–আরে আরে মারছিস কেন। লাগছে তো
–আগে বল তুই আমার সাথে প্রেম করিস।
–হ্যাআ…না
–তাহলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিছিস কেন। বল
–ভালোবাসি তাই দিছি
–আমি তোকে বলছি। যে ..আমি তোকে ভালোবাসি?
–না।
–তাহলে কেন দিলি
–তোকে রাগানোর জন্য
–আমাকে রাগাতে তোর খুব ভালোলাগে?
–শুধু রাগাতে না। তোর সব কিছু ভালোলাগে।
–দেখ …আমি তোকে ..আবারো বলছি। আমি তোকে ভালোবাসি না। just শুধু বন্ধু ভাবি
…তুই যদি আবারো ভালোবাসার কথা বলিস।
তাহলে তোকে বন্ধু ভাবতেও ভুলে যাবো।
–আচ্চা তুই কেন বুঝছিস না। আমার ভালোবাসা।
কি কমতি আছে আমার মাঝে””
আমাকে বল।
..আমি দেখতে (খারাপ) না তোর যোগ্য না।
–আমি কি বলছি যে..তোকে আমার ভালো লাগেনা। তুই আমার যোগ্য না।
–তাহলে কেন ভালোবাসিস না।
–ধ্যেত তুই থাক। তোর ভালোবাসা নিয়ে।
এই বলে চলে গেলো (রাত্রি) কলেজ ক্যাম্পাস থেকে।
আর (নিলয়) একাকার হয়ে। ভাবছে
…কেন তার ভালোবাসা বোঝেনা….রাত্রি।
সেই ক্লাস 10–থেকে …তাকে ভালোবাসি ভালোবাসি বলছে।
কিন্তু .. রাত্রির একৈই কথা।
সে তাকে ঐ চোখে ভাবেনা। শুধু ..বন্ধু.. ভাবে।
আজ… রাত্রি একটু বেশি ক্ষেপেছিল
… ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াই
…নিলয় কখনো ভাবেনি ..এতো কিছু হবে একটু ফাজলামি করছিলো।
যে রাত্রির আর নিলয়ের ২বছরের বন্ধুত্ব তার মনে কততা গভীর। তা জানার জন্য।
…আজ ৫দিন হয়ে গেলো রাত্রির কোনো যোগাযোগ নেই। নিলয়ের সাথে…
নিলয়ের ফোন নাম্বার ব্লক করে দিয়েছে।
কলেজে …তার সাথে কথা বলনা।
নিলয় তাকে ডাক দিলেও…না শোনার ভান করে চলে যায়।….
আজ নিলয় কলেজ ছুটির পর…
বাহিরে দারিয়ে আছে..
তার সাথে …কথা বলবে বলে।
–রাত্রি কলেজ থেকে বের হয়ে দেখে। নিলয় বাহিরে দারিয়ে।…তাই রাত্রি তার চাচা ভাইকে ফোন করে ডেকে তার হাত ধরে গাঁ ঘেঁষে…নিলয়ের সামনে দিয়ে যেতে থাকে..
তখন নিলয়…পিছোন থেকে রাত্রির হাত ধরে।
ঠাঠাঠাস…রাত্রি পিছোন ঘুরেই নিলয়ের গালে..
থাপ্পড় বসিয়ে দেয়।
…তুই আমার হাত ধরার সাহস কৈই পেলি। (রাত্রি)
–আসলে Sorry পিছোন থেকে তেমন দেখতে পাইনি।
আমি মনে করেছিলাম আমার বন্ধু…যাইতেছে।
তাই হাত ধরছিলাম। কিন্তু ..আপনি এটা। (নিলয়)
–মেয়ে দেখলেই বন্ধু মনে করে হাত…ধরতে মন চায়।
তোদের মতো ছেলেদের তো জুতা পিটা করা উচিৎ। (রাত্রি)
–ঠিক বলেছেন…আমার মতো মানুষদের এমনটাই পাওয়া উচিৎ। যারা মানুষকে বেশি
ভালোবাসা দিয়ে থাকে।
তার অজান্তেই খুব কাছের মানুষ মনে করে।
কান্না করতে করতে (নিলয়)
এই কথা বলাতে …
–নিশ্চুপ (রাত্রি)
কারণ রাত্রি যানে নিলয় কেমন ছেলে..
তার থেকে ভালো আর কেউ জানেনা।
কিন্তু…রাত্রি নিলয়কে বোঝাতে পারছে না। যে
আমি তাকে ভালোবাসতে পারবো না।
অনেক বার বলার পরোও..নিলয় বোঝতে
চায় না।
তাই এমন আচারণ করছে যে
নিলয়র ভালোবাসা যেন ঘির্ণাই পরিনত হয়।
–রাত্রি ও বলছে তো.. ভুল হৈইছে..ছেরে দাও না (রাত্রির চাচা ভাই)
–আচ্চা চলো। যতো সব ফালতু ছেলে।
এই বলে রাত্রি চলে গেলো।
–নিলয় সেখান থেকে কান্না করতে করতে..
বাসায় চলে যায়।
বিকেলটা কষ্টে পার করে দেয়।
কিন্তু রাতে…তার কথা মনে পরে যায়..
আর ভাবতে থাকে …যেই রাত্রি আমাকে
ছাড়া একমহূত থাকতে পারতো না।
আর সে এতোটা নিষ্ঠুর হলো কি ভাবে।
আর আজকে যা।
করলো…তার ভাবতে কান্না চলে আসে..
নিজে নিজে বলতে থাকে।
রাত্রি তুই বলতেই পারতি …আমি তোর
বিরক্তির কারণ…আমার সাথে আর
সম্পর্ক রাখতে চাসনা।
…তাহলেই তো দুরে সরে যেতাম।
অযথা___থাপ্পর দিয়ে অপমান..করার
কি দরকার ছিল।..
মনে মনে …প্রতিকগা করে…(নিলয়)
আর কখনো রাত্রির সামনে যাবেনা।
… কিন্তু তাকে না। দেখলে তো
…তার এক মুহুর্ত সময় কাটে না।
…তাই সে ভাবে অন্য কলেজে পড়বে।
তার বাবাকে বলে …আমার অন্য কলেজে
ভর্তি করার ব্যাবস্থা করতে।
… নিলয় কথায় তার বাবা রাজি হয়ে
হয়ে যায়।… কারণ নিলয়ের বাবা জানে
….তার ছেলে যা করে নিজের ভালোর
জন্য করে।
পরের দিন বিকালে তার বাবা জানায়..
…অন্য কলেজে তার ভর্তি হয়েছে।
…পরের দিন থেকে ক্লাস শুরু।
__
আর দিকে…ভাবতে থাকে রাত্রি।
খুব কাছের বন্ধু আজ নিজের কারণেই
অনেক দূরে…
যাকে ছাড়া তার এক মুহুর্ত ভালো লাগেনা।
তাকে আজ নিজের রাগের বশে…গায়ে হাত
তুললো।
–রাত্রির সেই পুরনো দিনের কথা মনে পরে যায়।
যখন
রাত্রি যখন অন্য স্কুল থেকে…নিলয়দের স্কুলে
ভর্তি হয়।
তখন তার কোন বন্ধু ছিল না।
সে একা একা সময় কাটাতো…
তখন নিলয় নিজ ইচ্ছায়। এসে বন্ধুত্বের হাত
বাড়ায়।
….তার পর থেকেই সব সময়…তার সাথে সময়
কাটাতো।
ভালোই যাচ্ছিল দিন।
কিন্তু ক্লাস ১০এ এসে
… বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসাই… জড়িয়ে জায়।
(নিলয়)
…তারপর থেকেই একটু একটু ফাটোল ধরতে থাকে…যার শেষ পরিণতি…ঘির্ণাই পরিনতো হয়েছে।
–রাত্রি ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত ১২.৩০ বাজে
ঘুম, ঘুম চোখ তবুও…আজ তার ঘুম নেই।
…কাল কলেজে গিয়ে ..নিলয়ের কাছে সরি
বলবে। তাদের সম্পর্ক আগের মত গড়াবে।
এসব ভাবতে ভাবতে। ঘুমিয়ে যায় (রাত্রি)
….সকাল ৭.০০ দিকে ঘুম ভাঙ্গে রাত্রির–
ফ্রেস হয়ে খাওয়া দাওয়া। করতে করতে
কলেজের সময় হয়ে যায়…
তাই সে কলেজে রউনা দেয়।
আর এদিকে –নিলয়–তার নতুন কলেজে..
চলে যায়।
–রাত্রি ..কলেজে এসে তার চোখ শুধু
–নিলয়কে খুঁজতে থাকে।
কিন্তু নিলয়কে কোথাও পায়না…
(রাত্রি)
–খুব কষ্টে ক্লাস করে বাসায় ফিরে রাত্রি।
এভাবেই কেটে যায় ১০দিন।
তার ছায়াঁও খুঁজে পায়না রাত্রি।
–আর এদিকে নিলয়ের দিন ভালো গেলো ও..
তার মন যে সারাক্ষণ রাত্রির শূন্যতা অনুভব করে।
তবুও কষ্টে/অভিমানে চলতে থাকে..
নিলয়ের জিবন।
— আর সন্ধ্যায় রাত্রি তার নিজের মায়ের…কাছ থেকে
নিলয়ের ফোন নাম্বার নেয়।
আপনারা ভাবছেন ..নিজের মায়ের কাছ..
থেকে নাম্বার নিলো। তার কাছেই তো ছিলো।
আর মা..ই বা কৈই পেলো
সেটাই আগে বলি আপনাদের…
সেইদিনের পর রাত্রি তার ফোন থেকে
নিলয়ের নাম্বার ডিলিট করে দেয়।
তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করার জন্য।
..
আর তার মায়ের কাছে নাম্বার থাকার
কারণ।
নিলয় রাত্রির ফোন বন্ধ পেলে..
তার মায়ের কাছে ফোন দিয়ে
তার খবর নিতো।
…তো
তার ..নাম্বারে দেয় রাত্রি। কিন্তু ফোন বন্ধ।
…এখন খুব কষ্ট হচ্ছে রাত্রির–
..
–তাহলে কি নিলয়ের দেখার…আর সে পাবে না।
এভাবে আরো কিছু দিন কেটে যায়।
—একদিন।
খুব বৃষ্টি হচ্ছিলো। কিন্তু নিলয় বৃষ্টির মধ্যে
গাড়ি পাচ্ছিলো না।…
তাই … রাস্তার পাশে ছাউনীতে দাঁড়িয়ে আছে।
হঠাৎ সে দেখতে পায়… রাস্তার ওপর পাশে।
কিছু ছেলে। একটা মেয়েকে…
ডিস্টার্ব করছে।
নিলয় ছাতা নিয়ে আসেনি।
তবুও একটু গা ভিজিয়েই ওপার চলে যায়।
মেয়েটিকে বাজে ছেলেদের হাত থেকে
রাক্ষা করারা জন্য।
মেয়েটিকে দেখার সাথে সাথে ….?
নিলয়ের চোখ কপালে উঠে যায়।
…মেয়েটি আর কেউ নয়। রাত্রি
নিলয়কে দেখে .. ছেলেগুলো চলে যায়।
চলে যাওয়ার অবশ্য কারণ আছে। আর তা হলো… ছেলে গুলো তার পাশের বাসার।
…যদি নিলয় তাদের বাসাতে বলে দেয়।
–আনেক দিন পর রাত্রির সাথে এভাবে দেখা হবে।
নিলয় কখনো কল্পনাও করেনি।
–রাত্রি নিলয়কে দেখে নিশ্চুপ হয়ে আছে।
মাথা নিচু করে।
তার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না।
এমন সময় একটা CNG চলে আসে।
নিলয় উঠে চলে যায়।
…আসলে নিলয় আমি…মাথা উঁচু করে।
দেখে নিলয় নেই। (রাত্রি)
–মনে মনে অনেকটা খুশি হয়ে ছিল। রাত্রি
নিলয়ের দেখা পেয়ে। কিন্তু এমনটা করবে।
তার জানাছিল না। রাত্রি ভারে ..
এই কি নিলয়ের মনে তার ভালোবাসা।
যে নিলয় আমার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য পাগল ছিল। ১মিনিট সময় ও হলো না। আমার
সাথে কথা বলার।…
কান্না করতে করতে …রাত্রি কলেজে চলে যায়।
…নিলয় কলেজে গিয়ে মনমরা। হয়ে। বসে আছে…এমন সময় –আরে নিলয় ভাইয়া
তুমি! —একটা মেয়ে।
–হ্যা কিন্তু তোমাকে ঠিক চিনতে পারলাম না। (নিলয়)
–আমি তোমার বান্ধবী রাত্রির..মামাতো বোন (আশা)
–ওহ তা এখানে …(নিলয়)
–এই কলেজে কিছুদিন আগে ভর্তি হয়েছি।
আর আজই প্রথম।
কিন্তু তুমি এই কলেজে। রাত্রি আপু বলছিলো তুমি
ওর কলেজে পড়। (আশা)
— হ্যা পড়তাম। কিন্তু আর পড়ি না।(নিলয়)
— ও আচ্ছা । তা কেন ঐ কলেজ থেকে এই কলেজে ভর্তি হলা। ভাইয়া (আশা)
–এমনি। আচ্ছা আমি এখন যাই। ক্লাসের সময় হয়ে গেছে। পরে কথা বলবো নি। (নিলয়)
এই বলে নিলয় চলে যায়।
সে আর থাকতে চায় না। ওখানে, কারণ ওখানে
থাকেলে আরো প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
আর তা ছাড়াও ক্লাসের সময় হয়েছে।
–আশাও তার ক্লাসে চলে যায়।
কলেজ ছুটির পর…আশা বাসাই গিয়ে..
রাত্রি কে ফোন দেয়।
…হ্যালো…আশা কেমন আছিস। (রাত্রি)
–ভালো। তুমি কেমন আছো আপু? (আশা)
–হ্যা ভালোই আছি। করুন স্বরে..তা কি মনে করে ফোন দিছিস। (রাত্রি)
–আপু তোমার নিলয় নামের যে বন্ধুকে..
দেখিয়েছিলে না। ঐ ভাইয়ার সাথে আজকে..
দেখা হয়েছিলো আমাদের কলেজে। (আশা)
–কি বললি তোদের কলেজে ও এখন পড়ে।
(রাত্রি) দেহে মনে হয় প্রাণ ফিরে পেল রাত্রি।
–কেন তুমি জানো না। (আশা)
–না। ও আমার সাথে আর কথা বলে না।
আজ থেকে প্রায় দেড় মাস হচ্ছে (রাত্রি)
…কি বলো আপু। কৈই ভাইয়া তো আমাকে কিছুই বললো না।
ওহ এখন বুঝছি তাই তো ভাইয়া ক্লাসের কথা।
বলে চলে গেলো।…
আচ্ছা .. কিছু কি হয়েছে তোমাদের..(আশা)
–হ্যা। তার পর তাদের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনা
আশাকে সব বলে। (রাত্রি)
–তার মানে তুমি এখন নিলয় ভাইয়ার
শূণ্যতা অনুভব করছো। মানে তাকে ভালোবেসে ফেলেছো। (আশা)
–আরে তা না। (রাত্রি)
–হুম সেটা তো বুঝতেই পাচ্ছি।
–আচ্চা সমষ্যা নাই। আমি তো আছি।
…কাল কলেজে গিয়ে। দেখি কি করা যায়। (আশা)
আচ্ছা বাই। এই বলে ফোন কেটে দেয় (রাত্রি)
পরের দিন। কলেজে টিফিন পিরিয়ডে।
আশা। নিলয়ের সাথে দেখা করে।
–ভাইয়া একটু ফোন নাম্বার টা দেবেন। (আশা)
নিলয় তেমন কিছু না ভেবে নাম্বার দিয়ে দেয়।
–কলেজ শেষ করে বাসায় এসেই।
ফোন দেয় রাত্রি কে। আশা
–হুম কি ব্যাবস্থা করলি (রাত্রি)
–আপু তেমন কি করতে পারিনি। তবে তার
… নতুন নাম্বার নিয়ে এসেছি। (আশা)
–নাম্বার কি করবো ওতো আমার সাথে কথাই
বলতে চায় না। (রাত্রি)
–এটাই তো তার সাথে কথা বলার
…সহজ উপায়। আর তোমার প্রেমের ফাঁদও
ভালো হবে। তুমি। নিলয় ভাইয়ার সাথে
–অচেনা হয়ে কথা বলবে ..
তাহলেই আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে। (আশা)
–হুম তোর প্যানেলটা খারাপ না।
আচ্ছা নাম্বার দে। (রাত্রি)
নাম্বার পেয়ে রাত্রি অনেক খুশি হয়।
রাতে নিলয়ের নাম্বারে ফোন দেয় (রাত্রি)
… রিং হওয়াই অবাক হয়ে যায় রাত্রি।
কারণ তার ফোনে কলিংএ
–স্বপ্ন ভেংগে গেছে। ভুল মানুষকে ভালোবাসে।
–নতুন করে আর স্বপ্ন দেখতে চায় না মন।
এমন কলিং রিং শুনে ফোন কেটে দেয়। রাত্রি
…. কান্না করতে থাকে রাত্রি। আমি কি এতোটাই
অপরাধ করেছি যে। আমার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা তার ফোনে সেভ করে রেখেছে।
–এসব ভাবতে ভাবতে হাতের ফোনটি..
কেঁপে উঠে।… তাকিয়ে দেখে আর কেউ নয়।
নিলয় ফোন ব্যেক করেছে।
রাত্রি ফোন রিসিভ করে।
… আসসালামুয়ালাইকুম। কে বলছেন?(নিলয়)
–রাত্রির মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না।
অনেক দিন পর যে খুব কাছের মানুষের কন্ঠ শুনতে পেলো সে।…
–কি হলো কে বলছেন কথা বলুন। (নিলয়)
…চেনা হয়েও অচেনা মানুষ আমি। করুন স্বরে
(রাত্রি)
–মানে…(নিলয়)
–মানে হলো চিনবেন না। আপনি কথা ঘুরিয়ে (রাত্রি)
…. আপনি কি আশা বলছেন (নিলয়)
–কোন আশা..কে আপনার গার্লফ্রেন্ড নাকি?(রাত্রি)
–…না। কিন্তু আপনি কে…আর কেনো ফোন
দিয়েছেন…(নিলয়)
…কি হলো বলেন!
..আমি কি আপনার বন্ধু হতে পারি। (রাত্রি)
–আজব মেয়ে তো আপনি। আমাকে
আপনি চিনেন না। জানেন না। আবার
… বন্ধু হতে চান। (নিলয়)
–কেন অপরিচিত থেকে পরিচিত হওয় যায় না। (রাত্রি)
আমার পরিচিত হওয়ার কনো প্রয়োজন নেই।
এই বলে। নিলয় ফোন কেটে দেয়।
–রাত্রির তেমন মন খারাপ হলো না।
কারণ ..নিলয় তেমন অচেনা কারো সাথে কথা বলে না। সেটা আগে থেকেই যানে … বরং রাত্রি মনে মনে একটু খুশি।
তার সাথে অনেক দিন পর কথা বলে।
— পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে..
নিলয় কে… morning sms দেয়।
–নিলয়রে sms এর শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়।
…smsটি সেন্ট করে দেখে। কালকের ঐ নাম্বার থেকে morning sms আসছে।
… হঠাৎ রাত্রির কথা মনে পরে যায়।…
প্রতিদিন তাকে ফোন দিয়ে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিতো। ….এখন আর তার ফোন আসে না।
..
অবশ্য তার জন্যই আসে না। অযাথা তাকে..নিয়ে
স্বপ্ন দেখতে গেলো। নিলয়
–sms এর reply দেয় নিলয়। morning 2
তার একটা ভালো লাগা কাজ করে। যদিও সে অচেনা। তবুও যদি রাত্রির মতো প্রতিদিন বন্ধু হিসাবে … ঘুম থেকে জাগিয়ে দেয়।
ফোনটি বিছানায় রেখে ফ্রেস হতে চলে যায় (নিলয়)..
–ফ্রেস হয়ে এসে দেখে আর …কোনো sms
আসে নি।… নাস্তা করে কলেজে চলে যায়।
—কলেজে আশার সাথে নিলয়ের দেখা হয়।
–আশা তুমি তো পরশু দিনে আমার নাম্বার নিয়েছিলে। ফোন দিয়ে ছিলে কি?(নিলয়)
….না। …আমর ফোনে টাকা ছিলো না।
তাই দেইনি। কেন বলুন তো ভাইয়া। (আশা)
–না এমনি। কালকে একটা অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসছিল। তাই…কথাও হয়েছিল তা আর বললাম না।
–আশা আবার …আমার সাথে অচেনা হয়ে
-এমন করছে না তো। মনে মনে ভাবলো (নিলয়)
–ভাইয়া একটা কথা বলবো। কিছু মনে করবেন না তো। (আশা)
–না। বলো …(নিলয়)
–কালকে আপনার সাথে কথা বলার পর ..
কলেজ শেষ করে বাসায় গিয়ে। রাত্রি আপু কে ফোন দিয়ে। যান্তে চেয়েছিলাম। আপনি কেন?
ঐ কলেজ ছেড়ে আমাদের কলেজে আসলেন।
….আপনি ঐ দিন বলতে চেয়ে আবার কি যেনো ভেবে ক্লাসের নাম করে চলে গিয়েছিলেন।
আমার মনের ভিতর কৌতুহল যাগে..তাই আপুর কাছ থেকে জানতে পারবো।
–ভেবে ফোন দেই। কিন্তু আপু বললো। আপনি না…কি আপুর সাথে কথা বলেন না।
অনেক দিন ধরে …আপনার দেখা নেই। আর আপনি যে আমাদের কলেজে ভর্তি হয়েছেন।
তাও আপু জানেনা….আপনাদের মাঝে কি হয়েছে বলবেন। একটু ….
জানার পরো বললো (আশা)
নিলয়ের মনে অনুভূতি যাগানোর জন্য।
–নিলয় সব খুলে বলে।
–আচ্চা ভাইয়া। আপনি কি এখনো রাত্রি..
আপুকে ভালোবাসেন…
–ভালোবাসার মানুষ কে কি কখনো ভুলে থাকা যায়…
–ভাইয়া আপনি কি জানেন। সে দিনের পর থেকে। আপনার শূন্যতায় আপু আপনাকে ভালোবাসে ফেলেছে। …আপনাকে অনেক
খুঁজেছে। কিন্তু কোথাও পায়নি। কলেজেও যাচ্ছিলেন না।
আপু প্রায় পাগলের মতো অবস্থা।
কিন্তু। বৃষ্টির ঐ দিনে আপনাকে পেয়েও হারিয়ে ফেলে। আপনি আপুর সাথে…
কথা না বলেই চলে যান। তবুও…আপনার উপর একটুও অভিমান করেননি। বরং সে আপনার দেখা পেয়ে….মনে মনে অনেক শান্তনা পেয়েছিলো।
….আর…আপনি কি না। এই বলে (আশা)
থেকে গেলো।
–আশা তুমি বলতে পারবে… রাত্রি এখন কৈই আছে। ওর ফোন নাম্বার কি আছে তোমার কাছে (নিলয়)
–হুম। আপনার কাছেই তো আছে।
মানে—(নিলয়)
–আপনি যার সাথে ফোনে কথা বলেছিলেন না। আমাকে বললেন। (আশা)
–হ্যা….
–ঐটাই রাত্রি আপুছিল।
—নিজের উপর খুব…ঘির্ণা হচ্ছে । নিজের ভালোবাসার মানুষের কন্ঠোও চিনতে পারলাম না। অবশ্য চিনবোই বা কি করে…অনেক দিন ধরে আর একটা কথাও হয়নি। তার পরও।
ওর কন্ঠ আগের থেকে…অনেকটা মলিন কন্ঠের…হয়েছে। তাই চিন্তে পারিনি।
–ভাইয়া। শুধু ভাববেন। না কি আপুকে…
আরো কষ্ট দিবেন। (আশা)
….কলেজ ছুটির পর। আশাকে বললাম।
তোমার রাত্রি আপুকে ফোন দিয়ে। …
এ্যাড ওয়ার্ড পার্কে আসতে বলো। ..
—২০ মিনিট অপেক্ষা করার……পর দেখলাম কেউ যেনো আমাদের দিকে আচ্ছে।
….হ্যা আর কেউ নয়। রাত্রি…অনেকটা শুঁকে গেছে। হয়তো আমার জন্যই।
—তো আমি একটু আড়ালে গেলাম…
—রাত্রি কাছে এসে। কি জন্য এখানে আসতে বললি বল। তুমি একটু অপেক্ষা করো।
আমি একটু এদিক থেকে আসি।
….রাত্রির আর নিলয়ের মাঝে কথা বলার…
সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কথা বললো। (আশা)
–রাত্রি দারিয়ে অপেক্ষা করছে।
—রাত্রি অনুভব করলো।কেউ যেনো পিছোন থেকে জরিয়ে ধরেছে।
—মুখ ঘুরেই ঠাঠস থাপ্পড় বসিয়ে দেয়।নিলয়ের গালে। রাত্রি নিলয়কে দেখে আর তার গালে থাপ্পড় দেওয়াতে …হতোভম্ব হয়ে যায়।
সে…যে আবার তার ভালোবাসার মানুষটির গালে থাপ্পড় মেরেছে। যার জন্য …এতো দিন দূরে ছিলো। নিশ্চুপ হয়ে আছে…
দু,জনেই।
—নিলয়ও কখনো ভাবেনি আবার এরকম হবে।
তবে কি রাত্রি তাকে। ভালোবাসে না।
তাহলে কি ….আশা তাকে মিথ্যা বললো।
এসব ভাবছে আর। গালে হাত দিয়ে আছে।
….আসলে সরি আমি জানিনা। তুই আমাকে পিছোন থেকে জরিয়ে ধরেছিস।
অন্য কেউ ভেবে থাপ্পড় দিয়েছি।
….পিলিজ এবারের মতো ক্ষমা করে দে।
—আর ভুল বুঝিস না। (রাত্রি)
—হুম ক্ষমা করতে পারি …তবে।তুমি করে বলতে হবে। আর এখনি আমার গালের বেথ্যার ঔষধ দিতে হবে।
….ওরে আমার সোনা বাবু…বেথ্যার ঔষধ লাগবে তোমার …কাছে আসো। বলেই রাত্রি —নিলয়ের গালে ঠোঁটের মিষ্টি ঔষধ দিতে থাকে।….
….
….
সমাপ্ত।