চোখের পলক

চোখের পলক

সিয়াম সবে মাত্র কলেজে উটেছে,,, কলেজে সে নতুন,,তার কোনো স্কুল ফ্রেন্ড তার সাতে নেই,,সে একা,,তাই কলেজে তার যেতে একদম মন চায় না,, কথায় আছে না,বন্ধু ছারা লাইফ ইম্পসিবল, সিয়াম সব সময় একা বসে থাকে,,তার কিছুই ভাল লাগে না,,এসব দেখে তার মা তাকে জিজ্ঞেস করে,,

সিয়ামের মা: বাবা সিয়াম তর কি হয়েছে?

সিয়াম:না মা আমার কিছুই হয় নাই,,

মা:তাহলে এই ভাবে একা একা ঘরে বসে  থাকিস কেন?তর কি মন খারাফ,,আমাকে বল,

সিয়াম:হা মা একটু মন খারাফ,,আসলে  কলেজে একা একা জেতে হয়,,তেমন কোনো বন্ধু ও নেই,,তাই ভাল লাগে না মা,,

মা:ওওও,,তাহলে এক কাজ কর বাবা,,তুই তর মামার বাসায় চলে যা,, কয়েক দিন থেকে আয়,,

সিয়াম:হুম মা জেতে পারি,,কিন্তু বাবা?

মা:এসব আমি সামলাব তুই জা,,আমি তর মামা কে বলে দিচ্ছি তুই আজই যাবে,,

সিয়াম:আচ্ছা মা,, তার পর সিয়াম চলে গেল তার মামার বাড়ি,, ঢাকা থেকে সিলেট চলে আসল,,, সিয়াম জানে তার একটা মামাত বোন আছে, তার নাম মেঘা,,, খুব ভাল মেয়ে,, বাট সিয়াম এর জন্য খুব দুষ্ট,, সবসময় ২ জন লেগেই থাকে,,তবে সিয়াম আর মেঘা ২ জন ২ জন কে আপন ভাই বোনের মত দেখে,,, তাই সিয়াম মেঘার জন্য অনেক গুলা চকলেট নিল,,সিয়াম তার মামার বাসায় চলে আসল,, আজ প্রায় ২ বছর পর সিয়াম তার মামারবাসায় আসে,,,এসে দরজার কলিং বেল চাপল,,সিয়াম এর মামা দরজা খুল্ল,,

মামা: আরে সিয়াম,,আয় বাবা ভিতরে আয়? সিয়ামের মামী:বাবা সিয়াম এত দিন পর আমাদের কথা মনে পড়ল?

সিয়াম:কি যে বলেন মামী,, আসলে পরীহ্মার  জন্য তেমন সময় করতে পারি নি,,

সিয়ামের মামী:ভাল,,আমাদের ত বুঝাতে  পেরেছ,,কিন্তু মেঘা কে কি ভাবে বুজাবে,,

সিয়াম: তাই ত চিন্তা করতেছি,,মেঘা কই মামী

সিয়ামের মামী: মেঘা ত উপরে,,

সিয়াম:আচ্ছা মামী, মেঘার কাছ থেকে আসি? সিয়ামের মামী: আচ্ছা জাও,, সিয়াম মেঘার রুমে গিয়ে দেখে,,মেঘা সাজগোজ করতেছে,,,সিয়াম পিছনে গিয়ে,, মেঘার চোখ বন্ধ করল,,

মেঘা:কে,?

সিয়াম:কিছু বলছে না,,

মেঘা:আরে বাবা কে?

সিয়াম:এ বার ও কিছু বলল না? তার পর মেঘা জুর করে হাত খুল্ল,,

মেঘ: ভাইয়া তুই?

সিয়াম:হুম আমি,, কেন ভয় পাইছচ,?

মেঘা:আরে দূর ভয় পাব কেন? অই তুই আমার সাতে কথা বলস কেন? জা বের হয়ে জা আমার রুম থেকে,,রুম থেকে না তুই বাসা থেকে বের হয়ে যা,,

সিয়াম:সত্যি চলে জাব,,আচ্ছা জা,, দূর চকলেট এখন কি করব,,কোনো একমেয়ে কে দিয়ে দিব?

মেঘা:অই আমার চকলেট দে,,তর এত বর  সাহস আমার চকলেট তুই অন্য কাউকে দিবি,,বলেই মেঘা জুর করে চকলেট নিয়ে আসল,,আর বলল,,ভাইয়া এত দিন আস নি কেন?

সিয়াম:এমনিই রে,, আচ্ছা এসব বাদ দে,,তুই এখন কোথায় যাচ্ছিস?

মেঘা:ওও আমরা ফ্রেন্ড রা মিলে ঘুরতে যাচ্ছি, যাবি আমাদের সাতে,,

সিয়াম:নিবি আমাকে?

