দুষ্টু বুদ্ধি vs মিষ্টি ভালবাস

দুষ্টু বুদ্ধি vs মিষ্টি ভালবাস

বাসায় ঢুকতেই নিজেকে একটু সামলে নিলাম যাতে করে আম্মু কিছুতেই বুঝতে না পারে যে আমি আজও আবার একটা গোড়াতে গন্ডোগোল পাকিয়ে এসেছি।

->আর আম্মু এই বার বুঝবেই বা কি করে আমি যে ভাবে কাজটা হাছিল করে এসেছি তাতে আমি আম্মুর ধরা ছুয়ার বাহিরে।

-> ইসস আম্মু তোমার মুখটা আমার মনে হলে খুব কষ্ট হয় গো,কত আশা করে ছিলে এই বছরে আমায় ঘার থেকে নামাবে কিন্তু সেই গুরে তো বালি হা হা হা।

-> বাসায় প্রবেশ করে আম্মুকে কোথাও দেখছি না তাই চিল্লাতে লাগলাম।

->আম্মু কই তুমি দেখো তোমার রাজকন্যা হাজির, সেই ৪ কিলোমিটার হেটে হেটে চলে আসলাম শুধু মাত্র তোমার মুখ রক্ষা করার জন্য কই গো তুমি?(মুখ রক্ষা না ছায় যে চুন কালি লাগিয়ে এসেছিনা, হি হি হি মনে মনে)

-> কি হইছে চিৎকার করছিস কেন? (আম্মু)

->তুমি কই ছিলা বলতো, আর তোমার মন খারাপ কেন? আর তোমার মেহমান কই?? আমি কতো তারাতাড়ি করে বাসায় এলাম, আমি কতো ভালো হয়ে গেছি বলো? কি গো আম্মু চুপ হয়ে আছো কেন? (আমি)

->তোর আন্টিরা আসেনি, আর আসবেও না তোর আন্টি অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাই আসতে পারবেনা (আমুমু)

->আসবে না মানেটা কি, মগেরমুল্লুক পাইছে নাকি, আমি এতো কষ্ট করে বাসায় এলাম তাদের জন্য, আর আমার কথা না হয় বাদ দাও তুমি এতো ভালো ভালো রান্না করলে তাদের জন্য সেই সকাল থেকে,কত আশা করলে তার ছেলের সাথে আমায় বিয়ে দিবে আর তারা আসবেনা তা বললেই হলো? (আমি)

->চুপ থাকতে বললাম না, তার শরীল খারাপ তাই আসেনি ব্যস আর কিছু, আর তুই তাদের নিয়ে এতো ভাবছিস কেন তোর তো খুশি হবার কথা,যা খুশি হয়ে নাচ গিয়ে (আম্মু)

->আজব তো তুমি আমায় রাগ দেখাচ্ছো কেনো বলতো।
,(থাক এখন মৌমাছির ঘরে ঢিল না মারায় ভাল,রুমেয় বরং যাই,কখন আবার আমার মুখ দিয়ে কি বের হয় না হয় )

->রুমে এসে আমি আনন্দে পুড়ায় বাক বাকুম হয়ে নাচতে শুরু করলাম আজ আবার আমি জিতে গেলাম উফু কি যে মজা।

->হঠাৎ রুমে নক করলো কেও, কে ভিতরে এসো দরজা খুলাই আছে।(আমি)

->কি করছিস তুই,( আম্মু)

->ও আম্মু তুমি এসো
এসো কিছু বলবা??

->হুম শোন তোর আন্টি রা আমাদের তাদের বাসায় দাওয়াত করেছে আগামী শুক্রবার, তুই রেডি থাকিস ঠিক আছে।(আম্মু)

->কি তাদের বাসায় যাবো মানেটা কি, এই কথাতো তাদের সাথে হইনি , আন্টি তো বললো ফোনেই বিয়েটা ভেঙ্গেদিবে, তাহলে যাবো কেনো আমি। যাবো না তারা কথা দিয়ে কথা রাখেনি আমার সাথে।(রেগে মেগে আমি)

->যাক সত্যি কথাটা তাহলে মুখ দিয়ে বার করলি এফাযিল মেয়ে কোথাকার (আম্মু)

->এই যা আমি এইটা কি করলাম,ইসুরে ফেসে গেলি এখন সামলা,(মনে মনে)

-> না মানে আসলে মানে আম্মু,কি হয়েছে বলতো,তাদের সাথে রাস্তায় আমার দেখাটা হয়ে গেলো,তার পর কি হলো,

কোন কথাই তো বানাইতে পাচ্ছি না কি করি এখন।অন্য সময় ত কথা মুখ থেকে সরতেই চাইনা কিন্তু এখন তো বেরতেই চাচ্ছেনা (মনে মনে আমি)

->কি হলো কথা বলছিস না কেন, তার মানে তুই আবার গন্ডোগোল পাকিয়েছিস? ছিঃ ইসরাত তুই মানুষ হবি না বলতো? (আম্মু)

->কি বলতে চাও আমি মানুষ নই,আমি পশু,পশুরা কখনো আমার মতো এতো সুন্দর হয়, এতো ভালো ভালো কাপড় চোপড় পরে। পশুরা তো লেংটু হয়ে থাকে,আর আমার দিকে তাকিয়ে দেখ আমি লেংটু নয় সুন্দর একটা ড্রেস পড়ে আছি, ছিঃ আম্মু তুমি আজ কাল কথাও বলতে পারনা দেখছি, ( মুচকি হেসে আমি)

->তোর এই সব কথার মায়ায় আর যাকেই পারিস আমাকে ফাসাতে পারবিনা।আর
দাড়া আমি তোর বাদরামি ঘুচাচ্ছি (রেগে মেগে আম্মু)

->আচ্ছা যা করার কর,কিন্তু আমি তোমার বান্ধবির বাসায় যাবোনা ব্যস আর কোন কথা হবেনা।(আমি)

->কোন কথা না বলে আমামু রুম থেকে হন হন করে চলে গেলো।

->যাক বিয়েটা তো চোঁপাট করতে পারলাম শেষ মেষ,

->কিন্তু হ্যাঁ ছেলেটা কিন্তু দেখতে হেব্বি,কিন্তু খুব বিচ্চু,

->মিস্টার আবির তোমার স্বপ্নে আমি জলটা ঢালতে পারলাম তাহলে তুমি আর আমায় বিয়ে করতে পারলে না হি হি হি।মাঝ খানে ২ দিন পার হয়ে গেলো আমি মনের সুখে তাহসান এই অনুভবে তুমি আছো গানটা শুনছি হঠাৎ দরজায় নক হলো।

->মেজাজ টাই খারাপ হয়ে গেলো, কে ভিতরে এসো দরজা খুলা আছে।

->কি করছিস, তোর সাথে একটা কথা শেয়ার করতে আসলাম(আম্মু)

->হ্যাঁ বলো কি বলবা? (আমি)

->ভাবছি তোর লামিয়া আন্টির বাসায় আর যাবোনা,তুই যা সব কান্ডো করেছিস তার পরে কি ঐ বাড়িতে গেলে আর সম্মান পাবো।

-> তাই ভাবছি আর যাবো না বরং চল আমরা তোর আসাদ আংকেল এর বাসায় যাই ওরা অনেক দিন হলো যাইতে বলে যাওয়া হয়না।

->এই শুক্রবারে ওদের বাসায় নাকি একটা বিয়েও আছে তাই চল ঐ খানেই যাই কি বলিস?? (আম্মু)

->বাহ্ তোমার মাথায় এতো ভালো বুদ্ধি আসতে পারে আমি ভাবিই নি এই না হলে তুমি আমার আম্মু, কাছে এসে তোমায় একটা পাপ্পা দেই।(আমি)

->ঐ সব আমার লাগবেনা, তোর পাপ্পি তোর কাছেই রাখ,আর শোন আমরা শুক্রবারে যাচ্ছি।(আম্মু)

-> আচ্ছা রাখলাম ভবিষৎতে তোমার জামাই কে দিবো নি হা হা হা।

-> আর ঠিক আছে আমি শুক্রবারে রেডি থাকবো।(আমি)

->আর শোন তোর জন্মদিনে যে শাড়িটা তোরে দিয়ে ছিলাম সেই শাড়িটা পড়ে যাবি ঠিক আছে। (আম্মু)

->ঐ কি বলো এই সব আমি যে দিন জন্ম নিয়েছিলাম সেদিন তো লেংটু হয়ে আসছিলাম। তোমরা তো আমায় ন্যাপি পড়ায়ছো, শাড়ি দিলা কখন?? (মুচকি হেসে আমি)

->পাজি মেয়ে কোথাকার এই জন্মদিনে মার্কেটে গিয়ে যে শাড়ি কিনার জন্য ছোট লোকদের মতো কান্না জুড়ে ছিলি সেইটার কথা বলছি।(আম্মু)

->ও আচ্ছা ঐ শাড়ির কথা বলছো,আর তুমি আমায় ছোট লোক বললা কেন, দেখছো আমি তোমার থেকেও লম্বা হা হা হা। আর যাও তুমি যেইটা করতে বলবা আজ আমি তাই করবো,ঐ শাড়িটাই পড়বো।(আমি)

->আম্মু আর কোন কথা না বলে রুম থেকে চলে গেলো। আজ শুক্রবার মনের আনন্দে সাজ গোজ করছি, অনেক দিন পর কোথাও ঘুরতে যাচ্ছি একটু বেশি করে মান্জা না দিলে কি হয়,

-> হঠাৎ আম্মু আগমন আমার রুমে, কি রে তোর হলো আর কত সাজবি, মনে হচ্ছে শশুড় বাড়িতে যাচ্ছিস। (আম্মু)

->উফু আম্মু যাবার সময় এমন অলক্ষনী কথা বলনাতো ভাল লাগেনা।(আমি)

->চল তোর আব্বু গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে।

->আর ইসরাত মা একটা কথা বলবো?(আম্মু)

->কি বল (আমি)

->তুই তো আমারি মেয়ে, আমার গর্ভ থেকে জন্ম নিয়েছিস তাই না (আম্মু)

->আজব তো আমি কি সেইটা কখনো অস্বিকার করেছি নাকি সবাই তো যানে আমি তোমার ক্ষেত এর উৎপাদিত ফসল।

-> যদিও চিহারায় কোন মিল নেই,তুমি কালো আর আমি আব্বুর মতো ফর্সা তবুও কেমনে যানি মানুষরা চোখটা দেখলেই বলে দেই আমি তোমার ক্ষেতের উৎপাদিত ফসল হা হা হা (আমি)

->আসলে তোর সমস্যা হলো অন্যরা যা বুঝে তুই তা বুঝিস না।

->তুই এইটা ভুলে যাস যে আমি তোর মা, তুই আমার গর্ভের সন্তান, সুতরাং তুই যদি আমার সন্তান হয়ে ডালে ডালে ঘুড়িস, আমাকে তো তাহলে পাতায় পাতায় ঘুড়তেই হয় বল?
আমি গেলাম তুই আয়।(আমামু)

->কথাটা বলে আম্মু চলে গেলো, কিন্তু আমার কেন যানি মনে হলো আমামু আমায় ঠান্ডা মাথায় পুড়ো একটা আস্তো অঝরা বাঁশ দিয়ে গেলো, অখাদ্য জিনিস তো তাই ঠিক ঠাক হজম করতে পারছি না।

->আচ্ছা আমি আবার আম্মুর কাছে ফেসে যাচ্ছিনা তো, ধুর ভাল্লাগেনা যা হবার হবে পড়ে দেখে নিব নি এইবার আগে ঘুড়ে আসি। (আমি) ইতি মধ্য আমরা আসাদ আংকেল এর বাসায় এসে পড়েছি,বাসাটা খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে।

->একদম আমার মনের মত করে। তাই আমি বাসাটা ঘুড়ে ঘুড়ে দেখতে লাগলাম।

->এই যে আমার সুকন্যা আসুন এতো ভাল করে এখুনি দেখতে হবেনা, পড়ে না চাইলেও দেখতে পারবে।(আম্মু)

->আমি শুধু সুকন্যা হবো কেন আমি রাজকন্যাও বুঝছো,আর তুমি এই কথা বললা কেনো?? (আমি)

->সেইটা পড়ে বুঝবা এখন ভিতরে আয়, বলে আম্মুরা ভিতরে চলে গেলো।

->আমি পুড়ো বাড়িটা ঘুড়ে দেখছি।বাড়িতে অনেক মেহমান এসেছে।

->কিন্তু আমায় দেখে সবাই এমন করে হাসছে কেন,আর তারা কানা কানি করছে কেন বিষয়টা কেমন যানি গন্ডোগোলের মনে হচ্ছে।

->কোন কথা না বলেই ভিতরের রুমে চলে গেলাম রুমটা অসম্ভব সুন্দর করে সাজানো, দেওয়ালে কিছু ছবি ঝুলানো, ছবি গুলো দেখার জন্য এগিয়ে গেলাম।

-> এই বার ছবি গুলোর দিকে তাকাতেই ১০০ডিগ্রি ভল্টিসে শক খাইলাম, চোখ গুলা বড় বড় হয়ে গেছে,এ কি দেখছি আমি, সর্বনাশ আমি তো শিংহের গুহায় চলে আসেছি।

->আমি এতো বুকা হলাম কবে থেকে। আসাদ আংকেলই তো লামিয়া আন্টির বর,আনন্দের অবস্থায় সবটা ভুলে গিয়েছিলাম। তার মানে কি আমার সন্দেহ টাই ঠিক,আমাকে সব গুলা মিলে ফাসাইছে আল্লাহ বাঁচাও।

->আমার পালাতে হবে এখুনি এখান থেকে, কিন্তু কি করে পালাবো, কি করি এখন আমি, ইসরাত রে তুই মনে হয় এইবার কুরবানি হয়েই গেলি।

->না না যে করেই হোক এখুনি এই মুহুতে পালাতে হবে কেও দেখার আগেই,ইসরাত রে বাচঁতে চাইলে পালা তারাতাড়ি।

->পেছন ফিরে চোখ বন্ধ করে দিলাম দৌড়, খেলাম একটা যরছে ধাক্কা চোখ খুলে দেখি সামনে ৩ টা শিংহ শিকার ধরার জন্য দাঁত বের করে দাড়িয়ে আছে। (আম্মু, আন্টি, আংকেল)

->দেখেই তো গলাটা শুকিয়ে আসছে তাই নিরুপাই হয়ে দাড়িয়ে আছি,কিছু বলার মত ভাষা নেই।

->কি পালাচ্ছিলি বুঝি (আন্টি)

->কই না তো পালাতে যাবো কেন আমি কি চোর নাকি (আমি)

->আচ্ছা তাই বুঝি, ঠিক আছে তোর কথাটা মেনে নিলাম। এবার বলতো সে দিন এমনটা কেন করলি? দেখলি তো কেমন তোকেই উল্টো ধরে ফেল্লাম তোর জালে। (হেসে হেসে আন্টি)

->আচ্ছা আন্টি তোমরা সে দিন আমায় আগেই চিনে ফেলে ছিলা তাইনা,তাহলে এমনটা কেন করলা? (আমি)

->হ্যঁ, আবির তোকে দেখেই চিনে ফেলে ছিলো, তারপর আমাদের সবটা শিখিয়ে দিয়ে ছিলো, আর আমরাও তোর দুষ্টামি গুলো দেখার জন্য রাজি হয়ে যাই।

-> তোর মার কাজ থেকে আগেই তোর দুষ্টামির গল্প শুনেছিলাম। তাই ভাবলাম আজ একটু সামনে থেকে দেখি কেমন দুষ্টামি করতে পারিস।

->কিন্তু বাপরে তুই যা করলি আমরা তো বাসায় এসে তোর মাকে ফোনে সবটা বলার সময় হেসেই মরে যাচ্ছিলাম।

->তার পর তোর মা আর আবির এই বুদ্ধিটা করে তোকে এনেছে আজ, আর এই বুদ্ধি না করলে তো তোকে ধরতেও পারতামনা যা পাজি মেয়ে হয়েছিস তুই।

->কি রে ইসরাত চুপ করে আছিস যে কথা বল।(আন্টি)

->কি আর বলবো আমার আম্মু আর এই মিস্টার বিচ্চু আবির আমায় যে বাঁশটা খাওয়ালো আমি এইটা কখনোই ভুলবোনা, আমারও সময় আসবে সবটা ফিরিয়ে দিবো (মনে মনে আমি)

->কি রে চুপ করেই থাকবি, আচ্ছা বল তুই আমার বাড়ির বউ হবি?তোর দুষ্টামি দিয়ে সারা বাড়ি মাতিয়ে রাখবি,?তোর আম্মুতো তুই দুষ্টামি করলে বকা দেয়, আমি কিন্তু একটুও দিবনা হবি তো আমার লক্ষি বউমা?(আন্টি)

->কোন কথা না বলে দৌড়ে ভিতর ঘড়ে এলাম, আর খুজতে লাগলাম সেই বিচ্চুটারে যার জন্য আমি জিবনে প্রথম বারের মতো হারতে বসেছি। হঠাৎ পাশের রুমটা থেকে তাহসান এর কে তুমি গানটা কানে এলো,আমার সব থেকে প্রিয় গানটা বাজছে রুমটাতে, তাই রুমটার ভিতরে প্রবেশ করলাম।

->রুমটার মধ্য কেও নেই, এবং অন্ধকার করানো, কিন্তু দিব্বি গান চলছে।

->সুইচ টা খুজে বের করে লাইট টা অন করলাম,রুমে আলো আসার পর আমি পুড়ো অবাক হয়ে গেলাম, সারা ঘরে শুধু আমার ছবি লাগানো।

-> কিন্তু এই ছবি গুলো এই খানে এলো কি করে, এই ছবি গুলোর এ্যালবামটা তো আমি হারিয়ে ফেলেছিলাম।

->তার মানে আম্মুই আমার এ্যালবামটা চুরি করে এখানে পাটিয়ে দিয়ে ছিলো, উফু আম্মু তুমি আসলেই আমার প্রকৃত শত্রু।

->কিন্তু ছবি গুলো এখানে এই ভাবে লাগালো কে, আবির হুম আবির ই হবে।

->কিন্তু কেন লাগিয়েছে, তিনি কি তাহলে আমায়,,,,,,,,,,,,

->না না কি ভাবছি এই সব, উনি কখনোই আমাকে পছন্দ করতে পারে না।

->পছন্দ হলে কি সে দিন আমাকে বুয়া বলতো, পাজি ছেলে কোথাকার।

->কারো রুমে ডুকতে গেলে যে তার অনুমিত নিতে হয় সেইটা বুঝি যানেন না (আবির)

-> কথাটা শুনে চৎমকে উঠলাম।

->পিছন ফিরে দেখ আবির।

->কারো রুমে ডুকতে গেলে যে অনুমিত নিতে হয় তা খুব ভাল করেই যানি, কিন্তু যদি রুমে কেও থাকে।

-> কিন্তু আমি যখন এই রুমে ডুকেছি এই রুমে কেও ছিলোনা তাই অনুমিত নিবার দরকার হয়নি বুঝলেন। (আমি)

->ও আচ্ছা তাই বুঝি, যাক তাও যে আপনি এই গুলা যানেন,কষ্ট করে আমার কিছু শিখাইতে হবেনা। (আবির)

->কি বললেন আপনি? আর এই যে আপনি যে একটু আগে গ্যেন দিলেন কারো রুমে ঢুকতে অনুমিত নিত হয়।

->আচ্ছা কারো ছবি রুমে ঝুলানোর আগে তার থেকে অনুমিত নিতে হয় সেইটা আপনি যানেন তো মিস্টার বিচ্চু আবির? (আমি)

->হা হা হা, যানি কিন্তু নিজের লোকের ছবি ঝুলাতে কোন অনুমতি নিতে হয়না।

-> আর এই রুমেতো অন্য কারো ছবি ঝুলানো নেই,সব ছবি আমার বউ এর, আর বউ এর ছবি ঝুলানোর জন্য কোন অনুমতির প্রয়োজন নেই বুঝলেন মিস কাঁচা মরিচ। (আবির)

->কি বললেন আমি আপনার বউ, আমার বয়েই গেছে আপনাকে বিয়ে করতে,আর আপনার সাহস তো কমনা সেই দিন কাজের বুয়া বললেন আবার আজ কাঁচা মরিচ বলছেন আমায়।(আমি)

->আচ্ছা সরি তোমায় এমন বলার জন্য এখন বলতো তুমি আমায় বিয়ে করতে চাওনা কেন।

-> তোমার কি কোথাও কিছু আছে, (আবির)

->কি বলছেন এই সব, আমার এমন কিছুই নেই,আসলে আমি আমার বাবা মা আপু, আর আমার নিজের বাড়ি রেখে কোথাও থাকতে পারিনা।

->তাই বিয়েও করতে চাইনা, বিয়ে করলে তো আমার সুন্দর ব্রেড রুমটা আর আপুকে ছেড়ে ঘুমাতে হবে তাই এমনটা করে বিয়েটা ভেঙ্গেদেই।

->আচ্ছা বুঝলাম,কিন্তু তুমি ভাল করে কি দেখছো এই রুমটার সাথে তোমার রুমের কোন প্রার্থক্য নেই, একদম তোমার রুমের মত করে সাজানো।

->তোমার আপুর কাছ থেকে আমি তোমার পছন্দ গুলো যেনে নিয়ে এই রুমটা শুধু তোমার জন্য সাজিয়েছি।(আবির)

->আপনি সত্যিই আমায় এতটা পছন্দ করেন তো, নাকি আমায় পালিস মেন করার জন্য বিয়ে করতে চান ?(আমি)

->হা হা হা না না পালিস মেন করার জন্য নয়।

->আসলে যে দিন তোমায় ছবিতে দেখেছিলাম সেই দিন থেকেই তোমায় পছন্দ করেছি।

-> তারপর তোমার সম্পর্কে যখন সবটা শুনলাম তখন থেকেই তোমার প্রেমে পড়ে গিয়ে ছিলাম।

->কারন আমি মনে মনে এমন একটা দুষ্টু মিষ্টি বউ খুজছিলাম তো।

->ইসরাত হবে আমার দুষ্টু বউটা? (আবির)

->আমার বয়েই গেছে আপনার বউ হতে।(আমি)

হঠাৎ রুমের আলো নিভে গেলো,আমি একটু একটু ভয় পেতে লাগলাম।

এই যে ভয় পেয়ে আবার আমায় জরিয়ে ধরবেনা কিন্তু,সাবধান এখনো কিন্তু বর হইনি সুতরাং,,,,,,, (আবির) আমায় বয়েই গেছেনা আপনার মত বিচ্চুকে জরিয়ে ধরতে,আপনাকে জরিয়ে ধরার আগে কারেন্টের তারকে জরিয়ে ধরবো (আমি) আচ্ছা তাহলে তো ভাল, কিন্তু আমার রুমে যে জিনিস আছে তা দেখে যদি দৌড়ে আসো তাহলে কিন্তু তোমার হবে, (আবির)মানে কি আছে এই রুমে,ভুত, হা হা হা আমিই নিযেই একটা পেত্নি ঠিক আছে সুতরাং কোন ভুতকে ভয় পাইনা(আমি)

আচ্ছা খুব সাহ্সী দেখছি আমার বউটা,আচ্ছা আমার পেত্নি বউটা একটু ঐ দেওয়ালের দিকে তাকাও তো,দেখতো ঐ গুলো কি?? (আবির)তাই কই কই দেখি কি আছে এই রুমে, ওরে বাবারে এতো গুলো আরসোলা, বাচাঁন বাচাঁন, বলে দৌড়ে আবিরকে জরিয়ে ধরলাম।(আমি) হা হা হা,পেত্নিরা ভুতে নয়, আরসোলাতে ভয় পাই জান্তামনা তো। ঠিক আছে বিয়ের পর ঘরে কিছু আরসোলা চাষ করবো যাতে আমার এই দুষ্টু পরীটা ভয় পেয়ে আমায় এমন করে সব সময় জরিয়ে থাকে।(আবির) না না, মোটেও না এমনটা করবেন না please আমি খুব ভয় পাইতো, (আমি) আচ্ছা তাই তাহলে করবোনা তাহলে আমায় শক্ত করে জরিয়ে ধরে love u 2 বল।(আবির)

আপনাকে I love u বলতে আমার বয়েই গেছে বলবোনা (আমি) আচ্ছা তাই তাহলে ছার আমি চলে যাই,(আবির) না না বলছি বলছি আচ্ছা এই শক্তকরে ধরলাম। এবং I love u 2. I love u 3. I love u 4, happy এখন (আমি) হা হা হা তাহলে তুমি হেরে গেলে আমার কাছে তাইনা (আবির)  হুম হার মানলাম আপনার মিষ্টি ভালবাসার কাছে আমার দুষ্টু বুদ্ধির পরাজিত
ভাল লাগলে অ্যাড দিবেন।।

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত