিন চালাতে হয়।সেটা ও জেনেও এরকম করছে। (কথাগুলো মনে ভাবছে আবিদ)
—এই নাও এই শার্টটা পড়ো?
—এই সাদা শার্ট কার জন্য?
—এখানে আর কে আছে শুনি?
—-তুমি আর আমি।
—-তাহলে স্টুপিডদের মত কথা বলছো কেন?তাহলে এটা তোমার জন্যই।
—-হঠাৎ সাদা শার্ট কী মনে করে?
—-তোমার জন্য আমার কাকা কে বলে একটা চাকরি ঠিক করছি।১২ টার সময় কাকার অফিসে যাবে।
—-কথাটা শুনেই আবিদ শিলার দিকে এক পলকে তাকিয়ে আছে।সে মাঝে মাঝে ভেবে পায় না,এই মেয়েটা তাকে এত্ত ভালবাসে কেন। একটা মধ্যবিত্ত না মানে একটা স্টুপিড ছেলের মধ্যে কী আছে যে তার জন্য এতো কিছু করে।
—এই কী হলো, স্টুপিডদের মত তাকিয়ে আছো কেন হুম?
—না মানে,এই স্টুপিড ছেলের অপ্সরী কে দেখছি।
—থাক আর দেখা লাগবে না হুম,আমি এই স্টুপিডেরই অপ্সরী।
—হুম জানি তো।
—-শুনো চাকরি পাওয়ার পর কিন্তু এই সব ময়লা জামা কাপড় পড়বে না।আর আমাকে,,,,,,?
—-তোমাকে কী?
—-বুঝো না বুঝি?
—-না বুঝি না,বুঝায়ে কও।
—–স্টুপিড একটা,তোমার অপ্সরী কে বিয়ে করবা।
—-হুম বিয়েতো করতেই হবে,জামাকাপড় পরিষ্কার করার জন্য তো একটা অপ্সরী কে তো লাগবেই।
—কী?………………….