বিয়ের পর থেকে আমার বর কোনোদিন আমাকে নিয়ে হানিমুনে যায়নি ৷ এই কষ্ট গত তিন বছর ধরে বয়ে বেড়াচ্ছি ৷ যখনই হানিমুনের কথা বলি তখনই আমাকে বলে,” হানিমুনে যাবার কী দরকার?মানুষ কতো টাকা খরচ করে কক্সবাজার আসে হানিমুন করতে আর আমাদের দেখো বাসাটাই সেই কক্সবাজারে৷ আমরা তো যখন তখন বীচে যেতে পারি, রিক্সা খরচটাও লাগেনা”৷ তিন বছর ধরে এই এক কথা শুনে আসছি ৷ আমার স্বামীটা যে কিপ্টা এটা বিয়ের আগে থেকেই জানতাম ৷ ভাবছিলাম বিয়ের পরে মেরে ধরে ঠিক করে নিবো কিন্তু সেটা আর হয়নি ৷
উল্টো আমারই ওর মতো কিপ্টা হতে হইছে ৷ দুইদিন আগে এক কলেজের বান্ধবী ফোন দিয়ে বললো ওর হাসবেন্ড নাকি ওকে নিয়ে সুইজারল্যান্ড যাচ্ছে হানিমুন করতে ৷ শুধু কী তাই? আমাকে খোঁচা দিয়ে দিয়ে বলছিলো, আমাদের বিয়ের ৬ মাস হলো বর হানিমুনে সুইজারল্যান্ড নিয়ে যাচ্ছে৷ তোর তো তিন বছর হতে গেলো এখনো তোর কিপ্টা বর ফ্রিতে সী বীচ ছাড়া কিছুই দেখালো না৷ কক্সবাজার থাকিস বলে সী বীচটা দেখতে পাচ্ছিস তা নাহলে জীবনে দেখতি কিনা সন্দেহ আছে”৷ বান্ধবীর অপমানটা সহ্য করতে পারিনি ৷ আমার স্বামী কিপ্টা হোক আর যাইহোক আমারই তো স্বামী ৷
এভাবে অপমান করার ও কে? সেদিনই ফোনে বান্ধবীর সাথে সব সম্পর্ক শেষ করে দিলাম ৷আর বসে বসে ভাবতে লাগলাম কীভাবে হানিমুনে যাওয়া যায় ৷ এবার তো হানিমুনে যেতেই হবে ৷ তারপর বান্ধবীকে ফোন দিয়ে বলবো আমরাও হানিমুনে আসছি৷ ভাবতে ভাবতে হঠাৎ বাসার কলিং বেলটা বেজে উঠলো ৷আমি যেয়ে দরজাটা খুলে দিলাম৷ ও রুমে ঢুকে ফ্রেশ হতে চলে গেলো ৷ আমি ডাইনিং টেবিলে খাবার দিয়ে মনে মনে বুদ্ধি আটছি, আজ হানিমুনে যাবার জন্য রাজি করাতেই হবে ৷ একটু পরে ও এসে টেবিলে বসলো ৷ ওকে খাবার দিতে দিতে বললাম, এবার কিন্তু আমাকে হানিমুনে নিয়ে যেতেই হবে ৷ আমার কথাটা শুনে ও বললো, চলো বীচ থেকে ঘুরে আসি ৷ কথাটা শোনার পর রাগটা বেড়ে গেলো ৷ হাতের কাছে কাটা চামচ ছিলো ৷ কাটা চামচটা হাতে নিয়ে ওর গলার সামনে ধরে বললাম….
– হানিমুনে নিয়ে যাবি কিনা বল? নইলে এই চামচ দিয়ে তোর গলা কাটবো ৷ তারপর ছুরি দিয়ে তোর পেটের সব নাড়ি, ভুড়ি বের করে কুচি কুচি করে কাটবো ৷
– আরে, রাগছো কেন সোনাবউ? হানিমুনে যাবার কী দরকার বলো? বাসার পাশেই তো কতো বড় সী বীচ আছে ৷ শুধু শুধু কেন টাকা নষ্ট করবো?
– চুপ কর কিপ্টা ৷তোর এই এক কথা তিন বছর শুনে আসতেছি ৷ হানিমুনে নিয়া যাবি? নাকি তোর গলায় চামচটা ঢুকিয়ে দিবো?
– উফ! হানিমুনে না যেয়ে ছাড়বানা মনে হচ্ছে ৷ ওকে নিয়ে যাবো ৷ খুশি তো?
– হুমমম, অনেক খুশি ৷ আমার উমু উমু স্বামীটা ৷
– উমু উমু কী আবার?
– ও তুমি বুঝবেনা ৷ নিউ ভার্সন এটা ৷
– এখন আবিস্কার করলে বুঝি?
– হুমমম, খুশির ঠ্যালায় আবিস্কার হয়ে গেলো ৷
– তা আমার আবিস্কারক বউ, কোথায় যেতে চাচ্ছো হানিমুনে?
– তুমি যা কিপ্টা ৷ সুইজারল্যান্ড তো আর নিয়ে যাবা না, আমি বান্দরবান যাবো ৷
– এতো জায়গা থাকতে বান্দরবান কেন? তার চেয়ে চলো তোমাকে আমাদের বাড়ির পাশে কুদুমগুহা দেখিয়ে নিয়ে আসি ৷
– বুঝছি, এবার কি কাটা চামচ রেখে ছুড়ি ধরতে হবে?
– না না, আমি তো মজা করছিলাম ৷ তোমাকে আমি বান্দরবানই নিয়ে যাবো ৷
– ওকে, কাল অফিসে যেয়ে ১ সপ্তাহের ছুটি নিয়ে আসবা৷
– কালকেই ছুটি নিতে হবে? দুই একদিন পর নিলে হয় না?
– নাহ, দেরী করলে তুমি এটা সেটার বাহানা দেখিয়ে হানিমুনে যাওয়া আটকে দিবা ৷ তাই কালকেই ছুটি নিবাতুমি ৷
– দিনদিন তোমার বুদ্ধি বেড়ে যাচ্ছে ৷
– তোমার সাথে থেকে থেকে একটু হইছে আরকি ৷
– ওকে, কালই আমি ছুটি নিবো ৷
যাক, ফাইনালি হানিমুনে যেতে রাজি করাতে পারছি ৷ এটা ভেবে খুশিতে সেদিন সারারাত ঘুমাইনি ৷ পরদিন ও অফিসে যেয়ে ১ সপ্তাহের ছুটি নিয়ে আসলো ৷ আমিও ব্যাগপত্র গুছিয়ে সব রেডি করে রেখে দিয়েছি ৷ তার পরেরদিন আমরা বের হলাম হানিমুনের জন্য ৷ গাড়ির জানালা দিয়ে আমি পাহাড়ি রাস্তাগুলো দেখতেছিলাম ৷ আর ওদিকে আমার কিপ্টা বর টাকার চিন্তায় মুখটা ঘোমড়া করে চুপচাপ বসে আছে ৷ তাতে আমার কী? আমি তো খুব মজা পাচ্ছি ৷ পৌঁছাতে আমাদের প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেলো ৷তারপর খুব ভালো একটা হোটেলে রুম বুক করে আমরা সেখানে উঠলাম ৷ রাতে ওকে বললাম, সকালে আমাকে চিম্বুক পাহাড়ে নিয়ে যাবা৷ শুনেছি, ঐ পাহাড় থেকে নাকি সূর্যাস্ত আর সূর্যোদয় দুটোই দেখা যায় ৷ কাল আমরা ওখানে যাবো কেমন? ও মাথা নেড়ে সায় দিলো ৷ তারপর দুইজন দুইদিক ফিরে ঘুমিয়ে পড়লাম ৷ ভোরবেলা ওকে ডাকতে শুরু করলাম….
– এই ওঠো, পাহাড় দেখতে নিয়ে যাবা না?
– একটু পরে ৷ আরেকটু ঘুমাতে দাও ৷
– তুমি উঠবা? নাকি পানি ঢেলে দিবো?
– বলি, তুমি বউ নাকি জল্লাদ?
– যা ভাবার ভাবো৷ এখন ওঠো তো ৷ দেরী হয়ে গেলে সূর্যোদয় দেখতে পাবো না ৷
– বিয়ের আগে বন্ধুরা বলেছিলো, এই দাজ্জাল মেয়েকে বিয়ে করিস না ৷ পরে পচতাবি৷
– বিয়ের আগে আমার বান্ধবীরাও বলেছিলো, এই কিপটা ছেলেকে বিয়ে করিস না ৷ পরে পচতাবি ৷
– তো বিয়ে করতে কে বলেছিলো?
– তুমি করছিলা কেন?
– তুমি আগে কবুল বলছিলা কেন?
– কাজী এসে আমাকে আগে কবুল বলতে বলছিলো তাই বলছিলাম ৷ আমি আবার মুরুব্বিদের কথা অমান্য করতে পারিনা ৷
– দাজ্জাল বউ কোথাকার!
– ফ্রেশ হবা? নাকি ঠান্ডা পানি আনবো?
– যাচ্ছি, দাজ্জাল বউ ৷
এমন ঝগড়া আমাদের সব সময় হয়েই থাকে ৷ ও রেগে গিয়ে আমাকে দাজ্জাল বউ বলে ৷ উপরে উপরে রাগ আমি দেখালেও মনে মনে আমার খুব ভালো লাগে ৷ যাক ওসব
কথা! এরপর আমরা পাহাড় দেখতে বের হলাম ৷
পাহাড়ি এলাকায় আঁকাবাঁকা, উঁচু – নিচু রাস্তায় আমরা গাড়িতে করে যাচ্ছি ৷ হঠাৎ গাড়িটার কি যে হলো! গাড়িটা উল্টে পড়ে গেলো ৷ আর আমরাও গাড়ি থেকে ছিটকে পাহাড়ের উপর থেকে গড়াতে গড়াতে নিচের দিকে পড়তে লাগলাম ৷ গড়াতে গড়াতে কিছু একটার সাথে আঘাত লেগে আমি জ্ঞান হারিয়ে ওখানে পড়ে থাকি ৷ আর আমার স্বামীটা যেয়ে পড়ে আদিবাসীদের গ্রামে ৷ ওর অবশ্য জ্ঞান হারায়নি ৷ ও উঠে দাড়াতে যাবে ঠিক তখনই কিছু আদিবাসিরা এসে ওকে ঘিরে ধরে ৷ আদিবাসিরা ওকে দেখে আনন্দ করতে থাকে ৷ ও বুঝতে পারছিল না, ওকে দেখে আদিবাসিরা কেন এতো আনন্দ করতেছে ৷ও আদিবাসিদের বার বার বলছিলো, আমাকে ছেড়ে দিন৷ আমার বউ কোথায়? আমার বউকে খুঁজতে হবে ৷ মাঝে মাঝে আমার নাম ধরে ” মিষ্টি মিষ্টি” বলে চিল্লাচ্ছিলো ৷তখন একজন আদিবাসি বললো, তোমাকে আমরা তোমার বউ দিতেই নিয়েই যাচ্ছি৷ তারপর ওকে তাদের সর্দারের কাছে নিয়ে যায় ৷ সর্দারের সামনে যেয়েই ও বলে ওঠে,
– আমার বউ কোথায়? আমার বউকে দিন৷ সর্দার তখন বলে,
– তোমার বউ দিবো বলেই তো তোমাকে এখানে আনা হয়েছে ৷ এই যে আমার মেয়ে মহুয়া সুন্দরী ৷ এর সাথেই তোমার বিয়ে দেয়া হবে৷
– এইসব আপনি কী বলছেন? আমি তো আগে থেকেই বিবাহিতা ৷ আমি কেন আবার বিয়ে করতে যাবো? বলেই
মিষ্টি মিষ্টি বলে ডাকা শুরু করলো ৷ কেন জানি ওর ডাকে আমার জ্ঞান ফিরে আসলো ৷ ডাকটা ঠিক কোনদিক থেকে আসছে সেটা অনুসরন করে আমি ওকে খুঁজতে লাগলাম ৷ খুঁজতে খুঁজতে দেখলাম, আদিবাসিরা ওকে একটা জায়গায় ওকে বেঁধে রেখে বিয়ের জন্য জোরাজুরি করছে ৷আর ওর পরনে আদিবাসিদের মতো শুধু কয়েকটা পাতা দিয়ে জামা বানিয়ে পরিয়ে রাখছে ৷ দেখতে পুরো আদিবাসিদের মতো লাগছিলো ৷ ফিউচারে ব্লাকমেইল করা যাবে ভেবে আমি ওর একটা ছবি তুলে নিই আমার ফোনে৷ তারপর, আমি আড়াল থেকে ওদের কথা শুনার চেষ্টা করছিলাম৷ ৷ সর্দারের বউ আমার স্বামীকে বলছে,
– আমরা উপরওয়ালার কাছে একটা ভালো ছেলের জন্য কতো প্রার্থনা করেছি ৷ আজ উপরওয়ালা খুশি হয়ে আমাদের মেয়ের জন্য আকাশ থেকে তোমাকে নিচে ফেলছে ৷
– ধুরর, কী বলেন এসব? আমি কোনো আকাশ থেকে পড়িনি ৷ আমি আমার বউয়ের সাথে হানিমুনে আসছিলাম ৷ পথে গাড়িটা উল্টে যেয়ে এখানে এসে পড়েছি ৷ আমাকে ছেড়ে দিন, আমার বউকে খুঁজতে যাবো ৷ ওর কথা শুনে সর্দার বললো,
– এসেই যখন পড়েছো তখন আমার মেয়েকে বিয়ে করতেই হবে ৷ তারপর তোমাকে আমরা এখানে সারাজীবনের জন্য রেখে দিবো ৷ সর্দারের কথা শুনে ও বললো,
– এটা কী আপনাদের নিয়ম নাকি? বাহিরের একজন লোক আপনাদের এলাকায় এসে পড়লে তাকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিতে হবে?
– হ্যাঁ, এটাই আমাদের নিয়ম ৷ এখন সব রীতিনীতি মেনে তোমার সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিবো ৷
– দেখুন, আপনি আমার বউকে চিনেন না ৷
আমার বউ কিন্তু খুব দাজ্জাল একটা মেয়ে ৷ যদি শোনে ওর স্বামীকে আপনারা জোর করে বিয়ে দিচ্ছেন তাহলে আপনাদের কাউকে ছাড়বেনা ৷ আড়াল থেকে আমি সব শুনছিলাম ৷ আমার সামনে আমাকে দাজ্জাল বলে ঠিকআছে কিন্তু এই আদিবাসিদের সামনেও আমাকে দাজ্জাল বলতেছে শুনে প্রচুর রাগ হলো ৷ এর শোধ তো নিতেই হবেই ৷ আগে ওকে এদের হাত থেকে বাঁচিয়ে নিই তারপর মজা দেখাবো ৷ কিন্তু কিভাবে বাঁচাবো ভাবতে ভাবতে তাকিয়ে দেখি আমার পাশেই কিছু মহিলা আদিবাসির পোষাক নেড়ে দেওয়া ৷ ওখান থেকে একটা পোষাক নিয়ে নিজেকে আদিবাসিদের মতো সাজালাম ৷ তারপর ওদের মধ্যে মিশে গেলাম ৷ এরপর দেখি, আমার স্বামীকে একটা খুঁটির সঙ্গে বেঁধে কয়েকজন মেয়ে ঘুরে ঘুরে নাচ করতেছে ৷ সম্ভবত এটা ওদের একটা রীতি ৷ আমিও ঐ মেয়েদের সাথে তাল মিলিয়ে ওর চারপাশে ঘুরে ঘুরে নাচতে লাগলাম ৷ নাচতে নাচতে ওকে বললাম,
– কী গো? কেমন লাগছে তোমার? আমার কথা শুনে ও চমকে উঠে বলে,
– বউ আমারে বাঁচাও ৷
– কেন? আমার তো খুব ভালো লাগছে ৷ তোমার বিয়ে হবে ৷ ইশ! কী মজা হচ্ছে ৷
– ফাইজলামি রাখো, আমার বাঁধনটা খুলে দাও ৷
– খুলবো, তার আগে বলো এদের সামনে আমাকে দাজ্জাল বললে কেন?
– সরি বউ! আর জীবনেও বলবো না ৷ এবার খুলে দাওনা ৷
– এতো উতলা হচ্ছো কেন? খুলবো তো বলছি কিন্তু তার আগে প্রমিস করো আর জীবনেও আমার সাথে কিপ্টামি করবানা ৷
– সুযোগ পেয়ে আমাকে দিয়ে যাতা প্রমিস করিয়ে নিচ্ছো তো? ওকে, আর কোনোদিন তোমার সাথে কিপ্টামি করবোনা ৷ এবার তো খুলো ৷
– আমি যা বলবো তাই শুনবা?
– হ্যাঁ হ্যাঁ, শুনবো ৷
– যদি না শুনো?
– তাহলে তখন আমাকে তুমি এই আদিবাসিদের হাতে তুলে দিও৷
– তা করবোনা, আমি তোমার এই পোষাকের একটা ছবি তুলে নিয়েছি৷ ওটা ফেসবুকে ছেড়ে দিবো ৷
– কী সাংঘাতিক তুমি! আসলেই তুমি একটা দাজ্জাল বউ ৷ এখন তো বাঁধনটা খুলো ৷
– ওকে খুলে দিচ্ছি ৷
বলেই ওর বাঁধনটা নাচতে খুলে দিলাম ৷এতোক্ষন ওর চারপাশে ঘুরে নাচতে ছিলাম আর এসব বলছিলাম ৷ এদিকে আদিবাসি মেয়েগুলার নাচ শেষ কিন্তু আমি ঘুরে ঘুরে নেচেই যাচ্ছি ৷ তখন রানা আমাকে বললো, ওদের নাচ শেষ৷ থামো তুমি ৷ আমাকে ওভাবে নাচতে দেখে আদিবাসিদের সর্দারের সন্দেহ হলো ৷
সর্দার তখন বললো, এই মেয়েটা আমাদের গ্রামের না ৷ ওকে ধরে বাঁধো ৷ কথাটা শুনে আমি রানাকে বললাম, আমার হাতটা ধরো আর এখান থেকে পালাও ৷ এরপর অনেক কষ্টে আদিবাসিদের হাত থেকে পালিয়ে হোটেলে চলে আসলাম ৷ রুমে এসে ও আমাকে বললো, আর কোনোদিন হানিমুনে আসার জেদ ধরবা? ওর মুখের দিকে তাকিয়ে বললাম, এই কান ধরছি আর কখনো এখানে হানিমুন করতে আসবোনা ৷ এরপর আমরা সুইজারল্যান্ড যাবো ৷