ছেলে- হ্যালো। জানু কী করছো?
মেয়ে- তেমন কিছু না।
ছেলে- কেন?
মেয়ে- এমনি তেমন কিছু না।
ছেলে- সত্যি করে বলো, তোমার কণ্ঠ এমন কেন?
মেয়ে- কই, কেমন?
ছেলে- অন্য রকম লাগছে, কেন ফোন করেছো, সত্যি করে বলো।
মেয়ে- এমনি করেছি ফোন, কেন তোমাকে যখন ইচ্ছা ফোন করতে পারবো না?
ছেলে- না সেটা না। কথা হলো তোমার কলেজ টাইমে তুমি কখনও ফোন করো না, তাই বললাম।
মেয়ে- না মানে আসলে হয়েছে কী, আমার কিছু টাকা লাগবে। আজকে আমাদের কলেজে ফর্ম ফিলাপ করার লাস্ট ডেট তো। আর আমার এক বান্ধবি ভুল করে টাকা ওর টেবিলে ফেলে এসেছে, আর ওর বাড়িতে এমন কেউ নেই যে টাকাটা দিয়ে যাবে।
তোমার তো মোবাইল ব্যাংকিং আছে সেখান থেকে যদি টাকাটা দিতে। পরে তোমাকে দিয়ে দিতাম। ছেলে- থাপ্পড় চেনো, ফাজিল মেয়ে? কথাটা শুনে মেয়েটার চোখে জল এসে গেল। অভিমান এবং অপমানের জল । আজকে ৪ বছর তাদের সম্পর্ক।কখনো কিছু চায়নি মেয়েটা ছেলেটার কাছে।
আজকে খুব সমস্যায় পড়েছে বলেই চেয়েছে, তাও বান্ধবীর জন্য।অনেক বড় গলা করে বান্ধবীদের সাথে কথা বলতো তাকে নিয়ে। ছি ছি আজকে কী করে মুখ দেখাবে বান্ধবির কাছে? কোন রকমে কান্না আটকে মেয়েটা আবার কথা বলছে- সরি আমার ভুল হয়ে গেছে। অবশ্যই ভুল হয়েছে। হাতের কাছে পেলে দুইটা থাপ্পড় দিতাম। (কান্না কণ্ঠে) আমি মাফ চাইছি, ভুল করে ফেলেছি।
পাগলী তোমার উপরে আমার এই কারণেই রাগ হয়। তোমার টাকা লাগবে, ভালো কথা। সেটা তুমি আমাকে এই ভাবে কেন বললে? আমি কি এত কিছু জানতে চেয়েছি? তুমি যে কোন একটা এটিএম বুথের কাছে গিয়ে বলবে এই শুনো, আমি এই বুথে আছি তুমি তোমার মোবাইল ব্যাঙ্কিং পাসওয়ার্ড মোবাইলে মেসেজ করো।
কতো টাকা লাগবে বা কেন লাগবে এইসব কেন বলতে গেলে? তাই আমি রাগ করছি। তোমাকে পরে পেলে পাঁচটা থাপ্পড় দেবো। আমার একাউন্টের সব টাকাইতো তোমার টাকা। পাগলী, নিজের একাউন্টের টাকা তুলতে আবার বলতে হয়? এইবার একটু হাসো মেয়েটা এখনও হাসার বদলে কাঁদছে। তবে সেটা খুশির কান্না, ভালবাসার বিশ্বাসের কান্না। ছেলেটা কতোটা বিশ্বাস করে আমাকে।
সত্যি মেয়েটা নিজেকে পৃথিবীর ভাগ্যবান লোককেদের মধ্যে একজন মনে করছে নিজেকে। জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো ভালবাসার মানুষের বিশ্বাস অর্জন করা।