আজ আনহার বিয়ে । অনেকটা জটিলতা প্রবণ ভাবেই বিয়েটা হলো । পারিবারিক বিয়ে হলেও মেয়ে দেখে পছন্দ করার পর তাড়াতাড়ি ই বিয়ে হয়ে গেলো ।
বাসরে……..
আনহা একা বসে রয়েছে । ছোট থেকেই মেয়েটা ফাজিল । তার খুব ইচ্ছে এমন একজন কে ভালোবাসার যে তাকে বড্ড ভালোবাসবে ।
জিহাদের প্রবেশ……….…
সে : ওই মেয়ে যায়ে কাপড় পাল্টিয়ে নিচে শুয়ে পড় ।
আমি : মানে
সে : আজাইরা মানে খুঁজবি না যা বলছি তাই কর আর আমার মুখের উপর কথা বলবি না
আমি : কেন আপনি কি আমার স্যার যে কথা বলবো না আপনার মুখের উপর
সে : আজ থেকে তাই তুই আমাকে একা থাকলে স্যার ই বলবি
আমি : এসব কেমন ব্যবহার আপনার
সে : হাহ তোকে বিয়ে করেছি শুধুই আমার মা কে খুশি করতে
নাহলে আজকাল কার লোভী মেয়েদের কে বিশ্বাস করে । আমার টাকা আছে এখন তাই আসছিস তাই না । কোনো এক ছেলে কে মিথ্যে ওয়াদে করে আমার জীবনে আসছিস তাই না ।
আমি : হইলো আপনার?
সে : মানে
আমি : আপনি ছেকা খাইছেন ভালো কথা আমার উপর Angry হচ্ছেন কেন
সে : চুপ আমার মুখের উপর কথা
আমি : বলবো আপনার সমস্যা । আমি আমার বরের সাথে কথা বলছি হুহ
সে : তুই ও একটা লোভী মেয়ে
আমি : ওই চুপ আমি বিয়ের আগে প্রেম করি নি বরের সাথে করবো বলে আর লোভী বলবেন না হুহ
সে : তুই এমন কেন দেখছিস না আমি কতো খারাপ ।
আমি : খারাপ হন আর ভালো আমারি তো বর হিহি ( হাসি দাত বের করে )
সে : (তাকিয়ে হাসি দেখছে বড্ড মায়াবী হাসি । পরক্ষণেই ভাবলো না এ কি ভাবছি সব মেয়ে আজকাল কার লোভী হয় )
আমি : তা ছেকা খাইছেন বুঝছি আপনাকে সোজা করা মুশকিল ।
সে : চুপ করররররর একদম
আমি : ওহো করবো না চুপ
সে : যা নিচে ঘুমা আমার ঘুম পাচ্ছে
আমি : আমি বিছানায় ই ঘুমাবো
সে : না তুই নিচেই থাকবি
আমি : আমাকে নিচে থাকতে হলে আপনাকেও নিচেই রাখবো
সে : হুহ আমি নিচে গেলে তো
আমি : ওকে মিস্টার ওয়েট এন ওয়াচ আনহার কেরামতি
আমি চলে আসলাম । ভাবতেছি একে কেমনে শায়েস্তা করা যায় ।
সে : বড্ড পাগলি টাইপের মেয়ে । এই মেয়েও কি তার মতোই ধোকা দিবে । কিন্তু একে তো নিশ্পাপ মনে হয় । নাহ আমি কারো মায়ায় জড়াবো না আর ।
আমি এক বালতি পানি এনে বিছানায় ঢেলে দিলাম । সাথে ছোফায়ও ।
জিহাদ তো থ
সে : এটা কি করলিইইইইইই
আমি : কেনো গো দেখতে পাও না
সে : পানি ঢাললি কেন
আমি : আপনি এতো রাগী কেনো হুহ
সে : তুই কথা বলিস কেন এতো
আমি : আপনি রাগ করেন তাই
সে : যাহ এখান থেকে
আমি : ওকে মামনির কাছে গেলাম
সে : ওই না ( ও মামনি কে ভয় পায় )
আমি : হিহি আপনি ভয় পান
সে : নাহ তোকে কে বললো
আমি : ননদিনী
সে : ওরে আমি খাইছি
আমি : চুপপপপপ
সে : আমার মুখের উপর আবার কথা বলিস
আমি : আপনার মুখের উপর কই আমি তো আপনার না আমার #Angry_husband এর মুখের উপর কথা বলছি
ও আর কিছু না বলে আমার এক হাত শক্ত করে ধরে পিছনের দিকে ঘুরিয়ে নিলো ।
আমি : লাগছে আমার
সে : তুই এমন করলি কেন
আমি : হুহ আপনার জন্য
সে আরও শক্ত করে হাত টা ধরলো আর বলল : কিইইই আমার মুখের উপর কথা
এবার অনেক লাগলো
আমি : ছাড়ুন লাগছে
সে : লাগুক
আমি আর পারলাম না কেঁদে ফেললাম
জিহাদ আনহার কান্না দেখে আর খারাপ ব্যবহার করতে পারলো না । নিচে বিছানা করে শুয়ে পড়লো ।
আমি কাঁদলাম অনেক সময় ধরে । জিহাদ ও ঘুমের ভান করে সব শুনলো কিন্তু কিছু বললো না ।
কিছু সময় পর আমি ঘুমিয়ে পড়লাম ।
ভোরের সময়……
জিহাদ ভোরের আলোতে মেয়েটাকে আরও বেশি মিষ্টি লাগছে । সত্যি কি আনহাও । নাহ সব মেয়ে ই এক ।
কিছু সময় পর আনহার ঘুম ভাঙলো
নামায পড়তে উঠেছে সে ।
নামায শেষে…..
জিহাদের পাশে বসলো …..
ছেলেটা বড্ড মায়াবী । বুঝাই যায় না কালকের রাগী ছেলেটাই হলো ও ।
সকালে……..
আমি : উঠুন
জিহাদ : আমি ঘুমাবো
আমি : ওই পোলা উঠেন
জিহাদ : এই মেয়ে যাও তো
আমি : দাড়ান দেখাচ্ছি মজা
পানি ঢেলে দিলাম
জিহাদ : ইউউউউউউউ
আমি : হ অনেক খারাপ উঠেন এবার
জিহাদ গোসল শেষ করে এসে দেখলো………….
আনহা ভিজা চুলে দাড়িয়ে রেডি হচ্ছে……
জিহাদ ভাবছে…… (অপরূপ লাগছে মেয়েটি সব মেয়ে ই কি কিউট হয় । নাকি ও ই একটু বেশি মায়াবী । আমি কি ভাবছি এসব। নাহ এর মায়ায় জড়ানো যাবে না । মেয়েরা মায়ায় জড়িয়েই কষ্ট দেয় )
আমি : কিছু বলবেন ?
জিহাদ : আমার মা কে কিছু বলবি না তুই
আমি : উনি আমারো মা আপনি আমাকে স্ত্রী না ভাবলেও আপনি আমার স্বামী আর আমি আমার মা কে কষ্ট দিবো না হুহ ।
জিহাদ : না দিলেই ভালো
রান্নাঘরে
আমি : আসসালামুয়ালাইকুম দেন আমি করছি
মামনি : নাহ রে পাগলি তুই বস
আমি : আমাকে কি মেয়ে ভাবো না
মামনি : তুই তো আমারি মেয়ে
আমি : তাহলে মেয়ে থাকতে মা এতো কাজ করবে কেন
মামনি : আচ্ছা কর
রান্নার সময় মা আমার দিকে তাকিয়ে কেনো । আল্লাহ উনি তো আমার হাত দেখছে । কালকের দাগ টা তো এখনো আছে । ভয়ে হাত লুকালাম ।
মামনি : জিহাদ করেছে তাই না
আমি : নাহ ওইতো পড়ে গেছিলাম
মামনি : মিথ্যে বলছিস তাই না ।
আমি : না মিথ্যে কেন বলবো
মামনি : চোখ লুকাচ্ছিস কেন
আমি : নাহ কই
মামনি : আমাকে বল আমি কাউকে বলবো না
আমি : ওয়াদা করো যে আমি না বলা অব্দি কাউকে বলবে না
মামনি : আচ্ছা ওয়াদা রইলো
আমি বললাম……..
বলতে গিয়ে কেঁদেই ফেললাম
মামনি : মা রে আমার ছেলেটা অমন ছিল না । ওর এমন ব্যবহারের জন্য দায়ী নিহা নামের এক মেয়ে । ও তখন এইচএসসি দিচ্ছিল এক মেয়ে কে বড্ড ভালোবাসতো । আমরাও জানতাম কিন্তু মেয়েটা টাকার লোভে এক ছেলেকে বিয়ে করে । বিয়ের আগে আমি মেয়েটাকে ফোন ও দিছিলাম কিন্তু সে আমাকেই বাজে কথা শুনায় । তারপর থেকেই ও এমন হয়ে যায় ।
আমি : ব্যাপার না মামনি আনহা আছে না
আমি থাকতে এতো চিন্তা কই । ওকে সোজা আমি করবো ।
মামনি : আচ্ছা
আমি : চলো নাস্তা নিয়ে যাই
মামনি : আচ্ছা
খাবার টেবিলে জিহাদ কে দেখে ইচ্ছে করে চোখ মারলাম
হিহি ওয় তো রাগে শেষ । মনে হচ্ছিল আমাকে খেয়ে ফেলবে ।
রুমে আসলাম ।
জিহাদ : চোখ মারলি কেন
আমি : প্রমাণ আছে ?
জিহাদ : আমি দেখছি
আমি : আপনার চোখে সমস্যা আছে
জিহাদ : কিহ্
আমি : এমা আমার বরের চোখে সমস্যা আমার বর কানা এমা……
জিহাদ : চুপপপপ
জিহাদ : চুপপপপ
আমি : এটা আমি করতে পারি না হিহি । কথা বলে থাকি নাই বকবক করুম ই তাই
জিহাদ : তুই এমন কেন
আমি : এমনি বদলাবো না
জিহাদ : দুররররর
বলে হাত টা ছেড়ে দিল
আমি হাসতেছি আর ভাবছি এমনেই ওরে মানুষ করবো ।
বিকেলে
জিহাদ আসলো ।
আমি : কি খবর জামাই লেট কেন
জিহাদ : তোকে বলবো কেন
আমি : কজ আমি আপনার বউউউউ
জিহাদ : বউ আমি মানি না
আমি : ওয়াওওও তো আমি কি করবো । আমি তো মানি
জিহাদ : দুরররর
আমি : কিটক্যাট খাবেন
জিহাদ : মানে
আমি : এমা চকলেট খাবেন জিগাইলাম
জিহাদ : আমি কি বাচ্চা
আমি : ওহ ভালো আমি তো ভুলেই গেছি আপনি বুড়া আমিই খাই হিহি
জিহাদ : ( ভাবছে মায়া জড়ানো হাসি )
আমি : যাই গা আমি কিটক্যাট খাই একটু কার্টুন দেখতে দেখতে
জিহাদ : এ্যা
আমি : হ্যাঁ
যাইগা সরেন তো
জিহাদ : এই মেয়ে কেমন রে আমি এতো আঘাত করি তাও এতো দুষ্টু ।
হুহ আমার কি ?
জিহাদ দেখলো আনহা সত্যি ই কার্টুন দেখতেছে আর হাসতেছে ।
এটা দেখে ও নিজেও হেসে ফেললো যদিও লুকিয়ে যা আনহা দেখে নি ।
কিছুদিন পর
জিহাদের ব্যবহারে পরিবর্তন লক্ষ্য না হলেও ও আজকাল হাসতে শিখেছে ।
বিকেলে দেয়ালের উপরের সেল্ফ টা গোছাতে টেবিলের উপর উঠলাম । এমন সময় জিহাদ আসলো।
জিহাদ : পিচ্চি মেয়ে আবার কাজ করতে উপরে উঠছে হুহ
আমি : পিচ্চি তো কি হইছে আমি পারবো ।
জিহাদ : ওরে বাবারে নিচে নেমে আয় । আমি করতেছি
আমি : আমিই করবো
জিহাদ : ওই মেয়ে আমার মুখের উপর কথা
আমি : এমা তাই তো আমি উপরে আপনার মুখের উপর
জিহাদ : হুরররর
আমি : এহে বকিয়েন না
জিহাদ : ওই নাম
আমি : আরেহ
আরেহ করতেই পা পিছলে গেলো আর পড়ে গেলাম
আম্মুউউউউউ
এমা আমার হাড্ডি ভাঙ্গে নি কেমনে ।
আমি : এমা আমাকে ধরছেন
জিহাদ তাকায় আছে আনহার দিকে হয়তো ওর মাঝে ডুবে গেছে
আমি : বাহ থেংকু #Angry_husband
জিহাদ আনহার কথা টা শুনে ওকে ছেড়ে দিল
আমি : মা গো ছাড়ার ই ছিলো তো ধরলেন কেন
জিহাদ : আমার কথা না শুনার মজা বুঝ
আমি : আপনাকে ছাড়বো না ওয়েট এন ওয়াচ আনহার স্টাইল
জিহাদ : হুররর
রাতে খাবার টেবিলে
জিহাদ : বাহ খাবার তো ভালোই রেঁধেছো মা
মামনি : আনহা রেঁধেছে
জিহাদ : ওহ
খাচ্ছে সবাই
জিহাদ : ( ঝাল লাগে কেন । নিশ্চই এই মেয়ে কিছু করছে )
আমি : ( হাসতেছি আর দিলাম চোখ মেরে )
আমিই মরিচের গুড়ো দিছি
জিহাদ : রাগী লুকে আনহার দিকে তাকিয়ে সব খেয়ে চলে গেল
আমি : (হায় কপাল কি যে হবে আমার সাথে আজ ভাবছি )
রুমে……..
আমি ঢুকতেই……….
আমার হাত ধরে পিছন দিকে নিয়ে গেলো
আমি : আম্মু গো হাত আবার গেছে আমার
জিহাদ : আমার সাথে মজা দেখাচ্ছি ঝাল কাকে বলে
আমি : হিহি সরি
জিহাদ : দাড়া তুইইইই
আমাকে রাখে গেল….
আমি ভাবছি , আম্মু গো কি হবে এখন পালাবো নাকি ?
এই ভেবে যেই পালাতে যাবো ওয় চলে আসছে হাতে গ্লাসে কি শরবত । এ্যা ওয় তো শরবত খাওয়ানোর মানুষ না ।
জিহাদ : খা এবার মরিচের শরবত
আমি : ইইইই না সরি আর করবো না আমি মরিচ খেতে পারি না বেশি প্লিজ
জিহাদ : তুই খাবি এখনি
আমি : প্লিজ না
জিহাদ জোড় করে আমাকে ওই শরবত খাওয়ায় দিল ।
খাওয়া শেষে…..
আমি শেষ ঝালে
আমি কাশতে শুরু করলাম
জিহাদ : বুঝ মজা
আমি আর কিছু বলতে পারলাম না এতো পরিমাণ ঝাল লেগেছে যে
আমি লাল হয়ে গেলাম আর কাঁশতে কাঁশতে চোখের সামনে অন্ধকার হয়ে আসলো । আমি জ্ঞান হারালাম ।
এদিকে জিহাদ : আনহা কথা বলছে না কেনো আমি কি বেশিই করে ফেললাম
আমার মাথা টা তার কোলে নিয়ে
জিহাদ : আনহা কথা বলো
ওই
আনহা….
সরি বেশি করে ফেলছি
চোখ খুলো
জিহাদ আর কিছু না বলে আনহা কে কোলে করে হসপিতালে নিয়ে গেলো ।
ডাক্তার চেক আপ এর পর
ডাক্তার : কি এমন খেয়েছে
জিহাদ : মরিচ
ডাক্তার : মানে কি এতো পরিমাণ
জিহাদ : sorry doctor it’s my mistake
ডাক্তার : মিস্টেক যার ই হোক । উনার তো মনে হয় বেশি মরিচ খাওয়া তে রিয়েকশন করছে
জিহাদ : ডক্তর যে করে হোক ওকে সুস্থ করুন
ডাক্তার : আমি ওষুধ লিখে দিচ্ছি খাওয়াইয়েন আর উনার খেয়াল রাখবেন
জিহাদ : ওকে ডক্তর
বাড়িতে নিয়ে আসলো আমাকে আমি তখনো দূর্বল
মামনি : কি রে আনহার কি হয়েছে এমন অবস্থা হঠাৎ কিভাবে ?
জিহাদ : আসলে আমি রেগে গিয়ে ওকে অনেক পরিমাণ মরিচ খাইয়ে দিছি
মামনি : এই মেয়ে টা কি করছে তোকে এতো কেন রাগ
জিহাদ : না কিন্তু
মামনি : ও অনেক ভালো রে জিহাদ
জিহাদ : আচ্ছা সরি বললাম তো ভালো লাগছে না আমি গেলাম ওকে নিয়ে রুমে ।
রুমে…………
আমার কপালে হাত রেখে
জিহাদ : জ্বর আসলো নাকি মেয়েটার
হায়রে এই মেয়ে এতো দূর্বল । দুর দোষ তো আমারি । কেন যে এতো রাগ । কি আর করবো দেখি মেয়েটার খেয়াল রাখি ।
এসব ভাবছিল জিহাদ
সারারাত খেয়াল রাখলো
সকালে উঠছিলাম
জিহাদ : সরি
আমি : মাফ করবো না
জিহাদ : কর বলছি
আমি : এক শর্তে
জিহাদ : কি
আমি : আমাকে তুমি বলতে হবে
জিহাদ : ওকে
জিহাদ : শুয়ে থাকো
আমি : আপনি আমাকে তুমি বলছেন সূর্য কোন দিক উঠছে
জিহাদ : (এই অবস্থায় ও মজা করে এই মেয়ে ভাবছে ) ওই চুপ করে থাক ।
আমি : হুরর এখনো অসুস্থ তো আপনার জন্যই হইছি
জিহাদ : তো তোকে ঝাল দিতে কে বলছিলো জানিস না আমার রাগ বেশি
আমি : ফেলে দিছিলেন কেন
জিহাদ : আরও ফেলবো
আমি : কেন ফেলবেন
জিহাদ : তুই আমার বউ তাই
আমি : এমা মানলেন আমি আপনার বউ
জিহাদ আর কিছু না বলে বের হয়ে গেল রুম থেকে
কিছু সময় পর
জিহাদ আসলো
জিহাদ : খেয়ে নে
আমি : খাবো না
জিহাদ : খা
আমি : উহু এটা খেতে ভালো না
জিহাদ : খা
বলে খাইয়ে দিল
জিহাদ : সরি
আমি : মাফ করবো না
জিহাদ : কর বলছি
আমি : এক শর্তে
জিহাদ : কি
আমি : আমাকে তুমি বলতে হবে
জিহাদ : ওকে
দুইদিন পর রাত্রে
আমি আর ও বসে ছিলাম যদিও ও নিজের অফিসের কাজ করছিল ।
আমি অনেকটা সুস্থ এই দুইদিনে ।
এমন সময় বৃষ্টি আসলো
আমি : ওয়াও বৃষ্টি আমি গেলাম
জিহাদ কিছু সময় পর লক্ষ করলো
আর বলল : মেয়েটা গেলো কই
এদিক ওদিক দেখে
পুরো বাড়ি খুজে নাই আনহা
যাই তো ছাদে দেখি আছে কি না ?
ছাদে গিয়ে দেখলো আনহা বৃষ্টি ভিজছে
জিহাদ তাকিয়ে দেখছে আর ভাবছে দারুণ লাগছে মেয়ে টাকে । কিছু সময়ের জন্য জিহাদ আনহার মাঝে হারিয়ে গেলো ।
আনহা : ভিজবেন নাকি আসুন
জিহাদের ঘোর ভাঙলো
জিহাদ : চলে আসো
আমি : না আমি ভিজবো
জিহাদ : কেবল জ্বর সারলো
আমি : হুর কিছু হবে না
জিহাদ : আসবা না
আমি : না
জিহাদ আর কিছু না বলে আনহা কে কোলে নিয়ে আসছিল ।
পথে একটু কিল ঘুসি মারলাম ছাড়ানোর চেষ্টায়
রুমে এসে জিহাদ আনহা কে নামিয়ে দিল
আনহা বাইরে যেতে ধরলো জিহাদ সামনে পথ আটকিয়ে
আমি : ইইই আমি ভিজবো সরুন
জিহাদ : নাহ জ্বর আসবে
আমি : না আমি যাবো
জিহাদ : ওই মেয়ে চুপ
আমি : আমি যাবো মানে যাবোই
জোড় করে যেতে ধরলাম রুমের ফ্লোর ও কিছুটা ভিজে পিছলা হয়ে গিয়েছিল পা পিছলে গেল কিন্তু কে যে ন ধরলো এমা জিহাদ আমাকে ধরে ও সহ পড়ে গেছে।।
ও নিচে পড়ে আছে ওর ওপর আমি কি রোমান্টিক সিন কিন্তু অল্পতেই ভেঙ্গে দিলো।
জিহাদ: ঔ উঠো
আমি: হিহি
জিহাদ: হাসো কেন
আমি: এমনি
জিহাদ: ফাজিল মাইয়া
আমি: জানি
জিহাদ: জ্বর আসছিলো এখন আর ভিজতে হবে না এখনি তো পড়ে গেলে
আমি: নাহহ বৃষ্টি যতক্ষন হবে ততক্ষন ভিজবো
জিহাদ: যেতে দিব না
আমি: হু। আপনি খুব খারাপ
জিহাদ: তো
আমি: সমস্যা নেই ঠিক করে নিব।।
তারপর রাতে বৃষ্টিতে ভিজার ইফেক্ট শুরু হয়ে গেল রাতের বেলা দুজনেরই হাচি শুরু হয়ে গেল পাল্লা দিচ্ছি কে কতো জোরে পারে। খাবার টেবিলে বসে
আমি: হাচ্চি
জিহাদ: হাচ্চি
মা বাবা সবাই দেখে হাসছে।
জিহাদ: হাসছো কেন
মামনি: তোদের কান্ড দেখে
জিহাদ: হাসার কি আছে ঠান্ডা তো লাগতেই পারে
মামনি: বউ এর সাথে ভিজলে ঠান্ডা তো লাগবেই
জিহাদ: আমি ইচ্ছা করে ভিজি নি
মামনি: ভিজেছিস তো
জিহাদ: দুররর তোমরা খাও আমি গেলাম
মানমি: না খেয়ে যা।
চলে গেল না খেয়ে আমিও খেলাম না উঠে গেলাম। হাচ্চি
রুমে গিয়ে
আমি: না খেয়ে চলে আসলেন কেন
জিহাদ: তোমার কি তুমি খাও
আমি: আমি আপনার বউ
জিহাদ: মানি না আমি
আমি: যান খেয়ে নিন
জিহাদ: চুপ বেশি অধিকার দেখাবে না
আমি: দেখাব। কি করবেন
জিহাদ: যাও তো এখান থেকে ঘুমাবো
আমি: আমি ও না খেয়ে শুয়ে পড়লাম
জিহাদ: হাচ্চি
আমি: হাচ্চি।
রাতে আমি শুয়ে শুয়ে কাদছি। আমার জন্য ওর ঠান্ডা লাগল। আর আমার জন্যই না খেয়ে ঘুমিয়ে গেল।।
১ টার সময় ঘুমিয়ে গেছে সবাই কারো কান্নার আওয়াজে জিহাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। দেখে আনহা ফুপিয়ে কান্না করছে। খারাপ লাগল জিহাদের ভাবছে কেমন জানি মায়াবি এই মেয়ে টা।
জিহাদ: আনহা
আনহা: হু বলেন
জিহাদ: না খেয়ে ঘুমিয়েছো কেন
আনহা: আপনি না খেলে আমিও খাবো না।
জিহাদ: আমার সাথে তোমার তাল মিলিয়ে চলতে হবে
আনহা: হুমম আমি আপনার বউ তাই
জিহাদ: ঔষুধ খেয়েছো
আমি: না। আপনিও তো খান নি
জিহাদ: ঐ চুপ আমারর টা আমি বুঝব।
আমি: হু
জিহাদ: যাও খেয়ে নাও।
আমি: হুমম। আপনিও চলেন
জিহাদ: তুমি যাও
আমি: তাহলে আমিও খাবো না
জিহাদ: নিরুপায় হয়ে জিহাদ কে যেতেই হলো। দুজনে একসাথে ডিনার করে ঔষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। আস্তে আস্তে জিহাদ ও মায়ায় জড়িয়ে যাচ্ছে। জিহাদ মনে মনে ভাবে নাহহ মায়ায় জড়ানো যাবে না মেয়েরা সব এক ।
পরের দিন…….
মামনি : জিহাদ
জিহাদ : হুম
মামনি : আনহা কে নিয়ে ওর বাবার বাড়ি থেকে ঘুরে আয়
জিহাদ : কিন্তু
মামনি : চুপচাপ যা
জিহাদ : আচ্ছা
এদিকে আমি মামনি কে ইশারায় ধন্যবাদ জানালাম
রওয়ানা হলাম ।
বাড়িতে ঢুকতেই জামাই আদর পাইলো জিহাদ ।
দুররর বুঝি না বিয়ের পর বাড়ির মেয়ের কি দাম থাকে না নাকি । কি আর করার জ্বলতেছি আমি । এদিকে কাজিন গুলো মজা নিচ্ছে ।
ও কিছু বলতেও পারছে না । ওর এই অবস্থা দেখে আমি না হেসে পারলাম না ।
রাতে……
জিহাদ : তোমার বোন রা এমন কেন দুররর ভাল্লাগে না
আমি : হিহি ভালো হইছে
জিহাদ : আমি বাড়ি যাবো
আমি : ও তাই ওয়েট আম্মু কে বলি যে উনার জামাই বাড়ি যাবে
জিহাদ : আম্মু কে ডাকো কেন উনি মন খারাপ করবে না
আমি : তুমি তো বাড়ি যাবা দাড়াও বলি আম্মুউ
যেই চিৎকার দিতে যাবো মুখে হাত দিলো আমার জিহাদ
জিহাদ : ওই মেয়ে চুপ
আমি : উউউউউ
জিহাদ হাত সরিয়ে : চুপ
আমি : ওকে বাবু
জিহাদ : কিইইইইইই
আমি : কি গো জানটুস
জিহাদ : এই মেয়ে এসব কি বলো
আমি : নিজের বরকেই বলি
জিহাদ : হুররর
বলে চলে আসলো বাইরে
বাইরে….
প্রেয়সি ধরলো ওকে : দুলাভাই
জিহাদ : কি
প্রেয়সি : চলো ফুচকা খেতে যাই
জিহাদ : এখন ?
প্রেয়সি : হুমমম
জিহাদ : আচ্ছা
( প্রেয়সি আমার ছোট বোন ক্লাশ ৪ এ পড়ে আর জিহাদ বাচ্চা দের ভালোবাসে তাই রাজি হলো )
প্রেয়সি : আপু কে রেডি হতে বলি
জিহাদ : ওকে
ফুচকার দোকানে…..
সবাই নিজের নিজের ফুচকা খাচ্ছি
আমি : প্রেয়সি চল দেখি কে আগে খায়
প্রেয়সি : ওকে আমিই জিতবো
আমি : দেখা যাবে
প্রেয়সি আর আমি ফুচকা শেষ করলাম ।
আমার শেষ আমি জিতছি
প্রেয়সি : দুর
আমি : হিহি
জিহাদ ভাবছে মনে হচ্ছে দুটোই পিচ্চি
রুমে এসে জিহাদ আনহা কে নামিয়ে দিল
আনহা বাইরে যেতে ধরলো জিহাদ সামনে পথ আটকিয়ে
আমি : ইইই আমি ভিজবো সরুন
জিহাদ : নাহ জ্বর আসবে
আমি : না আমি যাবো
জিহাদ : ওই মেয়ে চুপ
আমি : আমি যাবো মানে যাবোই
জোড় করে যেতে ধরলাম রুমের ফ্লোর ও কিছুটা ভিজে পিছলা হয়ে গিয়েছিল পা পিছলে গেল কিন্তু কে যে ন ধরলো এমা জিহাদ আমাকে ধরে ও সহ পড়ে গেছে।।
ও নিচে পড়ে আছে ওর ওপর আমি কি রোমান্টিক সিন কিন্তু অল্পতেই ভেঙ্গে দিলো।
জিহাদ: ঔ উঠো
আমি: হিহি
জিহাদ: হাসো কেন
আমি: এমনি
জিহাদ: ফাজিল মাইয়া
আমি: জানি
জিহাদ: জ্বর আসছিলো এখন আর ভিজতে হবে না এখনি তো পড়ে গেলে
আমি: নাহহ বৃষ্টি যতক্ষন হবে ততক্ষন ভিজবো
জিহাদ: যেতে দিব না
আমি: হু। আপনি খুব খারাপ
জিহাদ: তো
আমি: সমস্যা নেই ঠিক করে নিব।।
তারপর রাতে বৃষ্টিতে ভিজার ইফেক্ট শুরু হয়ে গেল রাতের বেলা দুজনেরই হাচি শুরু হয়ে গেল পাল্লা দিচ্ছি কে কতো জোরে পারে। খাবার টেবিলে বসে
আমি: হাচ্চি
জিহাদ: হাচ্চি
মা বাবা সবাই দেখে হাসছে।
জিহাদ: হাসছো কেন
মামনি: তোদের কান্ড দেখে
জিহাদ: হাসার কি আছে ঠান্ডা তো লাগতেই পারে
মামনি: বউ এর সাথে ভিজলে ঠান্ডা তো লাগবেই
জিহাদ: আমি ইচ্ছা করে ভিজি নি
মামনি: ভিজেছিস তো
জিহাদ: দুররর তোমরা খাও আমি গেলাম
মানমি: না খেয়ে যা।
চলে গেল না খেয়ে আমিও খেলাম না উঠে গেলাম। হাচ্চি
রুমে গিয়ে
আমি: না খেয়ে চলে আসলেন কেন
জিহাদ: তোমার কি তুমি খাও
আমি: আমি আপনার বউ
জিহাদ: মানি না আমি
আমি: যান খেয়ে নিন
জিহাদ: চুপ বেশি অধিকার দেখাবে না
আমি: দেখাব। কি করবেন
জিহাদ: যাও তো এখান থেকে ঘুমাবো
আমি: আমি ও না খেয়ে শুয়ে পড়লাম
জিহাদ: হাচ্চি
আমি: হাচ্চি।
রাতে আমি শুয়ে শুয়ে কাদছি। আমার জন্য ওর ঠান্ডা লাগল। আর আমার জন্যই না খেয়ে ঘুমিয়ে গেল।।
১ টার সময় ঘুমিয়ে গেছে সবাই কারো কান্নার আওয়াজে জিহাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। দেখে আনহা ফুপিয়ে কান্না করছে। খারাপ লাগল জিহাদের ভাবছে কেমন জানি মায়াবি এই মেয়ে টা।
জিহাদ: আনহা
আনহা: হু বলেন
জিহাদ: না খেয়ে ঘুমিয়েছো কেন
আনহা: আপনি না খেলে আমিও খাবো না।
জিহাদ: আমার সাথে তোমার তাল মিলিয়ে চলতে হবে
আনহা: হুমম আমি আপনার বউ তাই
জিহাদ: ঔষুধ খেয়েছো
আমি: না। আপনিও তো খান নি
জিহাদ: ঐ চুপ আমারর টা আমি বুঝব।
আমি: হু
জিহাদ: যাও খেয়ে নাও।
আমি: হুমম। আপনিও চলেন
জিহাদ: তুমি যাও
আমি: তাহলে আমিও খাবো না
জিহাদ: নিরুপায় হয়ে জিহাদ কে যেতেই হলো। দুজনে একসাথে ডিনার করে ঔষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। আস্তে আস্তে জিহাদ ও মায়ায় জড়িয়ে যাচ্ছে। জিহাদ মনে মনে ভাবে নাহহ মায়ায় জড়ানো যাবে না মেয়েরা সব এক ।
পরের দিন…….
মামনি : জিহাদ
জিহাদ : হুম
মামনি : আনহা কে নিয়ে ওর বাবার বাড়ি থেকে ঘুরে আয়
জিহাদ : কিন্তু
মামনি : চুপচাপ যা
জিহাদ : আচ্ছা
এদিকে আমি মামনি কে ইশারায় ধন্যবাদ জানালাম
রওয়ানা হলাম ।
বাড়িতে ঢুকতেই জামাই আদর পাইলো জিহাদ ।
দুররর বুঝি না বিয়ের পর বাড়ির মেয়ের কি দাম থাকে না নাকি । কি আর করার জ্বলতেছি আমি । এদিকে কাজিন গুলো মজা নিচ্ছে ।
ও কিছু বলতেও পারছে না । ওর এই অবস্থা দেখে আমি না হেসে পারলাম না ।
রাতে……
জিহাদ : তোমার বোন রা এমন কেন দুররর ভাল্লাগে না
আমি : হিহি ভালো হইছে
জিহাদ : আমি বাড়ি যাবো
আমি : ও তাই ওয়েট আম্মু কে বলি যে উনার জামাই বাড়ি যাবে
জিহাদ : আম্মু কে ডাকো কেন উনি মন খারাপ করবে না
আমি : তুমি তো বাড়ি যাবা দাড়াও বলি আম্মুউ
যেই চিৎকার দিতে যাবো মুখে হাত দিলো আমার জিহাদ
জিহাদ : ওই মেয়ে চুপ
আমি : উউউউউ
জিহাদ হাত সরিয়ে : চুপ
আমি : ওকে বাবু
জিহাদ : কিইইইইইই
আমি : কি গো জানটুস
জিহাদ : এই মেয়ে এসব কি বলো
আমি : নিজের বরকেই বলি
জিহাদ : হুররর
বলে চলে আসলো বাইরে
বাইরে….
প্রেয়সি ধরলো ওকে : দুলাভাই
জিহাদ : কি
প্রেয়সি : চলো ফুচকা খেতে যাই
জিহাদ : এখন ?
প্রেয়সি : হুমমম
জিহাদ : আচ্ছা
(প্রেয়সি আমার ছোট বোন ক্লাশ ৪ এ পড়ে আর জিহাদ বাচ্চা দের ভালোবাসে তাই রাজি হলো)
প্রেয়সি : আপু কে রেডি হতে বলি
জিহাদ : ওকে
ফুচকার দোকানে…..
সবাই নিজের নিজের ফুচকা খাচ্ছি
আমি : প্রেয়সি চল দেখি কে আগে খায়
প্রেয়সি : ওকে আমিই জিতবো
আমি : দেখা যাবে
প্রেয়সি আর আমি ফুচকা শেষ করলাম ।
আমার শেষ আমি জিতছি
প্রেয়সি : দুর
আমি : হিহি
জিহাদ ভাবছে মনে হচ্ছে দুটোই পিচ্চি
ফুচকা খাওয়া শেষে
আনহা : ওগো শুনছো
জিহাদ : কি ( এই মেয়ে বলে কি )
আনহা : চলো শপিং এ যাই
জিহাদ : ওকে
প্রেয়সি : দুলাভাই
জিহাদ : হুমম বলো
প্রেয়সি : তোমার সতিন আসবে আজকে শপিং এ
জিহাদ : মানে
প্রেয়সি : আপুর বন্ধু ছোটবেলার মাহফুজ ভাইয়া আসবে
জিহাদ : ওহ ভালোই ( জিহাদ ভাবছে আমার কি যে ইচ্ছে আসুক । ওকে তো আমি বউ ই মানি না )
আনহা : হাসছে আর ভাবছে আজ বুঝবা মজা কারে কয়
শপিং মলে………
আনহা….. বলে কে জানি ডাক দিল
আনহা : আরে মাহফুজ আসছিস
কতো দিন পর দেখা রে । বলেই হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে এলাম ।
আর জিহাদ তাকিয়ে দেখছে আর বলছে কি মেয়ে রে আমাকে রাখে গেলো । যাক আমার কি ও গেলেই বাঁচি ।
কিছু সময় পর জিহাদ ভাবছে ” কি হলো আসে না কেন এখনো ”
প্রেয়সি : কাকে খুঁজো দুলাভাই
জিহাদ : না তো কাউকে না
প্রেয়সি : আপু আসতে অনেক দেরি
জিহাদ : মানে
প্রেয়সি : ওরা মনে হয় গল্প করছে
জিহাদ : করুক চলে আসবে তো
প্রেয়সি : দেরি আছে
জিহাদ : ব্যাপার না ( এতো টাইম কি করে মানুষ । মনে মনে )
জিহাদ : চলো ওদের খুঁজি
প্রেয়সি : মিস করছো আপু কে
জিহাদ : আরে না
জিহাদ আর প্রেয়সি মিলে আনহা আর মাহফুজ কে খুঁজতে লাগলো।
কিছুটা এগিয়ে ….
দেখলো ওরা গল্পই করতেছে । জিহাদের রাগ উঠে গেল ।
জিহাদ : আর কতক্ষণ রাগী কন্ঠে
মাহফুজ : যা দুলাভাই রাগ করতেছে
আনহা : আরে না উনার ব্যাপার না আমি না থাকলেই উনি হ্যাপি
জিহাদ : হুহ চলো দেরি হচ্ছে
আনহা : না আমি যাবো না
জিহাদ : চলো
আনহা : হুররর ওই বাড়িতে আসিছ নায়ক
মাহফুজ : ওকে নায়িকা
জিহাদ : কেন এমন নাম
মাহফুজ : ও সরি সরি বলা হয় নি । আমরা একে অপর কে এই নামেই ডাকি
জিহাদ : ওহ ( আজাইরা পরের বউ কে আউল ফাউল ডাকা । আল্লাহ আমি কি ভাবছি )
বাড়িতে রুমে…..
আমি : আমাকে নিয়ে আসলেন কেন
জিহাদ : থাকে লাভ নাই
আমি : এ্যা কি কন
জিহাদ : এতো কথা বলতে হবে না
আমি : আপনার কি
জিহাদ : ওই চুপ
আমি : করবো না চুপ
জিহাদ : এই মেয়ে আর কোনোদিন কোনো ছেলের সাথে এতো বেশি হেসে হেসে কথা বলবি না
আমি : বলবো কি করবেন
জিহাদ : মেরে ফেলবো
আমি : আপনার হইছে কি । এমন এমন কথা বলছেন যে
জিহাদ : না কিছু না ( আসলেই তো কি বলছি এসব ভাবছে )
আমি : ( হেহে কাম হচ্ছে ) মনে মনে ভাবছি
ও ফ্রেশ হতে গেল….
ফ্রেশ হয়ে এসে
আমি কথা বলছিলাম মাহফুজ এর সাথে ওকে দেখায় দেখায় …..
জিহাদ রেগে যাচ্ছে
কিছু সময় পর….
জিহাদ : এখনো কথা শেষ হয় নাই
আমি : আপনি ঘুমান আমার দেরি আছে
জিহাদ : তুমিও ঘুমাবা আমার সাথে
আমি : কিইইইইই
জিহাদ : হুমমম
আমি : নাহ দেরি আছে
জিহাদ : আমি তোমার জবাব শুনতে চাই নি
আমি : আমি ঘুমাবো না এখন
জিহাদ আনহা কে কোলে তুলে নিল আর ওর ফোন টা কেড়ে নিলো
আনহা : কি করছেন আমাকে নামান
বিছানায় নামিয়ে ….
আমি উঠতে যাবো ওমনে ওয় আমাকে আটকে দিলো ।
ওর শ্বাস আমার মুখে এসে পড়ছিলো ।
জিহাদ আনহার মাঝে হারিয়ে যেতে লাগলো । ও কাছে আসতেই
আমি : কি করছেন
জিহাদের ঘোর কাটলো
জিহাদ : না কিছু না
আমি : তাইলে সরেন
জিহাদ : নাহ ঘুমাও ভরসা নাই কখন উঠে যাবে
দুজনে শুয়ে দু প্রান্তে । ঘুমাইছে নাকি দেখতে একটু নরতেই
জিহাদ : জানতাম পালাবে এভাবে ছাড়া যাবে না তোমাকে ।
আনহা : কি করবেন
জিহাদ আনহা কে জড়িয়ে ধরে বললো ঘুমাও ।
আনহা মনে মনে খুশি হলেও দেখালো না জিহাদ কে ।
সকালে জিহাদ লক্ষ করলো আনহা ওর বুকে মাথা রেখে আছে ।
আনহার চুল গুলো সামনে আসছে । জিহাদ সরিয়ে দিলো । নিজের অজান্তেই আনহার কপালে কিস করলো ।
আমি টের পেয়ে গেলাম……
আমি : কি করলেন এটা
জিহাদ : না কিছু না সরি
আমি : এমা এটা কি করলেন
জিহাদ রেগে : যা ইচ্ছে করি আমার বউ কে করেছি
আনহা : এমা
জিহাদ লজ্জা পেয়ে চলে গেল ফ্রেশ হতে……
বিকালে……
মাহফুজ আসলো……
আমি : দোস্ত কাজ হচ্ছে
মাহফুজ : জানি তো হবেই আমার আইডিয়া বলে কথা ।
আমি : হ
মাহফুজ : তোর মিমি তো রাগ করছে
আমি : হাহা দে আমি বুঝাচ্ছি
ফোন দিয়ে আমি : জানু রাগ করছো
মিমি : নাহ জানটুস ( মিমি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড । ও আর মাহফুজ বফ আর গফ )
মিমি : হুহ
আমি : রাগ ছাড়
মিমি : হিহি ছাড়ছি আগেই মজা নিচ্ছি
আমি : ওমা তাই বেবি লাভ ইউ
মিমি : সেম গো
আমি : বেবি তোর উপর আজ একটু বেশিই ভালোবাসা আসতেছে
মিমি : কেন রে
আমি : কেন আবার পমি তো তোকে কতো ভালোবাসি )
মিমি : হ দোস্ত ( আমরা একে অপরের সাথে এমনেই মজা করি )
জিহাদ ছাদের কোণায় দাড়িয়ে লুকিয়ে শুনছিল । ও দেখতে পায় নি আনহা ফোনে কথা বলছে ।
রেগে গিয়ে…
জিহাদ আনহা কে চড় মারে
জিহাদ : তুই এরকম জানতাম না এতক্ষণ সব কথা শুনলাম তোর আর তোর আশিকের প্রেম আলাপ
আনহা : আমি তো
জিহাদ : চুপ
বলে আরেকটা চড় দিলো
জিহাদ : তুই তো আরও খারাপ রে ছিহ্ ঘৃণা করি তোকে
বলে চলে গেলো বাড়ির উদ্দেশ্যে
আনহা কাঁদছে
মাহফুজ : বললি না কেন
আমি : অনেক হয়েছে রে আর সহ্য হয় না
মাহফুজ : কিন্তু
আমি : তুই বলিস না কাউকে কিছু
সেদিন রাতে আমি বাড়িতে বলি যে শশুর বাড়ি যাচ্ছি । কিন্তু আমি চলে যাই ফুপির বাড়ি ।
ফুপির সাথে ছোট বেলা থেকেই ক্লোজ । আম্মু আব্বু বকলেও এখানেই আসতাম । ফুপিও তাই ভেবেছে । তাই আর কাউকে কিছু বলে নি ।
আজকাল জিহাদ আরো বেশি রাগ করে
জিহাদ দের বাসায়…
মামনি : জিহাদ
জিহাদ : কি
মামনি : আনহা কই রে
জিহাদ : ওই মেয়ের নাম নিবা না
মামনি : কেনো
জিহাদ সব বললো
মামনি : কি বলছিস
জিহাদ : দেখো কতো খারাপ
মামনি : ও খারাপ না
জিহাদ : মানে
মামনি : ও এরকম মেয়ে না যে এমন করবে
জিহাদ : দাড়াও ওর আশিক ই বলবে
মামনি : ডাক
মাহফুজ আসলো…..
মাহফুজ : কি দরকার আপনার
জিহাদ : বলুন আপনি আপনার প্রেমিকার কথা যে আমি যা শুনছি সত্যি
মাহফুজ : হাহা জানেন আপনি না অনেক আনলাকি কারণ আপনি আনহা কে হারিয়েছেন । যে আপনাকে এতোটা ভালোবাসে। আর যা কথা সেদিনের সেদিন ও মিমির সাথে কথা বলছিলো ওর বেস্ট ফ্রেন্ড । ওরা একে অপর কে জানটুস বলে । হয়তো শুনছেন ওর কাছে আর মিমি আমার হবু বউ । চাইলে কথা বলুন ।
জিহাদ কথা বলে সব জানলো ।
মামনি : ছি তুই মেয়েটাকে এতোটা কষ্ট দিলি
জিহাদ : কিন্তু
মামনি : ও তোকে খুব ভালোবাসে
জিহাদ : আমিই বাসি
মামনি : ওকে ফিরিয়ে আন
জিহাদ : আমিও ওকে চাই । মাহফুজ ভাই ও কই প্লিজ বলেন
মাহফুজ : নাহ
জিহাদ : আর হবে না প্লিজ
মাহফুজ কে অনেক রিকোয়েস্ট করার পর রাজি হলো আর আনহার ঠিকানা বললো
বিকালে ছাদে দাড়িয়ে কাঁদছিলাম কারণ আমার #Angry_husband কে মিস করছিলাম
কে জানি জড়িয়ে ধরলো পিছন দিয়ে
আমি : কে
জিহাদ : একবার বললে কি হতো
আমি : আপনি সরুন প্লিজ
জিহাদ : নাহ যেতে দিবো না
আমি : সরুন
জিহাদ : নাহ
আমি : দুর হন
ওকে সরিয়ে…..
আমি : যখন ইচ্ছে যা খুশি বলবেন আপনি । যান এখান থেকে
জিহাদ : ভালোবাসো না আমাকে
আমি : নাহ বাসতাম এখন আর বাসি না
জিহাদ : তাই কি
আমি : হ্যা
জিহাদ : আমি তোমাকে কষ্ট দিছি আমি ই তোমার রাগ ভাঙ্গাবো
আমি : হুহ কোনোদিনও না
জিহাদ : আমিও তোমার বর গো রাগ ভাঙ্গাবোই
রাতে…..
জিহাদ : ফুপি
ফুপি : হুম বাবা
জিহাদ : আমি আর আনহা আপনাদের সাথে থাকবো কিছুদিন সমস্যা নাই তো
আমি : নাহ আপনি থাকবেন না
ফুপি : কি বলিস কেন থাকবে না
আমি : আমি বলছি তাই
ফুপি : চুপ ও থাকবে
আমি : দুররর
জিহাদ হাসছে । আমি তাকাতেই চোখ মারলো।
(আমি ভাবছি এর হইছে কি হুররর আমার কি )
রাতে শুতে যাবো…..
আমি : আপনার প্রব্লেম টা কি
জিহাদ : কই নাই তো
আমি : তো এখানে কেন আপনি ভাই
জিহাদ : ওই ভাই বলবে না একদম
আমি : হুরররর
জিহাদ : হুহ
আমি : আমি নিচে ঘুমালাম । আপনি উপরে ঘুমান ।
জিহাদ : বললেই হলো
আমি : আমি তো ঘুমাবোই
জিহাদ : আচ্ছা দেখি
আমি ঘুমোতে যাবো এমন সময় আমাকে কোলে তুলে নিল ।
আমি : নামান আমাকে
জিহাদ : নামাবো না
আমি : উহু নামান
জিহাদ : না গো
বিছানায় শুইয়ে দিতে আমি উঠতে লাগলাম ।
ওমনি জিহাদ : ওই থামো
আমি : উহু
ও আমাকে তার বুকে জড়িয়ে শুয়ে পড়লো ।
আমার রাগ উঠতাছে যখন আমি বারবার ওর কাছে গেছি বারবার আমাকে আঘাত করছে আর এখন আসছে ।
পরেরদিন……
সকালে…….
আমি : ফুপি আমি বাড়ি যাবো
ফুপি : আমার কাছে লুকাস কেনো
আমি : কি ?
ফুপি : জামাই এর সাথে ঝগড়া হইছে তাই না । এসব হয় ই এতো রাগ করিস না ।
আমি : হুম ( ভাবছি জানলে আর বলতেন না )
বিকেলে…….
একটা পিচ্চিকে কোলে নিয়েছিলাম এক ভাবির সাথে গল্প করছিলাম ভাবির বেবি ছিল পিচ্চিটা ।
এমন সময় জিহাদ এলো
জিহাদ : তোমাকে খুঁজছিলাম
আমি : কি করতে
ভাবি : বাপ রে জামাই এর দেখছি আনহা কে ছাড়া চলে না
আমি : হুররর ভাবি কি বলো যে
ভাবি : ঠিক ই তো
আমি : বাদ দাও তো
ভাবি চলো তোমাদের বাড়ি যাবো । আমি নীলের ( পিচ্চির নাম নীল । আমিই শখ করে ডাকি ) সাথে খেলবো ( আমার পিচ্চি খুব পছন্দ )
ভাবি : আচ্ছা তুই আর বড় হলি না । বিয়ে হয়ে গেলো তবুও বাচ্চা
আমি : এ্যা কি কও
ভাবি : হাহা
আমি : আমাকে তুমি নিয়ে যেতে চাও না
ভাবি : কে বললো
আমি : আজ আমি পর হয়ে গেলাম তোমার
ভাবি : আরেহ না
আমি : হিহি জানি তো মজা করলাম একটু
ভাবি : দুররর
এতক্ষণ জিহাদ চুপ ছিল । এখন বলে উঠলো….
জিহাদ : আমিও যাবো
আমি : কি
জিহাদ : হুম
ভাবি : আরে চলেন চলেন
আমি : দুররর না
ভাবি : এই কি বলিস
আমি : উহু
জিহাদও আসলো…..
আমি পিচ্চির সাথেই খেলছিলাম । জিহাদ কে ভাবির সাথে গল্প করতে লাগায় দিছি ।
কিছু সময় পর
জিহাদ : আনহা চলো বাড়ি যাই
আমি : ইইইইইই না যাবো না
জিহাদ : চলো
আমি : না
এমন সময় মেসেজ এলো
ওই রাক্ষস টাই দিছে
জিহাদ : চলো নইলে এখান থেকে কোলে করে নিয়ে যাবো
আমি রাগি চোখে তাকালাম
ও হাসছিলো মুচকি মুচকি
আমি ভাবলাম নাহ ওর ভরসা নাই
বাড়ি এলাম
আমি : কি সমস্যা আপনার এভাবে আনলেন কেন আমাকে ।
জিহাদ : ওখানে তোমার সাথে কথা হচ্ছিল না তাই
আমি : হুহ যখন ভালোভাবে বলতাম তখন অনেক কষ্ট দিয়েছেন ।
জিহাদ : তাই তো ঠিক করতে চাই
আমি : লাগবে না
রাতে……
বৃষ্টি হচ্ছিল……
আমি রুমে গিয়ে দেখি রুম টা সাজালো
আমি গিয়ে অবাক ভালোই হইছে
আমি : কে করলো এসব
জিহাদ : তোমার #Angry_Husband ছাড়া আর কে হবে
আমি : হুহ ভালো
জিহাদ প্রপোজ করলো ” জানি অনেক কষ্ট দিছি । কি করবো বলো আমি যে অমনি । তোমার ভালোবাসার মুল্য কখনো দেই নাই । আমি যে তখন ভাবতাম সবাই খারাপ । কিন্তু তোমার ভালোবাসা তোমার বাচ্চা টাইপ ব্যবহার সব আমাকে তোমার ভালোবাসায় পড়তে বাধ্য করেছে । আমি বাঁচবো না তোমাকে ছাড়া । প্লিজ ক্ষমা করে দাও ।
ভালোবাসি তোমাকে রে । হবে কি তুমি আমার বাবুর আম্মু । ”
আমি : হুররর বাই আমি বাইরে যাবো সরুন
জিহাদ : অনেক হইছে ওই তুই বুঝিস না ভালোবাসি তোকে । তুই আমার বুঝলি ।
আমি : এমা ধমকান কেন
জিহাদ : ওই আপনি বলিস কেন তুমি বল
আমি : আপনি তুই বলেন কেন
জিহাদ : আচ্ছা আর বলবো না
আমি : ওকে
জিহাদ : মাফ করলা ?
আমি : না
জিহাদ : কি করলে মাফ করবে
আমি : আমার সাথে বৃষ্টি ভিজলে
জিহাদ : হায় রে আবার ঠান্ডা লাগবে
আমি : লাগলে লাগুক না ভিজলে মাফ করুম না
জিহাদ : আচ্ছা
অতঃপর দুজনে ভিজলাম ।
পরেরদিন ভিজার ফল……
আমি : হাচ্চি….
জিহাদ : হাচ্চি…
আমি : হাচ্চি
দু জনের ইঠান্ডা লেগে গেল….
তারপর থেকে শুরু হলো নতুন এক হাচ্চি ওয়ালা ভালোবাসার গল্প । হিহিহি
………………..কাল্পনিক…গল্প…………………..