মেঘা- ঐ জামাই ঐ জামাই। তোরসাথে আর আমার কথা নাই।
আশিক- থাপ্পড় দিয়া বত্রিশটা দাঁত ফেলে দিবো দেখছিস।
মেঘা- ঐ রাগ করস ক্যান? আমি তোর বউ ভাল করে কথা বল।
আশিক- তো আমি মনে হয় তোর প্রেমিক লাগি। আমিও তো তোর জামাই ভাল করে কথা বল।
মেঘা- তোর সাথে এর থেকে ভাল করে কথা বলা যায়না।
আশিক- তোর সাথেও এর চেয়ে ভাল করে কথা বলা যায়না।
মেঘা- মানবোনা মানবোনা। এটা কিন্তু কথা ছিলোনা যে তুই আমাকে তুই তুই করে কথা বলবি।
আশিক- এটাও কথা ছিলনা তুই আমাকে তুই তুই করে কথা বলবি।
মেঘা- তুই আমাকে আর বউ ডাকবিনা।
আশিক- তুইও আমাকে আর জামাই ডাকবিনা।
মেঘা- তোরে জামাই ডাকতে তো আমার ঢেকাই পরছে হুঁহ। তোর নাম, আশিকুর রহমান নীর । শর্ট করে জামাই ডাকি।
আশিক- আমারও তোরে বউ ডাকতে ঢেকা পরেনাই হেঁহ। তোর নাম মেঘা পাগলী। আমিও শর্ট করে বউ ডাকি।
মেঘা- আর ডাকবি না বউ।
আশিক- তুইও ডাকবিনা আর জামাই।
মেঘা- তুই কইলেই হবে নাকি? তিন তিনবার কবুল বলে তোরে সাথে বিয়ে বসছি আর জামাই ডাকবোনা? একশবার ডাকবো হাজারবার ডাকবো।
আশিক- তো আমি মনে হয় কবুল একবার কম বলে বিয়ে করছিলাম? আমিও তিন তিনবার কবুল বলে তোরে বিয়ে করছি। আমিও একশবার ডাকবো হাজারবার ডাকবো।
মেঘা- তুই আর আমাকে আগের মত ভালবাসিস না, আমার যত্ন নিস না।
আশিক- তুইও আমাকে আগের মত ভালবাসিস না। আর তুই কি পিচ্চি নাকি যে তোর যত্ন নিতে হবে?
মেঘা- অহ হ্যাঁ এখন আমি বুড়ী হয়ে গেছি? বিয়ের আগে তো খুব বলতি তুই কত পিচ্চি রে মেঘা তুই সারাজীবন পিচ্চিই থেকে যাবি।
আশিক- তখন তুই পিচ্চি ছিলি আর এখন বুড়ী হইছিস।
মেঘা- তুই মনে হয় পিচ্চি আছস? তুইও বুড়া হয়ে গেছিস।
আশিক- ঐ বুড়ী।
মেঘা- বল বুড়া।
আশিক- এই বুড়াটা যে অনেক ভালবাসে বুড়ীকে। বুড়ী ছাড়া বুড়া অচল।
মেঘা- ওলে বাবালে। এখন এত পিরীত কোথ থেকে আসতেছে শুনি?
আশিক- এই জন্যই তোর লগে কথা বলতে মন চায় না।
মেঘা- কি বললি? ঐ ছেমড়া নতুন কাউকে পাইছস নাকি? জবাই বুঝস জবাই? একেবারে জবাই করে ফেলবো অন্য কারো লগে রঙটঙ করে কথা বললে।
আশিক- তোরে কি আমি মারতে পারবোনা নাকি? তোরে এক থাপ্পড় দিয়ে আকাশে ঝুলিয়ে রাখবো।
মেঘা- ওমা তাই নাকি? আমার জামাই নাকি আমাকে মারবে! এত খুশি আমি রাখবো কই? দে তো গালে একটা থাপ্পড় দেখি পারস কি না? গাল পেতে দিলাম নে।
আশিক- দেখ বুড়ী মেজাজ খারাপ করিস না। সত্যিই সত্যিই মারবো কিন্তু।
মেঘা- যেই মাথা পারস না ঐ মাথা বলিস না তো। ভীতুর ডিম। আমি জানি তুই আমারে অল্প ভালবাসস তাই কখনো মারতে পারবিনা।
আশিক- অল্প? আর তোর গাল দেখলে আমার অন্য কিছু করতে মন চায়। ইচ্ছা হয় তোর গালে উম্মম্মম্মম্মা দেই।
মেঘা- তুই সেটাও করতে পারবিনা।
আশিক- সত্যিই করতে পারবোনা রে বুড়ী। তোর গুলুগুলু গালে ফুঁসকা পরলে আমি থাপ্পড় দিব কই?
মেঘা- তোর আর জীবনেও থাপ্পড় দেয়া হবেনা রে বুড়া। এখন ক্ষিদা লাগছে আন কিছু খাই।
আশিক- আমি আনবো ক্যান? তুই আন। আমারও অনেক ক্ষিদা লাগছে।
মেঘা- আনবোনা আনবোনা আনবোনা। রান্না করি এটাই বেশী। আগের মত আর কি আদর করস?
আশিক- আমার পিচ্চি বুড়ী যাও খাবার আনো আমার অনেক ক্ষিদা লাগছে।
মেঘা- উঁহু এটুকুতে হবেনা। আরো আদর করে বলো।
আশিক- আমার আদরের আহ্লাদের পিচ্চি লক্ষ্মী চাঁদমুখী বউ যাও কিছু আনো খাবো। ক্ষিদা লাগছে খুব।
মেঘা- আচ্ছা জামাই বসো যাচ্ছি হিহিহি
আশিক- বুড়ি একটু শুন” তুর কান টা এই দিকে দে”
মেঘা- বল বুড়া ‘
আশিক-উমামামামামামাম্মা উমামামামাম্মামামামাম্মা