ঘুমানো বউ

ঘুমানো বউ

সুহাদা:- আমি কি এখানে বসতে পারি।

রাসেদ:- অব্যশই বসতে পারেন।

এই বলে সুহাদা বসলো পার্ক একটা বেঞ্চে। রাসেদ সেই জায়গা বসে প্রকৃতি দেখে আর পাখির শব্দ শুনে। প্রতিদিন বিকাল হলে এইখানে এসে রাসেদ বসে থাকে। ৫ মিনিট চুপ করে বসে থাকার পর।

সুহাদা:- আপনি প্রতিদিন এইখানে আসেন কেন?

রাসেদ:- এই প্রকতি মাঝে খুজেঁ পায় আনন্দ আর সাথে ফ্রি গান শুনতে পাই।

সুহাদা:- ফ্রি গান মানে,,,,ঠিক বুজতে পারি নাই।

রাসেদ:- বাতাসে বয়ে যায় শরীর মাজে আর কানে কানে বেসে যায় পাখির কন্ঠে গাওয়া সেই গান।

সুহাদা:- তাহলে পাখির গান শুনতে এইখানে আসেন??

রাসেদ:- মনে করে নেন তেমন কিছু।

সুহাদা:- আমি কি আপনার নাম জানতে পারি??

রাসেদ:- আমার নাম শুনলে হয়তো হসবেন সবাই বলবে যে বড় ছেলের নাটক দেখে হয়তো আমার নামটা আমি নিজে দিয়েছি। কিন্তুু মা আদর করে রাসেদ বলে ডাকতো।

সুহাদা:- ডাকতো মানে ঠিক বুঝতে পারলাম না এখন কি ডাকে না??

রাসেদ:- ডাকে কিন্তুু এখন আর বাস্তবতা মাঝে নই কল্পানার মাঝে।

সুহাদা:- আমাকে একটু বুজিয়ে বলবেন please.

রাসেদ:- আমি যখন ছোট তখন সম্ভবত আমি পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি। আমার বাবা accident মারা যায়। আর যখন কলেজ শেষ করে ভার্সিটি পা রাখছি তখন মা মারা যায়। বলতে পারেন পৃথিবীতে আমার কেউ নাই।

সুহাদা:- I Am SorrY আমি বুঝতে পারি নাই।

রাসেদ:- it’s ok. আপনার নামটা কি?

সুহাদা:- সুহাদা আক্তার।

এইভাবে প্রতিদিন পার্ক এসে বসে থাকতো। মেয়েটা কখনো আসতো আবার আসতো না। রাসেদ কখনো কাউকে ভালোবাসে নাই কিন্তুু তার ভিতরে একটা রোমান্টিকতা বসবাস করতো। হঠাৎ একদিন কাজী অফিস গেল রাসেদ।

কাজী:- আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি?

রাসেদ:- আমি কোন ছবি দেখতে চাই না কিছু কথা বলতে চাই।

কাজী :- বলুন।

রাসেদ:- আমার পরিবার শুধু আমি একজন। আমি বাবা মা আদর তেমন বেশি বুঝি নাই। আমি চাই মেয়ের পরিবার সহ আমার বাসায় থাকবে। আমি চাই একটা সুন্দর পরিবার যারা আমাকে বুঝবে।

কাজী:- আপনি যেমনটা বলছেন ঠিক তেমনটা একটা মেয়ে কাল বলে গেছে। আপনি চাইলে তার ফোন নাম্বার টা নিতে পারেন।

রাসেদ:- লাগবে না আপনি বরংচ মেয়ের পরিবার সাথে কথা বলেন। আমি আজ আসি।

কাজী :- ঠিক আছে।

রাসেদ যাওয়া মাত্র কাজী মেয়েটা কে ফোন দিলো।

কাজী:- আপনি যেমনটা বলছেন ঠিক তেমনটা একটা ছেলে আজকে এসে বলে গেছে।

মেয়ে:- তাহলে খুব ভালো আপনি বাসায় এসে মা বাবার সাথে কথা বলেন।

কাজী:-কিন্তুু একটা সমস্যা ছেলের পরিবার মা বাবা কেউ নাই।

মেয়ে:- আপনি আমার পরিবার সাথে কথা বলেন দেখবেন রাজি হবে।

কাজী সাহেব কথা বলে পরিবার কে রাজি করে বিয়েটা দিলো। আজ রাসেদের বাসর রাত আর অন্য রুমে রাসেদ নতুন বাবা মা।  বাসর ঘরে ঢুকতে রাসেদ কে সালাম করলো মেয়েটা। দুজন বসে রইছে কেউ কারো মুখ দেখে নাই।

রাসেদ:- যদি কিছু মনে না করেন আমি কি আপনার Face টা দেখতে পারি?

মেয়েটা:- দেখতে পারেন কিন্তুু আপনি বলবেন না তুমি বলে ডাকবেন আমায়।

রাসেদ:- আচ্ছা।

মেয়েটা ঘোমটা যখন নামলো রাসেদ দেখে ৪০০ বোল্ট শট খেলে। মেয়েটা মনে হয় রাসেদ কে দেখে ১২০০ বোল্ট শট খেলো। শট খাওয়ার কারন হলো এইটা পার্ক বেঞ্চে বসা সেই তারা দুজন। রাসেদ আর সুহাদা

সুহাদা:- আপনি আর পার্ক গেলেন না কেন?

রাসেদ:- যায় নাই কারন আমি বিয়ের ব্যবস্থা করতে করতে সময় পাই নাই।

সুহাদা:- আমার যে কি ভালো লাগতাছে জানেন?? আমি যেইভাবে চেয়েছি ঠিক সেই dream পরিবার হয়েছে।

রাসেদ:- আমার বাবা মা পূরণ হয়েছে এখন থেকে আমাকে আর একা লাগবে না।

সুহাদা:- আমাকে আপনার পাশে সবসময় রাখবেন তো??

রাসেদ:- আজ থেকে তুমি আমার পৃথিবী।

বাসরঘর বসে গল্প করে রাত হয়ে গেল তারপর ঘুমিয়ে গেল। সকাল ঘুম থেকে উঠে রাসেদ কফি তৈরি করলো। সবাইকে কফি দিলো কিন্তুু অন্যজন এখন ঘুমাইতেছে। সকাল নাস্তা রাসেদ করে সবাইকে দিলো। সুহাদা ঘুৃম থেকে উঠে আমার নাস্তা কোথায়?

রাসেদ:- এতক্ষন ঘুমাইছো কেন তাই নাস্তা পাইবা না।

সুহাদা:- ওকে দুপুরবেলা খাবার আপনি পাইবেন না।

রাসেদ:- আচ্ছা সকালবেলা আমি তোমাকে রান্না করে খাওয়াইবো। এই তো আমার cute husband.

সুহাদা:- আর প্রতিদিন আমরা চাকরী থেকে ফেরার পথে কোন এক জায়গা বসে আইসক্রিম খাবো।

রাসেদ:- ওকে।

সুহাদা:- বাসায় আসার পর লুডু খেলা খেলবো বাবা মা মিলে সবাই। পরে গভীর রাত্র হয়ে গেল আমি তোমার কোলে শুয়ে পরবো।

রাসেদ:- ভালে আইডিয়া কিন্তুু আমার বিড়ানী প্রতিদিন খাবো।

সুহাদা:- একদম না প্রতিদিন খেতে দিবো না তোমায়। প্রতিদিন খেলে শরীর খারাপ হবে।

রাসেদ:- ওকে মেম অল্প খাবো।

সুন্দর একটা সংসার জীবন শুরু হলো। যা মানুষ কল্পনা মধ্যে খুজেঁ পায় এমন সংসার।  সবার জীবন বয়ে আসুক এমন ভালোবাসা সংসার।

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত