কিরে হৃদয় কেমন আছিস??(আনিকা)
-ভালো আছি।তুই কেমন আছিস??(হৃদয়)
-ভালো।আচ্ছা আসিরে বাসায় একটা কাজ আছে তারাতারি যেতে হবে।।(আনিকা)
-আচ্ছা যা বাই।।
এতক্ষন যার সাথে কথা হলো সে হলো আমার সবচেয়ে কাছের ও প্রিয় বন্ধু আনিকা।শুধু বন্ধু বললে ভুল হবে।বন্ধুর চেয়ে বেশি কিছু মানে আনিকাকে আমি ভালোবাসি কিন্তু বন্ধুত্ত হারাবার ভয়ে কিছুই বলতে পারি না।হয়তোবা আনিকা ও আমাকে ভালোবাসে কিন্তু বলতে পারে না।কারন সে আমকে কোনো মেয়ের সাথে মিশা তো ধুরের কথা।।। কথাই বলতে দেয় না।যদি কোনো মেয়ের সাথে কথা বলি আমার সাথে তো খারাপ ব্যবহার করেই সাথে মেয়ের সাথে ও খারাপ ব্যবহার করে।। পরদিন সকালবেলা আরামের ঘুমে ছিলাম।।কিন্তু সেই ঘুমের বারটা বাজিয়ে দিল আনিকা । ঘুম ঘুম অবস্থায় ফোন রিসিব করতেই জারি শুরু হলো।।
-হ্যালো কোথায় তুই??(আনিকা)
-চান্দের দেশে ফুটবল খেলতাছি।।খেলবা তুমি??(হৃদয়)
-তোর ফুটবল খেলা আমি বের করছি।।তুই আই আজকে ক্যাম্পাসে তোর মাথার চুল ছিরে যদি আমি ফুটবল স্টেডিয়াম না বানাইছি তো আমার নাম আনিকা না ।
-তর দ্বারা সবই সম্ভব কারন তুই তো আনিকা না। তুই তো জল্লাদিনী।।
-কি আমি জল্লাদিনী । আই আজকে ক্যাম্পাসে তোকে দেখাবো এই জল্লাদিনী কি কি করতে পারে।
-বল্লাম না। তর দ্বারা সব সম্ভব।
-তুই আজকে ক্যাম্পাসে আয় খালি!!
-না আজকে তো আমি আর ক্যামাপাসে যাচ্ছি না।
– কি তুই ক্যাম্পাসে না আসলে আমি তোর বাসায় চলে আসবো।
-ওকে তোকে বাসায় আসতে হবে না।আমি ক্যাম্পাসে যাচ্ছি।
-এইতো গুড বয়।।
ক্যাম্পাসে যাওয়ার পর মহারানী কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।তারপর ক্যাম্পাসের সাইডে একটি পুকুর পার আছে।ওইখানে যাইতে যা দেখলাম তা দেখার জন্যে প্রস্তুত ছিলাম না। তারপর আনিকার সামনে যেতেই আনিকা যা বললো তা শুনার জন্যে ও প্রস্তুত ছিলাম না।আনিকা বললো হৃদয় এই হলো আসিফ আমার বয়ফ্রেন্ড।আমি বল্লাম ও হাই কেমন আছেন??তাদের সাথে কিছুক্ষন কথা বলে আনিকাকে বল্লাম আমার বাসায় কাজ আছে আমকে বাসায় যেতে হবে।তারপর সেখান থেকে চলে আসি।। বাসায় আসার পর থেকে কিছুই ভালো লাগছেনা। ফোন বন্ধ করে রাখলাম। দুইদিন বাসা থেকে বের হই না।কোথাও ঘুরতে যায় না।এসব দেখে মা টেনশনে পরে যায় যে আমার কি হলো এই নিয়ে।।সেদিন বিকেলবেলা ঘরে শুয়ে আছি।হঠাৎ মা এসে বললো তর সাথে তর যেন কোন বন্ধু দেখা করতে এসেছে।
আমি গিয়ে দেখি আনিকা আমার সাথে দেখা করতে এসেছে।আমি গিয়ে বল্লাম কি দরকারে এসেছিস??আনিকা বললো তর সাথে কিছু কথা আছে বাইরে চল।।যা বলার এইখানেই বল বাইরে যেতে পারবো না।।আনিকা বললো চল আজকের পর তুমি না চাইলে তোমার সাথে আর কথা বলতে আসব না।।তাই বাধ্য হয়ে যেতেই হলো।আনিকা এক রিক্সা ডেকে রিক্সাকে এক পার্কে যেতে বললো।সেখানে যাওয়ার পর দুইজনে একটি বেঞ্চে বসলাম।দুইজনেই নিরব। কারো মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না। তারপর আমিই প্রথমে মুখ খুল্লাম বল্লাম কি বলবি বল??আনিকা বললো আমি কী এতই খারাপ যে আমার দিকে তাকানো যায় না ও আমার সাথে কথা বলা যায় না।আসলে আনিকা দেখতে অনেক সুন্দর। শুধু সুন্দর বললে ভুল হবে।দেখতে একেবারে ডানাকাটা পরী।আমি তার দিকে তাকাতে চাচ্ছি না মায়ায় পরে যাওয়ার ভয়ে।
শুধু শুধু মায়ায় পরে কি লাভ??তারপর আনিকা বললো কি হলো কথা বলছো না কেন??তারপর আমি বল্লাম তুই দেখতে অনেক সুন্দর। তারপর আনিকা বললো এই কদিন ক্যাম্পাসে যাও নি কেন??আমি অবাক হলাম এই প্রথমা আনিকা আমাকে তুমি বললো। আমি বল্লাম এমনি শরীর ভালো লাগে নি তাই যাই নি।।আনিকা বললো তুমি মিথ্যা বলছো তুমি আমার জন্যে যাও নি।।আমি আসিফকে ভালোবাসি বলে।এতই যখন ভালোবাসো মুখ ফুটে বলতে পার না।আমি বল্লাম হ্যা, আমি তোমাকে অনেক আগে থেকেই ভালবাসি কিন্তু বন্দুত্ত হারাবার ভয়ে কিছুই বলতে পারি নি।তারপর আনিকা যা বললো তা শুনে অবাক হয়ে গেলাম। আনিকা বললো আমি ও তোমাকে অনকে আগে থেকে ভালোবাসি কিন্তু মেয়েদের বুক ফাটে তো মখ ফোটে না।।
এটা জানো না।আর আমি তোমাকেই ভালোবাসি।আমি তোমার মখ থেকে ভালোবাসি কথাটি শুনার জন্যে এই নাটক করেছিলাম।ভাবছিলাম তুমি হয়তো ভালোবাসা হারানোর ভয়ে আমাকে ভালোবাসো কথাটি বলবা কিন্তু তুমি তা না করে আমার থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছ।তুমি জানো এই কদিন আমি কত্ত টেনশেনে ছিলাম??তারপর আমি বল্লাম তুমি আমাকে ভালোবাস আনিকা বল্ল না।।তুমি তো এখনো প্রপোজ ঈ করো নাই ভালোবাসব কিভাবে??তারপর লেকের ধারে থাকা শাপলা ফুল তুলে তার সামনে হাটু গেড়ে বসে বল্লাম”ওগো তুমি কি আমার স্বপ্নের রাণী হবা। আমার ভালোবাসার রং হবা।আমার বাবুর আম্মু হবা। সে মিষ্টি হাসি দিয়ে বললো ভেবে দেখতে পারি।। তারপর আমি বুঝে নিয়েছি তার উত্তর কী,, আর কখন যে আমরা তুই থেকে তুমিতে চলে গেছি তা আমরা নিজেরাই জানিনা।।তারপর শুরু হলো আরেকটি নতুন ভালোবাসার গল্প যেখানে থাকবে মান অভিমান খুনসুটি।