মেঘা: আরে তুই কি বলস,,চল,, বলেই মেঘা সিয়াম কে নিয়ে চলে গেল,,? মেঘা তাদের ফ্রেন্ড দের কে বলল,,এই ও হচ্ছে আমার ভাইয়া,,একে একে সবাই পরিচিত হল,,সিয়াম ও পরিচয় দিল,,হটাত সিয়াম এর নজর একটা মেয়ের দিকে চলে গেল,, সিয়াম মেয়েটির দিকে এক পলকে চেয়ে আছে,,হটাত মেয়েটি ও চেয়ে দেকল,,যে একটা ছেলে,তার দিকে চেয়ে আছে,,,সিয়াম এই রকম মেয়ে কোনো দিন ওদেখে নাই,,কারন মেয়েটার বোরকা পরা ছিল,তা ও আবার ডিলা ডালা,,বোরকা,,  ২ চোখ ছারা আর কিছুই দেখা জায় না,,মেয়েটি বার বার চেয়ে দেখল,,যে, সিয়াম তার দিকে তাকিয়ে আছে,,, হটাত মেঘা এসে সিয়াম কে বলল,,

মেঘা:ভাইয়া চল তোমাকে আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড এর সাতে পরিচয় করিয়ে দেই,,?

সিয়াম:আচ্ছা চল? সিয়াম চেয়ে দেকল অই মেয়েটার দিকে মেঘা যাচ্ছে? সিয়াম মনে মনে ভাবল,,অই মেয়েটা কি  মেঘার বেষ্ট ফ্রেন্ড?

মেঘা:ভাইয়া এই হচ্ছে আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড,,জাকে ছারা আমার চলে না,,বলতে  গেলে আমার জানের জান,,অর নামসায়মা,,আর সায়মা তকে বলেছিলামনা,,যে আমার একটা ভাইয়া আছে,, ওহচ্ছে আমার ভাইয়া,,সিয়াম,, এই দিকে সিয়াম মেয়েটার দিকে একপলকে থাকিয়ে আছে,,,এসব দেখে মেঘাহটাত,,বলে উটল,

মেঘা:ভাইয়া চল,,ফুচকা খেয়ে আসি?

সিয়াম:সিয়াম ভাবল হয়ত এখন মেয়েটারমুখ টা দেখতে পারব,,তাই সিয়ামও বলল চল,,

সায়মা:আচ্ছা তাহলে তুই যা আমি ও এখনবাসায় জাব,,তুই বিকেল বেলায় আমার বাসায় আসিস,,আপনি ওআসবেন,,সায়মা সিয়াম কে বলে চলে গেল,, আর সিয়াম সায়মার চলে জাওয়ার দিকে এক পলকে থাকিয়ে আছে,,হটাত মেঘা বলল,, চল ভাইয়া ফুচকা খেয়ে আসি,,বিকেল বেলায় ত সায়মার বাসায় জাব,,এই সময় ভাল ভাবে দেখেনিস,,

সিয়াম: মানে,,কি ভাল ভাবে দেখব?

মেঘা:আমি সব বুঝি,, এখন চল?

সিয়াম:তুই কি বুঝুস?

মেঘা:কিছু না চল?

সিয়াম:ওকে,,তার পর সিয়াম ও মেঘা,ফুচকা খেয়ে বাসায়চলে আসল,,বিকেল হওয়ার আগেই,সিয়াম রেডি হয়ে মেঘার রুমে চলে গেল,,

মেঘা:ভাইয়া তকে আজ এত সুন্দর লাগছে কেন?

সিয়াম:ও তাই না কি,,

মেঘা:হুম?

সিয়াম:তুই এখন ও রেডি হস নাই,,,তারাতারি রেডি হয়ে আয়,,আমি নিচে আছি,,?

মেঘা:মানে,রেডি হয়ে কোথায় যাব,,

সিয়াম:কেন,সায়মার বাসায় যাবি না,,

মেঘা:ও না আজ জাব না,,ভাল লাগছে না কাল জাব?

সিয়াম:তাহলে তুই আমাকে আগে বললি না কেন? আমি রেডি হয়ে চলে এসেছি?

মেঘা:আচ্ছা বিকেল ত এখন ও হয় নি,আর তুই সায়মার বাসায় জাওয়ার জন্য এত পাগল হইছচ কেন?

সিয়াম:মানে একজন আমাকে বলছে তার  বাসায় জাবার জন্য তাই আমি যাচ্ছি,

মেঘা:হিহিহিহি একজন বলল আর তুমি চলে জাবা,,আমি সব বুঝি ভাইয়া,,

সিয়াম:অই তুই কি বুঝছ?

মেঘা:হিহিহি,,ভাইয়া সায়মার চোখ দেখে প্রেমে পড়ে গেলা,,আর অর মুখ দেখলে ত তুমি শেষ,,  সিয়াম:এসব বক বক করা বাদ দে,,এখন চল রেডি হয়ে আয়?

মেঘা:না আমি জাব না?

সিয়াম:আচ্ছা চকলেট ও দিব না?

মেঘা:আমি কখন না করলাম,,আমি ২ মিনিট এর ভিতরে আসতেছি,,তুমি নিচে যাও,,

সিয়াম: ওকে তুই আয়,, তার পর সিয়াম ও মেঘা ২ জন সায়মার বাসায় গেল,,মেঘা দরজার কলিং বেল চাপল,,সায়মার মা দরজা খুললেন,,

সায়মার মা:আরে মেঘা আস ভিতরে আস?
উনি কে?

মেঘা:আমার ভাইয়া,,ও ঢাকায় থাকে,,সারা  দিন ঘরে বসে থাকে তাই নিয়ে এলাম? সায়মার

মা:ও ভাল করেছ,মা,বাবা ভিতরে আস,,আয় মা ভিতরে আয়?

মেঘা:আন্টি সায়মা কোথায়?

সায়মার মা:সায়মা তার রুমে আছে,,যাও  তার রুমে জাও,,

মেঘা:টিক আছে আন্টি?ভাইয়া আস,,মেঘা আর সিয়াম জেই সায়মার রুমের কাছে গেল,,খুব মধুর শুরে কোরআন তিলাওয়াত শুনতে পেল,,সিয়াম অবাক হয়ে গেল, একটা মেয়ে কলেজে পরে,, আর সে সবসময়বোরকা পরে,,আবার কোরআন ও তিলাওয়াত করে,,সুবাহানআল্লাহ,,এখনের যুগে ও এমন মেয়ে আছে,,হটাত মেঘা বলে উটল?

মেঘা:ভাইয়া কি চিন্তা করতেছ?

সিয়াম:কিছু না রে?

মেঘা:আমি জানি ভাইয়া তুমি কি চিন্তা  করতেছ,,ও এমন ই,,আমাদের সবার থেকে আলাদা,,ঘরের বাইরে বের হলে বোরকা পরে বের হয়,,শুধু অর চোখ দেখা যায়,, আজ পর্যন্ত কোনো ছেলে অর মুখ দেখে নি,,

সিয়াম:সত্যি,,

মেঘা:হুম,,ভাইয়া,,আর এইটা ও জেনে রেখ, ও কোনো দিন প্রেম করবে না,,ও আমাকে বলেছে,,ও শুধু অর স্বামী কে ভালবাসবে আর কাউকে না,,

সিয়াম:তুই আমাকে একটা হেল্প করবি?

মেঘা:কি হেল্প?

সিয়াম:পরে বলব,,?

মেঘা:আচ্ছা টিক আছে,,বাট চকলেট লাগবে?

সিয়াম:হাহাহা,ওকে? হটাত কোরআন তিলাওয়াত বন্ধ হয়ে গেল,মেঘা আর সিয়াম বুঝে গেল,,সায়মার কোরআন তিলাওয়াত শেষ,, তাই মেঘা সিয়াম কে বলল,,

মেঘা:ভাইয়া তুমি ও পাশে জাও,,আমি সায়মা কে নিয়ে আসতেছি?

সিয়াম:আচ্ছা,, সায়মা রুম থেকে বের হয়ে দেখে মেঘা চলে এসেছে,,

সায়মা: কখন এলি?

মেঘা:এই ত মাত্র এলাম,?

সায়মা:তর ভাইয়া আসে নি?

মেঘা:হুম এসেছে,,,

সায়মা:ও, তাহলে দারা,,বলেই সায়মা বোরকা পরে চলে আসল,,এখন চল,,

মেঘা: হুম চল?তার পর মেঘা ও সায়মা সিয়ামের কাছে গেল,সিয়াম সায়মা কে দেখে অবাক,,মেয়েটা ঘরের মধ্যে ও বোরকা পরে,,,

সায়মা:আসসালামুআলাইকুম,

সিয়াম:ওয়ালাইকুমআসসালাম,

সায়মা:কেমন আছেন?

সিয়াম:জি ভাল,,আপনি?

সায়মা:আলহামদুলিল্লাহ, ভাল আছি,,আবার কেউ যদি আপনাকে বলে যে কেমন আছেন তবে আগে আলহামদুলিল্লাহবলবেন,,টিক আছে,,

সিয়াম:আরও অবাক হয়ে গেল,,জি আচ্ছা?

সায়মা:আপনি কি নামাজ পড়েন?

সিয়াম:জি মানে?

সায়মা:বুঝেছি,, এখন থেকে নামাজ পড়বেন, তাহলে মন ভাল থাকবে,,আর মিথ্যা কথা কখন ও বলবেন না,,

সিয়াম:জি আচ্ছা,,তাহলে আজ আমরা উটি?

সায়মা:সে কি নাস্তা করে জান?

সিয়াম:জি না আরেক দিন করব,,?

সায়মা:আচ্ছা,,

সিয়াম:তাহলে আজ আমরা জাই,,বায়,,

সায়মা:কারও কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় বায় বলতে নেই,,আল্লাহ হাফেজ বলবেন?

সিয়াম:জি আচ্ছা আল্লাহ্‌ হাফেজ,,

সায়মা:আল্লাহ্‌ হাফেজ,,আর শুনুন মেঘা কে জা বলার বলেছি,,মেঘার কাছ  থেকে শুনে নিবেন?

সিয়াম:জি আচ্ছা,,

তার পর সিয়াম ও মেঘা, সায়মার বাসা থেকেবিদায় নিয়ে চলে আসল,,সারা বিকেল ২ জন ঘুরল ফুচকা খেল,, আর সিয়াম মেঘা কে চকলেট কিনে দিল,,তার পর বাসায় চলে আসল,,বাসায় আসার পর হটাত সিয়াম এর মনে হলযে,,সায়মা বলেছে মেঘার কাছ থেকে কিজেন জেনে,,নিতে,,?সায়মা মেঘা কে কিবলেছে,,তা ত মেঘা ভাল করে জান বে,,তাই সিয়াম মেঘা কে ডাক দিল?

সিয়াম:মেঘা,মেঘা,অই মেঘা,,

মেঘা:কি হইছে এত ডাকাডাকি করতাছস কেন

সিয়াম:তকে সায়মা কি বলেছে,,?

মেঘা:ও না কিছু না?

সিয়াম:মানে,,আমাকে বলেছে তর কাছ থেকেজেনে নিতে,,আর আমি খুব ভাল করেজানি সায়মা মিথ্যা কথা বলবে না,,তুই আমাকে বল ও কি বলেছে?

মেঘা:বললাম ত ভাইয়া কিছু বলে নাই,,?মেঘা খুব ভাল ভাবে জানে,,সায়মা জাবলেছে,,সিয়াম তা কখনো করতে পারবে না,,তাই মেঘা বলতে চায় না,, কিন্তু মেঘা কোনো কিছুতেই হার মানে  না,,শুধু চকলেটের কাছে হার মানে??

সিয়াম:আচ্ছা টিক আছে,,চকলেট টা কাউকে দিয়ে আসি,,তুই বস,,

মেঘা:অই তুই চকলেট দিয়ে আসবে মানে?

সিয়াম:মানে আমি আর তকে চকলেট দিব না,

মেঘা:কেন??

সিয়াম:তুই ত আমাকে বলবি না তাই আমিও চকলেট দিব না,,

মেঘা:অইই,,আমি কখন না করলাম,, তা হলে শুন?না বলব না আগে চকলেট দে?

সিয়াম:এই নে,,এখন বল?

মেঘা: তাহলে শুন? আজ থেকে প্রায় ১ বছর আগের ঘটনা ,,আমরা সবাই মিলে বেরাতে গিয়েছিলাম,,সায়মা ও আমাদের সাতে গিয়েছিল,,অনেক ঘুরাঘুরি করেছিলাম,, আর আমার ফোন সায়মার হাতে ছিল,,হটাত তুই ফোন দিয়েছিলে,,,, আর ফোন টা আমি দরি নি,, সায়মা দরেছিল, তুই ভেবেছিস ফোন আমি দরেছিলাম,,

সিয়াম:হ্যাল মেঘা,,কেমন আছস?

সায়মা:আসলে আমি মেঘা না,, অর ফ্রেন্ড,, মেঘা একটু দূরে, আর অর ফোন আমার কাছে,,

সিয়াম:ও আচ্ছা তাহলে মেঘা আসলে বলবেন, অর ভাইয়া ফোন দিয়েছিল,,

সায়মা:আচ্ছা, টিক আছে,,তার পর সিয়াম বলে উটল,,তার মানে সেই দিন সায়মা আমার সাতে কথা বলেছিল? মেঘা,,হুম,,

সিয়াম:তার পর? তার পর,,আমি আসলাম,,সায়মা আমাকে জিজ্ঞেস করল,,?

সায়মা:অই তর ত কোনো ভাই নেই,,তাহলে এই টা কোথা থেকে আসল,,

মেঘা:এই টা মানে কোন টা?

সায়মা:এই যে চকলেট ভাইয়া লিখা,,

সিয়াম:কি তুই আমাকে চকলেট ভাইয়া বলস?

মেঘা:হিহিহিহি,,হুম,,যদি রাগ করস তাহলে আর বলব না,,?

সিয়াম:অই আমি কখন রাগ করলাম,,তুই বল

মেঘা:ওকে,,তার পর,, হুম চকলেট ভাইয়া আমার ফুফাত ভাই, কিন্তু আমি মনে করি আমার আপন  ভাই,,

সায়মা:ও তাই,,খুব ভাল উনি,,

মেঘা:হুম,,একবার আমার জর হয়েছিল,,আর আমার ভাই সারা রাত আমার সেবা করে গেছে,,এক বারের জন্য ও ঘুমায় নি, তুই বল আমার এই ভাইয়ের মত কি আর কোনো ভাই হতে পারে,,?

সায়মা:উনি এত ভাল,,উনা কে একটু আমাকে দেখাবি,,

মেঘা:এই নে দেখ,,তার পর আমি তোমার ছবি দেখিয়েছিলাম,, আর প্রতিদিন তোমার কথা অর সাতে গল্প করতাম,,অনেক দিন তুমি আমি ভেবে সায়মার সাতে ফোন এ কথা বলেছ,,

সিয়াম:ও আচ্ছা তাই,,

মেঘা:এখন ত আসল কথা বলি নি?

সিয়াম:কি আসল কথা বল?

মেঘা:আজ আমি সায়মা কে বলেছিলাম,,যে তুমি সায়মা কে অনেক ভালবাস,,তুমি সায়মার চোখ দেখে প্রেমে পড়ে গেছ,, কিন্তু?

সিয়াম:কিন্তু কি,,বল,,সায়মা কি বলল,

মেঘা:সায়মা একটা শর্ত দিয়েছে,,?

সিয়াম:কি শর্ত?

মেঘা:মেঘা চায় সে জাকে ভালবাসবে,, সে জেন,,৫ অয়াক্ত নামাজ পড়ে,, সব সময় সত্যি কথা বলে,,আর সে তাকেই বিয়ে করবে,,কিন্তু সে তার বাবা মা কে কষ্ট দিতে পারবে না,,তাই সে তার বাবা মার পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করবে,, আর তার বাবা মার পছন্দ করা ছেলে হচ্ছে,, যে কোনো ছেলে,,সে জেন ভাল হয়, ভাল একটা চাকরি করে,,তার মেয়েকে সবসময় সুখে রাখবে,, কিন্তু সায়মা তকে একটা সুযোগ দিয়েছে?

সিয়াম:কি সুযোগ বল,,আমি সায়মার জন্য সব করতে রাজি,,

মেঘা:তকে ৪ বছরের সময় দিয়েছে,,তুই যদি ৪ বছরের মধ্যে ভাল একটা চাকরি করিসআর সায়মার এসব কথা রাকিস,,তার  পর সায়মার বাবা মার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাটাস তাহলে হয়ে যাবে,,

সিয়াম:টিক আছে আমি আজ ই ঢাকায় জাব, তুই সায়মা কে বল ও জেন রেডি থাকে,,আমি টিক ৪ বছর পর আসব,,

মেঘা:ভাইয়া আমাকে ভুলে জাবি না ত? একটু কান্না করে,,

সিয়াম:তুই কি বললি তকে আমি ভুলে জাব, আমার চকলেট পাগলী বোন টা কে আমি ভুলে জাব,,এই বলেই,,সিয়াম কান্না করে মেঘা কে জরিয়ে দরল?

মেঘা:ভাইয়া এই ৪ বছর আমাকে চকলেট কে এনে দিবে,,

সিয়াম:হাহাহা তুই চিন্তা করিস না,,আমি তর জন্য সবসময় চকলেট পাটাব,,তাহলে আমি আসি রে,,আল্লাহ হাফেজ,, ভাল থাকিস বোন?

মেঘা:তুমিও,,

হটাত পিছন দিকে চেয়ে দেখল,, সায়মা বোরকা পরে এক পলকে সিয়াম এর দিকে চেয়ে আছে,,আর সায়মার চোখে পানি,, সিয়াম আর কিছু না বলে সায়মার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেল,, আসলে সায়মা ও সিয়াম কে ভালবেসে ফেলে, তার পর সিয়াম বাসে উটে ঢাকায় পৌছে গেল,, আর এই দিকে সায়মা নামাজ পড়ে আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া করে আর নিরবে কান্না করে,, এই ভাবে প্রায় ১০ দিন চলে গেল,, তার পরের দিন সায়মা মেঘাদের বাসায় জায়, গিয়ে দরজার কলিং বেল চাপল,, মেঘা দরজা খুল্ল,,

মেঘা:সায়মা তুই,,বলেই ঝরিয়ে দরল?আয় ভিতরে আয়?

সায়মা:কেমন আছচ?

মেঘা:আলহামদুলিল্লাহ,, ভাল আছি রে,,তুই?

সায়মা:আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভাল আছি,

মেঘা:তা ত দেকতেই পারছি,,? তর চোখের নিচে কালি পরে গেছে,,এত কান্না কেন করস,,ভাইয়া ত বলছে যে ৪ বছর পর তর কাছে ফিরে আসবে,,তুই এত চিন্তা কেন করস,,এত চিন্তা করিস না,, মেঘার এই কথা শুনে সায়মা মেঘা কে ঝরিয়ে দরে আবার কান্না শুরু করল,,

সায়মা:অর খুব কষ্ট হবে তাই না রে,,কিন্তু কি করব বল আমি ত অকে অনেক ভালবেসে ফেলেছি,,আমি ত অকে হারাতে চাই না,,,আমি অকে আমার জীবন সাথী হিসেবে পেতে চাই,, তুই জানিস আমি প্রতিদিন অর জন্য দুই রাকাত নফল নামাজ পরি,, আল্লাহ্‌ জেন অকে সব সময় ভাল রাখে এই দোয়া করি,,আমি যে অকে শর্ত দিয়েছি ও পারবে ত মেঘা,,

মেঘা:ও আমার ভাই,,এবং ও তকে মনে প্রানে ভালবাসে,,অ টিক পারবে,,?তুই দেখে নিস,,আর এত চিন্তা করিস না ত,, তর শরীরের কি অবস্তা করেছিস এক বার দেখেছিস,, তুই আমার বাবি হবি, এই রকম করলে কিন্তু আমি তকে বাবি করব না,,বলে দিলাম,,

সায়মা:অরে বাবা আচ্ছা টিক আছে,,আর এমন হবে না,,?

মেঘা:এই ত আমার জানে জিগার,,

সায়মা:অ ফোন করেছিল,,?

মেঘা:হুম,,ভাল আছে,,

সায়মা:আমার কথা কিছু বলে নি?

মেঘা:না,,,মেঘা একটু মজা করল?

সায়মা:মুখ কালো করে,,ওওও,

মেঘা:হিহিহি জাকে সে তার জীবন থেকে বেশি ভালবাসে তার কথা বলবে না ত,,আর কার কথা বলবে,,,,পাগলী কোথাকার?

সায়মা:কান্না করে,,তুই আমার সাতে এমন করলি কেন?আমি কত কষ্ট পেয়েছি,

মেঘা:সরি,,আমার বাবি জান,, আপনার সাতে একটু মজা করেছিলাম,,ভাইয়া তর কথা বলেছে,,

সায়মা:সত্যি,,

মেঘা:হুম,, মেঘা আর সায়মা অনেক সময় দরে গল্প করতে থাকল,,হটাত মেঘার ফোন বেজে উটল,,মেঘা চেয়ে দেখে,,সিয়াম ফোন করেছে,,সায়মা,, ভাইয়া ফোন দিয়েছে,,

সায়মা:আমি যে তর কাছে, তুই বলিস না তুই কথা বলে জা,,

মেঘা:হ্যাল ভাইয়া,

সিয়াম:আসসালামুআলাইকুম,,ফোন দরে  হ্যাল বলার আগে সালাম দিবি,, বুজেছিস,,

মেঘা:ওয়ালাইকুমআসসালাম,,বাহ বাহ,,এত চেইঞ্জ,,,সায়মা অনেক খুশি হল,,কারন সিয়াম অনেক পালটে গেছে,,

সিয়াম:হুম কি করস?

মেঘা:এইত ভাইয়া বসে আছি,,তুমি?

সিয়াম:নামাজ পরে এখন বাসায় এসেছি, তুই নামাজ পরস নাই,,

মেঘা: না ভাইয়া,,

সিয়াম:চুপ,,এখন থেকে নামাজ পড়বি তা না হলে আর চকলেট দিব না,,

মেঘা:ভাইয়া আমি এখন নামাজ পড়ব,, আর আমার জন্য তুমি দোয়া কর?

সিয়াম:আচ্ছা টিক আছে,,মেঘা,,সায়মার সাতে তর দেখা হয়,,ও কেমন আছে, ভাল ত,,আমার কথা কি তকে জিজ্ঞেস করে,, সায়মা সিয়ামের কথা শুনে,,নিরবে কান্না শুরু করল,,আর মেঘা সায়মাকে শান্তনা দিচ্ছে,, সায়মার কান্নার আওয়াজ,,সিয়ামের কানে গেল,,

সিয়াম: মেঘা,,সায়মা তর কাছে,,

মেঘা:হুম ভাইয়া,,তোমার কথা শুনে অনেক কান্না করতেছে,,আর তোমার জন্য চিন্তা করতে করতে শুখিয়ে গেছে,,

সিয়াম:কি বলস তুই ফোন দে ত অর কাছে,,

সায়মা:আসসালামুআলাইকুম,, কেমন  আছেন?

সিয়াম:ওয়ালাইকুমআসসালাম,,, আলহামদুলিল্লাহ,, ভাল আছি,,তুমি এসব কি করতেছ,,কেন চিন্তা করতেছ, তুমি শুধু আমার জন্য দোয়া কর,আর প্লিজ কান্না কর না একটু হাস,,আমি তোমার কান্না সহ্য করতে পারি না,,

সায়মা:আচ্ছা টিক আছে,, অনেক সময় সায়মা আর সিয়াম ফোন এ কথা বলল,,,

সিয়াম:তাহলে টিক আছে,,ভাল থেক,, আল্লাহ্‌ হাফেজ?

সায়মা:আল্লাহ্‌ হাফেজ,, তার পর সিয়াম,লেখা পড়ায় অনেক মনযোগ দিল,,আর এই দিকে সায়মা প্রতিদিন নামাজ পড়ে সিয়ামের জন্য দোয়া করে? এই সব দেকতে সেকতে,আজ ৪ বছর হয়ে গেল, সিয়াম এখন খুব ভাল একটা কম্পানিতে চাকরী করে,,তাই সিয়াম আজ সিলেট যাবে,,সায়মার সাতে দেখা করতে,,তাই সে মেঘা কে ফোন করল,,,

সিয়াম:আসসালামুআলাইকুম,, মেঘা কেমন আছস?

মেঘা: ওয়ালাইকুমআসসালাম,, আলহামদুলিল্লাহ,,ভাল আছি ভাইয়া তুমি?

সিয়াম:আলহামদুলিল্লাহ,, সায়মা কেমন  আছে রে?

মেঘা:হা ভাল,,

সিয়াম:আচ্ছা এখন রাখি,, আল্লাহ্‌ হাফেজ

মেঘা:আল্লাহ্‌ হাফেজ,,

এই কথা বলার পর সিয়াম বাসে উটল,,হটাত সিয়াম বাসের একটা সিটে,,টিক সায়মার মত একটা মেয়েকে দেকতে পেল,,মেয়েটা সিয়ামের দিকে এক পলকে চেয়ে আছে,,আর মেয়েটার চোখে পানি,,সিয়াম মনে মনে ভাবল,,সায়মা ত এখানে আসার কথা না,,দূর ও মনে হয় অন্য কেউ হবে,,,তার পর মেয়েটার দিকে আবার থাকাল,,চেয়ে দেকল মেয়েটা তার দিকে চেয়ে আছে,,আর অঝুরে কান্না করতেছে,, সিয়াম,আমার ত এই চোখ চেনা,,এই চোখ কখন ও ভুল হতে পারে,,না,,এই টা সায়মা,, কিন্তু সায়মা এখানে কি করছে,,হটাত চেয়ে দেকল,মেয়েটা নেই,, তার পর সিয়াম আর কিছু না ভেবে,,মেঘার বাসায় চলে গেল,,

মেঘা:ভাইয়া তুই,,বলেই ঝরিয়ে দরল,,আর  কান্না করতে লাগল,,

সিয়াম:আরে পাগলী কান্না করতাছস কেন? আমি ত এসেছি,,এই নে তর চকলেট

মেঘা:তুমি ত একবার হলেও আমাকে এসে  দেকতে পারতে,,

সিয়াম:সরি রে,,মাফ করে দে ভাই কে,,এখন বল,সায়মার কি খবর,,

মেঘা:ভাইয়া তকে যে কি বলি,,তুই দারা আমি আসতেছি,,বলেই মেঘা,সিয়াম কে একটা চিটি দিল,,

সিয়াম:চিটি টা খুলে,পরতেছে,,আর অঝুরে চোখের পানি পরতেছে,  চিটিতে লেখা ছিল,,, প্রিয় সিয়াম,,আমি জানি তুমি টিক ৪ বছর পর ভাল একটা চাকরী করে আমার জন্য ফিরে আসবে,,আমি এ টা ও জানি যে,, তুমি আমার চিটি পড়ে, আমাকে অনেক খারাফ মেয়ে ও ভাবতে পার,,কিন্তু বিশ্বাস কর,আমার কিছু করার নেই,,বাবার এক বন্ধুর ছেলের সাতে আমার বিয়ে টিক করেছে,,আমি তোমাকে আগেই বলেছিলাম যে আমি আমার আব্বু আম্মু কে কষ্ট দিতে পারব না,,যদি তুমি পার আমাকে মাফ করে দিও,,আর হে,, আগামী ২৫ তারিখ আমার বিয়ে,, যদি পার তুমি এস, ইতি, সায়মা,, সিয়াম চিটিটা পড়ে অঝুরে কান্না শুরু করল,, মেঘা সিয়াম কে শান্তনা দিল,, হটাত সিয়ামের বাবা ফোন করল যে,, এখন ই তাকে বাসায় ফিরতে হবে,, সিয়াম আর দেরি না করে চলে গেল,,

সিয়াম এর বাবা:বাবা সিয়াম আমি জানি তুমি আমার কথা কখনো ফেল না,,আশা করি আজও ফেলবে না?

সিয়াম:জি বাবা বলেন,,কিছু হয়েছে,,?

বাবা:আমি তোমার বিয়ে টিক করেছি,,হা আমি এইটা জানি যে,,তোমার মত জানার দরকার ছিল,,কিন্তু আমি এই টা ও জানি যে,,তুমি আমাকে অনেক বিশ্বাস কর?

সিয়াম:বাবা তুমি জা ভাল মনে কর তাই কর,

বাবা:আমি জানতাম,,তুমি আমাকে অনেক বিশ্বাস কর,,আর হে আগামী ২৫ তারিখ তেমার বিয়ে,, সিলেট তেমার বিয়ে হবে,

সিয়াম:জি আচ্ছা,,  সিয়াম মেঘা কে বলল যে তার বিয়েতে আসতে কিন্তু মেঘা বলল,,যে সায়মার বিয়েতে তাকে জেতেই হবে,,তাই সিয়াম ও আর জুর করল না,, আজ সিয়াম এর বিয়ে,,সবাই কে নিয়ে সিয়াম বর সেজে বসে আছে,,হটাত মেঘা,,এসে হাজির,,

মেঘা:ভাইয়া আজ জা তকে লাগতেছে না, বাবি ত ফিদা হয়ে যাবে রে,,

সিয়াম:তুই সায়মার বিয়েতে জাস নাই,,

মেঘা:হুম আমি ত সায়মার বিয়েতে?

সিয়াম:তাহলে এখানে কেন?

মেঘা:এই টা ত সায়মার বিয়ে,,

সিয়াম:মানে,,?

মেঘা:আসলে সরি ভাইয়া,,তকে আর সায়মা কে কষ্ট দেওয়ার জন্য,, আমি ফুফা কে আর সায়মার বাবা কে তদের কথা সব বলেছি,,আর তারা ও রাজি হয়ে জান,, আর এই কথা আমি তাদের কে বারং  করেছি যে তদের কে জেন না বলে? ভাইয়া সরি,,মেঘা কান দরে বলতে লাগল,,

সিয়াম:দূর পাগলী,, আচ্ছা এই কথা কি সায়মা জানে,,

মেঘা:না,,বাট আমি এখন বলব,,?

সিয়াম:না তুই বলবি না,,

মেঘা:তাহলে চকলেট দে,,

সিয়াম:এখন চকলেট পাব কই?

মেঘা:আচ্ছা বাসর ঘর এ জাওয়ার আগে দিস,

সিয়াম:পাগলী কোথাকার,, আচ্ছা টিক আছে, বিয়ের সব কাজ শেরে,,বউ নিয়ে,,সিয়াম বাসায় চলে আসল,,সিয়াম ত অনেক খুশি,, কারন সে,সায়মা কে পেয়েছে,, সব কাজ শেষে সিয়াম যখন বাসর ঘর এ ডুকল,

সায়মা:আসসালামুআলাইকুম,

সিয়াম:ওয়ালাইকুমআসসালাম,,

সায়মা:আপনাকে আমার কিছু কথা বলার আছে,,

সিয়াম:কি কথা বলেন,,?

সায়মা:আমি একজন কে ভালবাসি,,তাই আপনাকে বলছি,,আপনি আমার কাছে আসবেন না,,

সিয়াম:ও তাহলে আপনি জাকে ভালবাসেন তার নাম কি?

সায়মা:সিয়াম?

সিয়াম:আর আজ জাকে বিয়ে করেছেন তার নাম কি,,?

সায়মা:জানি না?

সিয়াম:মানে,,তুমি নাম না জেনে বিয়ে করে ফেলছ,,

সায়মা:আসলে,চিন্তায় আমি নাম ভুলে গেছি,

সিয়াম:আমি ত এখন আপনার স্বামী,, জাই হক আপনি ত কবুল বলেছেন,,আমি একবার আপনার মুখ কান দেকতে চাই,,এর বেশি কিছু করব না,,

সায়মা:আচ্ছা টিক,আছে,

সিয়াম:সায়মার মুখ দেখে,,অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে,,এত সুন্দর মেয়ে  সিয়াম আজ পর্যন্ত দেখে নি,, সিয়াম বলল,,আমাকে দেখবে না,,

সায়মা:চেয়ে দেখল,,সিয়াম,,সায়মা অবাক হয়ে গেল,,সায়মা তুমি,, এসব কি ভাবে

সিয়াম:এসব মেঘা করেছে,,জাই হক, আমরা ২ জন ত এক হয়েছি,,

সায়মা:হুম,,এখন চল ২ রাকাত নামাজ পড়ি, তার পর সিয়াম ও সায়মা ২ রাখাত নামাজ পড়ল,,, সারা রাত ২ জন অনেক গল্প করল,, আজ সিয়াম ও সায়মার এক ছেলে,ও এক মেয়ে,,তারা এখন অনেক সুখি,,

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত