নিধী, আজ অনেকদিন বাদে তোমায় নিয়ে লিখছি।মনে এক হ্রাস বিষন্নতা।পারবো তো সেই আগের মতন ফুটিয়ে তুলতে!লেখার মাঝে খুজে পাওয়া যাবে কি আগের তুমিকে?
আকাশ বড্ড মেঘলা।চারিপাশ হিমবাহের প্রতিরূপ।ঝিরঝির বাতাস বইছে।গাছের আড়ালে বসে ডাকছে পাখি।সাথে ভেসে আসছে ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণ।সবকিছু মনমুগ্ধকর।যেমনটা পছন্দ আমার। কিন্তু হৃদয় তবুও উদাস।নীল বেদনা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে আমাকে।ছোট্ট একটা ভুলের হয়তো এটাই উচিৎ শিক্ষা। জানো নিধী,কষ্টের মাঝেও এই ভেবে ভালোলাগছে আমায় শাস্তি দিয়ে তুমি সুখি আছো।কিভাবে বোঝাবো তোমায়!তোমার সুখের মাঝে যে আমার ভালো থাকা। যাইহোক!বড্ড বেদনা সিক্ত বাক্য লিখে ফেললাম তাইনা?চলো এবার কিছু মজার কথা লেখা যাক।
পৌষ মাসের এইতো প্রায় শুরু।সাথে শীতের হালকা আবরণ।সূর্য মামা এই ঋতুতে মেঘের আড়ালে থাকতে বেশি পছন্দ করে।চাঁদ মামা কিন্তু এক নয়।ভিন্নতা প্রকাশ ঘটিয়ে রাতে ঠিক ছড়িয়ে দেয় উজ্জ্বল জোসনা।প্রকৃতির এটা এমন এক নিয়ম,যেখানে পরিবেশ সবচেয়ে নীরব শান্তশিষ্ট থাকে। কত না মায়াবী?
এ মায়াবী মুহূর্তে তোমায় কাছে পেলে খুব যতনে আদরে মেতে উঠতাম।মধুময় কর তুলতাম তোমার দেহে প্রতিটা অংশ।দীর্ঘ চুম্বনে কেঁপে উঠলে জড়িয়ে ধরে তলাতাম অতল সাগরে।বাসতাম তুলনাহীন ভালো।ফেলতাম দীর্ঘশ্বাস।যেখানে নিশ্বাসের প্রতিটা শব্দ বলতো,ভালবাসি..ভালবাসি..ভালবাসি। ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে রফি চোখ বুজে শুয়ে রইলো।এবার মন কিছুটা হালকা লাগছে।কেটে গেছে ভারী চাপ। ঠিক তার পাঁচ মিনিট বাদে নিধী হাজির।চোখে রাগ এবং ভালবাসা।ঠোটে অদ্ভুত হাসি।
– মানে কি?
– কিসের মানে কি?
– ফেসবুকে কীসব যা তা লিখছো?
– ভুল লিখলাম কোথায়?
– আমি তোমায় শাস্তি দিছি?
– রাতে আমার সাথে ঘুমাবা না।দিনে কথা বলবা না।একসাথে বসে খাবা না।এগুলো কি?শাস্তি না!
– জ্বি নাহ্!এগুলা তোমার পাপের ফল।
তুমি আমার বোনরে কি লেখছো?এই শীতে ওরে কাছে পেলে আমায় বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিতা।শীত ফুরিয়ে গেলে আবার নিয়ে আসতা।আমি ঠাণ্ডা শীতল হিমালয়।আমার বোন মরুভূমি উষ্ণতার আবেশ।ওর স্পর্শে তুমি ভেতর বাহির জুড়ে গহীন সাগরে তলিয়ে যাও।আরো কি কি যে লিখছো,ছিঃ ছিঃ।ভাবতেই কেমন লাগছে।
– এই ব্যাপার নিয়ে সাতদিন ধরে সরি বলতেছি তো।প্লিজ মাফ করে দাও।কে জানতো তুমি দ্বিপার ফোন চেক করবা।
– হুহ্।
– প্লিজ সোনা।এবারের মতন সরি।
– হুম।
– মাফ করে দিছো?
– না।
– কি করলে মাফ করবা?
– দশবার কান ধরে উঠ বস করবা।তারপর ফেসবুকে লেখা শেষ লাইন গুলার মতন আদর করে দিবা।
– আগে আদর করে পরে উঠ বস করি?
– উমমম,ওকে।
অতঃপর দুজন প্রবেশ করলো রঙিন দুনিয়ায়।উভয়ের মনে উৎফুল্লতা। দূর গাছে ঘুঘু ডাকছে।কখনো ভেসে আসছে শালিকের ডাক।অতিথি পাখি গুলাও তাল মেলাতে ব্যস্ত। প্রাণ গুলো যেনো ফিরে পেয়েছে রঙের ছোঁয়া। হয়তো এটাই শীতের মূল মায়া।