বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া

বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া

ব্রেকআপের আজ ৬ সপ্তাহ হতে চললো এরই মাঝে অনেকবার ওর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছি।কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।ওর প্রতি ভালবাসার মায়াটা ছাড়তে খুব কষ্ট হচ্ছে।এই কষ্ট বুঝানোর মতো না। প্রথম প্রথম খুব কান্না করতাম।রুমে দরজা বন্ধ করে সারাদিন রুমে বসে থাকতাম।২/৩ দিন তো না খেয়েই দিন কেটেছে।আমি আবার একটু অন্য ধরনের ছেলে, মেয়েদের মতো আস্তে আস্তে কান্না করলে আমার চোখের নোনা পানি বের হয়না। অনেকেই বলে কান্না করলে নাকি মন হালকা হয়।তাই রুমের দরজা বন্ধ করে খুব সাউন্ড করে কান্না করতাম আম্মু এসে দরজা ধাক্কা দিতো তখন চুপ হয়ে যেতাম বলতাম গান গাইতেছি।ঘরে কাউকে বুঝতেই দিতাম না কি অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে আমি আছি।তবে আম্মু ব্যপারটা বুঝতে পেরেছিলো।কথায় আছেনা মায়ের ভালবাসা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভালবাসা।তাইতো মায়ের ভালবাসা পাওয়ার জন্যই এখনোও বেঁচে আছি।নয়তোবা অনেক আগেই নিজেকে শেষ করে দিতাম নেশা করে বা অন্য কিছু করে।সো ব্যাক টু দ্যা পয়েন্ট আম্মু আমাকে অনেক জিজ্ঞেস করতো
-“মেয়েটা কে?ওর নাম্বার দে,আমি ওকে জিজ্ঞেস করি কি হইছে তোদের মধ্য”
আমি হেসে বলতাম
-“আরে কেউ না,কয়দিন পর রেজাল্ট দিবে তো! তাই মন খারাপ”
তবুও আম্মু ঠিকই বুঝে ফেলতো।
আবার মাঝে মাঝে আমি মন খারাপ করে বসে থাকলে বলতো
-“কিরে মেয়ের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে তাই বুঝি তোর মন খারাপ?”
আমি তখন খুব হাসতাম।দুনিয়ার বেস্ট আম্মু বলে কথা।আমার কাছে আমার আম্মুই সেরা।
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার সময়ও অনেক মন খারাপ থাকতো কথা বলতাম কম।চুপচাপ থাকতাম।

যাইহোক ঘটনা শুরু ২০১২ সাল থেকে।তখন আমি সবেমাএ ক্লাস ফাইভ পাশ করে সিক্সে উঠেছি।আমার সাথে একটা মেয়ে একই ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলো।মেয়েটার নাম ছিল “নেকী❤” খুব সুন্দর নাম না?আসল নাম “ফাহমিদা আক্তার নেকী”। ভর্তি পরীক্ষা দেই আমরা।রোলটাও আগে পিছে পড়ে ওর দুই আমার তিন।প্রথমেই বলে রাখি আমি কিন্তু ওতো ভালো স্টুডেন্ট না।কিভাবে কিভাবে জানি ভর্তি পরীক্ষায় ওতো ভালো করে ফেলেছি নিজেও জানিনা।যেটাই হোক সামনে গেলে বুঝবেন আমি কেমন স্টুডেন্ট ছিলাম।ছেলেদের মধ্যে ক্লাস ক্যাপ্টেন হাওয়ায় বিধায় ওর সাথে আমার মাঝে মাঝেই কথা হতো।মেয়ের মধ্যে ক্লাস ক্যাপ্টেন অন্যজন ছিল রোল এক রশ্নি,ও অনেক ভাবওয়ালী আর দেখতে অনেক রাগী রাগী ছিলো তাই ওর সাথে আমার ওতো বেশি কথা হতো না সেকেন্ড ক্যাপ্টেন নেকী,ওর সাথেই বেশি কথা বলতাম।আগেই বলে রাখি নেকী নিরহংকার,পরোপকারী আর অনেক বিলিয়ান্টও ছিলো,আমার এই ধারনা যথারীতি ভুল ছিলো:)যা আমি ঠিক ৬ বছর পরে বুঝতে পারি।যাইহোক সব ঠিকঠাকভাবেই চলছিলো।আমরা মাঝে মাঝে ঝগড়া করতাম।অনেক হাসি আনন্দ মজার মধ্যেই দিন যাচ্ছিলো।এভাবে আমরা ক্লাস সিক্স শেষ করে সেভেনে উঠি।ক্লাস সেভেনেই ঘটে যায় আমার জীবনের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ঘটনা।কারো প্রতি ভাল লাগা এরপরে ভালো লাগা থেকে ভালবাসা জন্মানো:)হয়তো বলতে পারেন ক্লাস সেভেনের ছেলে ভালবাসার কি বুঝে!!!ঐটা ভালবাসা ছিলো কিনা জানিনা তবে ঐদিন থেকে সেই মেয়েটার জন্য আমার মনে এক অন্যরকম অনুভূতি জন্মে ছিলো।২০১৩ সাল_দিনটা ছিলো ঈদের দিন।প্রচূর বৃষ্টির মাঝেও ঈদের নামায পড়তে যাই। নামায শেষে আমি একটু ঈদ গাহ্ এর পাশে মেলায় ঘুরতে যাই। আপনারা জানেন গ্রামে বিভিন্ন আচার অনুষ্টানকে কেন্দ্র করে মেলা বসে।মেলা ডুকার সাথে সাথেই আরো জোরে বৃষ্টি আরাম্ভ হয়।আমি বৃষ্টিতে ভিড় ঘেষে মেলা থেকে বের হচ্ছিলাম।ঠিক তখনই মেলায় একটা শ্যাম বর্নের মেয়ে আমার সামনে এসে পড়ে,হঠ্যৎ করেই ওর চোখে চোখ পড়ে আমার❤আমি চোখ সরাতেই পারছিলাম না।কিন্তু মেয়েটা ভিড়ে মধ্যেই ডুকে যায়।মনে হয় কিছু কেনা বাকি রয়ে গেছিলো তাই।পরনে একটা বেগুনি কালারের জামা।পাখি ড্রেস না কি জানি নাম ঐগুলাই মনে হয়।আমি তো মেয়েদের জামার নাম জানিনা শুধু মাএ থ্রি পিচ ছাড়া।তাই ঠিক বুঝাতে পারবো কেমন জামা পরছিলো ও।চুল গুলো ঝুলানোই ছিলো তবে খোলা না।বৃষ্টির মধ্যে পুরো মুখটা ভিজে গেছে।কপাল বইয়ে পানি পড়তেছিলো তার নাকের ডগায়,ঠিক যেনো মায়া পরী❤️তখনই আমার মনের মধ্যে ঘন্টা বেজে উঠে।বড় হয়ে জানতে পারলাম যেটাকে বলে ক্রাশ,হিহিহি।

হ্যাঁ আমি ক্রাশ খেয়েছি।একটা শ্যামলা মেয়ের উপর মারাত্মক ভাবে ক্রাশ খেয়েছি।যেটা দিনকে দিন আরো মারাত্মক হয়ে উঠে!!!মেয়েটা আর কেউ না “নেকী❤”।

যাই হোক দিন ভালই যাচ্ছিলো।এর মাঝে ওর সাথে আমার কথাবার্তা কম হতো।কারণ আমার পড়ালেখা দিন দিন তলানিতে নামতে থাকে।ও যথারীতি খুব স্টুডেন্ট হওয়ায় জি.এস.সি -তে A+ পেয়েছিলো।আর আমি মোটামুটি একটা পয়েন্ট পেয়ে নবম শ্রেনীতে উঠি।ও সাইন্স নেয় আর আমি কর্মাস।নবম শ্রেনীতেই আমি আন্ড্রয়েড ফোন হাতে পাই।তখনকার দিনে একটা আন্ড্রয়েড গেইম খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠে আশা করি সবাই বুঝে গেছেন আমি কোন গেইমের কথা বলতেছি।আর ঐ গেইম খেলা শুরু করার পর থেকে আমার তলানিতে নামতে থাকা পড়ালেখা আরো তলানিতে নামে।নবম ও দশম শ্রেনী এই দুই বছর আমি প্রচূরভাবে আসক্ত ছিলাম এই গেইমের প্রতি।তার ফলস্বরূপ আমি আমি এস এস সি -তে গনিতে ফেইল।ঐ ঘটনা পরে আগে আসল ঘটনায় আসা যাক।আমি মনে মনে একটা প্লান করে ফেলি এস এস সি এর পরে আমি নেকীকে প্রপোজ করবো।তখন কিন্তু ও ক্লাসের ফাস্ট র্গাল ছিলো তাই মনে মনে অনেক ভয় ছিলো ও আমার প্রপোজালে রাজি হবে কি না।২ বছর পড়ালেখা করিনাই বিধায় টেস্ট পরীক্ষার পর থেকেই নিয়মিত ক্লাস করতে থাকি।ক্লাসের আগে তেমন আসা যাওয়া ছিলোনা তাই জানতামও না ক্লাসে কি চলতেছে।নিয়মিত ক্লাস করার পর জানতে পারলাম নেকী অন্য একটা ছেলেকে নাকি লাভ করে ওকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে আরো অনেক কিছু।নেকীকেও কিন্তু ক্লাসে ২ টা ছেলে প্রপোজ করেছিলো ক্লাস সেভেন আর এইটে।এদের মধ্য একজন আবার আমার বেস্ট ফ্রেন্ডও ছিলো।নেকী ওদের প্রপোজ গ্রহন করেনি তাই ওরা দুইজন নেকীর গায়ের রং নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতো ওকে গালি দিতো।শুধু ওরা না ক্লাসের প্রায় ছেলেই ওকে গালি দিতো ওকে নিয়ে মজা করতো।ক্লাসের মধ্যে সবচেয়ে ভদ্র ছেলে ছিলাম বিধায় আমি কাউকে কিছু বলতাম না।তাছাড়া আমি তখনও পর্যন্ত চাইতাম না নেকীর প্রতি আমার ভালবাসাটা প্রকাশ পাক।এভাবে আমাদের বিদায় অনুষ্ঠানের দিনক্ষন এগিয়ে আসে।বিদায় অনুষ্ঠানের ঠিক ১৫/২০ দিন আগে আমার একটা ফ্রেন্ড আবার নেকীরও ফ্রেন্ড নিলয় আমাদের ক্লাসেরই একটা মেয়েকে প্রপোজ করে কিন্তু মেয়েটা রাজি হয়নি তাই আমার ফ্রেন্ডের মন অনেক খারাপ ছিলো।রাএে ম্যাসেন্জারে চ্যাটিংয়ে ওর মন ভাল করার অনেক চেষ্টা করছিলাম কিন্তু কিছুতেই পারতে ছিলাম না।ঠিক তখনই ঐদিন ফাস্ট আমি ওকে বলে দেই
-“নেকীকে পচন্দ করি তুই নেকীর সাথে আমার কিছু করে দিতে পারলে তোকে ট্রিট দিব”
ও তো অনেক এক্সাইটেড হয়ে বলে
-“ঠিক আছে”
কিন্তু বলদটা ক্লাসে গিয়ে সবাইকে বলে দেয় রনি নেকীকে লাভ করে।ঐদিন আমি ক্লাস ডুকার পর পর সবাই আমাকে নিয়ে মজা করে দেয়।আমি অত্যন্ত লাজুক প্রকৃতির হওয়ায় ঐদিন ক্লাস থেকে বের হয়ে চলে আসি।পরেরদিন অনেক ভেবে চিন্তে ক্লাস করতে গেলাম যেহেতু সামনেই বোর্ড পরীক্ষা তাই ক্লাস মিস দিলে চলবে না।ক্লাসে ডুকার পর আমার অনেকজন ফ্রেন্ড আর ক্লাসমেট মিলে আমাকে ধরে জমিতে নিয়ে যায়।সবাই নানান কথাবার্তাই বলতে থাকে
-“তুই নেইক্কার(নেকী) মতো মাইয়ারে কেন লাভ করস”
-“নেইক্কা(নেকী)দেখতে কিরকম!!!”
-“খালি পড়ালেখা থাকলে হয় না আরো গুন লাগে” ব্লা ব্লা ব্লা… . ….
আমি ঐদিন করো কথায় কান দি নাই।সবার ভালোলাগা তো এক না।আর আমার ভালা লাগা থেকেই ধীরে ধীরে ভালবাসার জন্ম হয়েছে।ক্লাস সেভেনে যে ভাল লাগার বীজ বপন করছে নেকী আমার মনে মধ্যে তা আস্তে আস্তে ভালবাসার বৃক্ষের ন্যায় বড় হচ্ছিলো দিন দিন।

নিলয়(আমার ফ্রেন্ড)সবাইকে বলে দেওয়ার ঠিক পরেরদিনই নেকী ফেসবুক একাউন্ট খুলেছিলো।না আমার সাথে প্রেম করার জন্য না।ঐ ছেলেকে পটানোর জন্য যাকে ও লাভ করে।ছেলেটা আমার থেকে হাজার গুন বেশী স্মার্ট ছিলো।নেকী ওর সাথে ফেসবুকে কথা বলা শুরু করে।নেকীর আইডির নামটাও ছেলেটার নামের প্রথম দুই বর্ন দিয়ে খুলছিলো।নেকী আবার আমার ফ্রেন্ড নিলয়ের সাথেও কথা বলতো ফেসবুকে।২ দিন পরে হঠাৎ নেকী নিলয়কে বলে যেনো আমি নেকীকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠাই।আমি খুব ভয়ের মধ্যে ছিলাম না জানি ও আমাকে বকা না দেয় ওকে প্রপোজ করার কারণে।আমি নেকীকে এড পাঠিয়েই ওর ইনবক্সে সালাম বিয়ে বোন বলে সম্বোধন করি।আসলে নিজে খুব ভয়ের মধ্যে ছিলাম ভয়ের কারণে ভালবাসার মানুষকেও বোন ডাকতে হইছে,হাঃহাঃহা।আমি ভীতু হওয়ার কারণে নেকী আমার প্রথম মেসেজ সিন করার আগেই বলে দি আমি সব নিয়লের মন ভাল করার জন্য বলসি।কি করবো তখন এটা ছাড়া আর উপায়ও ছিলোনা।এভাবেই আমাদের কথা শুরু হয়।ও সব সময় ঐ ছেলেটার সাথে কথা বলার জন্য মেসেঞ্জারে আসতো আর আমি বসে থাতকাম ওর একটা Hi এর জন্য।নিজে থেকে প্রথমে কিছু লিখতে ভয় লাগতো যদি কিছু মনে করে।ও যদি কখনোও মন চায় Hi লিখলে আমি সাথে সাথে রিপ্লাই দেওয়া শুরু করতাম।শুরুতে ওর টাইপিং স্কীল ওতো ভালো ছিলোনা যা কারনে ও একটা মেসেজে দেওয়া আগেই আমি ৪/৫ টা মেসেজ দিয়ে রাখতাম।এরমধ্যে আরমান ছেলেটা ওকে ইন্ডাইরেক্টলি রিজেক্ট করে।আমিও এটার সুযোগ নিয়ে নেকীকে পূনরায় সাহস করে মেসেজে প্রপোজ করি।নেকী আমাকে তখন একটুও পাওা দিচ্ছিলোনা।ওর নাকি আরমানকে ভাল লাগে,আরমানকে ছাড়া ও নাকি বাঁচবে না এই সেই অনেক কিছুই বলতো।তখন আমাদের এস এস সি পরীক্ষা শুরু হয় আমি পরীক্ষা দিয়ে এসেই নেকীর অপেক্ষা করতাম। কখন নেকী অনলাইনে আসবে কখন আমায় Hi লিখবে।নেকী অনেক রাত পর্যন্ত পড়তো।তাই কখন এক্টিভ হবে তার নিদিষ্ট সময় ছিলোনা।আমার কিসের পড়ালেখা পরীক্ষা দিয়ে এসেই ওর একটা Hi এর অপেক্ষা আর ওর পুরানো মেসেজ পড়া।আমাদের পরীক্ষাও শেষ হলো।আমার পরীক্ষা যেমন হওয়ার কথা ঠিক তেমনই হলো।২০১৮-এ ১৪ ফেব্রুয়ারীতে আমি ওকে একটা ডায়েরী,একটা লাভ টয়,একটা ঘড়ি গিফট করি।গিফটের নাম উল্লেখ করার কারণ আমি শুনছিলাম ও ডায়েরীটা ওর কাক্কাকে দিয়ে দিসে মানুষের নাম্বার লিখার জন্য।আর লাভ টয় ওর ছোট বোনকে,ঘড়িটাও কোথায় রেখে দিসে:)।পরীক্ষা শেষে আমি ওকে আবার একবার প্রপোজ করি ।ঐদিনও ও আমাকে আগের মতো ফিরিয়ে দেয়।আমি অনেক ভেঙ্গে পড়ে।নিজে নিজে ডিসিশান নিয়েই ফেলি ওকে আর কোনোদিনও প্রপোজ করবোনা।ওকে আর বুঝতে দিবোনা ওকে যে আমি ভালবাসি।সব মেসেজ ডিলেট করে দি।ওর থেকে দূরে থাকার জন্য যা যা করা লাগে সব করি ফেসবুক আইডিও ডিএক্টিভ করে দেই।কিন্তু সব কিছু বৃথা হয়ে গিয়েছিলো ঐদিন রাতে একটা মাএ কল এর কারণে।হয়তোবা ঐ কলটা না আসলে আমি ঐদিন নিজেকে ব্যর্থ প্রেমিক ধরে নিয়ে সব ভুলে যেতাম।….

ঐদিন কলটা ছিলো ওর।কল দিয়ে কান্না শুরু করে দেয় আর বলে আমি এক্টিভ হতাম ওর সাথে কথা বলতাম(ঐদিনের কান্নাটা মিথ্যে ছিলো কিনা জানিনা,তবে আমার কাছে এখন সব মিথ্যে মনে হয়)।আমি তখন বুঝতে পারি ও আমার প্রতি ধীরে ধীরে দূর্বল হচ্ছে আমিও পূনরায় আইডি এক্টিভ করে ওর সাথে কথা বলা শুরু করি।এইভাবে কথা চলতে থাকে,মাঝে মাঝে খুনসুটি হাসি ঠাট্টা মজা সব হয়।মনে মনে ইচ্চা ছিলো ওকে সবার সামনে প্রপোজ করবো কিন্তু স্কুল বন্ধ আর লম্বা ছুটি থাকার কারণে ঐভাবে প্রপোজ করা যাবেনা ভেবে আমি একটা দিন ঠিক করি ১৫-০৩-২০১৮ ইং বৃহস্পতিবার।ঐদিন আমি প্রথম ওকে ফোনে কল দিয়ে প্রপোজ করি এবং ও আমার প্রপোজালে রাজি হয়ে কল কেটে দেয়।সময়টা ছিলো রাত ১১.৪৫ মিনিট।তখন থেকেই আমরা নতুন সম্পর্কে পা রাখি❤️যার স্থায়ীত্ব ছিলো ১ বছর ১ মাস ৯ দিন।সব কিছু ঠিকঠাক ভাবেই যাচ্চিলো,সারাদিন রাত চ্যাটিং করতাম একজন আরেকজনের সাথে।সব সময় কলে কথা বলার সুযোগ হতো না।সুযোগ হলেই ২/৩ ঘন্টা করে কথা বলতাম।আর চ্যাটিং তো দিনের মধ্য ১৮ ঘন্টাই চলতো।নিজেও এখন বুঝিনা কিভাবে যে এতো সময় পার হয়ে যেতো এতো তাড়াতাড়ি।আমরা মাঝে মাঝে দূরে থেকে দেখাও করতাম তবে কাছে আসতাম না একে অপরের।এভাবেই দিন চলতে থাকে আর আমাদের রেজাল্ট দেওয়ার দিনও এগিয়ে আসতে থাকে।রেজাল্ট দেওয়ার ৮ দিন আগে আমার জন্মদিন ছিলো ও আমার জন্য নিজের হাতে একটা কার্ড বানিয়ে আমাকে গিফট করে।ঐটাই ছিলো আমার জীবনের কারো থেকে পাওয়া বেস্ট গিফট।অবশেষে রেজাল্ট বের হলো ও ক্লাসের ফাস্ট গার্ল অনুযায়ী সেরকম রেজাল্ট আমি ১ সাবজেক্ট ক্রস।ঐদিন অনেক মন খারাপ হয়েছিলো,ফ্রেন্ড সার্কেলের সবাই পাশ করে আমার এক বছর আগে চলে যাবে অথচ আমি ওদের থেকে একবছর পিছিয়ে থাকবো।ঐদিন নেকী আমার পাশে না থাকলে হয়তোবা আমি ঐদিনই কিছু একটা করে ফেলতাম।ওর প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ।আমার ঐ খারাপ সময়ে আমি ওকে আমার পাশে পেয়েছি,জানিনা ঐটা আমার প্রতি ভালবাসা ছিলো নাকি বরদ দেখানো তবে ঐদিন থেকে আমি ওর প্রতি আরো বেশি দূর্বল হয়ে যাই।

রমজান মাস।জীবনে এতো বড় ধাক্কা খেয়েও দিনগুলি খুব ভালই যাচ্ছিলো।বুঝতে পারিনি এইদিন গুলির স্থায়ীত্ব কম,কিছুদিন পরে সব উলোটপালোট হয়ে যাবে।ঈদ শেষ হলো ওর কলেজে ভর্তি হওয়ার দিনক্ষনও এগিয়ে এলো।সবাই বললো ও নাকি কলেজে উঠে বদলে যাবে। নতুন পরিবেশে গেলো নাকি মানুষ বদলে যায়।আমি এসব কথা একদমই বিশ্বাস করতাম না।কারণ আমি তখন ওকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করতাম।তবুও কথার চলে ওকে অনেকবার এসব কথা জিজ্ঞাস করতাম ও কি সত্যি সত্যি আমায় ভুলে যাবে কি না,ওর উওর সব সময় ছিলো না।একমাএ আল্লাহ্-ই জানে ও তখন ওর চৌদ্দ গুস্টিকে নিয়ে কতবার কসম খাইছে শুধু আমাকে অভয় দেওয়ার জন্য।ও কলেজে এডমিশন নিলো আর আমিও হেলে দুলে দিন কাটাচ্ছি।ও যখন কলেজে থাকতো তখনোও আমি খুব মিস করতাম।মাঝে মাঝে আমরা দেখাও করতাম।এরই মাঝে আমি ফাস্ট ওর হাত ধরি।ঐ অনুভূতিটা বুঝানো সম্ভব না।কেমন অন্যরকম একটা অনুভূতি ছিলো।এর পরেরদিন থেকে আমাদের আবার কথা বলা অফ হয়ে যায়,কারণটা ছিলো ওর একটা বড় ভাইয়া বিদেশ থেকে আসে আর ওর হাতে ফোন দেখতে পেয়ে ওর থেকে ফোন নিয়ে নেয়।এভাবে ২০/২৫ দিন আমরা নিয়মিত কথা বলতে পারিনি।মাঝে মাঝে ও আমাকে ওর আম্মুর নাম্বার থেকে কল দিতো তখনই কথা বলার সুযোগ পেতাম।ও তখন আমার জন্য অনেকগুলা চিঠি লিখে।এবং একদিন দেখা করে ওর থেকে চিঠি গুলো আমি নিয়ে আসি।এই চিঠিগুলো পড়ে আমি আরো বেশি দূর্বল হয়ে যাই ওর প্রতি।হুম এসব কিছুই মিথ্যে অভিনয় ছিলো।নাহলে এতো কিছুর পরেও কিভাবে ও আমাকে এখন ছেড়ে থাকতে পারে।কিছুদিন পর ও আবারও ফোন হাতে পায়।আবারও আমাদের নিয়মিত কথা হতে থাকে।আস্তে আস্তে ওর মধ্যে আমি কেমন একটা চেন্জ দেখতে পাই।ও খুব আল্ট্রা মর্ডান ভাবে চলা ফেরা করতে চাইতো।যেমন:একা একা বাহিরে যাওয়া,ওর কাক্কার একটা হার্ডওয়ার দোকান ছিলো ঐখানে গিয়ে বসে থাকা,ফেসবুকে পিক আপ দেওয়া,টি-শার্ট পড়ে বাহিরে যাওয়া।আমাদের গ্রামীন সামাজিক প্রেক্ষাপটে একজনকে মেয়েকে এভাবে চলা ফেরার মনে তো আপনারা বুঝেনই।ওর এসব কোনো কিছুই আমার ভালো লাগতো না।ও আমাকে প্রোমিস করলে প্রোমিস রাখতোনা।মোট কথা আমার কোনো কথাই ও শুনতো না।আমি বুঝতে পারি দিন দিন ও আমার প্রতি বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে আমাকে তার আর ভাল লাগেনা এরকম কিছু।এর মাঝে ওর সাথে আমার একবার অনেক ঝগড়া হয় ঐদিন আমি আমার হাত কেটে ফেলি।কেন কাটছি কি জন্য কাটছি নিজেও জানিনা,তবে একটা বেইমানের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে নিজেকে নিজে কষ্ট দিছি এটা জানি।আমি ভাবছিলাম হয়তোবা হাত কাটলে ও আমার কথা শুনবে।হুম এরপরে ঠিক তাই হইছে,ও নাকি কান্না করছে আমার জন্য আর ঐদিন আবারও প্রোমিস করেছিলো ও আমার সব কথাই মানবে।কিন্তু কিছুদিন পর ও আরো অনেক বেশি চেন্জ হতে থাকে।তখন আমার পূনরায় পরীক্ষা দেওয়ার দিনও এগিয়ে আসতে থাকে।ওর কাছ থেকেই আমি হেল্প নিয়ে অংক করতে থাকি।কিন্তু তখনোও ও আমাকে একটুও চাপ মুক্ত থাকতে দিচ্ছে না।ও চায় আমার পরীক্ষার দিনই আমাদের ব্রেকআপ হয়ে যাক ঐদিনের পর থেকে ও আমার সাথে আর কোনো যোগাযোগ করবেনা।আমিও ওকে বুঝাতাম কিন্তু ও বুঝতোনা কিছু।পরীক্ষার দিন আমি পরীক্ষা দিয়ে আসি।পরীক্ষা তেমন ভাল হয়নি বিধায় মন খুব খারাপ ছিলো।তাই ভাবছিলাম ওর সাথে একটু কথা বলবো।কিন্তু দেখি ও আমাকে সব জায়গা থেকে ব্লক করে দিয়েছে।তখনই আমার মন মেজাজ দুটোই খারাপ হয়ে যায় এর দুইদিন পর ও কলেজ থেকে আসার পথে ওর সাথে দেখা করি ওর দেয়া সব কিছু ফিরিয়ে দি আর ও ঐগুলা পুকুরে ফেলে দেয় আমার সামনে।সত্যি বলতে ঐদিন আমি ওকে খুব বাজেভাবে অপমান করি।ঐদিন রাএেই আমি আমার ভুল বুঝতে পারি।আসলে রাগের মাথায় আমি কি বলতে কি বলসি নিজেও জানিনা।তার পরেরদিনই ওকে আমি ফোন দিয়ে SORRY বলি কিন্তু কোনো লাভ হয় নি।আমার একটা ফ্রেন্ডের দেওয়া আইডিয়াতে আমি ওর সাথে ১৪ ফেব্রুয়ারি আবারও দেখা করি ওর জন্য ছোট একটা গিফট নিয়ে ওর থেকে কান ধরে মাফ চেয়ে নি।ঐদিনের মতো সব ঠিক হয়।আসলে আমরা সপ্তাহে ২/৩ বার করে ব্রেকআপ করতাম আবার মিলিয়ে যেতাম।আমি শুধু SORRY বলতাম সেটা না ও নিজেও অনেকবার আমাকে SORRY বলে রিলেশন ঠিক করছে।এরমধ্যে হঠাৎ একদিন ওর আইডিটা নষ্ট হয়ে যায়।আর দোষটা পড়ে আমার উপর আমি নাকি ওর আইডি নষ্ট করছি। কারণ একটাই ক্লাসের অনেকেই আমাকে মজা করে হ্যাকার নামে ডাকতো।হাঃহাঃহা…হ্যাকিং আমি পারিনা।তবে অনেকজনে মিলিয়ে রিপোর্ট করে একটা আইডি নষ্ট করতে হয় সেটা জানতাম।কিন্তু ওর সাথে পরিচয় হওয়ার পর থেকেই আমি আমার ফ্রেন্ড সার্কেল থেকে দূরে সরতে থাকি।ফেসবুকে আমার সব গুলা রিয়েল লাইফের ফ্রেন্ডই আমার ব্লক লিস্টে ছিলো।কারণটা হচ্চে আমি চাইতাম না নেকীর সাথে কথা বলার সময় অন্য কেউ আমায় মেসেজ দিয়ে বিরক্ত করুক।কিন্তু সব কিছুর পরেও দোষটা আমার উপর আসে ওকে অনেকবার বুঝাবার পরেও ও আমার কোনো কথা শুনেনি।ও আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয় আমাকে অবহেলা করতে শুরু করে আমিও অবহেলা সহ্য করতে না পেরে অনেক কান্না করি বার বার বেহায়ার মতো ওকে কল দিতে থাকি কিন্তু ও আমার সাথে কথা বলতে চায় না।আমাকে প্রচুর গালিগালাজ করতো।একটা ফেইক আইডি দিয়ে আমার আম্মুকেও গালিগালাজ করসে:)জানিনা কেন করসে এমনটা তবুও আমি ওকে মাফ করে দিয়েছিলাম।ও ওর মতোই চলতে থাকে আর আমাকে থ্রেড দিতে থাকে
-“তোকে আমি আরো কাদাঁবো, তোকে হারে হারে বুঝাবো কষ্ট কি জিনিস”:)

তখনও বুঝতে পারিনি ওর প্লান কি ও আসলে কি করতে চায়।এরমধ্যে ও আবার পিক দিয়ে আইডি খুলে।আর হ্যাকিং শিখার জন্য বিভিন্ন চেচরা ছেলেদের ইনবক্সে ইনবক্সে ঘুরে।ওদের সাথে খারাপ কথা বলতে থাকে।অথাৎ নিজেও চেচরামি শুরু করে।আমি এসব সহ্য করতে পারতেছিলাম না।খুব কান্না করতাম।ওকে অনেক বুঝাতাম কিন্তু ও আমার কোনো কথাই শুনতো না।চেচরা ছেলেদের সাথে কথা বললে নাকি ওর খুশি লাগে।ঠিক তখন একটা কথা শুনতে পাই ও ইরফান নামের কাউকে ভালবেসে ফেলেছে।আবার সাদ নামের কাউকেও ওর ভাল লাগতো।আর এসব কথা আমাকে ওর কাজিন মানে খালাতো ভাই বলছিলো।ইরফান নামের ছেলেটার কথা ওর মুখে আরো একবারও শুনেছিলাম।ও নাকি একদিন ঐ ছেলেটার সাথে একসাথে সি এন জি-তে করে আসছে।ওর ভাইয়া ওর মেসেজের স্কিনশট আমাকে পাঠানোর পর আমি নিজের চোখও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না কাকে এতো ভালবাসলাম কাকে আমার জীবনের ১ টা বছর সময় দিলাম কাকে নিয়ে এতো স্বপ্ন বুনলাম।আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না ওর আর এখন আমায় ভালো লাগেনা এখন আমার থেকে দেখতে ভালো এমন কাউকে চায়।আমার ফ্রেন্ড সাব্বির একবার বলেছিলো “নেকী সুন্দরের পূজারী”। এই কথার মানে হচ্ছে ও ছেলের শ্মাটনেস দেখে প্রেমে পড়ে মন দেখে না।আমি তবুও বিশ্বাস করতে পারিনি আসলেই ও এসব করতেছে অন্য আরেকটা ছেলেকে পটানোর জন্য।আমি তখনও পর্যন্ত বিশ্বাস করতাম ও সব কিছু অভিমান করেই করতেছে।তাই আমি ২৮ এপ্রিলের অপেক্ষা করতে থাকি কারণ ঐদিনটা ছিলো আমার জন্মদিন। আমি ভাবছিলাম নেকী হয়তোবা আমাকে শুভেচ্ছা জানাবে।কিন্তু ও সেদিন বেইমান নির্লজের মতো আমাকে একটা মেসেজও দেয় নি।পরেরদিনই আমি পাগলের মতো ওর বাড়িতে চলে যাই,বাড়ির সামনে থেকে অনেকবার খবর পাঠানোর পরেও ও একবারও আসেনি আমার সাথে দেখা করতে।আমি ঐখানেই নিজের হাতে থাকা ফোন আছাড় মেরে ভেঙ্গে ফেলি।ঘরে এসে খুব কান্না করি আর পায়ের মধ্যে অনেকবার ব্লেড দিয়ে টেনে রক্তাক্ত করে ফেলি পা।ঐদিন আমার ১৮ তম জন্মদিন ছিলো কিন্তু ১৮ তম জন্মদিন এতো খারাপ ভাবে কাটবে ভাবিনি।এমন সিচুয়েশনে অনেক ছেলে ডার্গ নিলেও আমি এসব কিছুই করিনি।কারণ আমার ফ্রেন্ড সার্কেলে এমন কেউই ছিলোনা যারা সিগারেট বা অন্য কোনো নেশা জাতীয় জিনিস খায়:)কয়েকজন নামাজী বন্ধুর পরামর্শে তখন নিয়মিত নামায পড়তে থাকি।আর আল্লাহ কাছে ঐ মেয়েটার জন্যই দোয়া চাইতাম যার কারণে আমার এই অবস্থা।

কিন্তু এখনোও বেহায়া নিলর্জের মতো আমি ওকে মেসেজ করি মাঝে মধ্যে।আর ও আমার মেসেজের রিপ্লাই দিয়েও দেয়না।সব সময় অবহেলা করে।ওর প্রতি দুর্বলতা আমার সারাজীবনই থাকবে।জানিনা কেন এতো ভালবাসি ওকে।শুনলাম ইরফানের সাথে নাকি ওর এখন নিয়মিত কথা হয়।ওর আইডি দিনে ২০/২৫ বার করে ঘুরার অভ্যাসটা এখনোও যায়নি।কেন জানিনা কষ্ট পেতে আমার অনেক ভাল লাগে।বার বার ওর চেচরামি গুলো দেখতেই ওর আইডিতে ঘুরাঘুরি করি।তবে আমি এখনোও পর্যন্ত বুঝতে পারিনি ও আসলে কাকে লাভ করে?ইরফান, সাদ ওদের সাথে তো কথা হয় এটা আগেও বললাম।কিন্তু আইডিতে কমেন্ট ফলো করে দেখি আদনান নামের কারো সাথেও ওর সম্পর্ক আছে।যাইহোক ও বলবে ওরা ওর জাস্ট ফ্রেন্ড।যে ফ্রেন্ডের কথা প্রথমেই বললাম যার কারণে আমার আজ এই সিচুয়েসন ফেইস করতে হচ্ছে সেই নিলয়ের সাথেও নেকীর জাস্ট ফ্রেন্ড সম্পর্ক ছিলো।আর ওদের মধ্যে হওয়া মেসেজ গুলো দেখে আমি পুরো থ… হয়ে গিয়েছিলাম।এতোকিছুর আমি ওকে কখনোই সন্দেহ করতাম না।মন দিয়ে ভালবাসছিলাম পুরো ১ টা বছর।এসব কথা বলার মূল কারণ হচ্চে আমার ফ্রেন্ডটা এখনোও বলে ও নাকি নেকীর সাথে এসব করে খুব মজা পেয়েছে আমাকে এখনোও এসব বলে ক্ষেপানোর চেষ্টা করে।জানিনা এখনো নেকী যাদের সাথে কথা বলতেসে তাদের সাথে এমন করতেসে কিনা।ব্রেকআপ হয়ে গেলেও কেন জানি ওর জন্য প্রচূর মায়া হয়।প্রচূর ভয় হয় ওকে নিয়ে।তবে ওকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি ও অন্য আরেকটা ছেলের প্রেমে পড়েছে সেই ছেলেটা কে তা নাকি আমি সহজে জানতে পারবোনা।

অবশেষে নেকী আপনার জন্য আমার কিছু কথা।হয়তোবা আপনি আমার লিখাটা পড়বেন না,পড়লেও পুরোটা পড়বেননা।তবুও বলতেছি, জীবনটা আপনার একান্তই নিজের আপনি কি করবেন না করবেন সেটা আপনার নিজের ব্যপার।কিন্তু আপনি কি ভেবে দেখছেন একটা সময় পর আপনার জীবনের পুরো অধিকার অন্য আরেকজনের হাতে চলে যাবে?বিয়ে তো করবেন একজনকে, ৪/৫ জনকে না তাই না?এসব কেন করতেছেন?এতো অহংকার কেন দেখাচ্ছেন?হয়তোবা আপনার ধারনা আপনি আমার থেকে আরো ভালো ছেলে পাবেন:)কিন্তু কারো মন থেকে ভালবাসা পাওয়াটা কি আদোও সহজ?একবার কি আপনি ভেবে দেখছেন?এতো এতো কষ্ট দেওয়ার পরেও কেন আমি আপনাকে নিয়ে ভাবি এখনোও।আপনার ধারনা যে ছেলেরা আপনার সাথে মিষ্টি কথা বলে ওরা আপনার জন্য পাগল।কিন্তু আপনি জানেন এখনকার ছেলেরা সত্যিকারের ভালবাসার চাইতে টাইম পাস করে মজা বেশি পায়।আপনি আমার জীবনের প্রথম ভালবাসা ছিলেন।জানিনা আমার জীবনে আর অন্য কোনো মেয়ে আসবে কিনা।তবে আসলেও সে আপনার জায়গা পাবে না।

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত