আমি তোমার জন্য লিখি

আমি তোমার জন্য লিখি

প্রিয় ঈশিতা, “আমি যে তোমার জন্যই শুধু লিখি আর আকি এটা কি তুমি জানো?” আমি যখন ওর মায়াবী চোখের দিকে তাকিয়ে এই কথাগুলো বললাম তখন ওর জ্বলজ্বলে চোখ আমাকে অন্ধ মোহে আকড়ে ধরে রেখেছিলো।আমি বহু চেষ্টা করেও তার ওই আবদ্ধ ভালোবাসা থেকে বের হতে পারছিলাম না।কিন্তু আমি জানি আমাকে বের হয়ে যেতে হবে।কারণ ঈশিতা আমার না।কখনো আমার ছিলোনা, আমি বুঝতে পারিনি শুধু। পাঠক, কি করে বুঝবো বলুন তো?জ্ঞান হবার পর থেকে যাকে অন্ধের মত ভালোবেসেছি, যার সাথে সকাল বিকাল সন্ধ্যা দুকাপ চা আর এক বাটি মুড়ির আশ্রয়ে কাটিয়ে দিয়েছি, সে যে আমার নয় তা কি করে আমি বুঝবো?আমি সেদিনও বুঝনি যেদিন ওর মুখে আমি অন্য কারো নাম শুনেছিলাম, আজো বুঝিনা।

ঈশিতা কবে থেকে জানতো আমি ওকে পছন্দ করি আমি জানিনা।কিন্তু ও জানতো, ও আমাকে এই জন্য একসময় এড়িয়ে চলতো।আমি বুঝতাম না তা, অন্তত ওর হাতে প্রচন্ড আঘাত পাওয়ার আগ পর্যন্ত বুঝতাম না।আমি ওর সাথে আজকের আগে শেষ যেদিন কথা বলেছিলাম সেদিন বলেছিলাম, “তুমি আমার হবে”?

ঈশিতা বলেছিলো, তোমার লজ্জা করেনা?

ঈশিতা আমাদের পাশের বাসায় থাকতো।আমি তখন মাত্রই ক্লাস টুতে পড়ি।একদিন ও আমাদের বাসায় এসে আমার কান ধরে টানতে থাকে। আমি ভয়ে কেদে দেই, ও তখন নিজেও কেদে দেয়।আমি জিজ্ঞেস করি তুমি কাদো কেন?ও বললো, “ভয় পেয়েছি”।

ওই যে সেদিন ওকে জড়িয়ে ধরে সান্তনা দিয়ে বলেছিলাম, “কেদোনা আমি আছিনা”?এরপর থেকে ওর সেই হাত আর ছাড়িনি।এমন কখনো কি হয়েছে, আমি ওর পাশে ছিলামনা যখন ওর মনে মেঘ জমেছিলো? আমার মনে পড়েনা।আমি ঈশিতাকে সবসময় আগলে রেখেছিলাম সব অন্ধকার থেকে।

ঈশিতা যখন ক্লাস টেনে উঠলো, তখন আমি হঠাৎ একদিন দেখলাম ও কার সাথে যেন অনেক কথা বলে ফোনে।আমি একদিন জিজ্ঞেস করেই ফেললাম, “তুমি কার সাথে কথা বলো ঈশি”?

ও আমাকে ইতস্তত করে বলেই ফেললো, যে ওর একজন ভালোবাসার মানুষ হয়েছে। ওর ওই ছেলেটাকে অনেক ভালো লাগে।আমি প্রচন্ড অভিমানী ছিলাম, অনেক।আমার এই কথাটা শুনে হঠাৎ করে মনে হয়েছিলো সব কিছু ফাকা হয়ে গিয়েছে।আমি কিছু বলিনি ওকে।নিজের রুমে ঢুকে ভয়ংকর কাদলাম।ছেলে মানুষের কাদতে নাই, আমি তাই কান্না থামিয়ে ওকে বিশাল একটা চিঠি লিখলাম।তাতে একশোবার লিখলাম, ভালো থেকো ওই ছেলেকে নিয়ে। আমি হারিয়ে গেলাম এক গভীর ঘোরে।

সুররিয়েলস্টিক ছবির দিকে আমার ভয়ংকর মোহ কাজ করতো, লেমন ইয়েলো আর পারপেল রং মাখিয়ে আমার ঘরের দেওয়ালটায় অসাধারণ কিছু চিত্রকর্ম করেছিলাম।আব্বু আম্মু যখন প্রথম দেখলো আমার আর্ট, তারা আমাকে বেশ প্রশংসা করেছিলো।আমি প্রতিটা ছবিতে ইউনিকর্ণ আকতাম যাতে এক চমৎকার রাজকুমারী খেলা করতো।নিঃসন্দেহে ওটা ঈশিতা ছিল।আর আমি ওকেই শুধু ভাবতাম আমার প্রতিটা ছবি আকার সময়।সেদিনের পর একদিন ঈশিতা আমার রুমে এসে বললো, “তুমি ওভাবে চলে গেলে কেন সেদিন?আমি জানি তুমি আমাকে চাও”।

আমি হেসে বললাম, “আচ্ছা এই ছবিটা কেমন?এইযে দেয়ালের একদম শেষ মাথায়”।

ও আমাকে পাত্তা না দিয়ে বললো, “অর্ক সবাইকে ভালোবাসা যায়না।আমার ওকে অনেক ভালো লাগে কেন জানো”?

আমি বললাম, “না”।

ও ওর মাথা বিরক্তি দিয়ে নাড়িয়ে বললো, “কারণ ওকে ভালোবাসা যায়।আমি ওকে ভালোবাসতে পারি।ওটা ভেতর থেকে আসে।সবার জন্য আসেনা”।

আমি খপ করে ঈশিতার হাত ধরলাম।আমি জানিনা তখন আমার কেমন অনুভূতি কাজ করছিলো।আজো আমি সন্দিহান সেটা রাগ ছিলো না ভালোবাসা, প্রচন্ড রকমের ভালোবাসা। আমি ওর হাত এত শক্ত করে ধরেছিলাম যে ও ব্যাথায় চিৎকার করে উঠলো।আমি সাথে সাথে ছেড়ে দিলাম।ওকে জিজ্ঞাসা করলাম, “তুমি কাকে ভালোবাসতে পারো আর কাকে না পারো আমি তা জানিনা।আমার জানার ইচ্ছাও নাই।তুমি আমার কাছে আর কখনো এসোনা”।

ঈশিতা প্রচন্ড অভিমানী মেয়ে, আমি জানি।ও আমার দিকে এতোটা ঘৃণা নিয়ে তাকিয়ে রইলো হঠাৎ, আমি প্রচন্ড অসহায় বোধ করলাম। আমার মনে হতে লাগলো, আর কখনো আমাদের দেখা হবেনা।ঈশিতা কি জানতো আমি অনেক অভিমানী ছিলাম। ও যখন আমাকে কাদতে কাদতে বলেছিলো, “আমি তোমাকে অনেকবার বুঝিয়েছি, তুমি বুঝোনাই।এইজন্য এখন কি সেটা আমার দোষ”?

আমি বললাম, “তুমি কিভাবে আরেকজনকে ভালোবাসলা আমি জানিনা।আমার কোন সমস্যা নাই ঈশি।তুমি অনেক ভালো থেকো।তোমার ওই প্রেমিক পুরুষকে নিয়ে অনেক আনন্দে জীবন কাটাও”।

ও আমাকে আর কিছু না বলে চলে গেলো।আমি বুঝতে পারলাম যাকে আমি আজ পর্যন্ত কখনো এতোটুকু কষ্টও দেইনি সে আজ আমার দ্বারাই সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেলো।কারণ আমি ওর অনেক কাছের বন্ধু ছিলাম, সবচেয়ে কাছের।তাকে আজ আমি এভাবে কষ্ট দিলাম, কিন্তু তখন এমন এক ঘোলাটে সময় পার করছিলাম যে ওভাবে খেয়ালই করতে পারিনি।

সেদিন রাতেই আমি ওকে ফোন করলাম।ওকে বিধ্বস্ত একজন সবহারানো মানুষের মত বললাম, “তুমি আমার হবে?”

ও বললো, “তোমার লজ্জা করেনা”?

ওর কন্ঠে তখন প্রচন্ড রাগ, প্রচন্ড অভিমান।আমি টের পাই সে আমার নয়।সে আমার কখনো ছিলোইনা।আমি হারিয়ে যাই অনেক দিনের জন্য।

প্রায় দশ বছর আগে ২০০১ সালের ২২শে জুন আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম সেই ভালোবাসার মানুষের থেকে, কখনো আর ফিরে আসতে চাইনাই।আসার কথাও না।আমার আদরের একমাত্র ছোট্ট বোনের বিয়ে তাই অনেকদিন পর আবার দেশে আসা।মাঝের সময়টাই লস এঞ্জেলস ছিলাম, পড়াশোনা যতটা না করেছি তার থেকে বেশি ছবি একেছি আর ছবি তুলেছি।আমাকে আমার নেটিভ বন্ধুরা বলতো, গ্রেট ভিঞ্চি।পাঠক আপনারা কি খেয়াল করেছেন, ভিঞ্চির বেশিরভাগ ছবিতে ইনক্লুডিং লাস্ট সাপার একটা অপরাবাস্তব ব্যাপার আছে।আপনাকে তা ছুয়ে দিতে চাইবে, কিন্তু আপনি তাকে হাজার চেয়েও ছুইতে পারবেন না।

আমি যখন দেশে আসলাম, তখন আমার বাসায় প্রচন্ড কান্না।হঠাৎ করে আমি কেন চলে গিয়েছিলাম তখন তা কেউ জানতোনা।আমার ছোট্ট বোনটা ভাইয়াকে দেখে জড়ায় ধরে ভয়ংকর কান্না শুরু করে।ও আমাকে গালে বারবার চুমু দিয়ে বলে, “আমার ভাইয়া”।

আমি চোখ থেকে পানি ফেলতে ফেলতে বলি “দেখ আমি কত খারাপ মানুষ।এমন একটা বোনকে রেখে কতদিন দূরে পড়ে ছিলাম”।

ঈশিতার সাথে দেখা রাতের বেলায়।ওরা তখনো আমাদের পাশের বাসায় না থাকলেও একই এলাকায় থাকতো।আমি জানিনা ও কেন এসেছিলো বাসায়।কিন্তু যখন ও আমাকে স্যরি বললো, আমি বুঝতে পারলাম আমার ভালোবাসাগুলো মরে যাইনি।কিন্তু আমি ওকে আর আগের মত ভালোবাসতে পারিনা।

আমি যখন ওকে বললাম আমি ওর জন্য লিখি, এমনকি এখনো ওর জন্য ছবি আকি তখন সে খুব অবাক হলো বলে মনে হয়নি।আমি ওকে একসময় জিজ্ঞেস করলাম ওর ছোট্ট ছেলেটার কথা।ওর ছেলের নামটা খুব সুন্দর।ইনিত।ছেলেটাকে ও সাথে নিয়ে এসেছিলো।আমি ইনিতকে এক গাদা চকোলেট দিলাম, ওকে অনেক আদর করলাম।ইনিত তার মার মত হয়েছে পুরোপুরি।কিন্তু ও ওর মায়ের মত বোকা হয়নি।দুবছরের একটি ছেলে এতো সুন্দর করে কথা বলে, আমি মুগ্ধ হয়ে শুনি।

আমি আর ঈশিতা একসময় সবার থেকে কিছুটা আলাদা হয়ে গেলাম হঠাৎ করে।ও আমাকে জিজ্ঞেস করলো, আমার বর্তমান জীবনের কথা।আমি কবে বিয়ে করছি তা যখন জিজ্ঞেস করলো, তখন আমি ওকে বললাম তুমি যেদিন দ্বিতীয় বিয়ের প্ল্যান করবে।

