লিপজেলময় ভালবাসা

লিপজেলময় ভালবাসা

শিতে হুহু করে কাপতেছি। এবার সেই ঠান্ডা পরছে দিনাজপুরে। এই ঠান্ডায় কেউ বাইরে বার হয়। কিন্তু আমি এক আহাম্মক বসে আছি এই ঠান্ডার মধ্যে। কিন্তু যার জন্যে বসে আছি তার দেখা নাই। আমাকে আস্তে বিলে আজ উনি খুব দেরি করছেন দেখছি। মেজাজ টা কার না খারাপ হয়। কি কর (মহারানি) বসে বসে হাডুডু খেলি। (রাগ করে) তাই নাকি। তা কয়বার জিতলে। (মহারানি) দেখ মজা নিও না। এমনিতেই ঠান্ডাতেই মরছি। আর আমার গেম আমার সাথে খেলছ দেখছি।মেয়ে ততক্ষনে পাশে বিসে গেছে। দেখলাম সেই লাগতেছে আজকে তাকে। একদম আমার সুলতানা । হাহাহাহাহাহ। আমার সুলতানা দেখলাম লিপজেল বার করে ঠোট এ দিচ্ছে। আর আমি কাউয়ার মত চাইয়া আছি। কি দেখ(মাইশা) অ হ্যা বলে রাখি আমার সুলতানার নাম মাইশা। কিছু না (আমি) সে লিপজেল দেওয়া সেস করে ঢুকাতে যাবে এই সময় আমি হাত বারালাম। কি হলটা কি হাত বাড়াচ্ছ ক্যান????? (মাইশা) লিপজেল দাও আমিও একটু দেই। (আমি)

তুমি দিবা মানে। ক্যান কালকেই না একটা কিনে দিলাম(মাইশা) ওটা হারাই গেছে খুজে পাচ্ছি না। (আমি) কি হারাই ফেলছ মানে(মাইশা) হুম (আমি) মেঘ মিথ্যাটাও কি ভাল করে বলতে পার না ( মাইশা) আমি কেবল বেহায়ার মত হাসি দিলাম। হাহাহাহহহহ। এই একদম হাসবে না বলছি। আচ্ছা তুমি কি পাও আমার লিপজেলে(মাইশা) আমিও ভাল মানুষ এর মত করে বললাম তুমার সেই বিশ্বখ্যাত গোলাপি ঠোট এর ছোয়া। (আমি) মানে টা কি হুম যা বলবা ভাল এবং সোজাসুজি বল। (মাইশা) মানে হল তুমি তো তুমার ঠোট এ ইয়ে করতে দিবা না। তাই তুমার লিপজেল দিয়েই সেই অভাব পুরন করি। আর তাছাড়া তুমার লিপজেলের মত আমার ভাগ্য না ত যে সরাসরি (আমি) কি সরাসরি হুম ফাজিল না নো হাংকি পাংকি। ইসসস শখ কত।

এ সব চলবে না। (মাইশা) আমিও মন খারাপের ইমো দিলাম। কি আর করা বিয়ের আশায় বসে থাকতে হবে। মাইশা আমার গফ। আমি তার বফ কি না জানি না। যদি হতাম তাহলে এতদিনে একটা চুমু হয়ত পেতাম। আমার কপাল খারাপ। মাইশাকে প্রথম দেখি তাদের বাসায়। আই মিন তার মা আমাকে তাদের বাসার কারেন্ট এর লাইন ঠিক করতে ডাকছিল। আমি আবার এগুলার মিস্ত্রি কি না। তাই খুশি মনেই গেলাম। সেখানেই দেখলাম একটা খুব সুন্দরি মাইয়া। মনে হয় কেবল মাত্র গোসল করে বার হল। সেই সুন্দর লাগছে একদম পরির লাহান। বলব না যে স্বর্গ থেকে পরি নামি আসছে। আরে ভাই স্বর্গের পরিরা আর বেশি সুন্দর। হাহাহহায়াহাহাহহ।। তবে মেয়েটা অনেক সুন্দর। আহহহহ আমার যদি এমন একটা বউ থাকত। হাহাহাহ। আমি তো মেয়েকে দেখতেই আছি।

আমার তাকানো দেখে মেয়ে ভুরু কুচকে তাকাই আছে। আমিও একটা হাসি দিলাম। হহহাহাহ। কাজ সেস করে আন্টি নাস্তা করাল। আমি বললাম আন্টি ওই বড় আপুটা কে??? আরে কি বল। ও মাইশা আমার মেয়ে। ও কেবল ইন্টার 2 nd year এ পরে। (আন্টি) আমি ত বোকা হউয়ে গেলাম। আমি মেঘ। ডিপ্লোমা সেস করে এখানেই পার্ট টাইম জব করি। এই ঘটনার কিছুদিন পর আবার আন্টি ডাকল বাবা একটা উপকার করতে পারবে। আমি বললাম বলেন চেস্টা করে দেখি। আসলে বাবা মাইশা কোচিং এ গেছে। আজকে ওর বাবা আসে নাই। ব্যাস্ত। আর রাত ও হয়ে গেল কিভাবে আসবে তাই তুমি যদি গিয়ে একটু নিয়া আসতে। আরে এত দেখি আকাশের চাঁদ নিজে এসে ধরা দিচ্ছে। হাহহাহহা। আমি তো একপায়ে খারা। আন্টি ঠিকানা দিন। আমি যাচ্ছি। ঠিকানা নিয়ে আসিলাম। আর কিছুক্ষন লাগবে নাকি। আমি আবার ভাবনার জগতে ডুবে গেলাম। আরে এই মেয়ে এত দিন ছিল কোথায়। ঘর থেকে বার হয় না।

হবে কেন মহারানি ভিক্টোরিয়া বলে কথা। বসে এইসব কথা ভাবতেছি। কখন যে তার আগমন বুঝি নাই। আপনি এখানে ক্যান??? মাইশা) জি মানে আমার শ্বাশুরি আম্মা পাঠাই দিল। (আমি) কিইইইইই(অবাক হয়ে মাইশা) না না।।। মানে আন্টি পাঠাই দিল। আপনাকে নিয়ে যেতে। আংকেল ব্যাস্ত। (আমি)  ও ওও তাহলে দেখেন কি চলেন????? (মাইশা) হুম চলেন। (আমি) যেতে যেতে মাইশা বলল আপনার কি লাজ লজ্জা বলতে কিছু নাই নাকি। আমি বললাম কেন??? ছেলেদের লজ্জা করতে আছে নাকি। কেন আমি আবার কি করলাম। মাইশা বলল কাল ওভাবে আমাকে কি দেখছিলেন হুম। আমি কি আপনার বউ নাকি। আমি মনে মনে বলতেছি বউ না তবে হয়ে যাবে একদিন। এই যে কি বির বির করেন হুম। আমার মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল আরে বউ না কিন্তু হবেন তো। বলেই আমি আহাম্মক হয়ে গেলাম নিজেই নিজের গালে চরে মারতে লাগ্লাম। মাগার তখন মারি নাই।

মাইয়ার সামনে এই রকম করলে যদি আবার পাগল ভাবে। তাই বাদ। মাইশা তো আমার দিকে রেগে মেগে চেয়ে আছে। মনে হয় আমি যেন মহাভারত অশুদ্ধ করে ফেলছি। সেদিনের পর থেকে মাইশার পিছনে লেগে পরলাম। কারনে অকারনে তাদের বাসা যেতে লাগলাম। মাইশা বিরক্ত বোধ করত। আমি কম ভাল নাকি। আর বেশি করে। ঘুরতাম। এতদিনে আপনি থেকে তুমিতে আসছি। আমি প্রোপজ করার কথা ভাবতেছি। মাগার সাহস নাই। যদি মাইয়ার কোন বফ থাকে। যে সুন্দরি মেয়ে থাকলেও অবাক হব না । তাই। আমি তো দমে যাওয়া র পাত্র না। লাগাই দিলাম খোজ খবর। শুনি মাইয়া ছেলেদের সাথে কথাই বলে না। ভাব বুঝেন না ভাব। হাহাহহায়া। আমি ভয়ে ভয়ে বলেই ফেললাম। বলেই দোউর দিব এই চিন্তা করতেছি তখনেই মেয়ে বলল এই দারাও। আমিও দারাই পরলাম।

মাইশা বলল আমাকে ভালবাস। কি করতে পারবে। আমিও বললাম সব করতে পারব মাগার জান দিতে পারব না। হাহাহাহহ ফাজিল পুলা। আমাকে প্রত্যেক দিন ফুচকা খাওয়াতে পারবে। আমি তো বলল এত সোজা কাজ। মাগার টের পাইলাম কয়েকদিনেই যখন আমার পকেট ফাকা হতে শুরু করল। মোরে কেউ বাচাও। আরে ভাই এত দিন হইল একটা ইয়েও দিতে দেয় না। এই জন্যে আমিও খালি অর লিপজেল নিয়ে টানাটানি করি। হায়াহহাহহায়াহ। বিকালে ঘুমাই আছি। দেখি মাইশা ফোন করতেছে। ধরলাম হ্যা বল (আমি) তুমি তারাতারি কলেজ এর পুকুর পারে আস। (মাইশা) আমিও চলে আসলাম। বসে আছি কিন্তু তার দেখা নাই। কিছুক্ষন পর আসল ওমা এটি কে। আজকে কোন দিকে চাঁদ উঠছে। আমার পছন্দের ড্রেস। পরছে। মাইশা আমার সামনে এসে মুচকি হাস্তে লাগল।

আমি অবাক হয়ে গেলাম সেদিন একটা গল্পে লিখছিলাম আমার পরিটা প্লাজু আর নিল রঙের পোশাক পরে আমার সামনে আসবে আর এটা তো মাইশার জানার কথা না। তাহলে কি ও আমাকে ফলো করে নাকি। আমি ভাবতেছি আর মাইশা যে কখন এসে আমার কাছে এসে আমার ঠোট এ তার ঠোট চেপে ধরছে। বুঝি নি। বুঝতে পারলাম উষ্ণ ছোয়া পেয়ে। আরে কি কর কি কর। ছার মানুষ দেখছে ত। (আমি) ক্যাম ফেবুতে লিখার সময় লজ্জা লাগে না আর এখন আমি দিলে লজ্জা লাগে। (মাইশা) তার মানে তুমি কি ভাবে জান। (আমি) তুমার সব কিছু আমার জানা আছে। বুঝছ। (মাইশা) তার মানে ওটা পরেই তুমি আজকে আমার ইজ্জত লুটে নিলে। নাহহহহ আমি এই মুখ কাকে দেখাব।

আমি মরে জাব। (আমি) আপাতত আমাকে দেখালেই চলবে। জনাব। (মাইশা) আচ্ছা তাহলে কি এখন লিপজেলের বদলে প্রতিদিন এই ইয়ে দিবে। (আমি) কিহহহহহ ফাজিল ছেলে খালি বদ চিন্তা। (মাইশা) কেন আজকে তো দিলে। আর বদ চিন্তা বলতেছ ক্যান। আমি তো আশাই ছেরে দিছিলাম তুমি তো আশার ডিঙি ভাসাইলা। তাহলে দিতেই হবে। (আমি) ফাজিল বদ বলে মাইশা মুচকি হেসে দিল। হাহ হাহ পেয়ে গেছি সিগনাল। যা বেটা লিপজেল তোর দিন শেষ এখন মেঘের দিন শুরু।হাহাহাহাহাহাহাহাহহা

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত