-hi
-hello
– ভালো আছেন?
-জি ভালো আছি
-তা কি করছেন??
-আপনি যা করছেন তাই করছি,
-মানে?
-আপনি ও ফেছবুক ইউস করছেন আর
আমিও,,
-(মুচকি হেসে) লিখলো আপনার নাম টা
আপনার নাম টা জানতে পারি?
-কেনো দেয়া আছে তো আইডি তে
– না মানে আপনি বললে আরো একটু বেশি
ভালো লাগতো
– ওহ!! তাই বুঝি???
-হুম,কেনো বিশ্বাস হয় না?
_হুম হলো তো,,আমার নাম ছোয়া, আর
আপনার???
– হটাত করেই এসএমএস আসা বন্ধ হয়ে
গেলো,,,,,,,মেয়েটি ভাবতে লাগলো কি
হলো??
১০ মিনিট পর ছেলেটি আবার এসএমএস
করলো,,আচ্ছা আপনার একটা পিক
দেখতে পারি????
-কেনো এভাবে না দেখে কি কথা বলা যায়
না?(অবাক হয়ে)
এভাবেই কথা বলতে বলতে মেয়েটি ঘুমিয়ে
পড়লো,,
ঘুম ভাঙার পর ফোন হাতে নিয়ে দেখলো
অনেক গুলো এসএমএস জমে আছে
ইনবক্স এ,,,,
– ছেলেটি লাইন এ নেই তবুও মেয়েটি একটা
এসএমএস করলো ছেলেটিকে,,
কিছুক্ষন পর ছেলেটি মেয়েটির এসএমএস
দেখে অনেক টাই অবাক হয়ে গেলো,,,
এসএমএস টা ছিলো Sorry
– ছেলেটি ভাবতেও পারে নাই মেয়েটি ওকে
Sorry বলবে।
– ছেলেটি এসএমএস করলো ভালো
আছেন?
– হুম।।।কিন্তু আপনি একটা কাজ ভালো
করেন নাই
-(অবাক হয়) আমি কি করলাম???
– কাল নাম জিজ্ঞাস করেছিলাম আপনার
উত্তর দেন নাই,,(অভিমানের সুরে)
-ওহহ আসলে ভুলেই গিয়েছিলাম,দুক্ষিত,
আমার নাম হিমেল,,
– হুম খুব সুন্দর,
– আচ্ছা কাল আপনার কাছে আমি একটা
জিনিস চেয়েছিলাম,,,কিন্তু………??
– কি জিনিস?? আমি কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি
সব ভুলে যাই,,,,,,,
আপনি দয়া করে আবার বলুন
– না মানে,,,(ভয়ে ভয়ে)একটা পিক
চাইছিলাম
– ওহ আচ্ছা তাই না??
– হুম
– মেয়েটি অর্ধেক মুখ ঢেকে একটা পিক
দিলো,,আর বললো,,,এবার happy??
-(একটু অসন্তুষ্টি নিয়ে) অর্ধেক চেহারার
পিক দিলেন যে??আপনি কি আমাকে
বিশ্বাস করতে পারছেন না??
-ইয়ে মানে আমি আর দিতে পারবো না
দুক্ষিত,,
– প্লিজ আপনি আমাকে আর বাকি ১০ টা
ছেলের মত ভাববেন না,,,,প্লিজ একটা ফুল
পিক দেন,,, প্লিজ প্লিজ প্লিজ
( আবেগ ভরা মন নিয়ে)
– আচ্ছা দিতে পারি কিন্তু…
-কিন্তু কি বলুন????
– আপনি কাউকে দিতে পারবেন না
promise করুন,
– ওকে আপনার কথা আমি মেনে নিলাম
অতপর মেয়েটি একটি বোরকা পরা পিক
দিলো,,কিন্তু চেহারা টা পুরাটাই দেখা যাচ্ছে
)>দুজনেই চুপ হয়ে রইলো কেউ কিছু লিখছে না কাউকে
কিছুক্ষন পর ছেলেটি বললো আপনি খুব
সুন্দর,,,আর বোরকায় আপনাকে আরো
বেশি ভালো লাগছে,
– সত্যি বলছেন??
– হুম।।কেনো আপনি জানেন না?
– কই না তো,,,আচ্ছা সকালের নাস্তা
করছেন?
– এখনো না,
-খেয়ে নিন,, আমি এখন খাবো,,টাটা
খাওয়া দাওয়া শেষ করে,,,
ছেলেটি লাইন এ এসে দেখলো মেয়েটি লাইনেই আছে,,,,
ছেলেটির খুশিরর কোন সিমা নেই।
তবুও একটু ভয়ে ভয়ে একটা
sms করলো,,✈✈✈
– আপনি কি ফ্রি নাকি ব্যাস্ত?
– ফ্রি আছি,
কেনো বলুন তো?
– না মানে,,,, কথা বলবো তাই
– ওহহ আচ্ছা,,,,
– একটা কথা বলবো???
– হুম বলেন,,,
– আচ্ছা আমরা কি তুমি করে
কথা বলতে পারি না????
– ওকে।।।আপনি আমাকে তুমি করেই
বইলেন,,সমস্যা নাই,
– আর আপনি?
– আর আমি কি??
– আপনি আমাকে তুমি করে বলবেন না??
– না,,,না,,,সে কি করে হয়??
– কেনো হয় না বলুন তো??
– আপনি তো আমার চাইতে
বয়সে অনেক বড়,,,,,আমি আপনাকে
কি করে তুমি করব বলি বলুন তো??
– তাতে কি হইছে??
– না আপনি বইলেন।আমার বলা লাগবে না
– আচ্ছা থাক!! (কষ্ট ভরা মন নিয়ে)
তাহলে আপনি করেই বলি
– ওকে ওকে,,আমিও বলবো তুমি করে
এবার খুশি তো???
– হুম অনেক
– আচ্ছা তোমাকে একটা
কথা জিজ্ঞাস করি??
– হুম,, করো?
– ইয়ে,, মানে, তোমা….
-কি ইয়ে মানে মানে শুরু করছো বলো তো?
– রাগ করবা না তো??
– আজব তো!!!
রাগ করবো কেনো???
– তোমার কি কারো সাথে রিলেশন আছে??
– হাহাহাহা (অট্ট হাসি দিয়ে)
এটা জিজ্ঞাস করতে
এতো টা ভয় পেয়ে গেল??
– হুম,,
– নাহ,,,আমার কোন Bf নাই,
– ওহ,ভালো,
– কেনো আপনার gf আছে নাকি?
– নাহ আমারও নাই
একজন ছিলো কষ্ট দিয়ে চলে গেছে,,
– ওহহ
– আমি এখন অফিসে আছি,
একটু ব্যাস্ত হয়ে পরেছি
পরে কথা বলি প্লিজ???
– হুম কেনো নয়?
ওকে,,,টাটা
দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়ে এলো,,
ছেলেটি লাইন এ এসে দেখলো মেয়েটি একটি এসএমএস করেছে,,
– কি বেপার কয়টা আইডি তোমার হুম ?
– আসলে ওই আইডি টা এমনি মাঝে মাঝে
use করি এই আর কি
– তা বেশ,,আমি কিন্তু রিমুভ করে দিছি
ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট,,,(মুচকি হেসে)
– ওহহ
– আরে তুমি কি রাগ করলা নাকি?
– নাহ!! রাগ করার কি আছে?
– আরে আমি এক্সেপ করেছি
চিন্তার কোন কারন নেই
– ওহ thanks
-হুম
-আচ্ছা তোমার বাড়ি কোথায়? সেটাই
জানা হয় নাই এখন পর্যন্ত,
– কেনো বাড়িরর ঠিকানা দিলে কি
আসবা নাকি বাসায়?
– যদি ঠিকানা দাও আর অনুমতি দাও তবে
আসতে পারি
– এই জন্যই তো দিবো না,,,,
-!!!!! আচ্ছা বাবা যাবো না তোমার
বাসায় তবুও বলো কোথায় থাকো??
– কেনো বাসায় থাকি,(রসিকতা নিয়ে)
– হুম,, কিন্তু বাসা টা কোথায়?
– ভুলে গেছি
– কি???
– হাহাহা।।আমার বাড়ি গাজিপুর
– সত্যি??
– হুম,,,কিন্তু তুমি এতোটা
অবাক হলে কেনো?
– না মানে আমিও ওই খানেই থাকি
আচ্ছা তুমি এখন কি করবে?
– কিছু না,,এমনি টিভি দেখবো
কেনো বলো তো???????????
– না,,,,, তেমন কিছু না, তোমাকে একটা
কথা বলার ছিলো তাই,
– হুম বলো,
– এখন না,,তুমি আবার যখন
লাইনে আসবা তখন,,,,,,,,,
– কেন এখনি বলো
– নাহ,, প্লিজ
– ওকে,,
– সাবধান এ থেকো
– হুম তুমিও
– আর একটা কথা ছিলো
– কি??
-SorRy
– কিন্তু কেনো বলো তো?তুমি তো আমার
সাথে কোন ভুল করো নাই
– সেটা পরে বলবো
– আপনি না খুব আজব একজন মানুষ
– হুম জানি
– কচু জানেন
– সেটা আবার কিভাবে জানে?
– উফফফ,,,জানি না,,,,
টাটা,,
লাইন এ আসার পর যা দেখলো
সেটার জন্য মেয়েটি প্রস্তুত ছিলো না,,,,
মেয়েটি অবাক হয়ে
মোবাইল হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে
কি হলো এটা??
চেহারায় যেন হাজারও প্রশ্নের ছায়া
ভেসে উঠেছে,,,,
মেয়েটি দেখলো,,,,,,
ছেলেটি তাকে
একটা এসএমএস লিখে
মেসেঞ্জার থেকে ব্লক করে দিয়েছে
এসএমএস টি ছিলো,,,,,,,,,
ছোয়া আসলে আমি নিজের অজান্তেই তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি💜💜
কিন্তু,,,,,,,,,,,,,,,, আমি জানি
আমার এই কথা টা শুনার পর
তুমি আর আমার সাথে
কথা বলবা না
তাই আমি নিজে থেকেই দূরে সরে গেলাম
কারন,,,,,,,
আমি তোমাকে ভালোবাসি।
ভালো থেকো পিচ্চি
love u so much
মেয়েটি বুঝতে পারছিলো না যে
কি করবে সে,,,,,,
ছেলেটির SMS এর
একটি শব্দ যেন বার বার তার কানে
বাজতে লাগলো,,,,,
সেই পিচ্চি ডাক টা,,
এভাবেই কেটে গেলো কয়েক ঘন্টা,,,কিন্তু কোন উপায় খুজে পেলো না মেয়েটা,,,
নিরাশ হয়ে বসে আছে একা,,,,
বেশ কিছুক্ষন পর,,,,,
মেয়েটার মুখের এক কোনায়
একটু হাসির ঝিলিক দেখা গেলো
ছোয়া তখন হিমেল কে একটি এসএমএস করলো,,,,
এসএমএস টা করেছিলো
নতুন সেই আইডিটাতে,,যেটা আজ সকালে এক্সেপ্ট করেছিলো,,,
– এই তুমি কি পাগল????
কিন্তু ছেলেটি তখন লাইন এ ছিলো না,,,
২০/২৫ মিনিট পর
মেয়েটি বুঝতে পারলো যে
হুম,,,,,,,,,,, হিমেল এসেছে লাইনে
– হুম আমি তো পাগলই
– কি বেপার??? তুমি আমাকে
ব্লক করলা কেনো হিমেল??
– না মানে Sorry
– কেনো??
– ব্লক করার জন্য
– ব্লক করে এখন আবার ঢং করা হচ্ছে??
– নাহ,,আমি ঢং করতে পারি না
– হইছে হইছে,,,,,,,,,(অভিমান নিয়ে)
আর নেকামি করতে হবেনা,,,হুহ
-আচ্ছা,,
– আবার কিসের আচ্ছা??আনব্লক করো
– ওকে
– এই শুনো, মানুষের মানুষকে ভালো
লাগতেই পারে,,
তাতে এই রকম করার কি আছে??
– আসলে আমি বুঝতে পারি নাই যে তুমি
বেপার টা হাল্কা ভাবে নিবা,,,ভাবছিলাম….
– হুম কচু ভাবছো
– আবার কচু??
– আচ্ছা বাদ দিলাম,,
– ধন্যবাদ
উত্তর টা যে দিলে না??
– কিসের উত্তর??
– নাহ কিছু না,,
– ওকে,, হিমেল শুনো,,,,ঘুমাইয়া যাও
আমার খুব ঘুম পাইছে,,শুভ রাত্রি
– ছোয়া??
উত্তর নেই কোন,,,
এবাবেই কথা বলতে বলতে কেটে গেলো
কিছু দিন,,,,,,,
হিমেল নানান ভাবে
মেয়েটি প্রপোজ করেই চলেছে,,,,,,,, কিন্তু মেয়েটির দিক থেকে কোন আশা পেলো না,
ছোয়া শুধু ইগনোর করতো
হিমেলেই সেই প্রপোজ এর কথা গুলো।।
তবুও পাগলের মত চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে হিমেল,
– ছোয়া আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি
– হিমেল ভালো আছো?
– ছোয়া ভালোবাসি তোমাকে
– হুম,কি করছো?
– ছোয়া প্লিজ,,,ইগনোর করো না
আমি সত্যি আমি তোমাকে
ভালোবাসি,,
– আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো,,,, ,কিন্তু আমার কিছুই করার নেই,,,,, I am sorry
– কিন্তু কেনো??
– জানি না,,
– আচ্ছা তোমার কি আমাকে ভালো লাগে না??
– হুম লাগে।তাই বলে কি ভালোবাসতে হবে?
– তাহলে কেনো তুমি আমাকে গ্রহন করছো
না প্লিজ বলবা??
– হিমেল Try to understand , আমি
relation এ জড়াতে পারবো না
– কেনো?
-এমনি
– এমনি কি আবার কেউ না করে নাকি?
– আমি ইচ্ছা করলেও জড়াতে পারবো না
– (অবাক হয়ে) কেনো বলবা তো
– কিছু না,,
এই ভাবে কেটে গেলো আরো কিছু দিন।
ছেলেটির পাগলামি বাড়তেই লাগলো
– এই দিকে মেয়েটিও অনেক টা দুর্বল হয়ে
পড়েছে ছেলেটির উপর।
হটাত একদিন ছেলেটি বললো তুমি আমাকে ভালোবাসো কি না??
-মেয়েটি ভাবছিলো কি বলবে,,,
– কি হলো উত্তর দাও
– না বাসি না,
– তবে আজ তার প্রমান দাও যে তুমি
আমাকে ভালোবাসো না,,,
– এটা আবার কেমন কথা??
– হুম,,যদি তুমি আজ প্রমান করতে পারো
যে তুমি আমাকে ভালোবাসো না,,,,,,,,,
তবে আমি চলে যাবো
তোমার জীবন থেকে promise,,,,,,,,
– এই কথাটি শুনে মেয়েটির চোখের এক কোনায় জল চলে আসলো,,,,
মেয়েটি নিজেও জানে না কেনো তার চোখে জল আসলো
– তবুও সে বুঝতে দিলো না হিমেল কে
কিছুই।শুধু বললো কি প্রমান বলো
হিমেল বললো,,,,
-আজ আমি সারা রাত জেগে আমি নিজেকে কষ্ট দিবো,,,,যেই হাত দিয়ে এসএমএস লিখি তোমাকে সেই হাত কাটবো,,মদ খাবো, আরো অনেক নেসা করবো,
যদি এসব দেখার,, ও জানার পরও তুমি
আমাকে বাধা না দাও তবে আমি ভাববো তুমি আমাকে ভালোবাসো না
– মেয়েটি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলো,,,তারপর ও কিছুই বললো না ছেলেটিকে,
মেয়েটি ভেবে পাচ্ছিলো না যে সে কি করবে??????
তার কি করা উচিত,,
কিন্তু যতটুকুই পারলো নিজেকে শক্ত রাখার চেষ্টা করলো,
এই দিকে ছেলেটি যা বলেছে তা করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে,
কিন্তু এখনো সে মেয়েটির একটি এসএমএস এর অপেক্ষা করছে,
মেয়েটি কিছুতেই নিজেকে শান্ত রাখতে পারছে না,,
মেয়েটি ছেলেটিকে বললো
– হিমেল তুমি এই রকম কিছু কইরো
না,আমি তো তোমার একজন ভালো ফ্রেন্ড,,,ফ্রেন্ড এর কথা তুমি রাখবা না??
– আজ আমি আমার ভালোবাসার পরিক্ষা
নিবো বলে প্রস্তুত,,
এখন বন্ধুত্ব না হয় থাক,
যদি পারো তবে জীবনসঙি হিসাবে না করো
– আজ যদি যদি তুমি না প্রমান করো যে
তুমি আমাকে ভালোবাসো না তবে আজ
মদের নেসার কাটার সাথে সাথে তুমিও
কেটে যাবে,, চিন্তা করো না
– মেয়েটি কিছুই বললো না,,,শুধু ২ বার
না করে বের হয়ে গেলো লাইন থেকে, রাতে কেউ ঘুমাতে পারে নাই।
পরের দিন সকাল
সকাল বেলা মেয়েটি এসএমএস করলো
– কেমন আছো??
– এইতো ভালোই
– কি করছো এখন?
– কিছু না
– আমাকে ভুলতে পারছো??
– জানি না
– উত্তর দাও,,ভুলতে পারছো আমাকে?
– না,
– কেনো?
– জানি না
– কি জানো তাহলে??
– বলবো?
– হুম,,,বলো
– তোমাকে ভালোবাসি এটাই জানি
-কি করতে পারবা আমার জন্য?
– জানি না,,শুধু জানি ভালোবাসতে পারবো
– কুত্তা,,,তুই ভুলে জা আমাকে
– (অবাক হয়ে) কি??
– এই শুন,আমার যখন রাগ হয় তখন আমি
সবাইকে তুই করেই বলি,,কেনো কোন
প্রব্লেম আছে নাকি???
– না,
– তুই আমাকে ভুলে যা,,,পাগলামি করিস না
– আমি যে তোকে খুব ভালোবাসি রে পাগলি
– এই আমি পাগলি??
– হুম,,,পাগলিই তো
– আর তুই কি??
– ভালো ছেলে
– ইসস তুই একটা হারামি
-আচ্ছা আমি হারামি,,,, এই হারামি টাকে একটু ভালোবাসতে পারবা না তুমি?
– নাহ,
এভাবেই বাড়তে লাগলো তাদের ঝগড়া,, দুষ্টামি,, রাগ।, অভিমান,,ভালোবাসা
দিন যত যাচ্ছে ছোয়া ততই হিমেলকে ভালোবেসে ফেলছে,,
ছোয়া বুঝে গেছে যে সে হিমেলের প্রেমে পড়ে গেছে,,
হিমেল প্রতিদিন তাকে একবার হলেই নিজেএ মনের কথাটা বলে
ছোয়া আর পারছিলো না নিজের মনের কথা
টা লুকিয়ে রাখতে,,এই দিকে আবার
লজ্জায় বলতেও পারছিলো না,,
একদিন ঠিক করলো যে আজ হিমেলকে
আজ বলে দিবে
– কি করছো হিমেল?
– এই তো ছোয়া বারান্দায় বসে আছি,,তুমি?
– তোমাকে একটা কথা বলার ছিলো
– কি?
ছেলেটি অনেক আশা নিয়ে মেয়েটিকে আবার জিজ্ঞাস করলো ,
– কি বলব ছোয়া??
– আমি…………?
– তুমি কি বলো?
কিন্তু মেয়েটি বলে উঠতে পারলো না,
– আজ আমি ঘুরতে যাবো,,, এই কথা বলে
কাটিয়ে দিলো নিজের মনের কথা,
পরের দিন ছিলো হিমেল এর জন্মদিন,
রাত তখন ১১-২০ মিনিট,,,
হিমেলল অপেক্ষা করে আছে যে ছোয়া
তাকে wish করবে,
কিন্তু,,,,,,,,,,,,,,,,,ছোয়ার কথা শুনে মনে
হচ্ছে না যে তার জন্মদিনের কথা ছোয়ার
মনে আছে,
হিমেল মন খারাপ করে কথা বলেই চলেছে,
কথা বলতে বলতে
রাত যখন ১১-৫০ মিনিট,,,,
তখন ছোয়া বলছে
– হিমেল আমার খুব ঘুম পাইছে,,
আমি ঘুমাবো,,,শুভ রাত্রি
– ওহহ আচ্ছা,,ঠিক আছে তবে ঘুমাও,
– একটা কথা বলার ছিলো তোমাকে হিমেল
– কি কথা ছোয়া?
– আমি…??
– কি? (আগ্রহের সাথে)
এই রকম করতে করতে যখনি ১২টা
বাজলো সাথে সাথে ছোয়া হিমেল কে
Birthday wish করলো,,
অনেক গুলো পিক ইডিট করে ওর
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানলো,
– শুভ জন্মদিন হিমেল
– তোমার মনে আছে যে আজ
আমার জন্মদিন?
– হুম,,,,কেনো তুমি কি ভাবছিলা??আমি
ভুলে গেছি?তোমাকে Wish করবো না
এটা ভাবছিলা??
– হুম
– এটাই তো মজা হিমেল বাবু
– ধন্যবাদ ছোয়া,,
– It,s ok
– আমি সত্যি খুব খুশি
– কেনো??
– এই যে আমার জন্মদিনে তুমি প্রথম
আমাকে wish করলা তাই
– ওহ তাই বুঝি??
– হুম ছোয়া,,I love u so much
– আবার??
-হুম,,,আমি তো তোমাকে ভালোবাসি,
তাই সব সময় এটা বলবোই,
দেখবা একদিন তুমি নিজেও
আমাকে ভালোবেসে ফেলছো
এই কথা শুনে শুনে
– ইস,,,কখনোই না,, হুহ
– আচ্ছা দেখা যাবে
– অকে দেইখো,,
-শুভ সকাল ছোয়া
– হুম,,,শুভ সকাল
-জানো আজ না জন্মদিনের পার্টি করবো
তুমি আসবা প্লিজ?
– ওহ দুক্ষিত, আমি যেতে পারবো না,
– তুমি আসলে আমি খুব খুশি হতাম
– এত বেশি খুসি হওয়া ভালো না,
– আচ্ছা ওকে
– এখন তবে টাটা, অনেক কাজ বাকি আছে
– হুম,, সেটাই তো,যাও যাও
– কি হইছে?
– কিছুই না,টাটা
সকাল পার হয়ে দুপুর গেলো,
দুপুর পার হয়ে বিকাল হয়ে এলো,,,, কিন্তু হিমেলের কোন দেখা নাই
ছোয়া খুবmiss করছিলো হিমেল কে,,
সময় তখন ৫-৪০ মিনিট,
হিমেলের তখন দেখা পাওয়া গেলো,
– কি বেপার? আজ বন্ধু বান্ধবিদের সাথে
দেখা হয়ে কি এই বন্ধুটাকে ভুলে গেলা?
– নাহ,,এটা কি করে হতে পারে?
You are my heart,,আমি কি তোমাকে
ভুলে যেতে পারি বলো তো কলিজাটা??
– ওই চুপ। আমি কেনো তোমার কলিজা
হতে যাবো?? আর যদি হতামই তাহলে কি
এভাবে ভুলে থাকতে পারতে??
– ছোয়া একটা সত্যি কথা বলবা?
– আবার কি??
– তুমি কি আমাকে miss করছো??
– জানি না,,,সর সামনে ত্থেকে
– বলো না প্লিজ
– হুম,,একটু একটু
– উফফ!!! পাগলিটা তুমি আমাকে
ভালোবাসতে শুরু করছো
– কখনোই না,,,হুহ
– তাই বুঝি?
– হুম,,,আচ্ছা আজ তো মনে হয় খুব enjoy
করছো,,photoতুলছো,,কই দেখি কিছু
পিক দাও দেখি
– ওকে,,,একটু অপেক্ষা করো দিচ্ছি,,,
এই বলে হিমেল ছোয়াকে কয়েকটা পিক
দিলো,,,ওর কিছু মেয়ে ফ্রেন্ডস এর
সাথে,,একটু colse পিক,,ইচ্ছা করেই
দিলো দেখার জন্য যে এতে করে ছোয়ার
রিয়েকশন টা কি হয়?
– কে এগুলা??
– ফ্রেন্ডস,,, সুন্দর না??
– আমার তো মনে হচ্ছে তোমার gf
– আরে নাহ
– হুহ,ফ্রেন্ডস হলে আবার এই ভাবে পিক,
– তোমার কি হিংসা হচ্ছে??
চুুপ করে গেলো ছোয়া,,
ছোয়া নিজেই জানে না যে হিমেলের সাথে
ওর ফ্রেন্ডস দের ছবি দেখে ওর কেনো এত
হিংসা হচ্ছে???
– কি হলো ছোয়া??
– কই কিছু না,,
– চুপ করে আছো?
– এমনি,ভালো লাগছে না,পরে কথা বলি??
– কেনো গো?
– বললাম যে এমনি,
– তুমি চলে গেলে আমি কার সাথে কথা
বলবো?
– কেনো?? যাদের সাথে হাতে হাত রেখে
ছবি তুলছো,,যাদের ঘারে হাত রেখে ছবি
তুলছো,,,,,যাদের সাথে ক্রিম মাখামাখি
করছো,,তাদের সাথে কথা বলো আমি গেলাম,,, টাটা,,,
হিমেলের আর কিছু বুঝতে
বাকি রইলো না,,,
তার প্লেন টা এভাবে কাজে লেগে যাবে সে
ভাবতেই পারে নাই,,,
ছোয়া যে তাকে কত টা ভালোবাসে সেটা
ভেবেই হিমেল পুরো অবাক হয়ে গেলো।
অনেক ভাবার পর ছোয়া সিদ্ধান্ত নিলো যে সে হিমেলের প্রস্তাব এ সম্মতি দিবে,,,
হিমলকে ছাড়া সে থাকতে পারবে না,
কিন্তু বলবে কি করে সেই ভয়েই ছোয়া পুরো ভিতু হয়ে আছে,,
– কেমন আছো ছোয়া?
– এইতো ভালো,,, তুমি?
– হুম ভালোই, রাগ কমছে??
– কিসের রাগ?
– কাল যে পিক দেখে হিংসা করে রাগ করলা
– কখনোই না,, হুহ
– আমি বুঝে গেছি পাগলি,,তুমি আমাকে
ভালোবাসো,,,কিন্তু বলছো না কেনো বলো
তো?
– জানি না
– অনেক ভালোবাসি তোমাকে
– জানি না
– বলো না প্লিজ ছোয়া
– পারবো না
– প্লিজ
– পারছি না তো
– তুমি পারবা বলো
– তুই জানিস নাকি কুত্তা আমি পারবো?
– হুম জানি তো
– কিভাবে জানিস??
– কারন আমি যে তোকে ভালোবাসি
– হুহ
– প্লিজ বলো
– আমিও তোমাকে পারবো না বলতে
– প্লিজ প্লিজ প্লিজ
– আমিও তোমাকে ভালোবাসি
– উফফ,!!! পাগলি তুই জানিস না আজ
আমি কত খুশি,, thank you jan
– হইছে হইছে আর নেকামি করতে হবে না
– ধুর পাগলি আমি বুঝি নেকামি করছি?
– হুম,,,
– এটা বুঝি নেকামি?
– তা ছাড়া আর কি??
– ভালোবাসা কখনো ছেড়ে যাবিনা
তো?
– কষ্ট দিলে চলে যাবো
– ওকে দিবো না
– তাইলে যাইতাম না
– Love u so much pagli
– love u yoo pagol
এভাবেই দুজনের প্রেম হয়ে গেলো,,,ঝগড়া,, হিংসা,,ভালোবাসা,,মারামারি,,হাসি,আনন্দ,কান্না সব নিয়েই ওদের ভালোবাসা
(সমাপ্ত)