ফাজিল মাইয়া

ফাজিল মাইয়া

বিকাল বেলা রাস্তাদিয়ে হাটতেছি আর facebook এ নতুন কি post দিবো সেটা নিয়ে ভাবতেছি। হঠাৎ কে যেনো ডাক দিলো….!
— এই বান্দর দাঁড়াও
— না শুনার ভানকরে হাটতে থাকলাম
— এইযে দাড়ান
— চারপাশে ভালো করে তাকালাম আশেপাশে আর কেউ নেই। আমাকে ডাকছেন…!
— জি আপনাকে…
— কিন্তু আমিতো বান্দার না।
–জানি কিন্তু আমি বান্দর বলেই ডাকবো..!
— এই এই আপনি কে আর কেনো আমাকে বান্দর বলে ডাকবেন।
— আমি শ্রাবন্তী। facebook এ আপনার অনেক বড় fun আপনার সব post গুলো আমি পড়ি। বুজলে মি.বান্দর
— আপনার সমস্যা কি আমাকে আবার বান্দর বলে ডাকলেন।
— fb এতো ভালোই ফট ফট করতে পারো মেয়েদের সামনে আসলে এমন করো কেনো।

— আপনি আমার ক্যারেক্টার নিয়ে কথা কলেন কেনো। যত্যো সব এই বলে হাটা ধরলামপেছন থেকে ডাকদেয় এই বান্দার ভয় পাইছো আরে আমি বাঘ না ভাল্লুক। দুর কেমন লাগে বিকাল বেলাটাই মাটি করে দিলো। পরিচয়টাদি আমি তানভীর বাবা মায়ের আদরের বান্দর মার্কা সন্তান আর এতোক্ষ যার সাথে কথা বলছিলাম তাকে আমি চিনি না হয়তো কোনো পাগল হবে। রাত্রিবেলা ছাদের উপর দাঁড়িয়ে সিগারেট খাইতেছি আর সিগারেটের প্রশংসা করতেছি। আসলেই সিগারেট একটা জিনিস এর মাঝে একটা অন্যরকম ফিলিংস আছে। হঠাৎ করে ফ্ল্যাশ লাইটের আলো জলে উঠলো।

— এই আপনি সিগারেট খান..?
— হ্যা আপনার কোন problem..!
— আর একদম খাবেন না.
–আমি খাই অথবা নাখাই এটা আমার ব্যাপার আর আপনি আমার ছবি তুললেন কেনো??
— এ গুলো এখন আন্টি কে দেখাবো
— এই না না একদম এমন করবেন না।
— তাহলে বলেন আর খাবেন
— কই আমিতো সিগারেট খাই না(পেলে দিয়ে)
— এইতো good boy
— আচ্ছা আপনি এখানে কেনো
— আমি আপনাদের পাশের ফ্লাটটা ভাড়া নিয়েছি আর আপনার কলেজেও ভর্তি হয়েছি।
— খাইছেরে আপনি এই ফ্লাটটা নিলেন কেনো এই শহরে কি আর বাসা নাই।
— আসে কিন্তু সেখানে আপনি নাই…! দূর যত্তসব আজাইরা একথা বলে চলে আসলাম। পরের দিন কলেজে যাইয়া আমার মেয়ে বান্ধবী দের সাথে আড্ডা দিতে শুরু করলাম। না ঠিক আড্ডা না একটু…. টুট..টুট..টুট.. আরকি। এমন সময় হঠাৎ কে যেনো কলার ধরে টান দিলো। বাবারে মাইয়ার কি শক্তি।

— ওই আপনি ওদের সাথে এমন হেসে হেসে কথা বলেন কেনো।
–এটা আমার ইচ্ছা। আপনার কি
–না আর বলতে পারবেন না
— আমি বলবো
— একদম খুন করে ফেলবো।
— আপনি আমার কে হন যে খুন করে ফলবেন
— আমি আপনার বউ হবো (মাথা নিচু করে)!!
— আস্তাগফেরুল্লা নাইজুবিল্লা কি বলেন?
— ঠিকই বলছি আপনি দেইখা নিয়েন

যান আপনি পারলে দেখায়েন এ বলে চলে আসলাম। তারপর কলেজে আরো কতোক্ষন আড্ডা দিলাম। বিকাল বেলা বাসায় আইসা যা দেখলাম তা দেইখাতো আমি পুরাই শিহরিত। আমার বাসায় কুটি কুটি মানুষ সবাই আমার দিকে হা কইরা তাকিয়ে আছে। নিজেকে পুরো হিরো হিরো লাগতেছে।

— আম্মু আমি কি এ্যালিয়ান??
— ঠাসসসসসসস…(মা)
— ঠাসসসসসসসসসস…(বাবা)
— তুই অবশেষে একটা মেয়ের জীবন নষ্ট করলি..!
— কি বলো আম্মু বাচ্চা পোলা কি ভাবে জীবন নষ্ট করে।
— আন্টি এখন আমার কি হবে (শ্রাবন্তী)
— তুমি চিন্তা করোনা মা আমি দেখতেছি!!
— এই আম্মু তুমি এই ডাইনীর কথা একদম শুনবে না। ও পুরা হারামজাদী……!
— আন্টি..ই…..দেখেন ও এখন আমাকে চিনতে পারছে না।
— — তুমি চিন্তা করোনা মা আমি ওর সাথেই এখন তোমার বিয়ে দেব (বাবা)
— বাবা তুমি আমার জীবনের লাইফ টা নষ্ট করে দিবে।
— চুপ কর হারামজাদা…!
— ওও আব্বা গোওও আমি এ মাইয়া রে বিয়ে করতাম না..! কে শুনে কার কথা অবশেষে বিয়ে হয়েই গেলো। বাসর ঘরে দুজন দু’দিকে ফিরে বসে আছি। বুজলাম না আমি বিয়ে করছি না আমাকে বিয়ে করছে। হঠাৎ শ্রাবন্তী বলে উঠলো…

— বান্দর বাবু রাগ কমছে…
— এই আপনি আমার সাথে কথাই বলবেন না
— আহারে আমার বাবু টা রাগ করছে আচ্ছা বাবু আমি একটা গান গাই “বান্দর রে তুই এবার খাইছস ধরা তোর গলায় পরিয়ে দিলাম বিয়ের মালা বান্দর রে……..”

— এই থামেন থামেন এটা গান না ট্রাফিক জ্যাম
— তা হলে জড়িয়ে ধরো
— লজ্জা লাগে
— আবার গাইলাম কিন্তু
— আরে এইতো ধরছি
— ভালোবাসি (শ্রাবন্তী)
— আগে বাসতাম না এখন বাসি

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত