আমিঃ ঐ তুমি আমারে ইয়ে করলা কেন?
ফারজানাঃ কি করলাম(কিছুটা রেগে)
আমিঃ ইয়ে মানে কিস করলা কে?
ফারজানাঃ আমি ছাড়া কে করবে শুনি।
আমিঃ এত কিস করা লাগে কেন।
ফারজানাঃ আমার যখন ইচ্ছে তখন করুম বাধা দেওয়ার তুমি কে?
আমিঃ আমি তোমার এক মাত্র স্বামী হু। আমারে একটু ছাড় দাও।
ফারজানাঃ আমি পারুমনা।
আমিঃ ধুর থাকতে মন চাইনা।
রাগ দেখিয়ে এই রাত্রে বাইরে বেরিয়ে গেলাম। ওহ আপনাদের পরিচয় টা দিয়ে নি ওহলো ফারজানা আমার কিউটের ডিব্বা এক মাত্র বউ আর আমাকে ত সবাই চিনেন বাইরে এসে অনেক খন বন্ধুদের সাথে গল্প করতেছিলাম হটাৎ প্রধান মন্ত্রীর ফোন আমাকে তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে হবে।। আরে প্রধান মন্ত্রী মানে আমার বাবা আর বাবা কে দেখে আমি সব চেয়ে ভয় পাই আমার বাবা সব চেয়ে ভালোবাসে আমার বউ টাকে নিজের মেয়ে বানিয়ে ফেলেছে যেই দিন থেকে আমার বাসায় এসেছে। অভিমানির গল্প মাঝে মধ্যে হিংসা হয় এদের ভালোবাসা দেখে। বাসায় গিয়ে কলিংবেল দিলাম দরজা খুলে আমার কিউট গালের উপর ঝড় বয়ে গেলো। মানে বুঝলেন না আব্বু আমারে কিলায়া গাল দুটা লাল করে দিছে আব্বু তখন রেগে গিয়ে বলে অভিমানির গল্প
আব্বুঃ ঐ হারামি তুই মানুষ হবিনা।
আমিঃ আমি ত মানুষই আছি।
আব্বুঃ আর একটা কথা বললে খবর আছে। তুই ফারজানারে কি কয়ছিস?
আমিঃ কিছুই ত বলিনাই।
আব্বুঃ কিছু বলিস নাই মানে, ও মেয়ে টা না খেয়ে বসে ছিলো আর তর আম্মু কিছু খন পর গিয়ে দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে আর হাত কেটে রক্ত ঝরছে। অভিমানির গল্প
আমিঃ কি বলছো এই সব? ( আমার মাথা টা এবার নস্ট হয়ে যাবে ফারজানাকে আমি অনেক ভালোবাসি )
আব্বুঃ যা গিয়ে দেখ। ডাক্তার এসে ওষুধ দিয়ে।ও ঘুমিয়ে আছে। আর যদি আমার মেয়েটারে কষ্ট দিস তাহলে তরে আমি বাড়ি থেকে বের করে দিবো।
আমিঃ আচ্ছা। ( মাথা টা নিছু করে বললাম ) তারপর রুমে গিয়ে দেখি ফারজানা ঘুমিয়ে আছে আর ওর হাতে ব্যান্ডেজ করা আর এটা দেখেই আমার চোখে বন্যা বয়ে গেছে। আমি যে ওকে আমার প্রানের চেয়ে বেশি ভালোবাসি ওর কথায় বাস্তবে ফিরে আসলাম
ফারজানাঃ এই তুমি কান্না করছো কেনো ?খুব খিদে লেগেছে তাইনা। আমি ত এখন উঠতে পারবোনা তারচেয়ে তুমি ইয়ে টা নাও( মুখ টা আমার মুখের কাছে নিয়ে এসে ) দেখেছেন কত বড় ফাজিল। একে ত এটার জন্য রাগ করে বাসার বাইরে গেছিলাম আর ওর যে অবস্থা তাও এর মধ্যে ফাজালামি গেলোনা।
আমিঃ এই তুমি এমন কেনো? আর হাত কাটলা কেনো?
ফারজানাঃ তুমি আর আগের মত আমায় ভালোবাসোনা আমাকে সহ্য করতে পারোনা। আজকে যখন রাগ করে গেলে তখন খুব কস্ট হয়েছিলো।
আমিঃ তাই বলে হাত কাটবা?
ফারজানাঃ খুব কস্ট হচ্ছিলো ত। তুমি ত জানোই তোমাকে যদি আমি উম্মমহহহ না দি তাহলে আমি খাইনা আর তুমি রাগ করে চলে গেলে তাই আমারো রাগ হচ্ছিলো।
আমিঃ তাই বলে হাত কাটবা?
ফারজানাঃ হু …
আমিঃ আমার খুব খিদে লেগেছে ত এখন।
ফারজানাঃ আম্মু ত ঘুমিয়ে গেছে আর আমি ত উঠতে পারবনা। তার চেয়ে তুমি উম্মহহ খাও( মিষ্টি এক হাসি দিয়ে)
আমিঃ ফারজানা তুমি কেনো বলতো?
ফারজানাঃ বললাম না আমাকে আর তোমার ভালো লাগেনা ( অভিমান করে )
আমিঃ আচ্ছা আমার না উম্মমহ খেতে খুব ইচ্ছে করছে ( রাগ কমানোর জন্য বলতেই হলো )
ফারজানাঃ সত্যি ?
আমিঃ হুম সত্যি।
ফারজানাঃউউউউউউউউউউউম্মম্মআআআম্মম্মম্মম্মমহহহহহহহহহহহহহ(আপেনার একটু চোখ বন্ধ করুন) অভিমানির গল্প বলার সাথে সাথে ভালোবাসার পরশ পেয়ে গেলাম আর ফারজানার মুখে বিজয়ের হাসি দেখলাম আর এই হাসিটার প্রেমে আমি দিনে হাজার বার পড়ি
আমিঃ এবার খুশি ত?
ফারজানাঃ হু খুব খুশি উউউউউউউম্মম্মআআআম্মম্মমহহহহহহ।
আমিঃ আবার?
ফারজানাঃ হিহিহি আমার বর কে আমি দিয়েছি কার কি।
আমিঃ আচ্ছা শুয়ে থাকো আমি খাবার নিয়ে আসছি। রান্না ঘর থেকে খাবার নিয়ে আসলাম।
আমিঃ উম্মাহহ পাগলি এইবার হা করো খাবার খাবে।
ফারজানাঃ কেবল ত খাইলাম আবার খাওয়া লাগবে।
আমিঃ কেবল কি খাইলে?
ফারজানাঃ কেনো উউউম্মআআআহহহহ হিহিহি।
আমিঃ ফাজলামি বাদ দিয়ে হা করো।
ফারজানাঃ হু হা ওকে খাইয়ে দিয়ে ঘুমাতে গেলাম। ও তখন বলে।
ফারজানাঃ জানো জুনায়েদ আমি অনেক সুখি তোমার মত এক জন কে জিবনে পেয়ে। আমি এত জালাই তোমাকে তাও তুমি কিছু বলো না। আমার মনে হয় আমার চেয়ে তুমি আমাক অনেক ভালোবাসো।
আমিঃ এখন ঘুমাও।
ফারজানাঃ তোমার আম্মু আব্বু কে দেখে মনে হয় না যে তারা আমার শশুর শাশুড়ি। আমাকে ত মেয়ের মত দেখে।
আমার জন্য তোমাকে অনেক কথা শুনতে হয়।
আমিঃ ঘুমাও বলছি।
ফারজানাঃ আমি এই সব করি শুধু তোমাকে হারানোর ভয়ে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না ত কোন দিন?
আমিঃ পাগলি তোমাকে ছেড়ে গেলে আমায় উম্মাহহহ দিবে কে শুনি।
ফারজানাঃ আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি জুনায়েদ। ( আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে)
আমিঃ আমিও ভালোবাসি উম্মাহহহ পাগলি ( আমিও আমার বুকে জড়িয়ে ধরলাম)
ফারজানাঃ এই আমায় একটু ছাড়ো ত।
আমিঃ কেনো?
ফারজানাঃ কাজ আছে।
আমিঃ আচ্ছা। যেই ছেড়ে দিছি আর উম্মাআহর অত্যচার শুরু হয়ে গেছে।
আমিঃ এইটা তোমার কাজ?
ফারজানাঃ হু এটাই আমার প্রতিদিনের কাজ উম্মম্মাআআহহহ (আবার)
আমিঃ ওকে ঘুমিয়ে যাও।
ফারজানাঃ হুম।
বলার সাথে সাথে আমার বুকের সাথে লেফটে গেলো। আর আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে যেনো আমি না ছাড়তে পারি কি মায়াবি মুখ আমি ত প্রতিদিন প্রেমে পড়ি ফারজানাকে দেখে আর এভাবেই আমাদের প্রতিটা দিন রাত ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে যায় আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেনো উম্মাহহহ পাগলি সারা জীবন এইভাবে ভালোবাসে।