গল্পটা ভালোবাসার

গল্পটা ভালোবাসার

২টা বছর চেষ্টা করেও যে কথাটা মিহিকে বলতে পারিনি, সেই কথাটা আগামিকাল আমাকে বলতেই হবে।

বিছানায় শুয়ে শুয়ে চিন্তা করছি কথাটা কিভাবে বলা যায়? আগামিকাল কলেজের বিদায়ী অনুষ্ঠান।

আমার জীবনের সবচাইতে ইম্পরট্যান্ট দিন। আমি জানিনা আমি মিহিকি আমার মনের কথাটা কিভাবে বলবো?

আমি জানিনা আমার সাথে কি হতে চলেছে… মিহি কি আমাকে এক্সেপ্ট করবে? না’কি এক্সেপ্ট করবেনা…!!
.
সেদিন সন্ধ্যায় বাসায় এসে কলিং বেলে টিপ দিতেই দরজা খুলে দিছিলো অপূর্ব সুন্দরী কোনো এক মেয়ে…

আমি মেয়েটার দিকে কিছুক্ষণ ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকি, সত্যি বলতে সেদিন-ই প্রেমে পড়ে গেছিলাম মেয়েটার…

আমার এরকম ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকা দেখে মিহি তো একদম হাসতে হাসতে শেষ, আমি অবাক হয়ে মেয়েটার হাসি দেখতে থাকি।

একটা মানুষের হাসি কি করে এতোটা সুন্দর হতে পারে? মিহি হাসতে হাসতে বললো-
— এভাবে না তাকিয়ে থেকে ভিতরে আসুন !!
–সরি। আমি সম্ভবত ভুল বাসায় চলে আসছি !!
আমার কথাটা শুনে মিহি আবারো হাসলো… বললো-
–আরে এটা আপনার-ই বাসা। ভিতরে আসুন !!
আমি ভিতরে ঢুকলাম, ভালো করে একবার বাসাটার দিকে তাকালাম।

হুম এটা তো আমার বাসা… তাহলে যেখানে প্রতিদিন আম্মু দরজা খুলে দেন, সেখানে এই সুন্দরী মেয়েটা কোত্তেকে আসলো?
আমি কিছুটা রহস্য ভাব নিয়ে রান্নাঘরের দিকে গেলাম, আম্মুকে দেখলাম রান্না করছে… আম্মুর পাশে গিয়ে বললাম-
–আম্মু কে ওই মেয়েটা?
–কোন মেয়ে?
— আরে যে মেয়েটা দরজা খুলে দিলো সেই মেয়ে !
–ওহহহ, মিহি? মিহির কথা বলছিস?
সেদিন-ই প্রথম আম্মুর মুখ থেকে মিহির নামটা জেনেছিলাম। আম্মুকে বললাম-
–আজব… ওর নাম মিহি না ছিহি সেটা আমি কি করে জানবো? কে ওই মেয়েটা? আমাদের বাসায় কেনো আসছে?
–আরে আমাদের উপরের ফ্ল্যাটের নতুন ভাড়াটিয়া, আজকেই নতুন উঠছে…

আমার সাথে পরিচিত হয়ে খুঁজ খবর নিতে আসছে এই আরকি… মেয়েটা খুব লক্ষী বুঝলি?
আম্মুর কথাটা শুনে ভিতরে ভিতরে খুশি হলেও আম্মুকে সেটা বুঝতে দিলাম না… কিছু না বলেই রান্নাঘর থেকে চলে আসছিলাম…!!
.
পরেরদিন সকালে ক্লাসে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম… হুট করে মিহি আমাদের ক্লাসে ঢুকলো…

মিহিকে দেখে ২য় বারের মতো অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম… তারমানে মিহি আমাদের কলেজে পড়ে?

আমাদের ক্লাসেই পড়ে? কথাগুলো ভাবতেই মনটা অনেক ভালো হয়ে গেলো… কিন্তু এই ভালো লাগার কারন আমি ঠিক জানিনা…!!
.
সেদিন আমার বার্থডে ছিলো…

আমাদের উপরের ফ্ল্যাটের সবাইকে সাথে কিছু মেহমান আর কয়েকটা ফ্রেন্ডকে দাওয়াত দিয়ে বাসায় ছোট একটা পার্টি দিছিলাম।

অনেক মেহমান আসলেও কেনো জানিনা আমার মনটা শান্তি পাচ্ছিলো না… এতো মানুষের মধ্যে চোখটা শুধু মিহিকেই খুঁজছিলো।

পার্টিতে মিহির বাসার সবাই আসলেও মিহি আসলো না… আম্মু বার বার বলছিলো-
–কি’রে মেহরাব? কেক কাটবিনা?
আমি নিরুপায় হয়ে যখন কেকটা কাটতে যাবো, ঠিক তখন দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলাম মিহি আসছে…

একটা নীল শাড়ি পড়ে যখন মেয়েটা রুমে ঢুকলো, আমার চোখটা ওর দিক থেকে ফেরাতেই পারছিলাম না।

নীল শাড়ি আর খুলা চুলে একটা মেয়েকে এত্তটা সুন্দর লাগে সেটা আগে জানা ছিলোনা…!!
.
কেক কাটার পর সবাই যখন খাওয়া-দাওয়া নিয়ে বিজি, আমি তখন খেয়াল করে দেখলাম মিহি কিছু খাচ্ছেনা…

রুমের একটা কোণায় মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে। আমি মিহির কাছে গিয়ে বললাম-
–কি ব্যাপার? মন খারাপ?
–হুম!!
–মন খারাপের কারনটা কি?
মিহি আমতা আমতা করে বললো-
–আপনার জন্মদিন, কিন্তু কোনো গিফট আনতে পারি নাই… গিফট ছাড়া উইশ কিভাবে করবো বুঝতে পারছিনা।

বিশ্বাস করুন, আমি সন্ধ্যার আগ অবধী জানতাম না আজকে আপনার জন্মদিন। আগে জানলে অবশ্যই কোনো গিফট নিয়ে আসতাম !!
মিহির কথা শুনে আমি হেসে দেই… মিহিকি বলি-
–এইজন্য কেউ মন খারাপ করে? আচ্ছা ঠিক আছে… এখন যদি তোমার কাছে কোনো উপহার চাই? দিবে?
কথাটা শুনে মিহি আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো… একটু অবাক হয়ে বললো-
–কিন্তু এখন তো আমার কাছে দেওয়ার মতো কিছু নাই…!!
আমি আমার হাতটা মিহির দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললাম-
–ফ্রেন্ডশিপ করতে চাই, আমাকে কি তোমার বন্ধু করা যাবে?
মিহি মুচকি একটা হাসি দিয়ে আমার বাড়িয়ে দেওয়া হাতটা নিজের হাতে নিয়ে বললো-
–আজ থেকে আমরা ফ্রেন্ড, হুম?
সেদিন প্রথম বারের মতো মিহির হাতের স্পর্শ পেলাম… মনের ভিতর তখন কি’রকম ফিলিংস কাজ করছিলো তা লিখে বুঝানো সম্ভব না।

আর সেদিন থেকেই মনের ভিতর শুরু হয় ভয়… বন্ধুত্ব হারানোর ভয়…!!
.
কেটে যায় ২টা বছর… শুনেছি মিহির বাবার অন্য জায়গায় ট্রান্সফার হয়ে গেছে। ওনারা খুব তাড়াতাড়ি এই বাসা ছেড়ে চলে যাবেন।

এদিকে আগামিকাল কলেজ লাইফে আমাদের শেষ দিন। আমি জানিনা মিহিকে আর দেখতে পাবো কি’না…

আমি জানিনা মিহিকে নিজের করে পাবো কি’না, আমি স্রেফ এটা জানি “বন্ধুত্ব” নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে যেই কথাটা এতোদিন মিহিকে বলতে পারিনি,

সেই কথাটা আগামিকাল আমাকে বলতে হবে। যেভাবে হোক বলতেই হবে…!!
.
বিছানায় শুয়ে শুয়ে মিহি নামের মেয়েটা চিন্তা করতে থাকে… আব্বুর ট্রান্সফার হয়ে গেলো, কলেজ লাইফটাও আগামিকাল শেষ হয়ে যাবে।

আর কি মেহরাবের সাথে দেখা হবে? মেহরাবকে নিজের করে কখনো পাবো? কখনো কি ওর মুখ থেকে “ভালোবাসি” কথাটা শুনতে পারবো?

আগামিকাল যদি মেহরাব প্রপোজ না করে? তখন কি হবে? উফফফ… মিহি আর কিছু চিন্তা করতে পারছেনা।

মিহি অপেক্ষা করতে থাকে, আগামিকালের অপেক্ষা…!!
.
সেদিন যখন দরজা খুলে মেহরাবের অবাক হয়ে যাওয়া চোখের দিকে তাকালাম, সেদিন প্রথমবারের মতো কোনো ছেলের চোখের উপর ক্রাশ খেয়েছিলাম।

যদিও উপরে উপরে হাসছিলাম। কিন্তু মনে মনে নিজেকেই প্রশ্ন করছিলাম, এটা কি চোখ? না’কি মেয়েদের ঘায়েল করার অস্ত্র?

অবশ্য সেদিন-ই বুঝে গেছিলাম ছেলেটা অনেকটা বোকা টাইপের। আর এটাও বুঝে গেছিলাম এই বোকা ছেলেটাকেই আমার প্রয়োজন…!!
.
আন্টির কাছ থেকে সবকিছু শুনে বুঝলাম মেহরাব আমাদের ক্লাসেই পড়ে। আমি জানতাম ক্লাসের ভিতর আমাকে দেখে মেহরাব অবাক হবে।

এবং হলোও সেটাই… ক্লাসে ঢুকার সাথে সাথে ছেলেটা ২য় বারের মতো আমার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো।

পুরোটা ক্লাস যেনো একটা ঘুরের মধ্যে ছিলো ছেলেটা। সেদিন ক্লাসের ফাঁকে কতোবার যে আঁড়চোখে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে ছিলাম, সেটা আজ অবধী মেহরাব জানেনা।
.
সেদিন প্রাইবেট শেষ করে সন্ধ্যা পর বাসায় এসে দেখি আব্বু-আম্মু রেডি হচ্ছেন… কিছুটা অবাক হয়ে আব্বুকে প্রশ্ন করলাম-
–আব্বু কোথাও বের হচ্ছো?
–আরে না, নিচের ফ্ল্যাটে ছোট একটা পার্টি হবে। ওনারা বাসায় এসে দাওয়াত দিয়ে গেছেন, যেভাবেই হোক আমাদের না’কি যেতেই হবে।
আমার রহস্য ভাবটা যেনো আরো বেড়ে গেলো। নিচের ফ্ল্যাট মানে মেহরাবদের ফ্ল্যাট। ওদের ফ্ল্যাটে আবার কিসের পার্টি? আমি আব্বুকে বললাম-
–হুট করে পার্টি? ব্যাপার কি আব্বু?
–তোর আন্টির ছেলে মেহরাব আছেনা? ওর আজকে বার্থডে। তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নে… তোকেও যেতে হবে।
–কিইই? মেহরাবের জন্মদিন?
আমি কথাটা বলে তাড়াতাড়ি ওয়াশরুমের দিকে গেলাম। প্রচন্ড রাগ হচ্ছিলো নিজের উপর।

ধুত্ত… মেহরাবের জন্মদিন অথচ আমি জানিনা? ওয়াশরুমে ঢুকার সাথে সাথে শুরু হয়ে গেলো আব্বুর চিল্লানি-
–কি রে মিহি? একটু তাড়াতাড়ি কর… দেরি হয়ে যাচ্ছে তো।
–আব্বু তোমরা চলে যাও, আমি একটু পর আসছি।
–ঠিক আছে, তাড়াতাড়ি আসিস।
সেদিন আমার আগেই আব্বু-আম্মু চলে গেছিলো পার্টিতে…!!
.
সেদিন কি পড়ে যাবো ঠিক ভেবে পাচ্ছিলাম না, ড্রেস না’কি শাড়ি?

অনেক চিন্তা করার পর লাইফের প্রথমবার সেদিন নীল একটা শাড়ি পড়েছিলাম।

একটু তাড়াহুড়ো করে রেডি হয়ে মেহরাবদের বাসায় গিয়ে দেখি মেহরাব কেক কাটার জন্য একদম তৈরি।

আমাকে রুমে ঢুকার সাথে সাথেই ছেলেটা একদম অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো আমার দিকে।

এতো মানুষের সামনে আমার দিকে ছেলেটার এরকম অপলক তাকিয়ে থাকা দেখে সেদিন খুব লজ্জা পেয়েছিলাম।

এতো মানুষের সামনে কেউ এভাবে তাকিয়ে থাকে? ছেলেটা আসলেই একটা বোকা…!!
.
সেদিন পার্টিতে যখন মেহরাব বলছিলো “এখন যদি তোমার কাছে কোনো উপহার চাই? দিবে?”
আমি মেহরাবের মুখে কথাটা শুনে একদম স্তব্ধ হয়ে গেছিলাম। ভাবছিলাম হয়তো মেহরাব প্রপোজ করবে।

কিন্তু ছেলেটা তার একটা হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলছিলো “ফ্রেন্ড” হতে চায়। আমিও সেদিন বাধ্য হয়েই মেহরাবের সাথে ফ্রেন্ডশীপ করেছিলাম…

আর ফ্রেন্ডশিপ করার পর থেকেই আমার ভিতর শুরু হয় ভয়… মেহরাবকে হারানোর ভয়। আমি চাইলেই পারতাম মেহরাবকে প্রপোজ করতে।

কিন্তু যদি আমাকে খারাপ মেয়ে ভাবে তখন? যদি আমার সাথে আর কোনোদিন কথা না বলে? ভয়ে ভয়ে কাটিয়ে দিলাম ২টা বছর।

ভালোবাসি শব্দটা কখনো বলা হয়ে উঠেনি… আর ওই বোকা ছেলেটার মুখ থেকেও কখনো শুনতে পারিনি।

আর আমি এটাও জানিনা আগামিকাল মেহরাব আমাকে প্রপোজ করবে কি’না… যদি না করে তখন? দেখা যাক আগামিকাল কি হয়…!!
.
পরেরদিন সকাল ১০টা
.
কলেজে এসে মেহরাব খেয়াল করলো সবাই এসে গেছে। একটু পরেই অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাবে।

সবাইকে দেখতে পেলেও মিহিকে কোথাও খুঁজে পেলোনা মেহরাব… বাধ্য হয়েই মিহির নাম্বারে কল দিলো–
–হ্যালো মিহি? কোথায় তুমি?
–কলেজের পিছনে নিম গাছটার নিচে বসে আছি !!
মেহরাব ফোনটা কেটে নিমগাছের নিচে গিয়ে দেখলো মিহি অনেকটা মন খারাপ করে সেখানে বসে আছি।

মিহির পাশে বসতে বসতে বললো-
–মন খারাপ?
–না !!
–তাহলে এরকম চুপচাপ এখানে বসে আছো কেনো?
মেহরাবের প্রশ্নের কোনো উত্তর দিলোনা মিহি… মেহরাব ও আর কোনো প্রশ্ন করলো না। তারপর কেটে যায় কয়েক মিনিট।

দুজনেই চুপচাপ। হয়তো দুজনেই অপেক্ষা করছে… কেউ কিছু একটা বলার অপেক্ষা। কেউ কিছু একটা শুনার অপেক্ষায়…!!
.
নীরবতা ভেঙে মেহরাব-ই আগে বললো-
–মিহি… কিছু বলতে চাই তোমায় !!
কথাটা শুনে মেহরাবের চোখের দিকে তাকালো মিহি। মিহির চোখটা স্পষ্ট বলে দিচ্ছিলো সেও কিছু শুনতে চায়…!!
–হুম বলো?
–ভালোবাসি !!
কথাটা শুনে মিহি কয়েক সেকেন্ড মেহরাবের দিকে তাকিয়ে থাকলো। কিছুটা অভিমানী কন্ঠে বললো-
–ভালোবাসি কি?
প্রশ্নটা শুনে প্রচন্ড রাগ হলো মেহরাবের। উফফ… ভালোবাসি কি এখন এটাও বলতে হবে?

মনে মনে মিহিকে প্রচন্ড গালি দিতে মন চাইলো। মিহি আবারো বললো-
— কি হলো? বলো ভালোবাসি কি? কাকে ভালোবাসো? এই গাছকে? না’কি গাছের পাতাকে? সুন্দর করে বলো !!
মেহরাব আবারো চুপ থাকলো। মিহি এবার একটু কান্না কন্ঠে বললো-
— মেহরাব বলো প্লিজ !!
— ভালোবাসি তোমাকে… সেই প্রথম দিন থেকেই অনেক বেশি ভালোবাসি তোমায় !!
কথাটা শেষ করার সাথে সাথেই মিহি ঠাসসস করে মেহরাবের ডান গালে একটা থাপ্পড় মারলো।

মেহরাব কিছুটা অবাক হয়ে মিহির দিকে তাকালো। মিহি থাপ্পড় কেনো মারলো ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলো না।

মেহরাব ভালো করে মিহির চোখের দিকে তাকিয়ে দেখলো মেয়েটা কান্না করছে। মেয়েটার চোখ থেকে অবিরাম পানি পড়ছে…

মেহরাবকে আরো অবাক করে দিয়ে মিহি মেহরাবকে জড়িয়ে ধরে আরো জোরে জোরে কান্না করতে থাকলো।

মেহরাবের তখন কি করা উচিত ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলো না। জড়িয়ে থাকা অবস্থায় কান্না করতে করতে মিহি বললো-
–এতোদিন পর? এতোদিন পর কথাটা বললে?
–এতোদিন পরে হলেও তো বললাম। তুমিও তো চাইলে বলতে পারতে, তুমি বলোনি কেনো?
–মেয়েরা সবকিছু বলতে পারেনা বোকা ছেলে… গালে ব্যাথা পেয়েছো?
মেহরাব মাথা নেড়ে হ্যা সূচক উত্তর দিলো। মিহি আবারো বললো-
–এখন যদি বাম গালে আরেকটা থাপ্পড় খেতে না চাও, তাহলে গিয়ে গোলাপ ফুল নিয়ে এসো। ফুল নিয়ে এসে এখন আবার সুন্দর করে প্রপোজ করবে। বুঝলে?
–ফুল? আবারো প্রপোজ? মাত্রই তো করলাম !!
মিহি একটু রাগি কন্ঠে বললো-
–এটা প্রপোজ হয়নি। সুন্দর করে প্রপোজ করতে হবে। তুমি কি এখন ফুল আনতে যাবা?
–যাচ্ছি যাচ্ছি !!
মেহরাব মিহির কাছ থেকে উঠে দাঁড়ালো। এখন তাকে গোলাপ ফুল খুঁজতে হবে। আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে মেহরাব বললো-
“হে সৃষ্টিকর্তা… কেনো প্রত্যেকবার ছেলেরাই?? কেনো ছেলেরাই এতো অসহায়? কেনো ছেলেরাই??”

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত