ছেলেটির নাম সোহেল এবার অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছে । প্রথম দিন থেকেই সোহেল ক্লাস করে।সে একটু অন্য ধরনের ছেলে। কোন মেয়ের দিকে ভুলে ও তাকায় না। ক্লাস এ যখন আসে নিচের তাকিয়ে আসে আবার ক্লাস শেষ হলে নিচের দিকে তাকিয়ে চলে যায়। তার ক্লাস এ যে কোন কোন মেয়ে পড়ে তা ও সোহেল বলতে পারবে না। কারন সোহেল ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে।ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক চলার চেষ্টা করে। তাই সে পর্দা করে চলার চেষ্টা করে। এদিকে ক্লাস এর সবচেয়ে সুন্দরি এবং স্টাইলিস মেয়ে হল বেবি ডোল মারিয়া। তার নামেই বুঝতে পারছেন কিরকম মেয়ে।বেবি ডোল মারিয়া সবসময় জিন্সপ্যান্ট এবং টি শার্ট পড়ে। ক্লাস এর সব ছেলেই মারিয়াকে পাওয়ার জন্য পাগল।মারিয়া যখন ক্লাস এ আসে তখন সবাই ওর দিকে তাকিয়ে থাকে।এতে মারিয়া আরো বেশি মুগ্ধ হয়।
কিন্তু মারিয়া লক্ষ্য করল একটা ছেলে তার দিকে ফিরেও তাকায় না।মারিয়া বিষয়টা নিযে খুব ভাবতে লাগলো। তারপর বান্ধবীদের কাছে জিজ্ঞেস করল ছেলেটা কে? তারা শুধু তার নামটা বলল ও সোহেল।এর বেশি কিছু কেউ জানেনা কারন ও কোন মেয়ের সাথে মিশে না। এরপর থেকে মারিয়া সোহেলকে অন্য নজরে দেখত।তার কাছে এ বিষয়টা খুব interesting মনে হল।কারন এই প্রথম কোন ছেলে তার দিকে তাকায় না। তাই মারিয়া সবসময় সোহেলকে দেখত যে কোন সময় ওর দিকে তাকায় কিনা? কিন্তু না ওর দিকে ভূলেও তাকায় না। আস্তে আস্তে এভাবে দেখতে দেখতে মারিয়া সোহল এর প্রেম এ পড়ে যায়। তাই মারিয়া সিদ্ধান্ত নিল সে সোহেল এর সাথে কথা বলবে। কিন্তু সোহেলকে সে কিছুতেই ধরতে পারে না ক্লাস শেষ হলে সাথে মাথে ই সে বের হয়ে যেত। তাই পরেরদিন মারিয়া লক্ষ্য করল কখন সে রুম থেকে বের হয়। অমনি সোহেল রুম থেকে বের হল সাথে সাথে মারিয়া ও বের হল।
এই সোহেল শোন,,, (সোহেল ভাবতে লাগলো আমাকে মেয়েরা ডাকে কেন? আমি তো কোন মেয়ের সাথে কোনদিন কথাও বলি নাই তাইলে আমার নাম জানলো কিভাবে?) সোহেল নিচের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে রইল,,, আমি মারিয়া। কিন্তু আমি তো আপনাকে চিনি না? আমি তোমার ক্লাস ফ্রেন্ড। ও,আমি আপনার জন্য কি করতে পারি? আমি তোমাকে ভালবাসি। কিন্তু আমি আপনাকে ভালবাসি না। কিন্তু কেন? যেখানে সব ছেলেরা আমকে পাবার জন্য পাগল সেখানে তুমি আমাকে ভালবাসবে না কেন? আমি এসব পছন্দ করি না। কি লাগবে তোমার বল আমি তোমাকে সব দিব প্লিজ আমাকে ভালবাস। sorry. আমি পারব না। কি নেই আমার বল রুপ যৌবন সব আছে? তূমি চাইলে বিয়ের আগেই সব দিতে পারি।তোমার সাথে রুম ডেট ও করতে পারি। নাউযুবিল্লাহ। এসব আপনি কি বলতেছেন? সরে দাঁড়ান আমি যাব। না।আমাকে কিছু না বলে আপনি যেতে পারবেন না।আগে বলুন কিছু। আপনি কি আমার জন্য যা বলব তা করতে পারবেন? হুম।তোমার জন্য সব করতে পারব। ওকে।কালকে আমার সাথে দেখা কইরো।
ওকে তারপর সোহেল ভাবতে লাগল এমন কিছু করতে হবে যেন মারিয়া ঠিক হয়ে যায় ভদ্র কাপড় চোপড় পড়ে।
তাই সে কিছু উপহার কিনল মারিয়ার জন্য এটাই ছিল তার জীবনে ভালোবাসার প্রথম উপহার। পরের দিন কলেজে আসার পর মারিয়া সোহেল এর কাছে গেল,,, আমার উত্তর দাও আজকে, তুমি আমাকে ভালোবাসবে কিনা? বাসতে পারি কিন্তু একটা শর্তে? কি শর্ত বল।তোমার জন্য আমি একটা নয় হাজারটা শর্ত মানতে আমি রাজী। তুমি ই তো বলছিলে না তোমার পুরো শরীরটা আমার? হুম।তুমি চাইলে নিতে পার। এটা শুধু তোমার জন্য। তাহলে এই আমার ভালোবাসার প্রথম উপহার টা নাও। এতে কি আছে? এতে একটা কালো বোরকা ও হাত মোজা এবং পা মোজা আছে এগুলো তোমার পড়ে আসতে হবে প্রতিদিন। কারন তুমি তো তোমার শরীল টা আমাকে দিয়ে দিয়েছ তাই এই শরীলটা এখন আমার তাই বিয়ের আগে পর্যন্ত আমার জন্য তুমি হেফাজত করে রাখবা।
মারিয়ার চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগল,কথাগুলো শুনে কি হল এইটুকু পারবা আমার জন্য? হুম পারব।তোমার জন্য সব করতে পারব। ওকে। তাহলে আমি তোমাকে ভালবাসি। তারপর দিন থেকে ক্লাস এর সবাই দেখে ক্লাস একটা নতুন মেয়ে আসছে বোরকা পড়া,হাত মোজা, পা মোজা পড়া।কেউ তাকে চিন্তে পারল না। শুধু সোহেল চিন্তে পারল এটা মারিয়া। প্রথম ভালোবাসার একটা উপহার মারিয়ার একটা জীবনকে পরিবর্তন করে দিয়েছে। লেখাপড়া শেষ করে মারিয়া এবং সোহেল বিয়ে করল,,এখন দুজনই সুখে আছে। দুজনই ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে। তাহাজ্জুদ এর সময় হলে। মারিয়া তার স্বামীকে ডেকে উঠায় নামাজ পড়ার জন্য।দুজন নামাজ পড়ে দোয়া করে একে অপরের জন্য।
[বন্ধুরা আমরা সবাই জীবনের কোন না কোন এক সময় ভালোবাসা অনুভব করি।তাদেরকে উপহার দেই।আমরা যদি একটু ভেবে চিন্তুা করে দেই তাহলে ভালো হয়।আর একটা মেয়ে যখন আপনাকে ভালোবেসে আপনাকে তার শরীলের সমস্ত অধিকার দেয় তাহলে আপনি সেটাকে খারাপ কাজে ব্যাবহার করিয়েন না।কারন সে আপনাকে বিশ্বাস করে দিছে।আপনাকে দেওয়ার পর তো তার শরীলকে হেফাজতে রাখার দায়িত্ব আপনার উপরই]
ভূল এুটি থাকলে ক্ষমা করে দিবেন। কেমন হলো একটা কমেন্ট করে জানান???