—টিভির রিমোটটা হাতে নিয়ে মনোযোগ সহকারে টিভির দিকে তাঁকিয়ে আছি ৷ একে শুক্রবার, তার উপর বৃষ্টি ৷ তার উপরে দরজার ওপারে ভুনা খিচুড়ি আর চাকা চাকা করে বেগুন ভাজি কলিংবেল বাজাচ্ছে ৷ তা তো আর আমি জানিনা ৷ তাই উঠেতে ইচ্ছে হলোনা৷
— মিম…..(আমি)
— চেঁচানো লাগবে না, কালা নই ৷ কি বলবা, না চেঁচিয়ে বলো (রান্নাঘর থেকে উত্তর দিলো মিম) এই মেয়েটা কি খোচা না দিয়ে কথা বলতে পারে না? তবু শান্তভাবেই বললাম,
— কে এসেছে দেখোনা, কলিংবেল বাজাচ্ছে বেশ কিছুক্ষণ ধরে
— বাড়িতে যতক্ষণ থাকবে খবর আর খেলা ৷ এই চ্যানেলগুলো বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া উচিত ৷ দু-একটা জঙ্গি চেনা জানা থাকলে আমিই করতাম ৷ এমন আরও কিছু বিড়বিড় করতে করতে রান্নাঘর থেকে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো মিম ৷
— টিভি বন্ধ করে দরজাটা খোলো (মিম)
— পারবো না (আমি) মিম গরম খুন্তিটা আমার সামনে ধরে রেগে গজগজ করতে করতে বলল,
— খুলবে না? (মিম) আমি মিমের দিকে তাঁকালাম ৷ নাটা নাটা চোখ করে আমার দিকে তাঁকিয়ে আছে ৷ নাটা নাটা বুঝছেন তো? টানা টানার উল্টো ৷ আমি ভয়ে ভয়ে উঠে শান্ত ছেলের মত দরজার দিকে গেলাম আর মিম রান্নাঘরের দিকে ৷ দরজা খুলে দেখি উপরতলার ভাবি একটা টিফিন বক্স নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ৷
— আরে ভাবি আপনি! আসুন আসুন, ভেতরে আসুন (ভ্যাবলার মত হেসে বললাম) মিম অবশ্য এই হাসিটাকে লুচু বা লুইচ্চা হাসি বলে ৷ কিন্তু আমি তো জানি আমার মত ভাল ছেলেরা ওই হাসি দিতে পারে না ৷ রান্নাঘরের দিকে তাঁকাতেই দেখি মিম দাঁতে দাঁত চেপে তাঁকিয়ে ফুসছে ৷ বুঝলাম বিপদের সম্ভাবনা ৷ কিন্তু কিছুটা উদ্ধার করলো ভাবিই ৷ বলল,
— না ভাই, বাচ্চাটা একা আছে ৷ ভুনা খিচুড়ি আর বেগুন ভাজি রান্না করেছিলাম, তাই ভাবলাম তোমাদের জন্য একটু নিয়ে আসি ৷ আহহ!! মনে চাইতেছিল ভাবি একখান চুম্মা দেই ৷ কিন্তু দিলাম না ৷ আমি আবার খুব ভাল ছেলে কি না ৷ টিফিন বাটিটা দিয়ে ভাবি চলে গেল ৷ আমিও বাটিটা নিয়ে রান্নাঘরে ঢুকলাম ৷ হটাৎ অনুভব করলাম দুমদাম শব্দ হচ্ছে ৷ কি ভাবছেন? মিম এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি শুরু করেছে? আমিও প্রথমে তাই ভেবেছিলাম, কিন্তু পরে বুঝলাম ওটা হার্টবিটের শব্দ ৷ মিনমিন করেই বললাম,
— কি করছো বাবুনি? (কিছু বলার পাচ্ছিলাম না তাই)
— চোখের মাথা খেয়েছ নাকি? দেখোনা রান্না করি? (মিম)
— রেগে আছো?
— দেখেছিস, লজ্জাও নেই! মেয়ে মানুষ দেখলেই লুইচ্চা হাসিটা দিতে পারে ঠিক মত!
— কার সাথে কথা বলছো?
— নিজের সাথে বলছি, সমস্যা আছে?
— না না, যাই বলো ভাবি কিন্তু অনেক ভালবাসে আমাদের! মিমকে রাগানোর জন্যই কথাটা বললাম, তাতে কাজও হলো সাথে সাথে ৷ লাইট, এ্যাকশন, ক্যামেরা, রোলিং….
— কুত্তা ছেলে, সামনে থেকে যা ৷ কথাই বলবি না আমার সাথে ৷ যা তোর পেয়ারের ভাবির কাছে যা (মিম)
— ওকে (আমি) বলে বাইরের দিকে পা বাড়াতেই মিম সামনে এসে দাঁড়ালো ৷ কোমরে হাত দিয়ে রাগে গজগজ করছে…
— ওকে মানে? এক পা বাইরে বের হলে আজ টেংরি ভেঙে হাতে ধরিয়ে দেবো (মিম) বিড়বিড় করে বললাম,
— তুমিই তো……
— একটা কথা বলবি না তুই, চুপচাপ বসে থাকবি এখানে আমি আর কিছু না বলে লক্ষ্মী ছেলের মত বসে রইলাম ৷ মিম রান্না করছে একমনে ৷ মুখে রাগী ভাবটা আছে এখনো ৷ সে রাগটা ঝাড়ছে সামনে চোখের উপর পড়া চুলগুলোর উপর ৷ না, আমার বৌটা একটু অন্যরকম ৷ মেয়েদের নাকি রাগলে সুন্দর লাগে, কিন্তু একে একদম পঁচা লাগে ৷ আর কাঁদলে পুরো ৭৩ বছরের বুড়ি ৷ এবার রাগটা ভাঙানো দরকার ৷ নরম সুরে ডাকলাম,
— শুনছো (আমি)
— না (মিম)
— বাবুনি….
— চুপ করে বসে থাকতে বলেছি
— ও পাঁচি, পাঁচি মিম হাতের খুন্তিটা ছোট করে আছাড় দিয়ে বলল,
— হবেনা হবেনা, এটা চিটিং
— কেন?
— তুমি জানো, এই নামে ডাকলে আমি রাগ করে থাকতে পারি না ৷ আর সবসময় রাগ ভাঙাতে এসে এটাই করো
— হি হি, সবসময় একইরকম ভালবাসিতো তাই
— হুহ্ হইছে, এখন আমায় রান্নায় হেল্প করো আমি উঠে গিয়ে মিমকে জড়িয়ে ধরলাম পিছন থেকে
— এটা কি হচ্ছে? (মিম)
— কেন, তোমায় হেল্প করছি (আমি)
— এটা কি ধরনের হেল্প?
— আরে তোমায় ধরে রাখছি, যেন পড়ে না যাও৷ এটা হেল্প না?
— উফফ, এসব উল্টা পাল্টা যুক্তি কই পাও?
— যুক্তিবিদ্যার ছাত্র ছিলাম তো, তাই, হা হা
— হইছে, ঠান্ডা হয়ে থাকো, এমন দুললে রান্না করা যায়?
— ওক্কে জানু
— ইশশ, কি বিশ্রি ডাক
— হা হা হা
— বদ ছেলে
— বদ ছেলেরে পটিয়েইছিলে কেন তাহলে?
— আমি মোটেও পটাইনি, তুমি আমায় পটিয়েইছো
— তুমি পটাওনি?
— না
— ফু দেবো কিন্তু কানে
— এই না না, সুড়সুড়ি লাগে
— কে পটাইছে?
— তুমি
— (ফুউউউউ)
— তুমি পটাইছো
— (ফুউউউউউউউউউউউউউউউউউউ)
— আমি আমি, আমি পটাইছি, হইছে?
— হা হা হা, দেখলে? সত্য কখনো চাপা থাকেনা, ফু দিলে বেরিয়ে আসে!
— হুহ্
— হা হা হা দুপুরে খাওয়া শেষ করে হাত মুছতে মুছতে মিমকে বললাম,
— মিম, ভাবির টিফিন বাটিটা দিয়ে এসোনা (আমি)
— পারবো না…. (মিম)
— কেন?
— ইচ্ছা, তুমি খাইছো তুমি দিয়ে আসো আবার শয়তানি চাপলো মাথায়,
— আচ্ছা, আমিই যাই ৷ ভাবির সাথে একটু দেখাও হয়ে যাবে ৷ যাই তাহলে
— ওই কোত্থাও যাবা না, আমি যাচ্ছি ৷
ও মা গো, তুমি এ কোন লুইচ্চা ছেলের ঘরে পাঠালে আমায়, এত খারাপ মানুষ হয় কি করে? আরও কি সব বিড়বিড় করতে করতে চলে গেল মিম৷ আমিও রুমে গিয়ে বিছানায় বসে বসে মেয়েটার বোকামিতে মিটিমিটি হাসতে লাগলাম ৷ মিমকে পাঠানোর জন্যই তো তখন ওটা বললাম ৷ একটু পরেই মিম এসে ঘরে ঢুকলো ৷ এসেই অয়নার সামনে বসে সাঁজতে বসে গেল ৷ অনেক ভেবে এখন অসময় সাঁজার কারন কিছুটা অনুমান করতে পারলাম ৷
— মিম (আমি)
— হু (কানে দুল পরতে পরতে উত্তর দিল মিম)
— ভাবিকে হিংসা করে সাঁজতে বসছো?
— সব মেয়েই হিংসুটে হয়
— তুমি মনেহয় একটু বেশি, হি হি হি
— ভাল হইছে, তোমার কি?
— আমার আর কি!
— আমি সুন্দর না হলে সেটা আমার দোষ?
বলেই মুখ ভার করে বসে রইলো মিম ৷ আমি হা করে তাঁকিয়ে রইলাম, এই মেয়ে বলে কি? ও নাকি সুন্দর নয় ৷ যে মেয়ে কলেজ লাইফে সপ্তাহে দু-একটা প্রোপোজ পেত, সে নাকি সুন্দর নয় ৷ অবশ্য এই কথাটা মেয়েরা প্রায়ই বলে থাকে, তার প্রধান উদ্দেশ্য থাকে যে অপরজন তার রুপের প্রশংসা করুক ৷ আমি উঠে গিয়ে পিছন থেকে মিমকে জড়িয়ে ধরে আয়নার দিয়ে আঙুল দেখিয়ে বললাম,
— আসলেই দুজনকে ঠিক মানায় না, তাই না? (আমি)
— (মিম নিরব)
— আচ্ছা বাবুনি, তোমার জন্য তো আমার চেয়ে অনেক ভাল ভাল প্রপোজাল এসেছিল, কিন্তু তুমি…
— একদম চুপ (মাঝপথে থামিয়ে দিল মিম)
— কথা কিন্তু মিথ্যে বলিনি
— চুপ করবা, না মাইর খাবা
— নিরবতাই শ্রেয় (চুপ করে গেলাম) মিম আমার বুকে মাথা রাখলো ৷ আমি দুহাতে ওর গালদুটো ধরলাম ৷ গাড় করে লিপিস্টিক দিয়েছে ঠোটে ৷ লিপিস্টিকে যে একটা মেয়ের সৌন্দর্য এতটা বাড়িয়ে দিতে পারে, সেটা মিমকে না দেখলে বুঝতামই না ৷ ঠোটটা মিমের ঠোটের দিকে নিয়ে যেতেই মিম একটা আঙুল দিয়ে আমার ঠোট আটকালো ৷ আঙুলটা সরাতে গিয়ে দেখি, একি, এটা তো আঙুল নয়, আমার টুথব্রাশ
— ব্রাশ করে আসো, নাহলে কোন আদর হবে না (মিম)
— এখন দুপুরে কিসের ব্রাশ করা? (আমি)
— বেগুনের!
— মানে?
— বেগুনে এলার্জি জানোনা?
— ও গড, একটা রশি ফেলো, আমি উঠে যাই ৷ কি একটা এলার্জি জুটালে কপালে
— দুইটা রশি ফেলতে বলো ৷
দুজন একসাথে উঠে যাবো, হি হি হি আর কিছু না বলে ব্রাশটা নিয়ে মেঝেতে ধুপধাপ শব্দ করতে করতে বেরিয়ে আসলাম ৷ এই সমস্যাটা মিমের জিনেটিক ৷ ওর মায়েরও আছে ৷ তবে ওর একটু বেশিই ৷ এলার্জি জাতীয় কিছু খেলে বা ঠান্ডা লাগলে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায় ৷ তাই প্রবল ইচ্ছে থাকলেও বৃষ্টিতে ভিজতে পারে না ৷ আমারও মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়, বৃষ্টিতে ভিজে হাতে হাত ধরে হাটবো ৷ ওর ভেজা চুলগুলো ঘাড়ের সাথে লেপ্টে থাকবে ৷ যেন গভীর ভালবাসায় আকড়ে ধরে আছে ৷ ধুর, রোমান্টিকতার জন্য ভিজতেইহবে, এমন কোন কথা আছে নাকি? ভালবাসা মানে শুধু কাছে পাওয়া বা রোমান্স করা নয়, ভালবাসা মানে ভালবাসার মানুষকে সবকিছু থেকে আগলে রাখা ৷ ভালবাসা মানে বিবাহ বার্ষিকীতে তার হাতে একগুচ্ছ গোলাপ দেওয়ার আগে গোলাপের সব কাটাগুলো ছাড়িয়ে নেওয়া ৷ অফিসে বসে আছি ৷
মনটা ভাল লাগছে না ৷ সকালে আসার সময় বুঝেছি কোন কারনে মিমের মনখারাপ ৷ কিন্তু অফিসের লেট হওয়ার জন্য ঠিকভাবে জিগ্গেস করতে পারলাম না ৷ মনখারাপ করার মত কিছু করেছি? তেমন কিছু তো মনে পড়ছে না ৷ যদিও এই মেয়েটা একটু অল্পতেই মনখারাপ করে ৷ তবু সেটা আমার থেকে লুকাতে পারে না ৷ কেন জানিনা, আমার ধারনাটাই বারবার ঠিক হয় ৷ এটা নিয়েও মিমের খুব অভিযোগ ৷ ও কিছু বলার আগেই কেন বুঝে যাই যে কি বলবে? ও হেসে কথা বললেও কি করে বুঝি যে ওর মন খারাপ? হটাৎ হটাৎ কোনদিন দুপুরে ফোন দিয়ে বলি “অনেক বেলা হয়েছে বাবুনি, খেয়ে নাও” ৷ মিম অবাক হয়ে প্রশ্ন করে ও খায়নি সেটা আমি জানলাম কি করে? আমিও পরক্ষণে ভাবি, তাইতো! ও খেয়েছে কিনা জিগ্গেস না করে খেতে বললাম কেন? নিজেই উত্তর পাইনা ৷ হয়তো এটাই ভালবাসা! মিমের ভালবাসাই হয়তো ওকে আমার থেকে লুকাতে দেয়না ৷ নাহ, আর ভাল লাগছে না, অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম ৷ বাইরে বের হতেই ভাবির ফোন দেখে অবাক হলাম ৷
— ভাবি মিম কোথায়? (আমি)
— তুমি কি করে জানলে আমি মিমের কথা বলতে ফোন দিয়েছি? (ভাবি)
— জানিনা, মনে হলো
— তুমি এখনি এমএম হাসপাতালে চলে এসো ৷ দুপুরে হটাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় মিমের ৷ আমি ওকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি
— এখন কেমন আছে, ঠিক আছে তো ও
— টেনশন করো না, অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে, তুমি এসো সাবধানে, আর আমি আছি তো
— আচ্ছা ফোনটা রেখেই হাসপাতালের উদ্দেশ্য রওনা দিলাম ৷ বাসার সামনে দিয়েই যেতে হবে ৷ কি মনে করে বাসায় ঢুকলাম ৷ ডায়নিং টেবিলের দিকে তাঁকিয়ে বুঝতে বাকি রইলো না হটাৎ মিমের এমন হওয়ার কারন কি ৷ তিনঘন্টা ধরে বসে আছি, ভেতরে ঘুমাচ্ছে মিম৷ ডাক্তার ওকে এখন ডাকতে নিষেধ করলো ৷ ভিতরেও যেতে দিচ্ছে না ৷ মাথা নিচু করে বসে আছি ৷ হটাৎ ভাবি এসে বলল
— মিমের ঘুম ভেঙেছে, যাও দেখা করে এসো রুমে ঢুকে দেখি মিম বসে আছে ৷ অক্সিজেন মাক্স খুলে দিয়েছে ৷ সোজা গিয়ে দিলাম ওর বাঁ গালে একটা চড় বসিয়ে ৷ মিম গালে হাত দিয়ে মাথা নিচু করে বসে রইলো ৷ একপ্রকার চিৎকার করেই বললাম,
— চিংড়ী মাছ খেয়েছ কেন? (আমি)
— তুমি ওমন বললে কেন? (মিম)
— কি বলেছি?
— তোমার কপালে এলার্জি জুটেছে
— তাই বলে তুমি আমার ভালবাসাকে কষ্ট দেবে? ওইটা কি মন থেকে বলেছিলাম?
— সরি
— কিসের সরি? সরি বললে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? তোমার যে কষ্ট হয়েছে সেটা মিটে যাবে?
— (নিরব)
— কথা বলো না কেন?
— সরি তো বাবু, আর খাবোনা আমি মিমকে জড়িয়ে ধরে বললাম,
— কেন এমন করো? কতবার নিষেধ করেছি এগুলো খাবা না ৷ পৃথিবীতে কি এই ধরনের খাবারগুলোর বাইরে খাবারের অভাব আছে নাকি?
— (নিরব)
— আচ্ছা বাবা, আমিও আর খাবো না এগুলো, ওকে? ভাবিকেও নিষেধ করে দেব না দিতে এসব
— মানুষ কত বিচিত্র, তাই না?
— হুম, পৃথিবীর কোন দুটো মানুষ সবদিক দিয়ে এক হয়না মিম নিজের মতই বলতে লাগলো,
— একজন কোন দোষ ছাড়াই শুধু এই রোগটার জন্যই আমায় ছেড়ে চলে গেল, নিজের বাবা মাও এই মেয়েটাকে বোঝা মনে করতো ৷ আর একজন আমার অসুস্থতার সময় আরও শক্ত করে আগলে রাখে, কাছে থাকে
— কারন, তুমি আমার এলার্জি বউ, ওদের না
— (নিরবে কাঁদছে)
— আবার কাঁদো কেন? কিছু একটু হলেই কাঁদতে হয় নাকি?
— নিজের চোখটা আয়নার দেখো, ফুলে লাল হয়ে আছে
— তোমার ছোঁয়া লেগেছে গো এলার্জি বউ
— হি হি, দাঁড়াও এবার এলার্জিও লাগাবো
— পাগলি
— হুম, শুধু এই পাগলটার বলে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো মিম৷ এ শুধু বাহুডোরে নয় ৷ এটা একটা ভালবাসার বন্ধন ৷ একটা বিশ্বাস ৷ রক্তের সম্পর্কের বাইরের একটা সম্পর্ক, যা অনেকসময় রক্তের সম্পর্ককেও হার মানায়।
সমাপ্ত