দুই বন্ধু অভ্র ও নীল।
তাদের বন্ধুত্বটা এতটাই গভীর যে সবাই তাদের
এক নামে চিনে অভ্রনীল।
অনেকটা সিনেমার মত।দুটি আলাদা আলাদা দেহের
মানুষ হলেও এদের প্রান একটা।
এর কষ্টে ও কষ্ট পায়।দুজনের পছন্দ গুলোও
এক।
তাই তাদেরকে একটা হিট ঝুটি বলা যায়।
সব কিছু একত্রে আছে।ক্লাসে দু জনেই ফাস্ট
হয় তাই স্যার দেরও সমস্যায় পড়তে হয় কাকে
রেখে কাকে ফাস্ট বানাবে। এক্ষেত্রে
কারো কোন অভিযোগ নেই।সব কিছুতেই
কেউ কারো থেকে কম না। কিন্তু তাদের
কোন প্রতিযোগিতা নাই।
এমন প্রতিটা দিন কাটে তাদের বন্ধত্ব আর
ভালবাসায়।
★অভ্র কলেজের একটি মেয়েকে দেখেই
টাষ্কি খায় অভ্র।কি সুন্দর দেখতে এ যেন
সৃষ্টিকর্তার এক অপূর্ণ নিদর্শন। চোখ দেখেই
আর তাকাতে পারছে না অভ্র।তার মানে অভ্র
মেয়েটার প্রেমে পড়েছে।কিন্তু কি করবে
কি করবে হ্যা নীল। নীল কে জানাবে।কিন্তু
কোথায় নীল।সারা ক্যাম্পাস খুঁজে যাচ্ছে
নীলকে।
-নীল এই নীল শোন
-কে কে?
-আমি অভ্র
-ও তুই
-কি করছিচ আর এভাবে কাকে খুজতেছিস?
-আর বলিস না একটা মেয়ে দেখতে খুব সুন্দর
-কি তোর ও এক অবস্থা?
-মানে?
-মানে আমিও একটা মেয়েকে ভালবেসে
ফেলেছি
-তাই নাকি আমিও
-বলিস কি
-হুম
-আমরা দুজনেই এক সাথে এত দূর আর আজ
প্রেম টাও এক সাথে হল কি বলিস?
-হুম….আচ্ছা তোর ভালবাসার মানুষ ট কে?
-জানিনারে দোস্ত কাল প্রথম দেখেছি।তোর?
-আমি ও জানিনা কাল ই প্রথম দেখেছি।
-হুম কি করবি
-আচ্ছা দেখিস আমাদের পছন্দ যেন এক না হয়।
-হতেই পারে।
বলে দুজনেই হেসে উঠল। ভালবাসার জন্য দু জন
ই আজ উম্মদ।কিন্তু তাদের পছন্দ করা সেই
ভালবাসার মানুষ গুলো কে?
★মেয়েটি হচ্ছে সামিয়া।
হ্যা সামিয়াই হচ্ছে তাদের ভালবাসার মানুষ।
কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী।
পরের দিন…..
-দোস্ত মাইয়ার নাম জানতে পারছি
-কি কস মামা। আমি ও জানছি
-তাই নাকি ভালই হল।বল?
-না তুই আগে বল?
-না তুই?
-না তুই?
-আচ্ছা দুজনেই একসাথে
-আচ্ছা
-১.২.৩ সামিয়া
-সা….কোন সামিয়ারে
-১ম বর্ষের।হ্যা তোর
-না আমার মানে
-কি মানে মানে বলছিস বল কে?
-আরে আমি তো মজা নিচ্ছিলাম।
-তাই নাকি শালা আজ তোর একদিন কি আমার যে
কদিন লাগে।দাড়া দাড় দাড়া বলছি।
★আজ নীল অনেক খুশি কারন সে সামিয়াকে
ভালবাসে আর সেটা যে কোন মূল্যে পেতে
চায়
★অভ্র কি করবে বুঝতে পারছে না কোন টা
রক্ষা করবে ভালবাসা নাকি বন্ধুত্ব?
না সামিয়ার জন্য আমি আমার বন্ধুত্ব নষ্ট করতে
পারবো না।সামিয়ে আমার জীবনে এসেছে
মাত্র কয়েকটা দিন আর আমার বন্ধু নীল আমার
জীবনের সব থেকে বড় স্থান জুড়ে আছে
তাদের মিলন আমি দাঁড়িয়ে দেখবো।
পরেরদিন……
-মামা কি করবো
-কি আবার প্রপোজ করবি
-আমি?
-না আমিইইই??
-আমার হয়ে তুই করে দে?
-শালা প্রেম করবা তুমি আর প্রপোজ করবো
আমি?
-প্লিজ
-শোন এটা তোকেই করতে হবে
-কি
-হুম।শোন আজ ১২ তারিখ দুই দিন পর ১৪ই
ফেব্রুয়ারি সেটা বেষ্ট টাইম।
-আচ্ছা। চল বাড়িতে যাই
-চল।
-আজ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত রিয়ার্সেল
ওকে?
-ওকে
১৪ তারিখ…..
-কি করবো
-প্রপোজ
-কিভাবে
-শালা দু দিন রিয়ার্সের করছো তাই বলবি
-রাজী হবে তো?
-হতেই হবে তুই বলে কথা
-আচ্ছা
-অই আসছে সামিয়া যাহ…
-দোয়া রাখিচ
-আচ্ছা
★প্রপোজ★
-এই যে শুনুন?[নীল]
-জী আমাকে বলছেন?[আফসানা]
-জ্বী।
-হ্যা বলুন
-না মানে ইয়ে
-কি ইয়ে মানে করছেন যা বলার তাড়াতাড়ি বলুন।
-আচ্ছা [বুক ফুলিয়ে]
-হুম
-আজ পবিত্র ভালবাসা দিবশ। আজকের এই দিনটাকে
আমার জীবনে স্বরনীয় করে রাখতে চাই।
-আমি কি করবো?
-তোমাকে যে দিন প্রথম দেখি সেদিন
তোমাকে ভাললাগে।আমি জানিনা এই ভাললাগাটা কখন
ভালবাসায় পরিনত হয়েছে।আমি তোমাকে ভালবাসি।
I Love You so much [সাথে হাটু ঘিরে বসে
একজোড়া লাল গোলাপ বাড়িয়ে দিল সামিয়ার দিকে
চোখ বন্ধ করে]
-হাত থেকে গোলাপ একচেপ্ট করে সামিয়া
[কারন এই ব্যাপারটা কলেজে ছরিয়ে পরেছিল তাই
সামিয়া সব জানতো]
-তুমি কি আমার জীবন সাথী হবে?
-যদি রাখো তবে অবশ্যই
-ইয়াহুউউউউ
★সব ব্যাপার দেখে অভ্র চোখের পানি নিয়েই
চলে যায় আর রেখে যায় বন্ধুত্ব ও একটা
অপ্রকাশিত ভালবাসা ।।।।।……
গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক