সাদিয়া:আপনি আমার কাছে আসবেন না আর আমার কাছে স্ত্রীর সম্পর্ক চাইতে আসবেন না বলে দিলাম (কথা গুলা যে কোনো ছেলেই অবাগ হবে।আমিও হইছি।আম্মুর জন্য বিয়ে করছি আম্মুর দেখা শুনা করলেই হবে)
আমি:আচ্ছা কিছু চাইতে আসব না।কিন্তু আমার অনেক ঘুম পাইছে আমাকে শুতে দিবেন একটু প্লিজ
সাদিয়া:আপনি এখানে ঘুমাতে পারবেন না।এখানে আমি ঘুমাবো।
আমি:আচ্ছা ঘুমান আমি সোফাতে ঘুমাতে পারব
বিয়ের প্রথম রাত নিয়ে মনে মনে স্বপ্ন ছিলো।কিন্তু এমন হবে জানতাম না।কিছু করার নাই।কপালে ছিলো তাই হয়েছে।তারপর ঘুমিয়ে যাই।ঘুম থেকে উঠে ওর দিকে চোখ যায়। কি অসাধারন হতে পারে মানুষ।আর এতো সুন্দর করে পিচ্চিদের মত ঘুমিয়ে আছে।নিজেকে ভাগ্যববান মনে হতে লাগল।কিন্তু যখন রাতে কথা মনে পরল নিজেকে আবার ভাগ্যহীন মনে হচ্ছে।হটাৎ করে সে উঠে যায় আর আমি ভয় পেয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকি।
সাদিয়া:আমার দিকে এভাবে তাকাচ্ছিলেন কেন
আমি:ক ক ক কই না নাতো (এই ধরা পরে গেলাম)
সাদিয়া:এইযে আপনি আমার দিকে তাকিয়ে আছিলেন মিথ্যা কথা এক্কেবারে বলবেন না
আমি:নাস্তা খেতে চলেন(কথা ঘুরানোর জন্য)
সাদিয়া:আপনি কথা ঘুরাচ্ছেন কেন
তারপর রুম থেকে চলে আসলাম।নাইলে যেই মেয়েরে বাপ।আমারে কাচা খাইয়া লাইতো । আম্মুর রুমে এসে আম্মুর কোলে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে পরি।তারপর ঘুম ভাঙে সাদিয় ডাকে-
সাদিয়া:এইজে শুনছেন??
আমি:জ্বি আপনি আম্মু কই (লাফ দিয়ে ঘুম থেকে উঠে)
সাদিয়া:আম্মু নাস্তা রেডি করতেছে।আপনি তারাতারি আসেন নাস্তা করতে
আমি:আপনি জান আমি আসতেছি
পরিচয় টা দিয়ে দেই, আমি তাসিন।সাদিয়া কে গতকাল আম্মুর পত্র বধূ করে আনা।আমি আম্মু আর বউ কে নিয়ে আমার পরিবার।প্রাইভেট কম্পানিতে জব করি। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে আসলাম।গিয়ে দেখি সাদিয়া আম্মুরে নাস্তা বেরে দিচ্ছে।ভালো লাগল তা দেখে।কত তাড়াতাড়ি মেয়ে টা আমার পরিবারকে নিজের করে নিয়েছে।ভাবতেই ভালো লাগে।নাস্তা করে নিজের রুমে আসলাম।ভাবতে ছিলাম।মেয়েটা কেন আমাকে তার থেকে দূরে রাখছে।তাহলে কি ও কাওকে ভালোবাসে।না আমার জানা মতে তো না।আচ্ছা ওকে জিজ্ঞাস করলে কেমন হয়।তারপর ওকে ডাকলাম-
আমি:সাদিয়া..সাদিয়া??
সাদিয়া:জ্বি বলুন!!
আমি:আপনার সাথে কিছু কথা ছিলো??
সাদিয়া:বলেন??
আমি:আপনি কি কাওকে ভালোবাসেন??(একটু মন খারাপ করে জিজ্ঞাস করলাম )
সাদিয়া:না।আমি কাওকে ভালোবাসি না।
আমি:আচ্ছা আচ্ছা আপনি জান আম্মুকে হেল্প করেন।(কথাটা শুনে১০০গুন বেশি খুশি হইছি
সাদিয়া:আচ্ছা।
সাদিয়া চলে গেলো আম্মুর কাছে।আমি তার কথা ভাবতে ভাবতে আবার ঘুমাইয়া যাই।ঘুম প্রিয় মানুষ তো আমি তাই।তারপর আবার সাদিয়ার ডাকে ঘুম ভাঙে-
সাদিয়া:এই যে তাসিন উঠেন??
আমি:স্যরি।একা একা ভালো লাগছে না।তাই ঘুমিয়ে গেছিলাম
সাদিয়া:আপনার এতো ঘুম কেন??
আমি:জানি না।কিন্তু ছোট থেকে ঘুম ছাড়া কিছু ভালো লাগে না।
সাদিয়া:ও আচ্ছা আচ্ছা।
আমি:আম্মু কই?
সাদিয়া:আম্মুকে বিশ্রাম নিতে বলে আসেছি।আম্মু এখন ঘুমায়
আমি:আচ্ছা।আপানকে ধন্যবাদ
সাদিয়া:কেন?
আমি:আমার আম্মুর খেয়াল রাখার জন্য
সাদিয়া:আম্মুটা কি আপনার একার।আমার তো আম্মু।তো আমি খেয়াল রাখব না তো কে রাখবে। (সাদিয়ার কথা শুনে চোখে পানি জমতে থাকে)
আমি:আমার সাথে ছাদে যাবেন??
সাদিয়া:হুম চিলেন..!!
তারপর আমরা ছাদে গেলাম।গল্প করতে থাকলাম।অতীতে কে কেমন ছিলাম।কিভাবে স্কুল,কলেজ,ইউনি
ভারসিটি পার করেছি তা নিয়ে কথা বললাম।কিভাবে যে সময় গুলো চলে গেল কিছু বুজলাম না।তারপর বাসায় এসে পরলাম।সন্ধ্যার নাস্তা করলাম।ভালো লাগল।
আম্মু:নাস্তা বউমা করছে।
আমি:ও তাই।ভালো হয়েছে আম্মু।
আমার কথা শুনে হয়ত সাদিয়া খুশি হইছে।তার মুখের অবস্তা দেখে বুঝা যাচ্ছে।নাস্তা খেয়ে গিটারটা হাতে নিয়ে ছাদে চলে গেলাম।গান গাচ্ছি আর গিটারটা বাজাচ্ছি আর স্মোক করছি।পেছন থেকে কে জেনো আমার কাদ হাত রাখলো।সাথে সাথে সব অফ আর সিগারেটটা তাড়াতাড়ি ফেলে দিলাম।তারপর পেছনে তাকিয়ে দেখি সাদিয়া।
সাদিয়া:আপনি সিগারেট খান
আমি:হ্যা মাঝে মাঝে
সাদিয়া:কেন করেন আর করবেন না।করলে দেইখেন
আমি:না সিগারেট আমার সব আমি ছাড়তে পারব না।
সাদিয়া:ঠিক আছে থাকেন আপনার সিগারেট নিয়ে
মেয়েটা মনে হয় রাগ করছে।কিছু করার নাই এগুলা সিয়ামের আইডিয়া ওকে কাছে পাবার জন্য করলাম।জীবনেও সিগারেট খাই নাই।তাই গুলা জ্বলতাছে ।সালা সিয়ামের কাম। নিচে গিয়ে দেখি আম্মু বসে আছে।আর চিল্লাচিল্লি করতাছে।আমি গিয়ে বললাম-
আমি:আম্মু কি হইছে।চিল্লাইতাছ ো কেন
আম্মু:তুই আমার সাথে কথা কবি না।এই নি তরে পড়ালেখা করাইয়া সিগারেট খাওয়া শিখাইছি।আমার মানসম্মান কিছুই রাখলি না তুই
আমি:…….(আমি তো শেষ )
আম্মু:যা তুই আমার সামনে থেকে
আমি:আম্মু মাফ কইরা দাও।তুমি তো জানো আমি কখনও এগুলা খাই নাই।আজ একটু ত্রাই করছি।আর জীবনেও খামু না।
আম্মু:কথা দিলি তো
আমি:হুম আম্মু দিলাম।
আম্মু:বউমা কান্না করতাছে।যা কান্না থামা গিয়া!!
আম্মুর কথা মত বউয়ের কান্না থামাইতে গেলাম।আমি গিয়ে দেখি বারান্দায় দারিয়ে দারিয়ে কান্না করছে।আমাকে আসতে দেখে চোখের পানি মুছতেছে-
আমি:আমি না জীবনেও স্মোক করি নাই।আজ কোন শয়তানে যে আমারে পাইছিলো।আল্লাহ জানে।আমাকে মাফ কইরা দেন
সাদিয়া:……..
আমি:আর হবে না।আমি একটা কারনের জন্য খাইছি।আর হবে না।কথা দিলাম।প্লিজ রাগ করবেন না
সাদিয়া:……….।
আমি:এই যে কানে ধরলাম
সাদিয়া:অন্য দিকে তাকিয়ে বলছে।কান ধরতে হবে না।আপনি জান ডিনার করতে
আমি:আপনি খাবেন না
সাদিয়া:খিদা নেই।আপনি খান গিয়ে।
আমি:না থাক আমিও খাবো না।অনেক ঘুম পাইছে ঘুমাবো।
সাদিয়া:জান তো খেয়ে ঘুমান।
আমি:তাহলে আপনিও চলুন
সাদিয়া:আমার খিদে নাই।
আমি:আপনি এখনও রাগ করে আছেন।প্লিজ মাফ করে দেন আমি আর জীবনেও এগুলা ধরব না।
সাদিয়া:সত্যি তো
আমি:হুম
সাদিয়া:আচ্ছা চলুন। তারপর সালা সিয়ামরে ফোন দিলাম।
আমি:সালা তুই দোস্ত না অন্য কিছু।আমার বিষ খাইতে কইছ আর তোর ভাবি আর আম্মু আমার উপরে সেই রাগ করছে।অনেক কষ্টে রাগ ভাঙাইছি
সিয়াম:দোস্ত ভাবি রাগ করছে?
আমি:হ রে ও কান্না করছে
সিয়াম:মামা কাজ করছে।ভাবি তোর উপরে পরতাছে।
আমি:কি কস কিছু বুঝি না। সিয়াম কাল তুই আমার ম্যারেজ ডে তে ভাবিরে নিয়া আসিস
আমি:আচ্ছা সিয়াম কইছিলো এগুলা করতে।আর হালার লাইজ্ঞা সাদিয়ার আমার প্রতি ভালোবাসাডা দেখলাম।
আমি:কাল সিয়াম,আমার দোস্ত ওর ম্যারেজ ডে।আপনাকে নিয়ে যেতে বলেছে।যাবেন??
সাদিয়া:আচ্ছা।
আমি:তাহলে রেডি থাকবেনা আর আমার কাল অফিস আছে।সকালে একটু তুলে দিয়েন।
সাদিয়া:আচ্ছা। তারপর ঘুমাতে গেলাম সোফায়।তারপর সাদিয়া এসে বলল
সাদিয়া:এখানে না বিছানায় চলেন।এখাএ ঘুমাতে হবে না।
আমি:জ্বি
সাদিয়া:বিছানায় চলেন।
আমি:আপনার সমস্যা হবে না
সাদিয়া:না
আমি:আচ্ছা(মনে মনে সেই খুশি হইছিলাম কিন্তু বিছানার দিকে তাকিয়ে দেখি মাঝ খানে কোলবালিশ দেয়া।মন টা আবার খারাপ হয়ে জায়ে।কিন্তু এক বিছানায় যে থাকতে পারব তাই অনেক আমার জন্য))) গিয়ে চুপ চাপ ঘুমিয়ে পরি।তারপর সকালে আমার নতুন বউয়ের ডাকে ঘুম ভাঙে-
সাদিয়া:এই যে শুনছেন??
আমি:আরে কি হইছে ঘুমাইতে দেন না
সাদিয়া:না আর ঘুমাবেন না এখন সকাল ৪বাজে।উঠে নামায পরে আসেন
আমি:না পরলে হয় না
সাদিয়া:যেতে বলছি জান।নাহয় আম্মুকে ডাকব
আমি:আচ্ছা উঠতেছি।আম্মুকে ডাকার কি ধরকার
সাদিয়া:হুম গুড বয়
নামায পরে নাস্তা করে তারপর অফিসে চলে গেলাম।অফিসে কোন কাজে মন বসে না।কিছু ভালো লাগে না।তাই পাগলিটাকে ফোন দিতে যাবো দেখি ও ই ফোন দিয়েছে।কোনো কিছু না ভেবে সাথে সাথে ফোনটা ধরলাম।
সাদিয়া:আসসালামুয়ালাইকুম
আমি:ওয়ালাইকুমআসসালাম।
সাদিয়া:আপনি খাইছেন?
আমি:না এখনও খাই নাই।ভাবতেছি বাসায় এসে খাবো
সাদিয়া:কিইই কইলেন বাসায় খাবেন।আর এতোক্ষন না খাইয়া থাকবেন।আপনি না খেলে আমিও খাব না
আমি:না না না মানে আমি এখনই খাবো
সাদিয়া:আচ্ছা খান।খেয়ে আমাকে জানাবেন
আমি:আচ্ছা
সাদিয়া:আচ্ছা রাখি
আমি:শুনুন শুনুন আজ কিন্তু রেডি থাকবেন।সিয়ামের ম্যারেজ ডে আজ আপনাকে নিয়ে যাতে বলছে
সাদিয়া:আচ্ছা।
আজ অফিস থেকে একটু তাড়াতাড়ি বের হয়ে যাই।ভাবতেছি পাগলি বউটার জন্য কিছু নিবো।মার্কেটে গেলাম।গিয়ে একটা পায়েল নিলাম।আর কত গুলা গোলাপ আর বকুলফুলের মালা নিলাম। সাদিয়ার কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে বাসায় চলে আসলাম।ভুলে গেছি।কলিং দেয়ার সাথে সাথে গেইট খুলে গেলো
সাদিয়া:আপনি আসছেন?
আমি:এগুলা আপনার।
সাদিয়া:এগুলা কি (ঠুটের কোণে একটা হাসি দিয়ে)
আমি:এগুলা কেমন হইছে বলবেন
সাদিয়া:আচ্ছা।আমি রেডি হয়ে আসছি আপনি ফ্রেশ হয়ে আসেন।খাবার দিতেছি।
আমি:আচ্ছা।মা কোথায়।
সাদিয়া:আম্মু ঘুমায়।জ্বালবেন না এক্কেবারে আম্মুকে
আমি:আচ্ছা
আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।দেখি বউ আমার সেই লাগছে।শাড়ী পরেছে।আর পায়েলও পরেছে।বকুলফুলের মালাটা মাথার চুল গুলে সেই মানাইছে।আমি তার মধ্যে হারিয়ে যাই।
সাদিয়া:লিমন কি হলো এভাবে তাকিয়ে আসেন কেন
আমি:আপনাকে অনেক সুন্দর লাগছে।
সাদিয়া:খেতে আসেন(মুখে একটা হাসি দিয়ে)
তারপর খেয়ে আমরা আম্মুকে বলে সিয়ামের বাসায় চলে যাই।গিয়ে দেখি ফারিহাকেও ইনভাইট করছে।ফারিহা মেয়ে টা একটু গেয়ো টাইপের।আমাকে দেখে দূর থেকে দৌড়ে এসে আমাকে জুড়িয়ে ধরে-
ফারিহা:দোস্ত কেমন আসোছ।তরে অনেক দিন দেখি না। আমি তাড়াতাড়ি সাদিয়ার দিকে তাকিলাম দেখি মেয়েটা মুখ কালো করে অন্যদিকে তাকিয়ে আছে।
আমি:হ দোস্ত ভালো আছি।তোর ভাবি।সাদিয়া ও আমার ছোট বেলার বন্ধু।
সাদিয়া:হায় আপু
ফারিহা:হায় ভাবি।
আমি ফারিহার আর সিয়ামের সাথে কথা বলছিলাম।হটাৎ করে সাদিয়া ডাক দিলো-
আমি:হ্যা বলেন??
সাদিয়া:আমি বাসায় যাবো
আমি:কেন কিছু হয়েছে
সাদিয়া:বাসায় যাবো চলেন।
কিছু করার নাই।বাসায় চলে আসলাম।বাসায় এসে আম্মুর সাথে আড্ডা দিলাম।রাতে খাবার খেয়ে ঘুমাতে গেলাম। সোফায় গিয়ে শুয়ে পরলাম।আজ কেমন জানি লাগছে।সাদিয়া সিয়ামের বাসা থেকে এসে চুপচাপ।আমার সাথেও কথা বলছে না।রাত ৩টার দিকে নিজের উপর চাপ অনুভব করলাম।আর কান্নার আওয়াজ।দেখি সাদিয়া আমার উপর শুয়ে কান্না করছে।
আমি:সাদিয়া কি হয়েছে??
সাদিয়া: (কান্না করে যাচ্ছে)
আমি:আরে পাগল বলবেন তো কি হইছে??
সাদিয়া: (আমাকে আরও জুড়ে জুড়িয়ে ধরে)
আমি:বলবেন প্লিজ কি হইছে (আমিও কান্না করে দেই)
সাদিয়া:আপনি আমার শুধু আমার।(কান্না করতে করতে করতে)
আমি:তো আমি তো আপনারি
সাদিয়া:আপনার কোন কিছুতে কাওকে ভাগ দিতে পারব না।
আমি:আচ্ছা দিয়েন না।কিন্ত কি হইছে কান্না করসেন কেন??
সাদিয়া:আপনি জানেন আমার কত কষ্ট হইছে।আপনার বান্ধুবি কেন আপনাকে জুড়িয়ে ধরবে।তাও আপনার বিয়ে
হয়েছে জেনে
আমি:আরে ও এমনি গেয়ো টাইপ।সবার সাথে এমন করেন।আর আপনার এতো কষ্ট লাগবে কেন,আপনি তো আমাকে ভালোবাসেন না
সাদিয়া:হুম ফাইজলামি করবেন না।আমার এখনও অনেক কষ্ট হচ্ছে।
আমি:থাক কান্না কইরেন না। আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি।
সাদিয়া:আমিও অনেক ভালোবাসি। কিন্তু একটা সমস্যা আছে
আমি:কি সমস্যা??
সাদিয়া:এতো ভালোবাসলে।আপনি আপনি করেন কেন
আমি:আপনিও তো আপনি আপনি করেন তাই আমিও
সাদিয়া:অক্কে আর বলব না।তুমিও বলবা না
আমি:আচ্ছা
সাদিয়া:তোমার বুকে কি সব সময় এভাবে ঘুমাতে দিবে
আমি:না।সব সময় দিবো না
সাদিয়া:কিই
আমি:সব সময় দিবো না।কিন্তু সারাজীবন দিবো
তারপর পাগলিটাকে বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে যাই।মবে হচ্ছিলো হারানো কোন একটা সুখ ফিরে পাইছি।অনেক ভালো লাগছিলো।সকালে।আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি পাগলিটা আমার বুকের মধ্যে আমাকে শক্ত করে জুড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে।পাগলি টাকে পিচ্ছি পিচ্ছি লাগছিলো।হটাৎ আমাকে ঘুম থেকে উঠে যায়। আর আমাকে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে লজ্জা পায়।
আমি:নামায পরব চল পাগলি
সাদিয়া:হুম চল তারপর পাগলি আর আমি নামায পরে।তারপর বারান্দায় বসে অনেকক্ষন আড্ডা মানে প্রেম করলাম।তারপর পাগলি নাস্তা বানাতে চলে গেলো।আর আম্মু এসে বলল-
আম্মু:সাদিয়ার আম্মু ফোন দিছিলো??
আমি:কখন??
আম্মু:তোরা যা ঘুরে আয়।দুইদিন বউমার মনটাও ভালো হবে।মাকে অনেক দিন দেখে না মেয়েটা।
আমি:আচ্ছা আম্মু আজ অফিস থেকে তাড়াতাড়ি চলে আসব।আজই নিয়ে যাব
আম্মু:আচ্ছা।
অফিসে চলে গেলাম।স্যারের কাছ থেকে ৩/৪দিন ছুটি নিয়ে বাসায় এসে পাগলিকে বললাম
আমি:সাদিয়া??
সাদিয়া:হুম বল
আমি:শশুর বাড়ি যাবো
সাদিয়া:সত্যি কবে
আমি:আজ আর এখন
সাদিয়া:আমাকে জুড়িয়ে ধরে জান তুমি অনেক ভালো।আম্মুকে দেখতে মন চাইতেছিলো।
আমি:তো চল
সাদিয়া:আম্মু কি বাসায় একা থাকবে।
আমি:না একা থাকবে কেন।আপু আসবে আজ।আম্মু বলছে ঘুরে আসতে তোমাকে নিয়ে
সাদিয়া:আচ্ছা আমি রেডি হয়ে আসছি
তারপর আর কি বউরে নিয়ে নতুন নতুন শশুর বাড়ি গেলাম।ভালো জামাই আদর পাইলাম।নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছিলো।ভালো কাটছে।আমাদের জীবন।দোয়া করবেন আপনারা আমাদের জন্য