হ্যা আমার এটা বলা ঠিক হয়নি।ও মাত্র দেড় বছর হলো স্বামী হারিয়েছে।আর আমি অনেকটা কৌতুকের সুরে বলতে চেয়েছিলাম।কিন্তু কিভাবে যেন কথাটা এমন শুনালো যেন আমি অনেক আবেগের প্রগাড়তা তুলে ধরেছি এক অসহায় নারীর সামনে।

ও দীর্ঘশ্বাস ফেলে কিছু একটা বলতে চেয়েছিলো, তার আগেই আমি বললাম “হ্যা আমি জানি আমি এমন একজন যাকে ভালোবাসা যায়না।ঈটজ ওকে।আমি স্যরি।আমি শুধু একটু কৌতুক করলাম”।

আমার কথা শুনে ঈশিতা একটু স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলো যেন।আমি জানতে চাইলাম ওর স্বামী সজল মারা যাওয়ার পর ও কেমন করে জীবন কাটাচ্ছে?ওর মুখে অবয়ব একটুও পরিবর্তন হয়না।কিন্তু কিছু বলেওনা। শুধু যাই বলে চলে গেলো।আমি অনেক কষ্ট পেলাম, আমার মনে হলো আমার অনেক কিছু বলার ছিলো ওকে।এই মেয়েটা যাকে আমি একসময় পাগলের মত ভালবাসতাম সে আজ জীবন যুদ্ধে পরাজিত এক অসহায় নারী।আমার দম আটকে চাইলো যখন মনে হলো ও কি এভাবেই দীর্ঘ জীবনটা কাটিয়ে দেবে?

মাকে যখন বললাম আমি ওকে বিয়ে করতে চাই, তখন মা একটু রাগ করলো।কিন্তু খুব বেশি না।মা জানে আমার কথা, মা বুঝে আমি কেন হারিয়ে গিয়েছিলাম।বাবাকে মা বুঝাতে পারবে আমি জানি।আমি ভয় পাচ্ছিলাম ঈশিতা কি করে তা ভেবে।হয়তো সে আমাকে ফিরিয়ে দেবে আবার, হয়তো সে আমাকে প্রচন্ড ঘৃণা করবে।কিন্তু আমি ওকে চাই, আজো চাই, পাগলের মত চাই।আমি বিশ্বাস করিনা কেউ কাউকে এতো বেশি চাইতে পারে।

মা যেদিন ওদের বাসায় প্রস্তাব নিয়ে গেলেন সেদিন রাতেই ও আমাকে ফোন দিলো। আমাকে ও প্রথম কথাটা জিজ্ঞেস করলো, “আমাকে অসহায় ভাবো অনেক না?অসহায় একজন নারীকে সাহায্য করতে হবে, তার পাশে দাঁড়িয়ে তার জীবন পার করাতে হবে এজন্য এই কাজ করলা?”

আমি বললাম, “না। আমি অসহায় জীবন যাপন করছি। আমি তোমাকে ছাড়া কাউকে ভাবিনাই এই দশ বছরে।আমার তোমাকে দরকার জীবন পার করতে”।

ঈশিতা অত্যন্ত কঠিন ভাবে আমাকে বললো, “আমি তোমাকে কখনো ভলোবাসিনাই। ভালোবাসবোও না।আমি যাকে একবার ভালোবেসেছিলাম তাকে বিয়ে করেছি এবং তাকে নিয়েই আমি আমার জীবন পার করে দেবো।হয়তো সে পৃথিবীতে নাই, কিন্তু আমার মধ্যে সে আছে, ইনিতের মধ্যে আছে।তুমি যা করছো এটা ঠিক করোনাই। একদম না”।

আমি ফোনটা রেখে দিলাম।সারা রাত বারান্দায় বসে ভাবলাম, কি অপরাধ করেছিলাম জীবনে।এই মেয়েটাকে আমি কখনো কেন ভুলতে পারলাম না।কেন তাকে ছাড়া আমি আর কিছু ভাবতে পারলাম না? আমি আগেও তার সাথে বন্দী ছিলাম, আজও সেখানে, ঠিক সেখানেই বন্দী হয়ে আছি।অনেক চিন্তা করে ঠিক করলাম, ওর সাথে দেখা করবো। ওকে দুঃখিত বলবো, এরপর সব ছেড়ে চলে যাবো।

