একটি ভালোবাসার গল্প

একটি ভালোবাসার গল্প

”দূঃখিত আপনার ডায়ালকৃত নাম্বারটিতে সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছেনা……………,

sorry the number you are calling is currently unreachable thank you”….কথাটা শুনে বুকের ভীতরটা ধুক করে উঠলো হৃদয়ের।

মেয়েটার ফোন বন্ধ কেন..! কোথাও নিজের কোনো ক্ষতি করে ফেললো না তো?…

ভাবতে ভাবতে দ্বিতীয়বার কল দিলো কিন্তু আবারো সেই একিই কথা..ফোন সুইচ অফ..!
মাথার উপরে ফ্যান ঘুরছে কিন্তু হৃদয় এর শরিরটা ঘামছে ।

সাধারণত মানুষের খুব ভয় পেলে এমনটা হয়।ওরো ভয় হচ্ছে…একজনকে হারানোর ভয়..!
এই মেয়েটা বড্ড জেদি!! ফোন বন্ধ রাখার কি কোনো মানে হয়? চুপচাপ কিছুক্ষন বসে থাকলো হৃদয়।

মাথা কুচকাতে কুচকাতে চিন্তা করতে লাগলো,”সকালের ব্যাপারটার কারণে আবেগের বসে এসে নীলা কোনো ভুল কাজ বা ভুল পথে পা বাড়ালো না’তো?

উফফ, মেয়েটা এমন কেন? এতো সামান্য কথায় কেউ এভাবে রিয়্যাক্ট করে? অবশ্য এ মেয়ের কোনো ভরসা নেই…করতেও পারে..!
.
.
আর এক মুহুর্তও দেরি না করে টেবিল থেকে বাইকের চাবিটা নিয়ে বেরিয়ে পড়লো হৃদয়।উদ্দেশ্য নীলাদের বাড়ি।

মাথায় প্রচুর প্রেসার নিয়ে এক দিকে যেমন ছেলেটা ফুল স্পিডে বাইক চালিয়ে যাচ্ছে ঠিক তেমনি অন্য দিকে নীলাকে ফোন দিচ্ছে বারবার যদি বাই চান্স কল ঢুকে যায়..!
একটি বার ফোন অন করো নীলা…!একটিবার কলটা ধরো..! প্লিজ একটিবার..!(চোখে মুখে কান্নার ছাপ )
.
…এইতো আজ সকালের ই ঘটনা,
সব সময়ের মতো বিনা নোটিশে হুটহাট কল দিয়ে দেখা করার জন্য বলে নীলা।

দেখা করতে গিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তার জন্যে মোটেও প্রস্তুত ছিলোনা হৃদয়।
ব্যাগ থেকে একটা ছবি বের করে নীলা হৃদয় কে উদ্দেশ্য করে বলে,
–এসবের মানে কি?
–কোনসবের মানে ?(হচকচিয়ে উঠে )
–এই ছবিতে এটা কে?
–কোন ছবিতে…
–তোমার সাথে ছবিতে এই বাচ্চাটা কি করছে..?
(হৃদয় ছবি টা নীলার হাত থেকে নিয়ে সেটার দিকে একবার তাকিয়ে দেখল)
এইতো ২দিন আগে কোন এক কাজে বাহিরে বের হয়েছিলো হৃদয়।দিব্যি রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলো।

এমনি এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতেই হঠাৎ চোখ পড়ে সামনের একটা ল্যাম্পপোস্ট এর নিচে।

ময়লা স্কুল ড্রেস পড়া একটা ছোট্ট বাচ্চা সেখানে বসে ”অ-আ-ই”টাইপের একটা বই পড়ছে।কৌতূহল বশত হৃদয় বাচ্চাটার কাছে গেলো।

গিয়ে জিজ্ঞেস করলো…..
–বাবু এখানে কি করছো তুমি?
(বাচ্চাটা একবার হৃদয় কে দেখলো তারপর আবার ‘অ থেকে ঔ’ জোরে জোরে উচ্চারণ করে পরতে লাগলো)
হৃদয় বাচ্চাটার পাশে গিয়ে বসে পড়লো।ছোট বাচ্চাটা তখন বলে উঠলো,
–কি চাই!
–তোমার কাছে থেকে কিছু জানতে চাই…
(বাচ্চাটা কিছু বললোনা)
–তুমি এ সময় এখানে কি করছো..?
আর তোমার আব্বু আম্মু কোথায়?…
–নাই
–নেই মানে?
–মারা গেছে অনেক দিন আগে
–তা তোমার আত্নীয় স্বজন নিশ্চয় আছেন..? তারা কোথায়?
–আমি একা, আমার কেউ নেই।
(হৃদয় এর বুঝতে বাকি রইলোনা বাচ্চাটা এতিম)
কিছুক্ষন যাবত অনেক জোর করার পর অত:পর বাচ্চাটা নিজেই ‘নিজের সম্পর্কে’ ধীরে ধীরে সব কিছু হৃদয়ের কাছে খুলে বলতে লাগলো,
আশেপাশের সব বাচ্চাদের রোজ স্কুলে যেতে-আসতে দেখে কৌতূহল বশত সেও একদিন স্কুলে ভর্তি হতে গিয়েছিলো,—একা একা—।

ফলে যা হবার তাই হয়, বাবা-মা বা বড় কোনো গার্জিয়ান না থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ সেখান থেকে ওকে তাড়িয়ে দেয় ।
বাচ্চাটার এই পৃথিবীতে আপন বলতে কেউ না থাকায়’এতিম’উপাধি নিজের গায়ে নিয়ে সারাদিন বাইরে বাইরে ই থাকে…

যে যখন যা খাবার দেয় তাই খেয়ে নেয়,যখন যেখানে থাকার জায়গা পায় সেখানেই থেকে যায়, আর না পেলে ফুটপাত তো আছেই।

ওর পড়নের ময়লা স্কুল ড্রেসটাও কোনো এক ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে পাওয়া আর হাতের বইটা কোনো এক বাসায় কাজ করতে গিয়ে চুরি করে আনা।
(সেই মুহুর্তে কেন জানিনা টুপ করে এক ফোটা পানি চোখ বেয়ে মাটিতে পরলো….

একটা বাচ্চা পড়ালিখার প্রতি কতোটা আগ্রহী হলে জীবনের এরকম প্রতিকুল পরিস্থিতি তেওএমনটা করে?)
কথাগুলো শোনার পর,
হৃদয় সেদিন আর বিন্দু মাত্র দেরি না করে বাচ্চাটাকে সাথে নিয়ে গিয়ে ওর পছন্দের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয় (একজন অভিভাবক হিসেবে)।

তারপর বাচ্চাটার প্রয়োজনের সব কিছু ( স্কুলের জন্যে যা যা লাগে আরকি) সেগুলো কিনে দিয়ে সেখান থেকে বিদায় হয়।
.
.
.
যাবার আগে বাচ্চাটা হৃদয়ের পা চেপে ধরে বসে।কিন্তু কেন..?একজন অপরিচিত লোক হয়েও
কেউ একজন ওর অপূরণীয় ইচ্ছেগুলো চোখের সামনে এভাবে পূরন করে দিলো এটা ভেবে..?

নাকি এতোকিছু করার পর বাচ্চাটার আরো কিছু প্রত্যাশা আছে ওর থেকে..? জানিনা..হয়তো ২টোই!!

যাইহোক বাচ্চাটা হৃদয় কে একটা হৃদয় স্পর্শী হাসি দিয়ে বললো,..”Thank U Uncle”।

তখন ওর মাথায় হাত বুলিয়ে… কপালে একটা চুমু দিয়ে.. ‘এবার তাহলে আসি’ বলে চলে আসে হৃদয়।
.
.
আর এসব ঘটনার ফাক দিয়ে কোন এক শয়তান মনে হয় ছবিটা তুলে নীলাকে দিয়েছে যাতে ওদের রিলেশনশিপটা ভেঙ্গে যায়।

কে হতে পারে..? ধুর! যেই হোক না কেন বাটপারটাকে যদি কাছে একবার পাই তাহলে খবর আছে!(ভাবছে)
.
.
–হ্যালো, কোথায় হারিয়ে গেলে তুমি? আমার প্রশ্নের উত্তর দাও..?(চোখের সামনে চুটকি বাজিয়ে)
(আওয়াজটা শুনে বাস্তবে ফিরলো হৃদয়।কথাগুলো মনে করে কিছুক্ষন নীলার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলো।)
–কি হলো কিছু বলছোনা কেন?
–হুম
–আমার প্রশ্নের উত্তর নিশ্চয় ‘হুম ‘ না?
–হুম
–আবার হুম? (রাগী চোখে)বলো বাচ্চাটা তোমার কে হয়? ওর সাথে তোমার সম্পর্ক কি?
–তোমার কি মনে হয়? কে হতে পারে?
–আমি জানিনা ”সেটা তুমিই ভালো জানো”
(পুরো বিষয় টা বলতেই যাবে, ঠিক তখনি মাথায় দুস্টমির ভুত চেপে বসলো,…

আরে আরে কি করতে যাচ্ছি আমি, ঘটনাটা বলে ফেললে’তো পুরো মজাই শেষ, তার চেয়ে বরং নীলার সাথে একটু ফান হয়ে যাক)
–আসলে নীলা তুমি যা ভাবছো ঠিক সেটাই, ছবির বাচ্চাটা আমার. .আমিই ওর বাবা..
–কিহহহ..!! (একদম শকড) শুনতে পাইনি আবার বলো?
–তুমি যা শুনেছে ঠিকই শুনেছ।
.
.
–ছি হৃদয়!! তুমি আমার বিশ্বাস টা এভাবে ভেঙ্গে ফেললে..?
–হুম, সরি হ্যা..?
–চুপ..! কোনো কথা বলবানা! তুমি এতোটা নীচ জানলে তোমাকে ভালোবাসা তো দূরের কথা তোমার ছায়াও কখনো পাড়াতাম না…
–বাংলা সিনেমার ডায়ালগ দিচ্ছো?
–ঐ..! তোমার কি মনে হয় আমি কথাগুলো এমনি এমনি বলছি?

আমি কথাগুলো সিরিয়াসলি বলছি, তুমি হয়তো জানোনা ~~তোমাকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখেছিলাম…

ভেবেছিলাম আর পাচটা সাধারণ কাপল দের মতো আমাদের ও বিয়ে হবে~~যেখানে থাকবে তুমি, আমি আর ‘সংসার’নামক সুন্দর একটা শব্দ।
কিন্তু তুমি..?তুমি আমার বিশ্বাসকে নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলতে পারলে? কখনো ভাবিনি এই দিনটাও দেখতে হবে।
(কথাটা বলেই নীলা কেদে দিলো)
.
.
–যাহ বাবা! দুস্টমি করলাম আর ও সিরিয়াসলি নিয়ে নিলো…
(হৃদয় ব্যাপারটা হাতের বাহিরে চলে গিয়েছে বুঝতে পেরে নীলাকে সব ঘটনা ফার্স্ট টু লাস্ট খুলে বললো আর ওর সাথে মজা করার জন্যে কান ধরে সরি বললো!

কিন্তু নাহ! মেয়েটার কিছুতেই ট্রাস্ট হচ্ছেনা কথাগুলোয়.. ও এক প্রকার মেনেই নিয়েছে বাচ্চাটা হৃদয়ের ই এবং হৃদয় ওকে ঠকিয়েছে)
অবশেষে মেয়েটা চলে গেলো।বার বার বোঝানো সত্তেও চলে গেলো।যাবার আগে বলে গেলো ওর কিছু হলে দায়ী হবে হৃদয়।
প্রতিবারি এরকম বলে বিধায় হৃদয় ওর কথায় তেমন একটা গুরুত্ব না দিয়ে’ আজ ওদের কততম ব্রেকাপ’ সেইটা হাতে গুনতে লাগলো।

৩৩বার ব্রেকাপ..!ওয়াও!অবশ্য ওদের ব্রেকাপ কে ব্রেকাপ না বলে ক্ষনিকের নিশ্চুপতা বলাই শ্রেয়।

কারণ যখন তখন যেকোন সময় ওদের প্যাচ-আপ হয়ে যায়।এবারো হয়ে যাবে কোনো না কোনো ভাবে।
(কিন্তু…… ফান করার লেভেলটা আগের থেকে হাই হওয়ায় নীলার বলে যাওয়া শেষ কথাটায় বিন্দুমাত্র হলেও টেনশনে পড়ে যায় হৃদয়)
(উফফ, খামাখা ভাবছি! এরকম কিছুই হবেনা!কিছুক্ষন পরে ঠিকই কল দিবে!

আমি জানি ও আমার উপর বেশিক্ষণ রাগ করে থাকতে থাকতে পারবেনা )~~কথাটা মনে মনে বলতে বলতে হৃদয় বাড়ি চলে এলো।
কিন্তু সমস্যা টা তখনি শুরু হয়..যখন মেয়েটার ফোন বারবার সুইচড অফ দেখায়।

ব্যাপার টা সিরিয়াস হয়ে গেছে বুঝতে পেরে এক মুহূর্ত দেরি না করে ওই অবস্থায় বের হয়ে যায়।
.
.
বাইকটা এক পার্শ্বে সাইড করে ঠিক এই মুহূর্তে মেয়েটার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে হৃদয়।দূর থেকে দেখা যাচ্ছে, ‘মেয়েটা দিব্যি ছোটদের সাথে খেলছে’..!
হৃদয় কোনো কথা না বলে সেখানে গিয়ে নীলার গালে সজোরে একটা চড় বসিয়ে দিলো…! তা দেখে আশেপাশের ছোটরা ভয় পেয়ে দৌড়ে চলে গেলো।
–মারলে কেন?
–তোমার নিজ গুনে…ছাড়ো! তোমার ফোন বন্ধ কেন? তুমি জানো আমি কতোটা ভয় পেয়ে গেছিলাম? কোনো আন্দাজা আছে তোমার?
–না আমি আন্দাজ করার কে?
–অফফো নীলা, তুমি বুঝোনা কেন? সকালে যেটা বলেছি মজা করে, তুমি জানোনা আমি তোমাকে ………
–আমাকে কি?(গালে হাত দিয়ে)
–ভালোবাসি
–সত্যি তো.?
–৩সত্যি..! আমি যেগুলো বলেছি সেগুলো ফান করে বলেছি, এবং তার জন্যে আমি তোমাকে সরিও বলছি।

আর যে ছবিটা তুমি দেখেছো সেটা ঠিকই দেখেছো কিন্তু ইনফরমেশন ভুল বুঝেছো।
–হুম,জানি সেটা।
–জানো মানে..?
–আমাকে ছবিটার দ্বারা ভুল বোঝানো হয়েছে সেটা জানি।
–কিভাবে জানলে..?
–আসার সময় আড়ালে শুনতে পাই আমাকে ছবি দেওয়া ছেলেটা বলছিলো তোমার আমার সম্পর্ক খারাপ করার জন্যেই নাকি ও এমনটা করেছে।
–দেখেছো আমি মিথ্যে বলিনি…সব সত্যি বলছি!
–হুম, সরি তোমাকে ভুল বোঝার জন্যে।
–আমিও সরি!! তোমাকে আমার এভাবে মারা উচিত হয়নি..নিশ্চয় অনেক লেগেছে (নীলার গালে হাত বুলাচ্ছে)
–তোমার হাতের ছোয়া পেলে সব ব্যাথা দূর হয়ে যায়
.
আবারো সব কিছু মিটমাট হয়ে গেলো ঠিক আগের মতো।
……………..কেটে গেলো কিছুদিন……………
একরাতে নীলার ম্যাসেজ এলো, ‘পাঞ্জাবি -পায়জামা ‘পড়ে সোজা ১:৩০টায় আমার বাড়ির সামনে আসবে…! দেরি করবেনা একদম।
দেখার সাথে সাথেই হৃদয় মেসেজ দিলো, ‘কিন্তু কেন..?
একটুপর আরেকটা মেসেজ এলো ‘এতোকিছু বুঝিনা যা বলছি সেটা করবা’
কি আর করার..?বাধ্য ছেলের মতো রেডি হয়ে নীলার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে হৃদয়!

দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘড়িতে সময় দেখছে আর একটু পর পর এদিক ওদিক তাকাচ্ছে।
.
.কাধে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে পিছনে ফিরে তাকালো হৃদয়।নীলা দাঁড়িয়ে আছে.. ব্লু কালারের একটা শাড়ী পড়ে।

হৃদয় পা থেকে মাথা পর্যন্ত একবার ওকে হা করে চেয়ে দেখলো।
এটা দেখে নীলা হেসে কি সূচক একটা ইঙ্গিত করলো।হৃদয় চোখের ইশারায় ”কিছুনা”বলল।
–তা এতো রাতে এসবের মানে কি?তুমি শাড়িতে আমি পাঞ্জাবি তে…!(হৃদয়)
–এসবের মানে অনেক কিছু (নীলা)
–বুঝতে পারলাম না, ভালো করে বলো
–তোমার বুঝতে হবেনা, আমি এখন যা যা বলবো সেগুলো বুঝলেই হবে।
–হুম, বলো
–আমরা আজকে কিছু একটা করতে যাচ্ছি
–কি করতে যাচ্ছি..?
–বিয়ে…..(উছ্বাসিত হয়ে)
–কি বলছো বিয়ে..? আর ইউ সিরিয়াস? না মানে এতো রাতে এভাবে আমরা বিয়ে করতে যাচ্ছি..?
–হুম, কেন তুমি আমাকে বিয়ে করবেনা..? এই তোমার ভালোবাসা?
–করবো তো..
–হুম, চলো
–নীলা, ইয়ে মানে, আমরা আরেকটা বার ভাবি….এভাবে কেউ বিয়ে করে নাকি…?

তাছাড়া লজিকে আসো এতোরাতে কি কোনো কাজী অফিস খোলা থাকবে??আর আমার কাছে তো তেমন টাকাও নেই..
–এসব নিয়ে তোমার ভাবতে হবেনা, টাকা আমি নিয়েই এসেছি বুদ্ধু।তুমি তো জানোই আমার ইচ্ছে ছিলো

পালিয়ে বিয়ে করার।আর আজকেই সেই দিন।আর যতদূর কাজী অফিস.? আমরা কাল বিয়ে করবো আজকে সারা রাত ঘুরবো বুঝলে??
–এই মেয়েকে নিয়ে আর পারিনা..!না জানি বিয়ের পর কি হবে…আমার
–ঢং ছাড়ো তো হৃদয়,এখন চলো।
অত:পর দুজনে হাতে হাত রেখে পাশাপাশি চলছে।
শীতের রাত,চারদিকে শান্ত পরিবেশ তার মাঝে হেটে চলেছে দুটো প্রান।

কোনো এক অচেনা রাস্তায় কোনো এক অজানা ঠিকানায় ‘….ভালোবাসা নামক শব্দটির অস্তিত্ব খুজতে….’

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত