ঘড়িতে ১১ টা ৫৮ বাজে, আর মাত্র দুই মিনিট হলেই শেষ হবে আমার অপেক্ষার প্রহর।
দুই মিনিট হলেই মানে ১২ টা বাজলেই আসবে সেই শুভক্ষণ, যার জন্যে আমি ৮ মাস অপেক্ষা করে আছি।
কাল অর্থাৎ আর দুই মিনিট পর আমার হার্ট, আমার শ্বাস, প্রশ্বাস আমার, হৃদয়ের স্পন্দনের, আমার ভালোবাসা স্নেহার জন্মদিন।
এবারই প্রথম জন্মদিন পেলাম স্নেহার। আট মাস আগে আমার জন্মদিনে প্রথম উইশ টা স্নেহা করেছিলো।
তাই সেদিন থেকেই প্রতীজ্ঞা করেছিলাম স্নেহার জন্মদিনে আমিই সবার আগে উইশ করবো। তাই সেদিন থেকেই অপেক্ষার প্রহর গুনছিলাম।
আজ শেষ হলো সেই অপেক্ষার প্রহর। ১২ টা বেজে গেলো। আগেই লিখে রেখেছিলাম। তাই সাথে সাথেই স্নেহাকে এফবিতে টেক্সট দিলাম-
—-“জানিনা তোমায় কতটা ভালোবাসি আমি, শুধু জানি আমার হৃদয়ের স্পন্দন তুমি,
ভালোবাসি, ভালোবাসি, শুধুই তোমাকে ভালোবাসি।
ভালো আছি, ভালো আছি, শুধুই তোমাকে পেয়ে ভালো আছি।
ভালো থাকুক, ভালো রাখুক, ভালো কাটুক আজকের দিন
তাই হৃদয়ের সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে জানায় ‘শুভ জন্মদিন, শুভ জন্মদিন, শুভ জন্মদিন’।
“Happy Birthday Too U..Many Many Happy Returns Of The Day My Heart Dear Sneha.. I love U Jaan(আমি)
—-ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি অবিরাম, থ্যাংক ইউ সো মাচ জান। I Love U More Janu.(স্নেহা)
“আজ স্নেহার জন্মদিন। আজ আমার সবচেয়ে খুশির দিন। এই দিনটার জন্যে আমি ৮ মাস অপেক্ষা করেছিলাম।
স্নেহা আর আমার রিলেশন ৯ মাসের। আমাদের রিলেশন ফেইসবুকে হলেও দুজনের বাসা একই উপজেলায়। ৪-৫ কিলো এর দূরত্ব।
ওর সাথে পরিচয় হয় আমার ফেইসবুকে। স্নেহা আমার ফ্রেন্ডলিষ্টের প্রথম দিকের ফ্রেন্ড। কিন্তু কখনও কথা হতো না।
হঠাৎ একদিন আমার প্রোফাইল পিকে কমেন্ট করে। তারপর আমি ওর প্রোফাইলে গিয়ে দেখি ওর প্রোফাইল হোমটাউন আমাদের হোমটাউন।
সেদিনই সর্বপ্রথম কৌতুহল জেগেছিলো কথা বলার। অথচ আরও এক বছর আগে ফ্রেন্ড হইছিলো সেটা আমি জানতাম।
কারন একবছর আগে থেকেই মাঝে মাঝে আমার পোষ্টে লাইক দিতো সেটা খেয়াল করতাম।
কিন্তু তেমন আগ্রহ ছিলো না, তাই কখনও কথাও হয়নি। অনেক কৌতুহলবশত আজ একটা মেসেজ দিলাম দুষ্টিমি করেই-
—-হিলু স্নো(আমি)
—-এই যে মিস্টার আমি স্নো নয় আমার একটা সুন্দর নাম আছে(স্নেহা)
—-ওমা তাই? তো কি সেই সুন্দর নাম টা?(আমি)
—-স্নেহা তাবাসসুম, আপনার নাম কি?(স্নেহা)
—-ও মাই গড, এত সুন্দর নাম? কে রাখলো এত সুন্দর নাম?(আমি)
—-থাক আর পাম দিতে হবে না, নাম আমার বাবা রাখছে, তো আপনার নাম কি?(স্নেহা)
—-আমার নাম আরিয়ান মাহমুদ রিফাত, আপনি আমাকে রিফাত বলেই ডাকতে পারেন(আমি)
—-বাহ! সুন্দর নাম তো, তো কি করেন কোথায় থাকেন আপনি?(স্নেহা)
—-এই তো বাবার বাড়িতে থাকি আর ছোট বেলায় নানির বাড়িতে থাকতাম আর বাবার হোটেলে খায় আর বাবার তৈরি করে দেওয়া ঘরে ঘুমায়(আমি)
—-হাহাহাহাহা আমি জিজ্ঞেস করছি আপনার বাসা কোথায় আর কি করেন লেখাপড়া নাকি অন্যকিছু(স্নেহা)
—-ওহ আচ্ছা তাই বলুন, বাসা বগুড়া আর হ্যা লেখাপড়া করি একটু আদ্ধু, তো আপনার বাসা কোথায় আর আপনি কি করেন?(আমি)
—-আমার বাসা ও তো বগুড়ায়, আর আমিও লেখাপড়া করি, এসএসসি পাশ করে বগুড়াতে ভর্তি হয়েছি ইন্টারে,
..এখন ক্লাশ শুরু হওয়ার অপেক্ষায় বসে আছি, আপনার বাসা বগুড়ার কোথায়?(স্নেহা)
—-জি আদমদীঘি, আপনার?(আমি)
—-ও মাই গড আমার বাসা ও তো আদমদীঘি, তো আপনার বাসা আদমদীঘি কোথায়?(স্নেহা)
—-উপজেলা সদরেই, আপনার? আমার বাসা আপনাদের ওখান থেকে ৪-৫ কিলো দূরে, কোন ক্লাসে পড়েন আপনি?(স্নেহা)
—-আমি অনার্স ১ম বর্ষ, আজিজুল হক কলেজ(আমি)
—-বাহ ভালো লাগলো আপনার সাথে পরিচিত হয়ে, একই উপজেলার মানুষ আমরা(স্নেহা)
—-হুম আমারও খুব ভালো লাগলো আপনার সাথে পরিচিত হয়ে(আমি)
“এভাবেই স্নেহার সাথে পরিচয় হয় আমার। তারপর থেকে প্রতিদিন কথা হতো, স্নেহা ফেইসবুকে আসলেই আমাকে এসএমএস দিতো।
তারপর ধীরে ধীরে ফোন নাম্বার আদান প্রদান, মাঝে মাঝে ফোনে কথা হতো, তারপর ওর রিকুয়েষ্টে আপনি থেকে তুমিতে নামলাম।
আর তখন থেকেই ভালো লাগার শুরু। সারাদিন অনেক মজা, আড্ডা দুষ্টুমিতে কাটতো দুজনের।
এক কথায় দুজনের মাঝে অনেক ভালো বুঝাপড়া হয়ে গেছিলো। স্নেহা দেখতে অনেক সুন্দর ছিলো। কিন্তু আমি দেখতে একটু শ্যামলা।
তেমন একটা হ্যান্ডসাম না। মেয়েরা দেখলে খুব একটা পছন্দ করবে না। কিন্তু স্নেহাকে দেখলে যে কোনো ছেলেই পছন্দ করবে।
দেখতে যেমন সুন্দরী, আর তেমন সুন্দর কথা বলতে পারে আর হাসিটাও সেই রকম সুন্দর।
ফেবুতেই বেশি কথা হতো আমাদের আর মাঝে মাঝে ওর কন্ঠ শোনার ইচ্ছা হতো তখন ফোন দিতাম,
যতই মন খারাপ থাক ওর কন্ঠ শুনলেই মন নিমিষেই ভালো হয়ে যেত। তাই প্রায় প্রায় ই ফোন দিতাম। স্নেহা ও মাঝে মাঝে ফোন দিতো।
এভাবে চললো এক মাস। এর মাঝখানে আমি দুইবার গেছিলাম ওর গ্রামে দেখা করতে কিন্তু ওর পারিবারিক সমস্যার কারনে গিয়ে ঘুরে এসেছি।
এদিকে স্নেহা ও বগুড়াতেই ভর্তি হয়েছে, কিন্তু ক্লাস শুরু হয়নি তাই যায় না, কিছুদিন পরেই ওর ক্লাস শুরু হবে, তখন ওর সাথে প্রতিদিন দেখা হবে।
ওর গ্রাম থেকে দুইবার দেখা হলো না বলে ও বললো, ও যখন কলেজ যাবে তখন নাকি দেখা করবে।
স্নেহারও নাকি অনেক সখ আমার সাথে দেখা করার।
এভাবে কথা বলতে বলতেই এক মাস কেটে গেলো। কিন্তু আমি স্নেহাকে বলতে পারলাম না যে ওকে আমার ভালো লাগে।
কারন যখনই কথা হয় তখনই দুষ্টুমি ফান নিয়ে মেতে যায় দুজন। তাই বলতে গিয়েও বলা হয় না।
তাই মনে মনে ভাবলাম, এভাবে না বলে সামনাসামনি যখন দেখা হবে তখন ফুল দিয়ে প্রপোজ করবো। তাই আর এভাবে বললাম না।
কিছুদিন পরেই স্নেহার কলেজ শুরু হয়ে গেলো। আর ক্লাস করার সুবিধার্থে মেসে থাকার সিদ্ধান্ত নিলো স্নেহা। কথাটা শুনে অনেক খুশি হয়েছিলাম।
কিন্তু সমস্যা হলো সেদিন যেদিন স্নেহার কলেজে প্রথম ক্লাশ ছিলো। আগে থেকে কত প্ল্যান স্নেহার কলেজের প্রথম দিন ওর সাথে দেখা করবো আমি।
কিন্তু তা আর হলো না, দেখা করার আগেরদিন রাত থেকে হঠাৎ করেই আমার জ্বর আর পাতলা পায়খানা।
এই নিয়ে সাত দিন বিছানায় পড়ে থাকলাম। আর দেখা করা হলো না সাত দিন ফেইসবুকেও যেতে পারতাম না ফোনেও কথাও বলতে পারতাম না।
এক কথায় ঐ সাত দিন কোনো প্রকার যোগাযোগই করতে পারিনি।
প্রতিদিন কলেজে গিয়ে ফোন দিতো স্নেহা, ফেইসবুকে মেসেজের পর মেসেজ কিন্তু আমার কোনো সাড়া নেই।
শেষমেষ ৭ দিন পর যখন আমি একটু সুস্থ হোলাম তখন একদিন সকালে ফোন দিলাম, আর স্নেহা ফোন রিসিভ করে সেই কান্না আর রাগ দেখালো-
—-হ্যালো স্নেহা কেমন আছো?(আমি)
—-এতোদিন পর আমি কেমন আছি সেটা জানতে চাচ্ছো?
..বাই আর ফোন দিবা না আর কথাও বলবা না তোমার সাথে আমার কোনো কথা নাই আর(স্নেহা)
—-প্লিজ রাগ করো না, আমার কথাটা শুনো(আমি)
—-কি শুনবো আর কি শুনাবা হ্যা? কই ছিলা এই সাত দিন? কতবার ফোন দিছি দেখো, ফেইসবুকে কতটা এসএমএস দিছি দেখো?
সাত দিনে একবারও মনে পড়লো না আমার কথা? আমি কত মিস করেছি তোমায় জানো?
সাত দিন কলেজে গিয়েই তোমাকে ফোন দিতাম তোমার সাথে দেখা করবো বলে, কিন্তু তুমি ফোন ও রিসিভ করতে না কলেজেও আসতে না।
আমার খুব কষ্ট হয়েছে এই সাত দিন(স্নেহা)
—-আমি এই সাত দিন খুব অসুস্থ ছিলাম, একেবারে বিছানায় পড়ে ছিলাম, কথা বলার মতো কোনো অবস্থা ই ছিলো না(আমি)
—-হায় আল্লাহ কি বলো তুমি? কি হয়েছিলো তোমার?(স্নেহা)
—-হঠাৎ, ঠান্ডা আর পাতলা পায়খানা, সাত দিনে শরীর একেবারে শেষ হয়ে গেছে(আমি)
—-এখন কেমন আছো? এখন কি ভালো আছো? সুস্থ হইছো?(স্নেহা)
—-হুম এখন একটু ভালো আছি, পাতলা পায়খানাটা সেরে গেছে কিন্তু জ্বর আর ঠান্ডাটা আছে অল্প অল্প তবে তেমন কোনো বড় সমস্যা নাই(আমি)
—-তো আমাকে বলোনি কেন? তাহলে আমি তোমাকে দেখতে যেতাম(স্নেহা)
—-বলার সুযোগ হয়নি, যায় হোক আজ কি কলেজে যাবে?(আমি)
—-হুম যাবো, তুমি কি আসতে পারবে?(স্নেহা)
—-হুম পারবো, তোমার সাথে দেখা করার জন্যে মন ছটফট ছটফট করছে(আমি)
—-যদি কষ্ট হয় তাহলে আসার দরকার নাই, পরে দেখা করবো যখন তুমি সুস্থ হয়ে যাবে(স্নেহা)
—-না সমস্যা নাই, আমার কষ্ট হবে না, আমি যেতে পারবো, আমরা আজকেই দেখা করবো(আমি)
—-আচ্ছা ঠিক আছে এসো(স্নেহা)
” স্নেহার সাথে কথা শেষ করে ফেবুতে গিয়ে দেখি সাত দিনে উনচল্লিশটা এসএমএস দিয়েছে।
আর স্নেহার প্রোফাইলে ঢুকে দেখলাম চারটা হার্টব্রোকেন পোষ্ট দিয়েছে আমাকে নিয়ে।
ঐগুলা দেখার পর মনে হলো আমার উপরেও স্নেহার একটু হলেও দূর্বলতা আছে আর নাহলে কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলতো না।
তাই মনে মনে ভাবলাম নিঃসন্দেহে স্নেহাকে ভালোবাসার কথা বলা যায়। তাই রেডি হয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আগে ভাগেই কলেজে চলে গেলাম।
যাওয়ার পথে ফুলের দোকান থেকে একটা লাল গোলাপ কিনলাম।কারন স্নেহার লাল কালার পছন্দ। আমি আগে গিয়েই ওর কলেজে বসে থাকলাম।
কারন ওর কলেজ আর আমার কলেজ একদম কাছাকাছিই। তাই চেনাজানা আছে। কিছুক্ষণ পরে স্নেহা কলেজে ঢুকলো।
কিন্তু তখন তেমন কেউই কলেজে আসেনি। একজন দুইজন এসেছে মাত্র। ঢুকেই আমাকে ফোন দিয়ে ডেকে নিলো একটা গাছের নিচে।
আমি অবশ্য ঐ গাছের কাছেই ছিলাম তবে স্নেহা আমাকে দেখতে পায়নি। তাই ডেকে নিলো।
গাছের নিচে গিয়ে স্নেহা অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি গিয়ে ডাকতেই মুখ ঘুরে আমার দিকে তাকালো।আমি দেখে তো পুরাই টাস্কি। দেখতে পুরাই হুর পরী। পিক এর চেয়ে বাস্তবে বেশি সুন্দর।
প্রথমে দেখে আমি দুই মিনিট ওর থেকে চোখই সরাইনি। পরে ও ডাকাতেই চোখ সরালাম পরে কথা হলো।
কেমন আছি, এগুলা। কিছুক্ষণ কথা হওয়ার পর আমি স্নেহাকে বললাম-
—-স্নেহা আমি তোমাকে একটা কথা বলতাম, তুমি যদি কিছু মনে না করো(আমি)
—-কি কথা বলবা? আর মনে করবো কেন? বলো কি বলবে(স্নেহা)
“তারপর ফুলটা বের করে হাতে নিয়ে হাতে নিয়ে বললাম-
—-আই লাভ ইউ স্নেহা, আর ইউ লাভ মি?(আমি)
—-হোয়াট? কি বলছো এসব?(স্নেহা)
—-কেন অবাক হলে? তোমাকে আমি অনেক আগে থেকেই ভালোবাসি,
অনেক আগে থেকেই ভালো লাগে কিন্তু বলতে পারিনি বা বলার সুযোগ হয়নি,
..আজ সুযোগ পেয়েছি তাই আজ বললাম, তুমি কি আমাকে ভালোবাসবে?(আমি)
—-আমাকে পাঁচ মিনিট ভাবার সময় দাও, সবকিছু যেন গুলিয়ে যাচ্ছে(স্নেহা)
—-আচ্ছা ঠিক আছে, তুমি একটু দূরে দাঁড়িয়ে পাঁচ মিনিট ভাবো আমি অপেক্ষা করছি(আমি)
—-আচ্ছা ঠিক আছে(স্নেহা)
“তারপর স্নেহা একটু দূরে সরে অন্য দিকে ঘুরে যেন কি যেন ভাবছিলো, পাঁচ-ছয় মিনিট পর এসে বললো-
—-হুম ভাবা শেষ, আমিও তোমাকে ভালোবাসবো(স্নেহা)
—-সত্যিই? সত্যিই ভালোবাসবে?(আমি)
—-হুম বাসবো, কই দাও গোলাপটা সবাই চলে আসার আগে প্রপোজ করো(স্নেহা)
তারপর ওর কথা শুনে হাটু গেড়ে গোলাপ হাতে নিয়ে ওরে প্রপোজ করলাম। আর ওকে জিজ্ঞেস করলাম-
—-আমার কথাটা শুনার পর তুমি পাঁচমিনিট ভাবার সময় নিলে কেন?(আমি)
—-ঐ পাঁচমিনিট মনকে প্রশ্ন করলাম, মন শেষমেষ হ্যা উত্তর দিলো।
গত সাত দিন তুমি না থাকাতে তোমার উপর আমার অনেক ভালোবাসা জন্মে গেছে তাই তোমাকে ফিরাতে পারলাম না।
ভালোবেসেই ফেললাম।(স্নেহা)
—-আচ্ছা এখন যায় সবাই চলে আসবে কলেজের টাইম হয়ে যাচ্ছে, লাভ ইউ টাটা(আমি)
—-লাভ ইউ টু টাটা(স্নেহা)
“সেদিন থেকেই শুরু হয় আমাদের ভালোবাসার পথ চলা। তারপর একে একে কেটে গেলো ৯ টি মাস।
এর মাঝে কতবার যে আমরা দেখা করেছি হিসাব নাই। কত ঘুরেতে গেছি, পাশাপাশি বসে গল্প করেছি, কত রেস্টুরেন্টে খেয়েছি।
হাজারও সুখময় স্মৃতি আমাদের। দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসি। একজনরে ছাড়া আরেক জনের চলা অসম্ভব।
রিলেশন শুরু হওয়ার এক মাস পর আমার জন্মদিন ছিলো। সর্বপ্রথম স্নেহা ই উইশ করেছিলো। পরেরদিন আমরা ঘুরতে গেছিলাম।
একটা কেক কিনে জন্মদিন পালন করেছিলাম। আমাকে একটা মোবাইল গিফট দিছিলো আজ স্নেহার জন্মদিন। আমিই প্রথম উইশ করলাম।
আর আজকের প্ল্যানও সেইম আমার জন্মদিনের মতোই। একটা কেক কিনে ঘুরতে যাবো। আর সেখানেই স্নেহার জন্মদিন পালন করবো।
তাই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম দুজনেই। সকাল ৯ টায় দুজন মিট করলাম।
তারপর একটা কেক কিনে দুজনে পার্কে চলে গেলাম। আর সেখানে গিয়েই কেক কাটলো স্নেহা।
আমার বেলায় অবশ্য আমরা দুজনেই ছিলাম কিন্তু স্নেহার সময় স্নেহার আর আমার কয়েকটা ক্লাশ ফ্রেন্ডকে ইনভাইট করেছি।
যারা আমাদের রিলেশনের ব্যাপারে সবকিছু জানে, এরকম কিছু ফ্রেন্ডদের। তারপর সবাই এক জায়গায় হয়ে কেক কাটা হলো।
আমি একটা আংটি কিনেছিলাম স্নেহার জন্মদিনের গিফট দেওয়ার জন্যে। কেট কাটার পরে আংটিটা পরিয়ে দিলাম।
আমার দেওয়া কোনো বড় ধরনের উপহার এটাই। কারন আমার জন্মদিনে স্নেহা ৭,০০০ টাকার মোবাইল দিয়েছিলো।
আমি ৮ মাসে ৮,০০০ টাকা জোগাড় করে ওরে আংটি কিনে দিছি। আংটিটা আমার পছন্দ করেই কেনা।
পার্ক থেকে বের হয়ে আজ অনেক ঘুরলাম দুজন। সকাল থেকে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত এক সাথে ছিলাম আজ। পার করে এলাম অনেক স্মৃতিময় মূহুর্ত।
আজকের দিনটাই আমাদের জীবনের সবচেয়ে সুখের আর স্মরনীয় দিন। স্মৃতির পাতায় স্মরনীয় হয়ে থাকলো আজকের দিনটা।
ভালো আছি দুজন। ভালোবাসি আর ভালোবেসে যাবো অবিরাম।