অনেক সকালে ওকে ফোন দিলাম, ওকে শুধু বললাম শেষ একবার ওর সাথে দেখা করা যাবে কিনা?আমি আর ওকে কখনোই চাইবোনা এরপর।ও অনেকক্ষণ ভেবে উত্তর দিলো না।আমি ফোন রেখে দিলাম।

হ্যা আমি সব হারিয়েছি আগেই, আজ আবার সব হারালাম।তাতে কিইবা আসে যায় কার?আমি নির্লজ্জের মত একজনকে বারবার চেয়েছি এবং প্রতিবার সে হারিয়ে গেছে।আমি জানি আজকের পরও আমি তার জন্য অপেক্ষা করবো।ঈশিতা কি কখনো আমার অনুভূতি ছুয়ে দেখতে পাবে?একটাবারের জন্য।

যাওয়ার আগে ঈশিতাকে একটা চিঠি লিখে গেলাম।চিঠিটা অনেকটা এমন ছিলোঃ

“প্রিয় ঈশিতা,

কি কারণে তুমি আমাকে সব সময় দূরে দূরে রেখেছো আমি জানিনা।তুমি কি আমার থেকে কখনো দূরে ছিলে? একেবারেই না।কিন্তু আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি,তুমি জানো আমি তোমাকে যতটা ভালোবাসি আর কেউ তা বাসেনা, বাসতেও পারবেনা।তুমি দশ বছর আগে এটা বুঝতে পারোনি।আর আজকে বুঝলেও ভয় পেয়ে পিছিয়ে যাচ্ছো।ঈশিতা তুমি বুঝতে পারছো যে আমি তোমাকে বুঝতে পারি।

আমি তোমাকে প্রতিটা মুহূর্তে অনুভব করি এটা কি জানো?

তুমি আমি যখন বন্ধু ছিলাম, তখন তোমার কি মনে পড়ে আমি তোমার হাত ধরে সবসময় ঘুরতাম।তুমি তো কখনোও আমার হাত ছাড়োনি তখন?এখন কি এতোই বড় হয়ে গেলাম আমরা যে একজন আরেকজনকে একটু কাছে রাখতে পারিনা।

ঈশিতা তুমি আমাকে যত দূরে রাখো, আমি তোমাকে প্রতিটা মুহূর্তে ভালোবাসবো।তুমি যতবার আমাকে অবজ্ঞা করবা ততবার আরো বেশি করে ভালোবাসব।আমি আমার সব ভালোবাসা তোমাকে দেবো।আমি আমার সব গুলা অনুভূতি তোমাকে দেবো ছুয়ে দেখতে।তুমি আমাকে আরো হাজার বছর দূরে রাখলেও।

দশ বছর আগেও তুমি চেয়েছিলে তাই দূরে চলে গিয়েছিলাম,আবারো যাবো।কিন্তু মনে রেখো আমি তোমার কাছেই থাকবো, তুমি আরো দশবার প্রেম করলেও, একশোবার বিয়ে করলেও।”

আমি তখন ফ্লোরিডায় একটা আর্টওয়ার্ক নিয়ে পাগলের মত ব্যস্ত।ঠিক সে সময় আমাকে অবাক করে দিয়ে ঈশিতা ফোন করে বললো, “কবে আসবে”?

আমি বললাম, “তুমি আমাকে হারিয়ে ফেলেছো।এখন আমি এক আমেরিকান মেয়ের সাথে প্রেম করছি।তার সাথেই বাকিটা জীবন কাটিয়ে দেব বলে ঠিক করেছি”।

ঈশিতা আমাকে আবার বললো, “কবে আসবে”?

তাকে আমি না করতে পারিনি।কখনো পারবোনা এটা সেও জানে।আমি আমার তল্পিতল্পা গুছিয়ে রওনা হলাম।আর্ট ওয়ার্কের গুষ্টি কিলাই।

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত