ছাদে দাঁড়িয়ে ছিলো ছেলেটি, হঠাৎ পিছন থেকে মেয়েলি কন্ঠ ,,,
— মেয়েঃ এই ছেলে!
— ছেলেঃ হুম বলুন।
— মেয়েঃ সিগারেট খাও?
— ছেলেঃ না। (অবাক হয়ে)
— মেয়েঃ গুড বয়। প্রেম করো?
— ছেলেঃ না।
— মেয়েঃ কেনো করোনা?
— ছেলেঃ বিয়ের পর করবো তাই।
— মেয়েঃ বিয়ের আগে প্রেম করলে কি হয়?
— ছেলেঃ কিছু হয়না আবার অনেক কিছু হয়।
— মেয়েঃ এতকিছু জানিনা এখন থেকে করবে বুঝেছো?
— ছেলেঃ হুম বুঝেছি।
— মেয়েঃ একটার বেশি নয় কিন্তু। বুঝেছো?
— ছেলেঃ আচ্ছা।
— মেয়েঃ সেই মেয়ে ছাড়া আর কোনো মেয়ের দিকে তাকাবানা। মনে থাকবে?
— ছেলেঃ হ্যা।
— মেয়েঃ সেই মেয়েটা কেমন?
— ছেলেঃ আমি জানি কি করে?
— মেয়েঃ কি করে মানে? আমি দেখতে কেমন?
— ছেলেঃ আপনি আয়নায় দেখে নিন।
— মেয়েঃ কেনো তোমার চোখ কি হাতে নাকি?
— ছেলেঃ নাতো জায়গা মতই আছে।
— মেয়েঃ তাহলে দেখছোনা কেনো?
— ছেলেঃ হুম আপু আপনি দেখতে ভালোই। বলা শেষ করতেই ছেলেটি তার গালে একটা থাপ্পড় অনুভব করলো ,,,
— মেয়েঃ এই ছেলে আমি তোমার আপু?
— ছেলেঃ তোহ কি আপনিই বলুন।
— মেয়েঃ বিয়ের আগে বউকে কি বলে?
— ছেলেঃ হবু বউ।
— মেয়েঃ আমি সেটাই।
— ছেলেঃ কিভাবে?
— মেয়েঃ তুমি আমাকে বিয়ে করবে। এইভাবে।
— ছেলেঃ আমি কখন বলছি আপনাকে বিয়ে করবো?
— মেয়েঃ থাপ্পড় কি আরেকটা খাবা?
— ছেলেঃ না না দরকার নাই। এমনিতেই লাল হয়ে গেছে।
— মেয়েঃ হুম ভবিষ্যতে কি করতে চাও?
— ছেলেঃ বিয়ের পর শশুড়ের টাকা গ্রাস করতে চাই। আপনি? সাথে সাথে আরেকটা থাপ্পড়। এবার যেনো বজ্রপাত পড়েছে ,,,
— ছেলেঃ এই যে গালটা কি বাংলালিংক দামে পাইছেন?
— মেয়েঃ ঠিকঠাক উত্তর দাওনা কেন? বলছি লেখাপড়া শেষ করে কি করবা? ২য় থাপ্পড় খেয়ে ছেলেটা কিছু বলতে পারছেনা
— ছেলেঃ জানিনা কিছু।
— মেয়েঃ ওকে জানতে হবেনা। এখন প্রপোজ করো।
— ছেলেঃ কিভাবে?
— মেয়েঃ তোমার স্বপ্নের রাজকুমারীকে যেভাবে করবে।
— ছেলেঃ আমার স্বপ্নের রাজকুমারীতো একজন হয়েই আছে।
— মেয়েঃ কি, কে সে? (কলার চেপে)
— ছেলেঃ কি করছেন, ছাড়ুন বলছি।
— মেয়েঃ হুম ছাড়লাম বলো।
— ছেলেঃ আপনার মতই গুন্ডি একটা মেয়ে।
— মেয়েঃ কি আমি গুন্ডি? দিবো আরেকটা?
— ছেলেঃ সে সময় আর দিচ্ছিনা। (জড়িয়ে ধরে)
— মেয়েঃ এই কি হচ্ছে?
— ছেলেঃ যা হওয়ার তাই। তুমিই আমার স্বপ্নের রাজকুমারী। আর বাস্তবে গুন্ডি বউ। যে আমাকে শাষণ করবে আর অনেক অনেক ভালোবাসবে।
— মেয়েঃ তাই! এত সময় নিলে কেনো শাস্তি পেতে হবে এই জন্য।
— ছেলেঃ কি… আবার থাপ্পড়?
— মেয়েঃ না, এবার অন্য কিছু। ছেলেটি তার থাপ্পড় খাওয়া গালে নরম ঠোটের কোমল ছোঁয়া অনুভব করলো ,,,
— ছেলেঃ আরেকটা থাপ্পড় মারোতো।
— মেয়েঃ কেনো?
— ছেলেঃ আরেকটা থাপ্পড় মারলে আরেকটু ছোঁয়া পাবো এই নরম ঠোটের।
— মেয়েঃ ওরে ফাজিল এই চিন্তা! কথাটা বলেই জড়িয়ে ধরলো মেয়েটি ,,,
— মেয়েঃ এখনো কিন্তু প্রপোজ করোনি আমাকে।
— ছেলেঃ বিয়ের পর ভালোবাসবো। এখন বাসিনা।
— মেয়েঃ কি বললে? এবার নাক ফাটিয়ে ফেলবো কিন্তু।
— ছেলেঃ বিয়ের পর ফাটাইও। সাথে মিষ্টি ছোঁয়াও থাকবে। খুব মজা হবে তখন।
— মেয়েঃ আমি তোমাকে খুব ভালোবাসবো। কিন্তু এখন না বিয়ের পর।
— ছেলেঃ আমার কথা আমাকেই ছুড়ে মারলে? চলো কাজী অফিসে। ওখানেই বাঁধবো শক্ত করে।
— মেয়েঃ হুম চলো। আর এরপর থেকে থাপ্পড় খেতে তৈরি হও।
— ছেলেঃ ওকে আমার হবু গুন্ডি বউ।
তারপর কাজী অফিসের কাজটা সেরে নিলো দুজন। আর বাঁধা পরে গেলো একে অন্যের সাথে। বেঁচে থাকুক দুষ্টুমিষ্টি ভালোবাসাগুলো যুগ যুগ ধরে। আর পৃথিবীটাও তাদের ভালোবাসায় সুন্দর ও আনন্দময় হয়ে উঠুক।