ত্রিং..ত্রিং…ত্রিং..ত্রিং…ত্রিং (এইবার দিয়ে ২০বার ফোন দিলো। কে ফোন দিচ্ছে আসা করি বুঝতে পেরেছেন। আরে ভাই,,,আমার গার্লফ্রেন্ড ফোন দিচ্ছে। তবে আমি কেন ফোন ধরছি না এতাই জানতে চাচ্ছেন তো? নিচে পড়ৃন বুঝতে পারবেন) ত্রিং.ত্রিং.ত্রিং..(এইবার ফোন দিতেইধরলাম)
:-হ্যালো..তুমি ঠিক আছো তো? (তরিহরি করে বললো আমার পাগলি মিদুলা)
:-হ্যা,,আমি ঠিক আছি! (কিছুটা বিরক্ত সুরে বললাম)
:-তাহলে ফোন রিসিভ করলে না কেন?
:-বিজি ছিলাম তাই (আসলে কিন্তু বিজি ছিলাম না)
:-ওহো,,,, (অভিমান করছে)
:- ফোন দিছো কেন?
:- কেন..? দিতে পারি না!
:- নাহ,,পারো না।
:-কেন?
:-কারণ,,,আমি এখন একটি মেয়ের সাথে ফেবুতে কথা বলতে ছিলাম (ডাহা মিথ্যাবললাম)
:- মজা করছো কেন?
:-ঔই আমি মজা করছি না। তোমাকে আমার আর ভালো লাগে না। তাই অন্য মেয়ের সাথে লাইন মারছি।
:-দেখো মিথ্যা বলবা না। আমি জানি তুমি এমনটা কখনো করবে না
:-কে বললো করবো না!!!
:-আমি বলছি! আর আমি জানি তুমি আমাকেখুব ভালোবাসো।
:-ভুল জানো!! তোমার মতো পেত্নিকে আমি ভালোবাসবো তুমি ভাবলে কি করে!! আমি শুধু তোমার সাথে টাইম পাস করছি (আসলে কিন্তু ও দেখতে মোটেও পেত্নি না। পরীর মতো সুন্দর আমার পাগলিটা)
:-বিশ্বাস করি নাহ!! কারণ এটি তোমার মনের কথা না।
:-ঔই তোমার সমস্যা কি হ্যা!! আমাকে এতো বিশ্বাস করো কেন,,, হুম?
:-কারণ তোমাকে খুব ভালোবাসি!!! হিহিহিহিহিহিহিহিহিহ
:-কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবাসি না!!!
:-শোন…!! বিথা চেষ্টা করে লাভ নেই।।
:-মানে!! কিসের চেষ্টা??
:-এই যে,,আমাকে রাগনোর চেষ্টা করছো।
:-কে বললো? আমি তোমাকে রাগনোর জন্য এসব বলছি??
(আসলে মিদুলা ঠিকই বলেছে,,,,। আমি ওকে রাগনোর চেষ্টা করছিলাম।। এটি শুধু এখনকার চেষ্টা না। আমাদের দুই বছর রিলেশনে আমি সব সময় ওকে রাগনোর চেষ্টা করি কিন্তু পারি না। কারণ ওও আমাকে খুব বিশ্বাস করে এবং ভালোবাসে।
আমিও খুব ভালোবাসি পাগলিটাকে। কিন্তু আমি চাই,,,ও আমাকে শাসন করুন। আমার ভুল হতেই পারে।। তাই বলে ও আমার ভুলকে প্রাধন্য দিবে,,আমাকে কিছুই বলবে না। এটি আমি মেনে নিতে পারছি না। আমি ওকে সব সমময় বলি,,,এ রকম হয় না। আমি ভুল করলে তুমি কিছু বলো না কেন? ও কি বলে জানেন? মিদুলা বলে,”কাওকে মন থেকে ভালোবাসলে এরকম ভুলগুলোকে চোখে পড়ে না””। তাই মিদুলাকে আমি সব সময় রাগানোর চেষ্টা করি। আরে ভাই,,আমি আপনাদের আর কি বলবো। এই দুই বছরের রিলেশনে একবারও আমি ওর রাগি চেহার দেখি নি। তাই খুব মিস করি ওর রাগীমাখা মুখটাকে,,,।। সব গল্পের মধ্যে দেখি বলা হয় গার্লফ্রেন্ড রাগলে দারুণ লাগে দেখতে। আমিও চাই আমি সোনা পাখি রাগলে দেখতে কেমন লাগে? কিন্তু দেখতে পারি না। সব আমার পুড়া কপাল। তবে হ্যা,,,মিদুলা মতো ভালো কেও আমাকে বাসতে পারবে না। আমাকে খুব বিশ্বাস করে,,,আর একটুও সন্দেহ করে না আমাকে। । চলেন দেখি চেষ্টা করে রাগাতে পারি নাকি)
:-তুমি আমার সাথে এমন করো কেন? আমি তো তোমাকে খুব ভালোবাসি (মিদুলা)
:-আচ্ছা পাগলি সরি।। আর করবো না (আমি)
:-এইবার নিয়ে কতবার বললে এই কথাটি,,আর কতবার বলবে??
:-যতদিন না তোমাকে রাগাতে পারবো!!
:-সেটি কখনো হবে না। কারণ আমার রাজকুমার এমন কোন কাজ কখনো করবে না।
:-হুমমম।।
:-কি হুমমম??
:-কিছু না!! ভাবছি এই পরীটা কেন? আমাকে এতো ভালোবাসে।
:-ভাবেত হবে না। খাবার খাইছো?
:-না,,,খায় নি। তুমি?
:-তুমি না খায়লে খাইছি কখনো!! ( অভিমান করে)
:-ওহো,,তাই তো!! আচ্ছা পাগলি আমি খাবার খেয়ে তোমাকে বলতেছি!!
:-হুম,,, bye..
:-হুম
এই হলো আমার মিদুলা পাগলি। দেখতে পরীর মতো সুন্দর। আমি খুব গর্ববোধ করি মিদুলার মতো গার্লফ্রেন্ড পেয়ে। আরে যা,,,,,,,,,,,,,,এখনো তো পরিচয় দেওয়া হলো না। নাহ,,,পরিচয় দিমু না। তবে মিদুলার সম্পর্কে কিছু বলি। নাহ,,ওর সম্পর্কেও বলবো না।)) খাবার খেয়ে মিদুলাকে ফোন দিলাম,,
:-হ্যালো.. (আমি)
:-হুমম,,,বলো..খাবার খাইছো? (মিদুলা)
:-আমি খাবার খায়ছি..তুমি এখন খাবার খেয়ে নেও?
:-আচ্ছা,,,খাচ্ছি!!
:-হুম,,কাল কলেজে দেখা হবে… বাই
:-হুমম!! বাই
কালকে কলজে একবার আসো সোনার চাঁদ। তোমাকে বুঝবো মোজা। আসলে অনেক দিন মিদুলার সাথে ভালো ভাবে কথা বলি,,একটু আদরও করি না। তাই ভাবলাম কালকে সোনা পাখিকে একটু আদর করবো। তাই ওকে sms করে কালকে একটু আগেই,,কলেজে আসতে বলছি। মিদুলাকে sms করে দিলাম একটি ঘুম) সকালে অনেক আগেই কলেজে গিয়ে ক্লাসে বসে থাকলাম। তারপর মিদুলাকে ফোন দিলাম,,,,
:-ঔই কৈই তুমি? (আমি)
:-এই তো বাসা থেকে বের হচ্ছি!!! (মিদুলা)
:-কিহ্,,তুমি কেবল বাসা থেকে বের হচ্ছো!! এই তোমাকে না বললাম তারাতারি আসতে।
:-কি ব্যাপার বলো তো,,,আজ এতো তারাতারি আসতে বলতেছো কেন? কোন বাজে চিন্তা মাথায় আসছে নাকি
:-আরে,,,,,না।। তোমাকে খুব মিস করতেছি তো তাই। (এখনি ধরা খেয়ে যাচ্ছিলাম)
:-৩মাস ৯দিন পর আমাকে মিস করতেছো,,আর এতো ভালো ভাবে কথা বলতেছো,,কিছু একটা কারণ তো আছেই!!!
:-আরে না কিছুই নেই। তুমি আসো?
:-নাহ,,,,আমি আসবো না,,তোমার হাবভাব ভালো লাগছে না।
:-হো,,এখন তো ভালো লাগবে না,,ভালো করে কথা বললেও দোষ না বললেও দোষ।আচ্ছা তোমাকে আসতে হবে না.. by (রাগিস্বরে বলে ফোন কেটে দিলাম। নাহলে ধরা খেয়ে যেতাম। এখন আসবে নে। রাগ করছি যে) একটুপর দেখি পাগলি আসতেছে। জানতাম আসবে তাই আমও আমার পজিশন নিলাম। মিদুলা ক্লাসে ধুকতেই,,,ক্লাসের দরজা বন্ধ করে দিলাম।
:-এই কে? (ভয় পেয়ে মিদুলা পিছনে তাকালো)
:-ওহো,,তুমি (মিদুলা)
:-হুমম,,,আমি ছাড়া কে থাকবে (আমি)
:-এই তুমি দরজা বন্ধ করছো কেন? (কিছুটা আতংকে)
:-মিষ্টি খাওয়ার জন্য,,,অনেক দিন তোমার দোকানের মিষ্টি টেস্ট করা হয় নি। তাই দরজা বন্ধ করলাম
:-এই দেখো একদম কাছে আসবে না। কাছে আসলে আমি কিন্তু চিল্লাবো বলে দিলাম
:-যত পারো চিল্লাও,,আজ তোমাকে ছাঁড়ছি না। হোহোহোহোহোহোহো (ভয়ংকর হাসি দিয়ে বললাম)
:-দেখো plz কাছে আসবে না,, সত্যি কিন্তুু আমি…..(ওকে বলতে না দিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলাম) (ওর মুখের কাছে আমার মুখটা নিয়ে,, আমার আঙুল দিয়ে ওর গোলাপের মতো কমল নরম দুটি ঠোঁট আটকিয়ে,,,বললাম,,,)
:-ওয়াও,,,কি অপুরূপ তোমার সুন্দর্য। মনে হয় সারা জীবন তোমার সুন্দর্যের দিকে তাকিয় থাকি। তোমার মায়া ভরা মুখটা দেখে আমি সারা জীবন কাটাতে পারবো,,,তোমার কোমল ঠোঁটকে খুব আদর করবো।
:-এই দেখো plz ছেড়ে দেও!! কেও চলে আসবে! (খুব জোর খাটাচ্ছে ছাঁড়া পাওয়ার জন্য)
:-তোমার দুটো পাপড়িকে আদর না করলে সে খুব রাগ করবে সোনা
:-না সোনা!! এমন করো না। কেও চলে আসবে তো!! (আমি ওর এতোটাই কাছে যে ওর নিশ্বাস আমার মুখে এসে লাগছে)
:-তাই,,,কিন্তু আমি তো না নিয়ে ছাড়ছি না
:-না এমনননননন,,,,(আর বলতে দিলাম না)
উম্মম্মম্মম্ম উম্মম্মম্ম উম্মম্ম (মিদুলা ওর হাত দিয়ে আমার পিঠে থাপ্পড় মারছে। তাই আরো জোরে চেপে ধরলাম,,) উম্মম্মম্মম্মম্ম উম্মম্মম্মম্ম,,,,,,,(কিছুক্ষণ পড় ছেড়ে দিললাম,,নাহলে কেও চলে আসবে,,ছাঁড়ার পর দেখি মিদুলা খুব হাপাচ্ছে,,,আর বলতেছে)
:-কুত্তা,,বিলাই,,হনুমান,,গন্ডার,,লুচ্চা,,, (এগুলো বলতেছে আর আমাকে কিল,ঘুসি পাররতেছে)
:- আরেরের,,,মারছো কেন? ব্যথা পাচ্ছি তো
:-এরকম কেও করে!! কুত্তা..বিলাই
:-কেন গো!! মিষ্টি হয়নি,,, নাকি তেঁতো
:-কুত্তা,,,,,তোমাকে আজ খুন করবো
:-তাহলে তো,,, তুমি বিয়ের আগেই বিধবাহ হয়ে যাবে
:-তোমাকে আমি বিয়ে করবো না,,এতো জোরে কেও করে
:-তাই,,আচ্ছা এখন খুব সুন্দরে করে করবো,,কাছে আসো
:-সুন্দর না!! দাঁড়াও তুমি
:-এই রে,,এখন আবার ঝড়ের কবলে পড়ার আগে,,
আল্লাউদ্দিন তুই দে দোঁড় (এক দৌড়ে কলেজে পিছনে পুকুরের পাশে এসে বসলাম। আসার সময় মিদুলা পিছন থেকে বলতেছে,,,ঔই কুত্তা কৈই যাস,,দাঁড়া বলছি। কিন্তু আমি তো এক দোড়ে পগার-পার) (নাহহ,,একটু জোরেই করে ফেলছি,,,,তাই ভালো মতো করার জন্য পুকুরের আশেপাশে দেখলাম,,নাহ কেও নেই। আর হ্যা এখন আমি না,,ঔই করবে,,দেখতে থাকুন) ঔই তো আসতেছে,, কাছে এসেই মার শুরু,,কিন্তু আমি কিছু বলছি না। ওকে বুঝানো চেষ্টা করছি আমি রেগে আছি)
:-কি ব্যাপার,,তুমি কিছু করছো না কেন? (মিদুলা)
:-কি করবো,,তুমি মারতে থাকো,,আমি তো কুত্তা। ভুল করছি তাই মারতেছো। মারো যত খুশি মারো (অভিমান করে বললাম)
:-না,,সোনা আর মারবো না।
:-কেন? মারবে না,, মারো,,আমার তো আর শরীর না এটা,,যে ব্যথা লাগবে।
:-তাই,,আমার সোনা কি ব্যথা পাইছে,,দেখি কোথায় ব্যথা লাগছে (এই বলে,,আমাকে মিদুলার ঘুড়ালো ওর মুখের সামনে।)
:-একটু আদর করছি বলে কত পঁচা কথা বলছো
:-আচ্ছা সোনা,,sorry..আর বলবো না (আমার মাথার চুল এলোমেলো করে দিল)
:-তুমি এখন আমাকে একটু্ও ভালোবাসো না,,আদার করো না (টোপ দিলাম)
:-কে বললো!! তোমাকে ভালবাসবো না তো কাকে বাসবো!! (টোপ গিলেছে)
:-ভালবাসলে ঠিকই আগের মতো আদর করতে!!! (মুখটা অন্য দিকে ঘুরিয়ে বললাম)
:-তাই,,,দেখি আমার পাগল অভিমান করলে কেমন লাগে (আমাকে ওর দিকে ঘুরিয়ে) তোমাকে আদর করবো নাতো কাকে করবো বলো??
:-হুমমম (মন খারাপ করে)
:-মন খারাপ করো না plzz.. তুমি মন খারাপ করলে আমার একটুও ভালো লাগে না।
:-কেও তো মনটা ভালো করার চেষ্টাও করে না
:-তাই তো কি করলে আমার পাগলের মন ভালো হবে (এখন কাজ হবে)
:-কিছৃ করতে হবে না,,, (মুখটা অন্য দিকে ঘুরিয়ে বললাম)
:-দেখি আমার পাগল এদিকে তাঁকাও
:-কিহহ…(আমাকে কিছু বলতে না দিয়ে।
ওর জুতা খুলে আমার পাঁয়ের ওপর দাঁড়িয়ে,, আস্তে আস্তে আমার দিকে এগিয়ে আসছে,,দেখলাম ওর গোলাপি ঠোট দুটি কাঁপতেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে আমি অনুভব করলাম পৃধিবীর মধ্যে সব থকে কমল জিনিস আমার দোকানে হামলা করেছে) উম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্ম উম্মম্ম্মম্ম,,,আমিও সাড়া দিলাম উম্মম্মম্ম !!!