দুষ্টু ছেলে ও মেয়ে

দুষ্টু ছেলে ও মেয়ে

আনিকা–আমি আপনাকে ভালবাসি
আমি–আমার ভালবাসার বয়স হয়নি

–তাহলে কিসের বয়স হয়েছে
–ভাল লাগার বয়স হয়েছে
–কি বলে,মাস্টার্স পড়া ছেলের না কি ভালবাসার বয়স হয়নি,,,,তা আপনি কি এখনও ফিডার খান
–না,আমি দুধ খাই
–কি , দুধ
–হ্যা

এরপর আর কথা বলেনি,, সোজা আমার রুম থেকে পদত্যাগ করেছে। যাক বাবা,, আপদ বিদেয় হয়েছে। কিন্তু আমি যানি এ আবার আসবে,, তবে এর ফাকেআমার পরিচয়টা দিয়ে দেই।আমি এমদাদুল,,, মাস্টার্স ফাইলান ইয়ার। আর আমি আমার বাবা মায়ের একমাত্র বড় ও ছোট ছেলে আর ইনি,,, ইনি হচ্ছেন আনিকা,,, বাড়িওয়ালার মেয়েএবার ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ছে ,আর আমরা তাদের বাসার দুতলায় থাকি,,,, আবার চলে এসেছে,,, এ মেয়ে মনে হয় আমার সংগে লাগা ছাড়া আর কোন কাজ নেই,

–আবার কি?
–না আপনার জন্য দুধ নিয়ে এসেছি
–কি
–দুধ,,,আপনি না বেশি পছন্দ করেন,তাই নিয়ে আসলাম (এ মেয়ে বলে কি)
–আমি বললাম আর আপনি নিয়ে এলেন,
–কি করব আপনি পছন্দ করেন,, সেরজন্য নিয়ে এলাম
–আমারে কেউ বুড়ি গংগার নদীতে নিয়ে চুবা।

কেন যে এই মেয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল, আল্লাই জানে,,,, আপনাদের এক মাস আগে নিয়ে যাই আমরা এ বাসায় নতুন এসেছিলাম,,,,, সেদিন রুম গোছাতে গোছাতে চলে গিয়েছিল। পরেরদিন বিকালে গিয়েছিলাম ছাদে, নতুন পরিবেশ তাই একটু দেখার জন্য উঠে ছিলাম  সেখানেই ঘটল সমস্যা

–কে আপনি,,, অনুমতি না নিয়ে ছাদে উঠেছেন কেন(অপরিচিত কন্ঠ)
–আমি কে তা দিয়ে কি করবেন,, এখন এই বাসায়  যতদিন আছি,, ততদিন এই ছাদে আমার অধিকার আছে।
–কি,, যানেন আমি কে?
–সেটা না জানাই ভাল,,আমার ইন্টারেস্ট নেই আপনার উপর
–এত ভাব কাকে দেখান (এর আগেই চলে এসেছি,, আরে বাবা ভাল করে বললেই ত আমি চলে আসি,,দূর এ মেয়ে না, একটা বজ্জাত মেয়ে এটাই মেয়ের সাথে প্রথম দেখা,,,, কি বজ্জাত! কি বজ্জাত! সকাল সকাল কলিংবেলের আওয়াজে ঘুম ভাংগল কিন্তু কেউ দরজা খুলছে না কেন

–মা, ও মা, দরজাটা খুল
–আমি রান্না ঘরে,, তুই খুলে দে বাবা!
–খুলছি  দরজা ওপাশে বজ্জাত রমনী দাড়িয়ে আছেন
–তা জ্বালাতে জ্বালাতে একে বারে শেষ করে দিলেন ,,কি হয়েছে কি! সকাল সকাল ভিক্ষা নিতে হাজির হয়েছেন
–কি! আমি ভিক্ষুক
–এ একটা আস্তা বজ্জাত মেয়ে
–কি আমি বজ্জাত দাঁড়ান দেখাচ্ছি মজা
–কি মজা দেখাবেন, হ্যা
–দেখবেন কি মজা দেখাই
–যান যান, যা পারেন করেন (মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল, কিন্তু কি করবে কে যানে,,, না না একে বিশ্বাস করা যায় না, সতর্ক থাকতে হবে,,,, ভার্সিটি থেকে ফিরে এসেই, দেখি বজ্জাত মেয়েটা আমার রুমে,, সারাটা দিন মনে হয় এই বাসায় থাকে

–এই বজ্জাত মেয়ে আমার রুমে কি?
–এটা আপনার রুম, জানতাম নাত!
–সেটা আপনাকে না জানলে ও হবে
–কয়েকদিন পরত এটা আমারই রুম
–কি
–কিছু না(বলেই হন হন করে চলে গেল) কি কয় মেয়েটায়, ওর রুম মানে,।না না না এর সাথে ১৪৪ দ্বারা জারি করতে হবে। কয়েকদিন যাবত একটা গল্প লিখছি,,, ইভেন গল্প না আমার জিবন কাহিনী লেখছি, ভাবছি আজ এটা শেষ করব লেখে।কিন্তু ডায়েরী,, যেখানে রেখেছিলাম সেখানে নেই,,, তার মানে ওই বজ্জাত মাইয়াটার কাজ এখন কি করি,। না না বসে থাকলে হবে না, কিছু একটা করতে হবে। এখন ওদের বাসার কলিংবেলে যা শক্তি আছে, তা প্রয়োগ করছি।

ওর বাবা: আরে এমদাদ যে,আস ভিতরে আস

–আনিকা কোথায়,
–কেন বাবা,ওত একটু বাইরে গেছে
–ওহ,তাহলে আপনাকে বলি, আনিকা আসলে ওকে বলবেন।,,,, আমি ওর সাথে ১৪৪দ্বারা জারি করেছি,,,যদি ভুল বসত আপনার মেয়ে আমার রুমের ত্রি সীমানায় পাওয়া যায়, তবে ডায়রেক্ট ফায়ার করা হবে।
–কি
–হ্যা,যা বললাম, এখন আসি কয়েক ঘন্টা পর?

আনিকা–এই তুমি আমার বাসায় গিয়ে না কি হুমকি দিয়েছ

–কে বল
–কেন,,,তুমার হবু শশুর আংকেল
–কি ওই বেটা আমার শশুর,,, ওই মেয়ে তর সাথে ১৪৪ দ্বারা জারি করছি,,, যা ভাগ নইলে

–নইলে কি
–নইলে, কালকের পত্রিকার হেডলাইন হবে এক তরুন যুবকের হাতে তরুণী,,,,, (আর বলতে পারিনি)
–চুপ(রাগ করে) আসলে আমি যানি ও আমাকে অনেক ভালবাসে। ইভেন আমিও ওকে ভালবাসি, কিন্তু ওকে না কেপাতে আমার ভাল লাগে,, তাই কেপাই
–আমার ডায়েরী টা
–বললাম না চুপ,,, আর ডায়েরী, ওটাত আমার মনের ভিতর নাড়াচাড়া করছে।দরকার হলে আমার মনের ভিতর ঢুকে আন
–এ, কি কয় মাইয়ায়) আমিত অজ্ঞান যখন জ্ঞান ফিরল তখন নিজেকে বিছানায় আবিষ্কার করলাম। পাশে মা আর বজ্জাত মেয়েটা

মা: অজ্ঞান হলি কি ভাবে

—মা,এই মেয়েটা আমাকে আবোল তাবোল কি যেন বলেছে যার কারণে আমার মাথাটা ভারি হয়ে গেছে
–কি বলছে মেয়েটা
–তা বলতে পারব না, আনিকা: মা ও শুধু শুধু আমার উপর দোষ দিচ্ছে (এ, এ কি কয় মাইয়ায়, আমার মা রে মা ডাকে কেন)আমিত আবার জ্ঞান হারালাম সকাল সকাল ডেকে মাই তুলে,,, আজও

–এই উঠ
–মা,একটু পর উঠব
–কি, আমি মা
–আপনি না মানে তুমি
—হ্যা, আমি
–তুমি আমামার রুমে কি কর
–কিছু না,তুমাকে ঘুম থেলে তুলতে আসলাম
–চুপ। আজত এর একটা কিছু করতে হবে।মা””” (জোড়ে জোড়ে ডাকতে লাগলাম))
–কি হয়েছে, ষাড়ের মত চিল্লাস কেনে
–মা,আজ একে একটা কিছু করতে হবে
–কি করবি
–একে এমন শাস্তি দেয়া দরকার যেন সব সময় মনে  থাকে।
–কি শাস্তি দিবি!
–মা,একে শাস্তি দিতে হলে, একটাই উপায় আছে
–কি
–একে বিয়ে করব
–কি (অবাক হয়ে)এর সাথে এমনিতেই বিয়ে ঠিক হয়ে আছে
–কি
–হ্যা(আনিকা মেয়েটা মিটমিট করে হাসছে)

কি যানি বিয়ে করে যদি আবার প্যারা দেয়া শুরু করে। যে হাড়ে বজ্জাত মেয়ে তাই বিয়ে করেই একটা ডিভোর্স পেপার তৈরি করে  রাখব। যদি শায়েস্তা করতে না পারি তাহলে ডিভোর্স? কি বলেন আপনারা?????

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত