উমমমমাহ ????… কিরে কোলবালিস এত গরম গরম লাগে কেনো? সন্দেহ দূর করতে কাথা টা উঠায়া দেখি আমার কোলবালিস মেয়ে মানুষ হয়ে গেছে! নাহ এ কি করে সম্ভব চিমটি কেটে দেখি তো, আউউউচচ! না স্বপ্ন না সত্যি..
মা মা আমার কোলবালিস মেয়ে হয়ে গেছে, আমার কোল বালিস মেয়ে হয়ে গেছে,…..
-ওই থাম থাম। (মেয়টি ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠে আমার মুখ চেপে ধরলো)
-আরে আপনি ভুত নাকি ওমা ওমা!
-ওই বোকা মা মা করিস কেনো তুই কি ছোটো আছিস নাকি??
-এই আপনি কে?? আর আমার ঘরে আসলেন কখন?? আবার আমার পাশে ঘুমালেন কখন?? রাতে তো আমি একাই শুইছিলাম!
-এ ঘ্যানোর ঘ্যানোর করিস না তো…যা এখন ঘুমাতে দে।
যখনি উঠতে যাবো তখনি দেখি আমার লুঙ্গি নাই….হায় আল্লাহ এখান থেকে মান ইজ্জ্বত নিয়ে বের হতে পারলে হয়….কই বাবাজি লুঙ্গি, নাহ খুঁজে পাচ্ছি না….. গেলো কই??
-ওই দেখ খাটের ওই কোনায় আছে।(ঘুম ঘুম অবস্থায় বলল মেয়েটি)
-শেষ শেষ সব শেষ আমার।
তাড়াতাড়ি রুম থেকে বের হয়ে মার কাছে গিয়ে বললাম আমার ঘরে ও কে??
-তোর ঘরের মেয়েটা আমার হবু বউমা তোর ছোট খালার মেয়ে রিমি।
-বউ মানে! বাড়িতে কি একটাই রুম যে ওকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিতে হবে?
-হ্যা বউ তোর বউ, কেনো ছোট বেলায় তো দুজনের গলায় গলায় ভাব ছিল একজন আর একজন কে ছাড়া বুঝতি না, এখন এমন কেনো??
-ছোট ছিলাম তাই বুঝি নাই(এই বলে ফ্রেস হওয়ার জন্য ওখান থেকে চলে গেলাম….
এখন আপনাদের সব বুঝিয়ে বলছি আমি শুভ ব্যাংকে চাকরি করি আমার বাবাও ব্যাংকে চাকরি করে। আর ওই যে আমার ঘরে যিনি ঘুমাচ্ছেন উনি হচ্ছেন রিমি আমার ছোট খালার মেয়ে। ছোট বেলায় আমার মা আর ছোট খালা একসাথে ঢাকায় থাকত,তখন আমার আর রিমির অনেক ভাব ছিল সবাই বলতো বড় হলে তোদের বিয়ে দিবো…কিছুদিন পর বাবার রিটার্ন হয় আমরা ঢাকা থেকে সিলেট চলে আসি। আমার মনে আছে ও আমায় বলেছিল “আমাল সাথে আল খেলবে না তুমি??
আমি কিছু না বলেই চলে আসছি..
আর আজ তো ওকে চিন্তেই পারি নাই। আর অবাক বিষয় হচ্ছে ও অনেক সুন্দর হইছে…..
খাওয়ার টেবিলে বসে আছি…
-কিরে রিমি ঘুম থেকে ওঠে নাই বুঝি? (মা)
-আমি কিভাবে বলব? (আমি)
-যা ডেকে নিয়ে আয়। (কি আর করা কথা না শুনলে সকালের নাস্তা পেটে জুটবে না)
-হ্যা যা ডেকে নিয়ে আয় (বাবা চেয়ারে বসতে বসতে বলল)
রুমে গিয়ে দেখি কাথা মুরি দিয়ে নবাবজাদি ঘুমাচ্ছে…
-এই যে শুনছেন, ওই ওই
-ধুরর! এভাবে কেউ ডাকে?? ডাকাও শিখিস নাই??
-মা ডাকছে খেতে বলল।
-হুহ চল,
তারপর টেবিলে গিয়ে খেলাম, খাওয়া শেষ তখন বাবা বলল একটু বস।
-হ্যা বলো
-তোর আর রিমির বিয়ে ৪ দিন পর
-কি? না এই হতে পারেনা,
-কি না? কেনো হতে পারেনা?
-না মানে এখন বিয়ে করতে পারবো না।
-অত কথা আমি শুনতে চাই না আমি যা বলছি তাই হবে (এই বলে বাবা চলে গেলো)
এদিকে রিমি মিটিমিটি হাসছে
মাকে বললাম আমি রিমি কে বিয়ে করতে পারবো না,
-কেনো কি সমস্যা? (মা)
-এমনি সমস্যা আছে। (এই বলে আমি আমার রুমে চলে গেলাম) একবার রিমির দিকে তাকিয়েছিলাম দেখলাম স্বাভাবিক কোনো চিন্তা ভাবনা তার মধ্যে নেই, মনে হচ্ছে সব অস্বাভাবিক)
আমি রুমে বসে আছি। হঠাৎ দেখি রিমি মোটা একটা লাঠি নিয়ে আমার সামনে দাড়িয়ে আছে
(দেখতে এত সুন্দর লাগছে কি বলব)
-কিরে তুই বলে আমাকে বিয়ে করবি না??
-না করবোনা,
-কেনো করবিনা?
-আমার পছন্দ না তাই
-ছোট বেলায় তো আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝতি না এখন কি হইছে?? আমি কোনো বাহানা শুনতে চাইনা তুই বিয়ে করবি কি না বল?? (রিমি)
-যদি না করি (আমি)
-যদি না করিস তাহলে লাঠি দিয়ে মাথা ফাটাবো। আর আমি যা বলি তাই করি…
-না না আমি বিয়ে করবো ১০০ বার করবো
-১০০ বার না ১ বার করলেই হবে, আর শোন তোর জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।
-কি সারপ্রাইজ??
-দাড়া (এই বলে সে দরজা লাগিয়ে দিলো এ মেয়ে কখন যে কি করে আল্লাই যানে)
-এই যে দাড়া
-হুমমম এবার
-উমমমমমাহ! ???? (গালে একটা চুমু দিয়ে আমাকে জরিয়ে ধরে তার অভিমানি যত কথা আছে বলতে লাগল। আর এমন তো করবেই একবারও খোজ নেয়নি তার, আমিও জড়িয়ে ধরে আছি তার অভিমানি কথা গুলো শুনছি, না জানি কখন শেষ হবে ও বলছে বলতে থাকুক।