বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসা

বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসা

নীল এই নীল উঠ উঠ না তোর না কলেজের আজ প্রথম দিন তারাতারি উঠ।

নীল > ওঠতাছি আম্মু।

মা> ওঠ তোর জন্য নাস্তা টেবিলে রেডি করে রেখেছি উঠে খেয়ে তারা তারি কলেজে যা। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে কলেজের দিকে রওনা দিলাম। এর ভিতর আমার পরিবারের কথা আপনাদের কিছু বলে দিই আমি নীল মা বাসা তেই থাকে মানে গৃহীনি বাবা একটা সরকারি চাকরি করেন এই তিন জন মিলেই আমাদের পরিবার। কলেজের প্রথম দিন আজ তাই একটু নার্ভাস লাগতাছে তার উপর আরেক সমস্যায় পরলাম আমি তো আমার ক্লাস রুমিই চিনি না এখন কি করব এরি ভিতর মাথায় বুদ্ধি আসলো আরে এখানে যে কাউ কে বললেই তো বলে দিতে পারবে যে আমার ক্লাস রুম কোন টা কিছুদুর সামনে গিয়ে একজন কে পাইলাম

নীল >এইযে আপু শুনছেন?

মেয়ে> জি. আমাকে বলছেন।?

নীল> হ্যা আপনাকেই বলছি।

মেয়ে > হ্যা বলুন কী বলবেন।

নীল > আসলে আমি কলেজে নতুন তাই আমার ক্লাস রুম চিনতে পারছিনা যদি একটু সাহায্য করতেন।

মেয়ে > ওও কোন year

নীল > 1st year

মেয়ে > ওও আমিও 1st year আমার সাথে চলেন আমি ক্লাসের দিকেই যাচ্ছি।

নীল > চলেন।

মেয়ে > এতোখন আপনার সাথে কথা বললাম কিন্তু আপনার নামিই তো জানা হলো না ।

নীল > ও আমার নাম নীল। আপনার?

মেয়ে > আমার নাম মেঘলা।

নীল > nice to meet you

মেঘলা > same to তার পর ভালো ভাবে ক্লাস করলাম এবং কয়েক তা বান্ধুও পেয়ে গেলাম। কিছুসময় নতুন বন্ধুদের সাথে আডডা মারে বাসার দিকে রওনা দিলাম। বাসায় এসে

মা> কি রে কলেজের প্রথম দিন কেমন হল?

নীল > ভালোই হলো আম্মু এর চেয়ে ভালো কথা প্রথম দিনে কয়েক টা বন্ধুও পেয়ে গিছি ।

মা> ভালো তো। আম্মুর সাথে আরো কিছুক্ষণ কথা বললাম। পরের দিন কলেজে আসলাম আসে মেঘলা কে খুজতাছি কারন ওর সাথে আজ বন্ধুত্ব করবো এর ভিতর পেও গেলাম ওরা কিছু বান্ধুবি মিলে একসাথে গল্প করছে। এর ভিতর আমি বললাম

নীল > হাই মেঘলা কেমন আছো সরি তুমি করে বলে ফেললাম।

মেঘলা > ভালো আছি আর সমস্যা নাই যেহেতু আমরা একই ক্লস এ পরি তুমি করে বলতে পারেন।

নীল > কিন্তু তুমি তো আপনি করে বলছো।

মেঘলা > সরি। আচ্ছা এদেের সাথে তোমার পরিচয় করে দেই ( মেঘলার বান্ধুবিদের উদ্দেশ্য করে বললো) তার পর মেঘলার বান্ধুবিদের সাথে পরিচিত হলাম। হয়ে মেঘলা কে বললাম

নীল> চলো মেঘলা একটু ওদিক থেকে ঘুরে আসি। আমার না কয়েক টা বই কেনা লাগবে।

মেঘলা> চলো একটু ঘুরে আসি আর আমারো কয়েক টা বই কেনা লাগবে।

নীল>চলো। তার পর মেঘলা কে নিয়ে রিকশা করে একটা বই লাইব্রেরিতে গেলাম এবংবেশ কয়েক টা বই কিনলাম আর মেঘলা ও বেশ কয়েক বই কিনলো।

নীল> মেঘলা এটা তোমার জন্য ( একটা বই এগিয়ে দিয়ে)

মেঘলা > এটা কিশের বই

নীল> গল্পের বই। এটা আমার খুব পছন্দের একটা বই আশা করি তোমারো ভালো লাগবে।

মেঘলা > ওকে দাও।

নীল > আচ্ছা আমরা কি ভালো বন্ধু হতে পারি না?

মেঘলা > হতে পারি কিন্তু!!

নীল > কিন্তু কী।

মেঘলা > আমার কয়েক টা আবদার আছে যদি মানতে পরো তাহলে আমরা ভালো বন্ধু হতে পারি।

নীল> আবদার তাহলে তো বাদ দাও আমার বন্ধু হওয়া লাগবে না।

মেঘলা > ওকে।

নীল > আচ্ছা বলো শুনি তোমার আবদার গুলো।

মেঘলা > ওকে বলতাছি প্রথমতো আমাকে প্রায়ি ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে। দ্বিতীয়তো আমাকে ফুসকা খাওয়াতে হবে তিতীয় আমাকে এরকম আরো গিফট দিতে হবে আরো আছে সেগুলা পরে বলবো আজ এই পর্যন্ত।

নীল > ভালো করছো আজ আর বলোনি যদি আর একটু বলতে তাহলে এখানেই মারা যাইতাম।

মেঘলা > কি বললা?

নীল > কই কিছুইতো বলিনাই হিহিহি।

মেঘলা > হুমমম না বলাই ভালো

নীল > (এমেয়ের তো দেকছি রাগো আছে নীল এই মেয়র থেকে একটু সাবধানে থাকবি কখন যে কি করবে তুই নিজেও টের পাবি না মনে মনে বললা) ..মেঘলা আর আমি এখন খুব ভালো বন্ধু ওর সাথে আড্ড দেওয়া ঘুরে বেরানো হোই হুল্লা করেই এক বছর কি ভাবে যে চলে গেলো নিজেও জানি না। আর আসল কথা হলো ওকে আমি এখন খুব ভালোবাসি আর আমার মনে হয় মেঘলা ও আমাকে ভালোবাসে কিন্তু একটা কথা আছে না মেয়েদের বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না। এখন যা করার আমিই করবো।

নীল > মেঘলা আমার একটা কাজ করে দিবা প্লিজ।

মেঘলা > হুমমম বলো কি কাজ করে দিতে হবে।

নীল > আমাদের ক্লাসের সাদিয়া আসে না ওকে না আমার খুব ভালোলাগে। (কথাটা শোনার সাথে সাথে মেঘলা আমার দিকে সিরিয়াসলি ভাবে তাকালো)

মেঘলা> তো।

নীল > তো বুঝবোনা সাদিয়া কে আমি ভালোবেসে ফেলেছি ওর সাথে আমার রিলেশোন করাইয়ে দেওনা প্লিজ।

মেঘলা > কি বললা।

নীল > যা শুনসো ঠিকিই শুনসো। (মেঘলা মুখটা কালো করে বললো)

মেঘলা > আচ্ছা আমি সব বেবসথ্যা করে দিবো। আর আমার না একটা দরকার আছে আমি তোমার সাথে পরে কথা বলছি। ( এই বলে মেঘলা আমার থেকে গোমরা মমুখে বিদায় নিয়ে চলে গেলো ) রাত্রে মেঘলা কে অনেকক্ষণ ফোন দিলাম কিন্তু ধরছেনা পাচ ছয় বার ফোন দিবার পর ফোনটা ধরলো

নীল > তোমাকে সেই কখন থেকে ফোন দিচ্ছি কিন্তু ফোন ধরলা না কেন?

মেঘলা > ফোনটা সাইলেন্ট করা ছিলো দেখতেপাই নাই ।( কিন্তু মেঘলা কাদছে সেটা আমি স্পস্ট বুঝতে পারছি)

নীল > তুমি কী কান্না করছো ( জানি তাও বললাম)

মেঘলা >( ওপাস কোন কথা নাই)

নীল > কী হলো কথা বলছো না কেন।

মেঘলা > নাতো আমি কান্না করবো কোন দুঃখে।

নীল > হুমমম সেটা ঠিক আচ্ছা কাল একটু পার্কে দেখা করবা।

মেঘলা > কেন কি হইছে?

নীল > আরে আসো না আসলেই বুঝতে পারবা।

মেঘলা > আচ্ছা কখন দেখা করবা?

নীল > বিকেল চারটায়।

মেঘলা > আচ্ছা যাবো। আর কোন কথা না বলেই ফোনটা রেখে দিল। (বুঝেছি মেয়েটা রাগ করেছে ভাবছি কালকেই বলে দিবো আমার মনের কথা। আরো নানা কিছু ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছিলাম বুঝতেই পারি নাই)
পরের দিন বিকেল ৪ টার সময় দেখা করার কথা কিন্তু ৩:৩০ এচলে গেলাম গিয়েতো আমি আবাক মেঘলা আগে থেকেই পার্কে বসে আছে। আর আবাক করছে মেঘলা এতো সুন্দর লাগছে যে বলা মুসকিল আমি আর একবার ফির মেঘলার প্রেমে পরে গেলাম। আর মেঘলা কে আজকে খুব খুসিও লাগছে আসতে গিয়ে মেঘলার পাশে গিয়ে বসে বললাম

নীল > কি খবর তোমাকে তো চারটায় আসতে বলছিলাম এতো তারা তারি আসলা।

মেঘলা > এই পাশে একটু কাজ ছিলো তাই আসছিলাম তার পর ভাবলাম তোমার সাথে একেবারে দেখা করেই যাই। তো কি কথা বলবে বলো।

নীল > আমার কথা না হয় পরেই বলবো, আগে বলো তোমাকে আজ এতো খুসি খুসি দেখাচ্ছে কেন?

মেঘলা > তোমাকে আজ একটা সুখবর দেব। আগে বলো তুমি কি বলবা।

নীল > আগে তুমি সুখবর টা শুনাও পরে আমার টা।

মেঘলা > আচ্ছা শুনো রিফাত না আজ আমাকে প্রোপজ করেছে । ( রিফাত আমাদের কলেজের ব্রিলিয়ান্ড ছাত্র এবং দেখতেও ভালো)

নীল > ওও তো তুমি কি বলেছো? ( মুখটা একটু কালো করে বললাম)

মেঘলা > আমি বলেছি পরে বলবো ।

নীল > কেন?

মেঘলা > আচ্ছা ওগুলা বাদ দাও আর আমার প্রোশ্নের সঠিকভাবে উত্তর দাও।

নীল > কী প্রোশ্ন বলো শুনি।

মেঘলা > তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?

নীল > আমি কি তোমাকে কোনদিন বলছি আমি তোমাকে ভালোবাসি।

মোঘলা > না কিন্তু আমাকে ছাড়া অনেক জনকেই বলেছো।

নীল> কাকে বলেছি আর কার কাছ থেকে শুনলা বলো শুনি।

মেঘলা > সাদিয়া বলেছে যে তুমি আমাকে ভালোবাসো। ওকে না।( এইরে এই মেয়ের বেটে দেখি কিছুই আটকায় না তাহলে সব কি বলে দিয়েছে)

নীল > কই আমিতো ওকে কিছু বলিনাই।

মেঘলা >তাই সত্যি তো।

নীল > হুমম সত্যি। আচ্ছা তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?

মেঘলা > না আমি তোমাকে ভালোবাসি না।(মুখটা বাকিয়ে বললো)

নীল > তাহলে আমি সাদিয়ারর কাছে গিয়েই লাইন মারি। মেঘলা > আমিও ভাবছি রিফাত কে হ্যা বলেই দিই।

নীন > এই না না না

মেঘলা > কেন?

নীল > না তুমি হ্যা বলবা না।

মেঘলা > কিন্তু কেন? রিফাত তো আনেক ভালো ছেলে দেখতেও ভালো।

নীল > তাও তুমি হ্যা বলবা না।

মেঘলা > কারন টা কী সেটা তো বলবা।

নীল > কারন আমি তোমাকে…..

মেঘলা >তুমি আমাকে কি?

নীল > আমি তোমাকে ভালোবাসি।

মেঘলা > কী বললা একটু ভালো ভাবে বলবা।

নীল > আমি তোমাকে ভালোবাসি।

মেঘলা > আআর একটু জরে বলবা প্লিজ।

নীল > আমি তোমাকে ভালোবাসি ( এবার একটু জরেই বললাম)

মেঘলা > এই কথাটা বলতে এতো দিন লাগলো।

নীল > sorry sorry sorry…. I am very very sorry…

মেঘলা > sorry বললে তো হবে না।

নীল > তো কি করতে হবে?

মেঘলা > শাস্তি পেতে হবে।

নীল > হুমমম কি শাস্তি বলো শুনি।

মেঘলা > কান ধরে উঠ বস করো।

নীল > অননো কোন শাস্তি দেওয়া যায় না?

মেঘলা > না ( রাগদেখিয়ে)

নীল > ওকে ( যেই না কান ধরে উঠ বস করবো তখনি মেঘলা আমাকে আটকিয়ে দিয়ে জরিয়ে ধরলো আর বললো)

মেঘলা> আমিও তোমাকে ভালোবাসি নীল আনেক ভালোবাসি। আর এওজানিযে তুমিও আমাকে ভালোবাসো তোমার জন্যই আমি আজ এরকম করে সেজেসি।

নীল > তো কাল ফোনে ওইরকম করে কান্না করছিলে কেন?

মেঘলা> তোমার মুখ থেকে ভালবাসি কথা টা বার করার জন্য

নীল > তার মানে কালকের কান্না করা তোমার সবেই নাটক?

মেঘলা> হুমমম সবেই নাটক।

নীল > হ্যা হ্যা হ্যা তুমি তো দেখছি নাটকো করতে পারো।

মেঘলা > হ্যা হ্যা হ্য । এখান থেকে শুরু হলো আর এক নতুন প্রেম কাহিনী।

সমাপ্ত

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত