—ওগো,দরজাটা কি খুলবে? নাকি সারারাত আমাকে ঘরের বাইরে দাড় করিয়ে রাখবে! (রোমান)
—(কান্না করে)তুই এই ঘরে আসবিনা,
ঘরের বাইরেও দাড়াবি না,যা ওই
সুন্দর
মেয়ের কাছে যা
এখানে কেন এসেছিস?(নিশি)
—ওগো,সরি গো,ভুল হয়ে গেছে
আর হবেনা,এবার আমার বউয়ের মুখটা
একটু
দেখতে দাও(রোমান)
—(কান্না করে)তোকে আমার মুখ
দেখতে
হবেনা,
তুই যা ওই মেয়ের মুখ দেখ(নিশি)
এবার সত্যিই আমি বাইরে চলে
আসলাম(কোন
মেয়ের কাছে না,দোকানে আসলাম)
দোকানে এসেই একটা সিগারেট
নিয়ে আবার
চললাম বাড়ির দিকে
—এই যে দরজাটা কি খুলবেন?
(রোমান)
—হুম! কেন ওই মেয়ে জায়গা দেয়নি?
দেখা তো করে আসলা(নিশি)
—হুম,জায়গা দেয়নি,এখন দরজাটা
খোল
(রোমান)
—শয়তান,যা যা ওই মেয়ের কাছে
যা,তুই আর
এই ঘরে আসবিনা(নিশি)
—আচ্ছা,আমি আর আসবনা,এই গেলাম
ওই
মেয়ের কাছে(রোমান)
—ওই কুত্তা,দাড়া(নিশি)
দরজা খুলে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে
এসে
আমার শার্টের কলার চেপে ধরল
—ওই কুত্তা,কই যাস?
চুপচাপ ঘরে আয়(নিশি)
এই বলে আমার কলার চেপে আমাকে
রুমে
নিয়ে পাগলিটা দরজা লক করে দিল।
অন্য রুমে গিয়ে কাঁদতে শুরু করল।এই
হলো
আমার পাগলি বউ নিশি।
পাগলিটা খুব অভিমান করে।কিন্তু
আমাকে
অনেক ভালোবাসে।
আজ বিকালে নিশিকে নিয়ে ঘুরার
সময় এক
বান্ধবী মিতার সাথে দেখা
অনেক হাসি-মজার কথায় দুষ্টামি চলল
আমি ইচ্ছা করেই নিশিকে
রাগানোর জন্য
মিতার সাথে অনেক ক্লোস হয়ে কথা
বললাম
পাগলিটা শুনে কিছুনা বলেই বাসায়
আসল
আমি ঘরে ঢোকার সময় দরজাটা
আটকে দিল
আর ঘরে অনেক কাঁদল
আমি এতটা রাগাতে চাইনি
কিন্তু বুঝলাম পাগলিটা অনেক কষ্ট
পেয়েছে
এখন কি আর করার!
নিজের কপাল নিজেই ফাটালাম
রাত ১০টা।
দেখলাম আমার রুমের দরজা খুলেছে
দেখি খাবার নিয়ে বসে আছে
কিছু না বলে চুপচাপ ওর সামনে গিয়ে
বসে
থাকলাম
কতক্ষণ পর ও বলল”
—বসে আছ কেন? খেয়ে নাও(নিশি)
—তুমি ও খাও(রোমান)
—(রেগে)কথা না বলে চুপ করে খাও
(নিশি)
দেখলাম কেঁদে কেঁদে মুখটা লাল
করে
ফেলেছে
—ওই SORRY,তোমাকে একটু রাগানোর
জন্য
এমন করেছিলাম,বুঝতে পারিনি তুমি
এতো
কষ্ট পাবে(রোমান)
–ভালো,এখন খেয়ে নাও(নিশি)—হুম
,তোমাকে খাইয়ে দেই!(রোমান)
—তো!!! আমি কি নিজের হাতে
কখনো
খেয়েছি নাকি!!(নিশি)
—হুম,
পাগলিটাকে খাইয়ে দিয়ে
খাওয়া শেষ করে যখন উঠতে গেলাম
তখন ও বলল”
—কি?? উঠছ কেন???(নিশি)
—মানে! খাওয়া শেষ তো(রোমান)
—চুপচাপ খেতে থাকো,
আমি যতক্ষণ বলব! ততক্ষণ খাবে
একটা কথা বলবে! তো বাইরে রাত
কাটাতে
হবে(নিশি)
আমি শুধু তাকিয়ে আছি। এটা কোন
ধরনের
শাস্তি!!
একটা মানুষ আর কতো খেতে পারে!!
তবুও ৪প্লেট ভাত খাওয়ার পর উঠতে
দিল।
ততক্ষণে আমি শেষ।
পেট ব্যথায় আর নড়তে পারছিনা
কোনরকম রুমে গিয়ে ঘুমাতে যাবো!!
তখন নিশি এসে বিছানার মাঝে
বালিশ
দিয়ে বিছানা ভাগ করে দিল। আর
একপাশে
শুয়ে পরল
তার আগে আমাকে বলল”
—একা আমার ঘুম হয়না,তাই
বিছানায় জায়গা পেয়েছ,তবে
আমাকে স্পর্শ করলে তোমার খবর
আছে!!
(নিশি)কিছু না বলে চুপ করে শুয়ে পড়লাম
কিন্তু পেটের ব্যথায় আর ঘুম আসেনা
কতক্ষণ পর দেখি
নিশি ঘুমায়নি,আর দেখছে আমি
ঘুমিয়েছি
কিনা!
আমি চোখ বুজে থাকলাম
আর কিছুক্ষণ পর
নিশি বিছানার মাঝের বালিশটা
সরিয়ে
আমার বুকে মাথা রাখল
অনুভব করলাম বুক ভিজে গেছে।
মানে পাগলিটা কাঁদছে।নাহ,আর
পারলাম না
পাগলিটাকে শক্ত করে জড়িয়ে
ধরলাম।
দেখলাম,নিশি কাঁদো কাঁদো চোখ
নিয়ে
আমার দিকে তাকাল,কিন্তু কিছু বলল
না।
পরে আমিই বললাম”
—SORRY(রোমান)
—হুম(নিশি)
—ওই SORRY(রোমান)
—হুম(নিশি)
—SORRY,আর এমন করবনা
প্লিজ এবারের মতো ক্ষমা করে দাও!
(রোমান)
—(কেঁদে কেঁদে)শয়তান,কুত্তা আমাকে কাঁদাতে ভালো লাগে! তুমি জানোনা তুমি অন্য কোন মেয়ের সাথে কথা বললে আমি কতো কষ্ট পাই। তুমি কেন ওই মেয়ের সাথে এতো দুষ্টামি করতে গেলে? তাও আমার সামনে! (নিশি)
—আর করবনা,শুধু এইবার ক্ষমা করে দাও (রোমান)
—আর কখনো করবে??(নিশি)
—আর কখনো করবনা(রোমান)
—হুম,এখন আমাকে জড়িয়ে ধরো,ঘুম পাচ্ছে,ঘুমাব(নিশি)
রাত ২টা বাজে,
চারদিকে সব নিস্তব্ধ। জানালা দিয়ে জোৎনা চাঁদের আলো উকি দিচ্ছে, আর আমার পরীটা আমার বুকে ঘুমিয়েআছে।
হুম অনেক ভালোবাসি আমার পাগলিটাকে। সারাজীবন আগলে রাখব,কারন এই পাগলিটাকে ছাড়া একটা মুহূর্ত আমি
কি
করব! সেই ভাবনা আমার হৃদয়ে কম্পন করে।
সমাপ্ত